পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমাওলা মোহাম্মদ(সা.)এর দেখানো পথ ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি (পর্ব-১৫)মাওলা মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন : কোনো ব্যক্তি যদি সকাল ও সন্ধ্যা এভাবে অতিবাহিত করে যে পরকালই তার সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে আল্লাহ্ তার অন্তরকে অমুখাপেক্ষী করে দেন এবং তার কাজকে সহজ করে দেন। আর দুনিয়ায় সব রিজিক লাভ না করা পর্যন্ত তার মৃত্যু হয় না। আর যে ব্যক্তির সকাল ও সন্ধ্যা অতিবাহিত হয় এভাবে যে দুনিয়া অর্জনই হয় তার সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য আল্লাহ্ তখন তার চোখের সামনে অভাব রাখেন, আর তার কাজকে বিশৃঙ্খল করে দেন। আর দুনিয়া থেকে সে কিছুই লাভ করে না শুধু তার জন্য নির্ধারিত অংশটুকু ছাড়া। রাসূলে পাক বলেন : আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দেব না যে, তোমাদের মধ্যে কোন্ ব্যক্তির চরিত্রের সঙ্গে আমার চরিত্রের বেশি মিল রয়েছে? সবাই বলল : অবশ্যই, হে রাসূলুল্লাহ্! তখন তিনি বললেন : তোমাদের মধ্যে যে অন্যদের চেয়ে বেশি সচ্চরিত্রবান এবং বেশি শৌর্যবান ও নিজ আত্মীয়দের সঙ্গে বেশি সদাচারী, আর যারা সন্তুষ্ট ও ক্রুদ্ধ উভয় অবস্থায় নিজের পক্ষ থেকে অন্যদের চেয়ে বেশি মাত্রায় ন্যায়বিচার মেনে চলে। মহানবী বলেছেন : যে ব্যক্তি খায় এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নীরব তথা অকৃতজ্ঞ রোজাদারের চেয়ে উত্তম। রাসূলে পাক বলেছেন : আল্লাহর জন্য মুমিনের সাথে মুমিনের বন্ধুত্ব হলো ঈমানের একটি বড় শাখা। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালোবাসে ও আল্লাহর জন্য ঘৃণা করে আর আল্লাহর জন্য দান করে এবং আল্লাহর জন্যই দান থেকে বিরত থাকে সে হলো নির্বাচিত বান্দাদের মধ্যে একজন। তিনি আরো বলেছেন : আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে সেই ব্যক্তিই আল্লাহর বেশি প্রিয় যে তাঁর বান্দাদের জন্য অন্যদের চেয়ে বেশি উপকারী আর বেশি মাত্রায় ন্যায় প্রতিষ্ঠাকারী এবং সদাচার ও সৎকর্মই যার পছন্দনীয় বিষয়। মহানবী আরো বলেছেন : যে ব্যক্তি নমনীয়তা থেকে বঞ্চিত সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।মহানবী বলেছেন : মুমিন হলো সদাচারী এবং হাসিখুশি আর মুনাফিক হলো অভদ্র ও রুক্ষ। আল্লাহর সর্বশেষ্ঠ নবী বলেছেন: উপহার তিন ধরনের : উপহারের বিনিময়ে উপহার, কৃত্রিম উপহার এবং আল্লাহর জন্য উপহার।তিনি আরো বলেছেন : ধন্য সেই ব্যক্তি যে বর্তমান ভোগ-বিলাসকে পরিহার করে এমন প্রতিশ্রুতির আশায় যা দেখে নি। এক ব্যক্তি মহানবীকে তাঁর উম্মতের জামায়াতের অর্থ কী তথা ‘সেই দল, আল্লাহর সাহায্য যাদের সাথে রয়েছে, তারা কারা?’- এই প্রশ্ন করলে তার উত্তরে তিনি বলেন: আমার উম্মতের জামায়াত হলো হকপন্থীরা, হোক তারা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়। মাওলা মোহাম্মদ (সা.) আরো বলেছেন : তোমাদের কেমন লাগবে যখন তোমাদের নারীরা নষ্টা হবে, যুবকরা অনাচারী হবে, তোমরা সৎ কাজে আদেশ করবে না এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে না? বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! এমন কি হবে? বললেন : হ্যাঁ, এর চেয়েও খারাপ হবে। তোমাদের কেমন লাগবে যখন মন্দের দিকে আদেশ করা হবে আর ভালো থেকে ফিরিয়ে আনা হবে? আরজ করা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! এমন কি হবে? বললেন : হ্যাঁ, এর চেয়েও খারাপ হবে। তোমাদের কেমন লাগবে যখন তোমরা ভালোকে মন্দ আর মন্দকে ভালো বলে বিবেচনা করবে? তিনি আরো বলেছেন, আমার উম্মত থেকে নয়টি ক্ষেত্রে শাস্তি তুলে নেয়া হয়েছে : ভুল-প্রসূত কর্ম, বিস্মৃতিজনিত কর্ম, এমন বিষয় যা তার ওপর জোর কোরে চাপিয়ে দেয়া হয়, যে বিষয়ে সে জ্ঞান রাখে না, যার সামর্থ্য তার নেই, যে বিষয়ে সে নিরুপায় হয়ে পড়ে, হিংসা যা অপ্রকাশিত রয়েছে ও বাস্তব রূপ লাভ করে নি, অশুভ ভাগ্য পরীক্ষা, আর বিশ্বের স্রস্টা ও সৃষ্টির বিষয়ে প্ররোচনামূলক চিন্তা যতক্ষণ না সেটাকে মুখে ও ভাষায় প্রকাশ করে। মহানবী (সা.) আরো বলেছেন: যখন আমার উম্মতের মধ্যে দুই শ্রেণী ভালো হয় তখন আমার উম্মত ভালো থাকে, আর যদি তারা খারাপ হয় তা হলে আমার উম্মতও খারাপ থাকে। আরজ করা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! তারা কারা? বললেন : ফকিহ বা ইসলামী আইনবিদ আর শাসকরা। মহানবী বলেছেন : বুদ্ধিমত্তায় পূর্ণতম মানুষ হলো তারা, যারা আল্লাহকে বেশি ভয় করে চলে এবং তাঁর আনুগত্য করে। আর বুদ্ধিমত্তায় ত্রুটিপূর্ণতম মানুষ হলো তারা যারা শাসককে বেশি ভয় করে চলে এবং তার আনুগত্য করে।তিনি আরো বলেছেন, তিন শ্রেণীর ব্যক্তির সাথে ওঠাবসা অন্তরকে মেরে ফেলে : বখাটেদের সাথে চলাফেরা, নারীদের সাথে কথা বলা, আর বিত্তবানদের সাথে ঘোরাফেরা করা।মাওলা মোহাম্মদ (সা.) বলেন : যখন আল্লাহ্ কোনো উম্মতের ওপর ক্রুদ্ধ হন এবং তাদের ওপর শাস্তি নাজিল করেন, তখন তাদের দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়, তাদের আয়ু কমে যায়, তাদের ব্যবসায় লাভ হয় না, তাদের ফলমূল ভালো হয় না, তাদের নদী-নালাগুলো পানিতে পূর্ণ থাকে না, তাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হয় না, এবং তাদের দুষ্টরা তাদের ওপর কর্তৃত্বশীল হয়।মহানবী (সা.) আরো বলেছেন : যখন আমার পরে ব্যভিচার বেড়ে যাবে তখন আকস্মিক মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে যাবে। আর যখন ওজনে কম দেয়া হবে তখন আল্লাহ্ তাদের দুর্ভিক্ষ ও অনটনের শিকার করবেন, আর যখন যাকাত দেয়া হবে না, তখন মাটি চাষাবাদ, ফসলাদি এবং খনিজ থেকে কল্যাণ দানে কার্পণ্য করবে, আর যখন বিচারে অন্যায় রায় প্রদান করবে তখন তারা অত্যাচার ও শত্রুতায় পরস্পরের সহযোগী হবে, আর যখন চুক্তিভঙ্গ করবে তখন আল্লাহ্ শত্রুদেরকে তাদের ওপর কর্তৃত্বশীল করবেন। আর যখন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে তখন মাল-সম্পদ দুষ্টদের হাতে পড়বে। আর যখন সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করার দায়িত্ব পালন করবে না এবং আমার আহলে বাইতের মধ্য থেকে পুণ্যবানদের অনুসরণ করবে না তখন আল্লাহ্ তাদের থেকে দুষ্টদেরকে তাদের ওপর ক্ষমতাসীন করে দেবেন। তখন তাদের মধ্যে সৎ লোকেরা দোয়া করলেও তাতে জবাব বা সাড়া পাবে নানিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমাওলা মোহাম্মদ (সা.)'এর দেখানো পথ ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি (পর্ব-১২)মাওলা (সা.) বলেছেন : নিশ্চয় বড় বিপদের জন্য রয়েছে বড় পুরস্কার। তাই যখন আল্লাহ্ কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন তাকে বিপদগ্রস্ত করেন। এ অবস্থায় যে ব্যক্তি অন্তর থেকে খুশি থাকে তার জন্য আল্লাহর কাছে রয়েছে সন্তুষ্টি আর যে রেগে যায় তার জন্য রয়েছে ক্রোধ। তিনি আরো বলেছেন : আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরিক বা শির্ক করো না, এমনকি যদি আগুনেও পোড় এবং শাস্তির মুখোমুখি হও। ফলে তোমার অন্তর ঈমানে অবিচল হবে। আর তোমার বাবামায়ের আনুগত্য করো এবং তাদের সঙ্গে সদাচার করো, তাদের জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর। আর ফরয নামাযকে ইচ্ছাকৃতভাবে ত্যাগ করো না। কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ফরয নামাযকে ত্যাগ করে সে আল্লাহর আশ্রয় থেকে বিতাড়িত। আর মদ ও অন্য কোনো নেশা-দ্রব্য পান করো না, কারণ, এ দু’টি হলো সকল অনিষ্টের চাবিকাঠি।বনি তামীমের জনৈক ব্যক্তি যাকে আবু উমাইয়্যা নামে ডাকা হতো, হুজুর (সা.)-এর কাছে এসে বলল : হে মুহাম্মদ! আপনি মানুষকে কিসের দিকে আহ্বান জানান? উত্তরে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন : “আমি আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাই অন্তর্দৃষ্টিসহ- আমি ও যারা আমাকে অনুসরণ করেছে তারাও।” (ইউসুফ:১০৮) আমি তাঁর দিকেই আহ্বান জানাই যিনি তোমার থেকে ক্ষতিকে দূর করে দেন যখন তা তোমাকে স্পর্শ করে এবং তুমি তাঁকে ডাক। আর বিপদগ্রস্ত অবস্থায় তুমি যদি তাঁকে ডাক, তা হলে তোমাকে সাহায্য করেন। আর নিঃস্ব অবস্থায় তুমি যদি তাঁর কাছে সাহায্য চাও, তা হলে তোমাকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।এরপর লোকটি বলল : হে মুহাম্মদ! আমাকে উপদেশ দিন। তখন তিনি বললেন : ক্রুদ্ধ হবে না। সে বলল : আরো কিছু বলুন। তিনি বললেন: মানুষের জন্য সেটাই পছন্দ করো, যা তোমার নিজের জন্য পছন্দ করো। সে বলল : আরো কিছু বলুন। তিনি বললেন : মানুষকে গালমন্দ করো না। এতে তারা তোমার শত্রুতে পরিণত হবে। সে বলল : আরো কিছু বলুন। তিনি বললেন : উপযুক্ত পাত্রদের উপকার করতে কার্পণ্য কোরো না।সেই ব্যক্তি মাওলা (সা.)-কে আরো বললেন : আরো কিছু বলুন। তিনি বললেন : মানুষকে ভালোবাসবে, তা হলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে। আর তোমার ভাইয়ের সাথে প্রসন্ন মুখে সাক্ষাত করো। আর অসদাচারণ করো না, তা হলে তা তোমাকে ইহকাল ও পরকাল (উভয় জগতের কল্যাণ) থেকে বঞ্চিত করবে। আর পায়ের গোঁছার মাঝখান পর্যন্ত লম্বা জামা পড়বে। আর নিজের জামা ও পায়জামাকে এত দীর্ঘ করো না যে তা মাটিতে ঘেঁষে যায়। কারণ, এ কাজ হলো অহংকারের পরিচায়ক। আর আল্লাহ্ অহংকারীকে পছন্দ করেন না। তিনি আরো বলেন : নিশ্চয় আল্লাহ্ ঘৃণা করেন বৃদ্ধ ব্যভিচারীকে, বিত্তবান অত্যাচারীকে, অহংকারী গরীবকে এবং নাছোড়বান্দা ভিক্ষুককে। আর নিষ্ফল করেন প্রচার করে বেড়ানো দানশীলদের পুরস্কারকে আর ঘৃণা করেন এমন ফুর্তিবাজকে যে বেপরোয়া ও মিথ্যাচারী।তিনি আরো বলেন : যে ব্যক্তি নিজেকে নিঃস্ব হিসাবে প্রকাশ করে সে অভাবগ্রস্ত হয়।মাওলা (সা.) বলেছেন : মানুষের সাথে মানিয়ে চলা ঈমানের অর্ধাংশ। আর তাদের সঙ্গে নরম ব্যবহার হলো সুখী জীবনের অর্ধাংশ।তিনি বলেন : আল্লাহর প্রতি ঈমানের পর সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমত্তার কাজ হলো মানুষের সাথে মানিয়ে চলা যতক্ষণ না কোনো অধিকার ত্যাগ করা হয়। আর পুরুষের জন্য কল্যাণকর হলো তার দাড়ি হালকা রাখা। তিনি বলেন : আমার জন্য মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ হওয়ার পর সবচেয়ে কড়াকড়িভাবে যেটা নিষেধ করা হয়েছে তা হল মানুষের সঙ্গে বিবাদ করা।মহানবী আরো বলেন : যে ব্যক্তি মুসলমানকে ফাঁকি দেয় কিংবা তার ক্ষতি করে অথবা তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।মহানবী (সা.) মসজিদুল খিফ-এ দাঁড়িয়ে বললেন : আল্লাহ্ প্রফুল্ল করেন সেই বান্দাকে যে আমার কথা শুনে তা স্মৃতিতে ধরে রাখে এবং যে শোনে নি তার কাছে পৌঁছে দেয়। কত জ্ঞান প্রচারকারীর চেয়ে ঐ ব্যক্তি বেশি ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন যার কাছে সে জ্ঞানকে পৌঁছায়। কত জ্ঞানের বাহক রয়েছে যে আদৌ জ্ঞানী নয়।মহানবী (সা.) আরো বলেছেন: তিনটি বিষয়ে কোনো মুসলমানের অন্তরে বিদ্বেষ থাকতে পারে না : আল্লাহর জন্য কাজে একনিষ্ঠতা, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য কল্যাণকামিতা এবং তাদের ঐক্যের অপরিহার্যতা। সব মুমিনই ভাই ভাই। তাদের রক্ত (মর্যাদার দিক থেকে) পরস্পর সমান। অন্যদের বিপরীতে তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে আর তাদের অঙ্গীকার পালনের প্রচেষ্টা চালাবে এমনকি যদি তাদের নিম্নশ্রেণীর কোন লোকও (তাদের ভিন্ন অন্যের সাথে) কোন বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। তিনি বলেন : আল্লাহ্ ঐ বান্দাকে অনুগ্রহ করেন যে হয় উত্তম কথা বলে এবং লাভবান হয়, অথবা মন্দ থেকে নীরব থাকে, ফলে নিরাপদ থাকে।মাওলা(সা.) বলেন : তিনটি জিনিস যার মাঝে থাকে তার ঈমানের বৈশিষ্ট্য পূর্ণাঙ্গ হয় : যার সন্তুষ্টি তাকে বাতিল বা মিথ্যার দিকে নেয় না, আর যখন রাগ হয় তখন তার রাগ তাকে সত্য ও ন্যায় থেকে বিচ্যুত করে না, আর যখন ক্ষমতা পায় তখন যা তার প্রাপ্য নয় তার দিকে হাত বাড়ায় না।মাওলা (সা.) আরো বলেন : নামাযের অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা নামাযের বাইরে কুরআন তিলাওয়াতের চেয়ে উত্তম। (প্রথম দিকের মুসলমানদের মধ্যে এ পন্থা চালু ছিল যে, নফল নামাযের মধ্যে কোরআন পাঠ ও হিফজ করার অনুশীলন করত। নফলের পেছনে হিকমত ছিল এটাই। আর এ কারণে তা ফোরাদা বা একাকী পড়া আবশ্যক যাতে মনোসংযোগ বজায় থাকে।) আল্লাহর যিকর সাদাকার চেয়ে উত্তম। আর সাদাকাহ্ রোযার চেয়ে উত্তম। আর রোযা হলো ভালো কাজ। এরপর বলেন : কাজ ছাড়া কোনো কথা নেই। আর কোনো কথা ও কাজ নেই নিয়ত ছাড়া। আর কোনো কথা, কাজ এবং নিয়তই নেই সঠিক পন্থা তথা ধর্মীয় বিধান-সম্মত হওয়া ছাড়া।মহানবী (সা.) আরে বলেছেন : ধীরতা আল্লাহর থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের থেকে।নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইনপ্রচারে মোঃ শামসীর হায়দার

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমাওলা মোহাম্মদ (সা.)'এর দেখানো পথ ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি (পর্ব-১৩) মাওলা মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন : নিশ্চয় যে ব্যক্তি জ্ঞান শিক্ষা করে নির্বোধদের সাথে বিতর্ক করার জন্য কিংবা জ্ঞানীদের সাথে গর্ব করার জন্য কিংবা জনগণকে তার দিকে আকৃষ্ট করার জন্য যাতে তারা তাকে বড় বলে মানে, তার স্থান হবে জাহান্নামে। কারণ, আল্লাহ্ ও তার (জ্ঞানের প্রকৃত) অধিকারীদের ছাড়া আর কারো জন্য নেতৃত্ব শোভা পায় না।আর যে ব্যক্তি নিজেকে এমন পদে বসায় যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য নির্ধারিত স্থান থেকে ভিন্ন, আল্লাহ্ তার ওপর ক্রুদ্ধ হন। আর যে ব্যক্তি জনগণকে নিজের দিকে আহ্বান করে এবং বলে আমি তোমাদের সর্দার, অথচ সে সেরূপ নয়, আল্লাহ্ তার দিকে তাকান না যতক্ষণ না সে তার কথা থেকে ফিরে আসে এবং আল্লাহর দরবারে নিজের ওই দাবি থেকে তওবা করে।তিনি আরো বলেন : তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার থেকে সবচেয়ে দূরে যে কৃপণ, কটুভাষী ও গালমন্দকারী। মহানবী (সা.) বলেন : দুর্ব্যবহার হল অনিষ্টতা। মাওলা (সা.) বলেছেন : যখন কোনো লোককে দেখবে যে, নিজে কি বলে কিংবা তার সম্পর্কে কি বলা হয় সে ব্যাপারে পরোয়া করে না নিশ্চয় সে জারজ, না হয় শয়তান। তিনি বলেন : আল্লাহ্ বেহেশত নিষিদ্ধ করেছেন প্রত্যেক কটুভাষী গালমন্দকারী ও লজ্জাহীন লোকের জন্য যে পরোয়াই করে না যে, কি বলছে কিংবা তার সম্পর্কে কি বলা হচ্ছে। জেনে রাখ, যদি তার বংশ তল্লাশি করো তা হলে দেখতে পাবে যে, হয় সে জারজ, না হয় শয়তানের ঔরস থেকে। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! মানুষের মধ্যে কি শয়তান রয়েছে? বললেন : হ্যাঁ, তোমরা কি পড়ো না, আল্লাহর বাণী, ‘আর অংশীদার হও তাদের মাল-সম্পদে আর সন্তান-সন্ততিতে।’ তিনি আরো বলেন : যাকে তুমি উপকার করবে সে তোমার উপকার করবে। আর যে ব্যক্তি সময়ের অপ্রত্যাশিত দিনগুলোর জন্য ধৈর্যের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না সে ব্যর্থ হবে। আর যে মানুষের ভুল-ত্রুটি ধরে তারাও তার ভুল-ত্রুটি ধরবে। আর যতই মানুষকে ছাড় দিক না কেনো তারা তাকে ছাড় দিবে না। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! তা হলে আমরা কী করব? তিনি বললেন : তোমরা তোমাদের সম্মান বা সম্পদ থেকে তাদেরকে ধার তথা তাদের জন্য শ্রম ও অর্থ দাও তোমাদের অভাবের দিনের জন্য।মহানবী (সা.) বলেন : আমি কি তোমাদেরকে ইহকাল ও পরকালের সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের নির্দেশনা দান করব না? তার সাথে সম্পর্ক জোড়া লাগাও যে তোমার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে, আর দান করো তাকে যে তোমার সঙ্গে কৃপণতা করেছে, আর ক্ষমা করো তাকে যে তোমার ওপর অত্যাচার করেছে। একদিন মাওলা (সা.) বের হলেন যখন একদল লোক একটি পাথরকে নিক্ষেপ করছিল। তখন তিনি বললেন : তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হলো সে যে রাগের সময় আত্মসংবরণ করতে পারে আর সবচেয়ে বড় ভারোত্তলনকারী হলো সে যে (প্রতিশোধ গ্রহণের) ক্ষমতা থাকার পরও ক্ষমা প্রদর্শন করে।তিনি বলেছেন : তোমাদের মধ্যে ঈমানের দিক দিয়ে সেই সর্বোত্তম যে সবচেয়ে বেশি সচ্চরিত্রবান। মহানবী বলেন : সচ্চরিত্র তার অধিকারীকে সারাদিন রোযা রাখা ও সারারাত জেগে ইবাদত করা ব্যক্তির সমান মর্যাদায় পৌঁছে দেয়। তখন বলা হলো : বান্দার প্রতি সবচেয়ে উত্তম দান কী? তিনি বললেন : উত্তম চরিত্র। তিনি বলেন : সচ্চরিত্র বন্ধুত্বকে মজবুত করে।তিনি আরো বলেছেন : হাসিখুশি মুখ শত্রুতাকে দূর করে দেয়। আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (সা.) বলেন : তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সচ্চরিত্রবান ব্যক্তিরাই হলো সর্বোত্তম যারা (অপরের সাথে সহজেই) সম্পর্ক গড়ে এবং (তাদের) সম্প্রীতির আহ্বানকে গ্রহণ করে। মহানবী বলেন : হাতগুলো তিন ধরনের : প্রার্থীর, দানশীলের আর কৃপণের। আর সর্বোৎকৃষ্ট হাত হলো দানশীল হাত।তিনি বলেন : লজ্জা দু’টি : বুদ্ধিমত্তার লজ্জা আর বোকামি-প্রসূত লজ্জা। বুদ্ধিমত্তার লজ্জা জ্ঞানের পরিচয় বহন করে আর বোকামি-প্রসূত লজ্জা মূর্খতার পরিচায়ক।তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন : যে ব্যক্তি লজ্জার ঢাকনাটি দূরে ফেলে দেয় তার গীবতে (বা পরনিন্দা) কোনো দোষ নেই।মহানবী বলেন : যে ব্যক্তি আল্লাহতে এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করে।মাওলা (সা.) বলেছেন : আমানতদারী (বিশ্বস্ততা) রুজি আনে আর বিশ্বাসঘাতকতা আনে অভাব ও দরিদ্রতা।তিনি বলেন : সন্তান যখন তার বাবা মায়ের দিকে মমতাপূর্ণ দৃষ্টি দেয় তা হয় ইবাদতের সমতুল্য। তিনি বলেন : কঠিন বিপদ হলো যখন কোনো লোককে হাত বেঁধে সামনে আনা হয় এবং তার গর্দান নেয়া হয়। আর বন্দী যতক্ষণ শত্রুর হাতে আটক থাকে এবং কোনো পুরুষ তার স্ত্রীর পেটের ওপর আরেক জন পুরুষকে দেখতে পায়। রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.) তাঁর সহচরদের বলেন : নিজেদেরকে আল্লাহর বন্ধু করো এবং তাঁর নৈকট্য লাভ করো। তারা বলল : হে রুহুল্লাহ্! কিভাবে আমরা নিজেদেরকে আল্লাহর বন্ধু করব? তিনি বললেন : অবাধ্য ও পাপাচারী লোকদেরকে ঘৃণা আর তাদের ক্রোধের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে অন্বেষণ করো। তারা বলল : হে রুহুল্লাহ্! তা হলে কাদের সাথে আমরা ওঠাবসা করব? তিনি বললেন : তার সাথে যাকে দেখলে তোমার মনে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়, আর যার কথা তোমার জ্ঞানকে বাড়িয়ে দেয়, আর যার কাজ তোমাকে পরকালের প্রতি উৎসাহিত করে। রাসূল (সা.) থেকে আরো বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ্ বলেছেন : 'এটা তথা ইসলাম হলো সেই ধর্ম যা আমি নিজের জন্য পছন্দ করেছি। আর উদারতা ও সচ্চরিত্র ছাড়া তা উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় না। কাজেই তোমরা যতক্ষণ ইসলামের সহচর থাকবে এবং এ দু’টির মাধ্যমে তার মর্যাদা রক্ষা করবে।নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমাওলা মোহাম্মদ (সা.)'এর দেখানো পথ ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি (পর্ব-১৪)মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ও নবী (সা.) বলেছেন : জ্ঞান হলো মুমিনের অন্তরঙ্গ সঙ্গী, আর অধ্যবসায় হলো তার সহযোগী, আর বুদ্ধিমত্তা হলো তার পথনির্দেশক, আর ধৈর্য হলো তার সৈন্যদলের সেনাপতি এবং মমতা তার পিতা ও পুণ্যকর্ম তার ভাইয়ের ন্যায়। আদম (আ.) থেকেই বংশ আর তাকওয়া (খোদাভীতি) দ্বারা পরিচয়। আর পৌরুষত্ব হলো সম্পদের পরিশুদ্ধি। তিনি বলেন : এক ব্যক্তি পান করার জন্য দুধ ও মধু আনল। তখন তিনি (সা.) বললেন : দু’টি পানীয় রয়েছে। এ দুটি থেকে একটিই যথেষ্ট। আমি একটা পান করব না, নিষিদ্ধও করব না। কিন্তু আল্লাহর জন্য বিনয়ী হব। কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ্ তাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেন। আর যে অহংকার করে, আল্লাহ্ তাকে অপদস্থ করেন। আর যে ব্যক্তি জীবনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, আল্লাহ্ তাকে রুজি দান করেন। আর যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ্ তাকে বঞ্চিত করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে বেশি বেশি জিকর বা স্মরণ করে আল্লাহ্ তাকে পুরস্কার দান করেন।মহানবী (সা.) বলেন : কাল কিয়ামতের মাঠে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার বেশি কাছে থাকবে যে তোমাদের মধ্যে বেশি সত্যবাদী, বেশি আমানত রক্ষাকারী, বেশি বিশ্বস্ত, বেশি সচ্চরিত্রবান, আর মানুষের বেশি কাছে।তিনি বলেন : যখন লম্পট প্রশংসিত হয় তখন আরশ কেঁপে ওঠে আর মহাপ্রতিপালক ক্রুদ্ধ হন। এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল : হায্ম বা পরিণামদর্শিতা কী? তিনি উত্তরে বললেন : কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করবে ও এরপর তা মেনে চলবে। একদিন মহানবী (সা.) বললেন : হে লোকেরা তোমাদের মধ্যে আঁটকুড়ে কে? তারা বলল : যে কোনো সন্তান না রেখে মারা যায়। তিনি বললেন : প্রকৃত আঁটকুড়ে হল সেই লোক যে মারা যায়, অথচ এমন সন্তান রেখে যায় নি যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে তার জন্য সৎ কাজ করবে। যদিও মৃত্যুর পরে তার অনেক সন্তান-সন্ততিও থাকে। এরপর বললেন : তোমাদের মধ্যে নিঃস্ব কে? তারা বলল : যার কোনো সম্পদ নেই। তিনি বললেন : প্রকৃত অর্থে নিঃস্ব হলো সে যে নিজ মাল-সম্পদ থেকে কোনো কিছুই আগে পাঠায়নি যা আল্লাহর কাছে গচ্ছিত থাকবে। যদিও তার পরে অনেক মাল-সম্পদই থেকে যায়।এরপর মোহাম্মদ (সা.) বললেন : তোমাদের মধ্যে বীর কে? সবাই বলল : যে ব্যক্তি কঠোর এবং শক্তিশালী, কখনো সে ধরাশায়ী হয় না। তিনি বললেন : প্রকৃত অর্থে বীর হলো সেই ব্যক্তি যার মনে শয়তান মুষ্টাঘাত মারে এবং প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয় ও তার রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। এরপর সে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজ শৌর্য দিয়ে রাগ দমন করে। তিনি বলেন : যে ব্যক্তি না জেনে কাজ করে সে যতটা না ভালো করে তার চেয়ে বেশি খারাপ করে।তিনি আরো বলেন : মসজিদের নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকা ইবাদত যতক্ষণ না কোনো মন্দ করে। বলা হলো : হে রাসূলুল্লাহ্! কি মন্দ করে? তিনি বললেন : পরনিন্দা। রাসূল (সা.) বলেন : রোজাদার ব্যক্তি ইবাদতের মধ্যে থাকে, এমনকি যদি নিজ বিছানায় ঘুমিয়েও থাকে। যতক্ষণ না সে কোনো মুসলমানের গিবত করে।মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন: যে অশ্লীলতাকে প্রকাশ করে সে তা সম্পাদনকারীর সমতুল্য, আর যে কোনো মুমিনকে কোনো দোষে দোষারোপ করে সে ততক্ষণ মৃত্যুবরণ করে না যতক্ষণ সে নিজেও সেই দোষের কাজ করে।তিনি বলেন : তিন ধরনের লোক রয়েছে যাদেরকে তুমি অত্যাচার না করলেও তারা তোমাকে অত্যাচার করবে। নিকৃষ্টরা, তোমার স্ত্রী আর তোমার ভৃত্য। ( উল্লেখ্য, এখানে উদ্দেশ্য হলো এ তিন দল তাদের প্রাপ্য নিয়ে সন্তুষ্ট হয় না। তাই তাদের বাড়াবাড়ির প্রবণতা থাকে। কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে, তাদের ওপর অত্যাচার জায়েজ। বরং তাদের সাথে মানিয়ে চলতে হবে এবং বৈধভাবে তাদের প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করতে হবে যেন তারা মানুষকে পেয়ে না বসে।) মহানবী (সা.) বলেন, হতভাগ্যের লক্ষণ চারটি : চোখের শুষ্কতা বা ক্রন্দনহীনতা, অন্তরের কাঠিন্য, দুনিয়া কামনায় অতিশয় লোভ আর পাপকর্মে পীড়াপীড়ি।এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে বলল : আমাকে উপদেশ দিন। তখন তিনি বললেন : রাগ করবে না। পুনরায় সে আবেদন জানালো। তিনি বললেন : রাগ করবে না। এরপর বললেন : বীরত্ব এটা নয় যে, প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করবে। নিশ্চয়ই বীরত্ব হলো রাগের সময় ধৈর্য ধরতে পারা। মাওলা মোহাম্মদ (সা.) বলেন : সেই মুমিনই ঈমানে পূর্ণাঙ্গতর যে চরিত্রে বেশি উন্নত বা উত্তম।তিনি বলেন : কোনো বিষয়ে নমনীয়তা মানুষের জন্য অলংকার হয়ে দাঁড়ায় আর কোনো বিষয়ে বেশি কঠোরতা তার জন্য অসুন্দর হয়ে দাঁড়ায়। তিনি আরো বলেছেন : পোশাক বিত্তের প্রকাশ করে আর ভৃত্যের প্রতি দয়া শত্রুকে দমন করে। আমি আদিষ্ট হয়েছি মানুষের সাথে মানিয়ে চলতে যেমনভাবে আদিষ্ট হয়েছি রেসালাত প্রচারে। তোমার প্রত্যেক কাজে গোপনীয়তার সাহায্য নাও। কারণ, প্রত্যেক নেয়ামতের অধিকারীকে হিংসা গ্রাস করে।তিনি বলেন : ঈমানের দু’টি ভাগ। অর্ধেক হলো ধৈর্যের মধ্যে আর অর্ধেক কৃতজ্ঞতার মধ্যে।রাসূলে পাক (সা.) আরো বলেন : অঙ্গীকার মেনে চলা ঈমানের অঙ্গ ও বাজারে খাওয়া হীন কাজ।মাওলা মোহাম্মদ (সা.) বলেন : সবই প্রার্থনা করো আল্লাহর দরবারে। সেগুলোকে তার মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে কায়মনে আল্লাহর কাছ থেকে কামনা করো। এরপর আল্লাহ সেসব থেকে যা কিছু তোমাদেরকে দান করেন, সেগুলোকে ধৈর্যসহ গ্রহণ করো। তিনি আরো বলেছেন : মুমিনের জন্য বিস্ময় যে, আল্লাহ্ তার জন্য কোনো কিছুই ধার্য করেন না যদি না তা তার জন্য কল্যাণকর হয়, চাই সে খুশী হোক আর চাই অপছন্দ করুক। যদি তাকে বিপদ দেন তা হলে সেটা তার পাপের খণ্ডন আর যদি তাকে কিছু দান করেন এবং সম্মানিত করেন তা হলে এটা তার প্রতি আল্লাহর দাননিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমহানবীর পবিত্র বংশধারার ১১ তম নক্ষত্রহিজরি আটই রবিউসসানি ইসলামের ইতিহাসের মহাখুশির একটি দিন। ২৩২ হিজরির এই দিনে মাওলা হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমাম হাসান আসকারি (আ.) জন্ম নিয়েছিলেন পবিত্র মদিনায়। তিনি ছিলেন হযরত ইমাম মাহদি (আ.)'র পিতা।এই মহাখুশির দিন উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি সালাম ও অজস্র শুভেচ্ছা এবং মাওলা মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শানেও পেশ করছি অশেষ সালাম আর দরুদ। ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ছিলেন মাওলা মোহাম্মদ (সা.)'র রেখে যাওয়া আহলেবাইতভুক্ত ১২ জন ইমামের মধ্যে একাদশ ইমাম। তাঁর পিতা হলেন দশম ইমাম হযরত হাদী (আ.) ও মাতা ছিলেন মহীয়সী নারী হুদাইসা (সালামুল্লাহি আলাইহা)।শাসকদের চাপের মুখে ইমাম আসকারি (আ.) ও তাঁর পিতা ইমাম হাদী (আ.) প্রিয় মাতৃভূমি মদিনা শহর ছেড়ে আব্বাসীয়দের তৎকালীন শাসনকেন্দ্র সামেরায় আসতে বাধ্য হন। ইমাম হাসান আসকারি (আ.) আব্বাসীয় শাসকদের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক চাপ ও দমনপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। সামেরায় ততকালীন শাসকদের সামরিক কেন্দ্র তথা 'আসকার' অঞ্চলে কঠোর নজরদারির মধ্যে ইমাম আসকারি (আ.)কে বসবাস করতে হয়েছিল বলে তিনি আসকারি নামেও পরিচিত ছিলেন।কঠোর প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইমাম হাসান আসকারি (আ.) অশেষ ধৈর্য নিয়ে তাঁর অনুসারীদেরকে জ্ঞানগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক দিকসহ সব ক্ষেত্রেই পথনির্দেশনা দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। পিতা ইমাম আলী নাকী তথা হাদী (আ.)'র শাহাদতের পর ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ২২ বছর বয়সে ইমামতের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি ৬ বছর ধরে ইসলামী জাহানের পথপ্রদর্শকের দায়িত্ব পালনের পর মাত্র ২৮ বছর বয়সে ২৬০ হিজরিতে শাহাদত বরণ করেন।ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র যুগে জালিম আব্বাসীয় শাসকরা সব ক্ষেত্রেই ন্যায় নীতি থেকে বহু দূরে সরে গিয়েছিল। কিন্তু জনগণ একথা শুনেছিল যে, ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র সন্তান ইমাম মাহদির (আ.) মাধ্যমে গোটা বিশ্ব জুলুম আর অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তি পাবে। শাসক গোষ্ঠীও এই খবরের কথা জানতো। তাই তারা ইমাম ও জনগণের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির চেষ্টা জোরদার করে এবং ইমামের যেন কোনো সন্তান জন্ম নিতে না পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু এতসব বাধা সত্ত্বেও ইমাম হাসান আসকারির (আ.)'র সন্তান তথা মানবজাতির শেষ ত্রাণকর্তা ইমাম মাহদি (আ.) জন্ম গ্রহণ করেন মহান আল্লাহর বিশেষ ইচ্ছায় ঠিক যেভাবে ফেরাউনের বাধা সত্ত্বেও মুসা (আ.)'র জন্মগ্রহণকে ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ইমাম মাহদি (আ.)'র জন্মের পর ইমাম হাসান আসকারি (আ.) মুসলিম সমাজকে ভবিষ্যত নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলার জন্য দিক-নির্দেশনা দেন। এ ছাড়াও ইমাম নানা কুপ্রথা ও ভুল চিন্তাধারা সম্পর্কে মুসলমানদের সন্দেহ দূর করেন এবং খাঁটি মুহাম্মাদি ইসলামের চিন্তাধারা তুলে ধরেন। ইমাম জ্ঞান-পিপাসুদেরকে জ্ঞানের স্বচ্ছ ও বাস্তব ঝর্ণাধারায় পরিতৃপ্ত করতেন। জ্ঞানগত বিতর্কে তাঁর যুক্তি ছিল অকাট্য ও মোক্ষম যে ইয়াকুব বিন ইসহাক কিন্দির মত প্রখ্যাত বস্তুবাদী দার্শনিক এই মহান ইমামের সঙ্গে বিতর্কের পর বাস্তবতা বুঝতে সক্ষম হন এবং ধর্মীয় কোনো কোনো বিষয়ের সমালোচনা করে যে বই তিনি লিখেছিলেন তা নিজেই পুড়ে ফেলেন। আব্বাসীয়দের মন্ত্রী আহমাদ বিন খাক্বান ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র যোগ্যতা, গুণ ও কারামত সম্পর্কে বলেছেন: ' বিনম্রতা, চারিত্রিক ও নৈতিক পবিত্রতা এবং মহানুভবতার মত ক্ষেত্রগুলোতে মানুষের মধ্যে তাঁর মত আর কাউকে দেখিনি। তিনি এত উচ্চ সম্মানের অধিকারী যে শত্রু ও বন্ধু সবাই তাঁর প্রশংসা করতেন।'ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র নামাজের উচ্চ পর্যায়ের কোয়ালিটি অন্যদেরকে আল্লাহর ইবাদতে আকৃষ্ট করত। দেখা গেছে কারাগারের জল্লাদরা তাঁর নামাজ ও রোজায় প্রভাবিত হয়ে পাকা নামাজি হয়ে গিয়েছিল।ইমাম হাসান আসকারি (আ.) এর চারিত্রিক পবিত্রতা ও ব্যক্তিত্বের মাধুর্য তাঁর অনুসারীদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করতো। অন্যদিকে মুনাফিক এবং বিচ্যুতরা বিকর্ষিত হত। এ মহান ইমামের দিক-নির্দেশনার কারণে সে যুগে মহানবীর আহলেবাইতপন্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও ইমামের বার্তা পাঠানোর অনেক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল ও জোরদার হয়েছিল।ইমাম হাসান আসকারি (আ.) ইমামতির ছয় বছরে আব্বাসীয় শাসকদের তিনজনকে পেয়েছিলেন। এরা ছিল মোতায, মোহতাদি এবং মোতামেদ। ইমাম এদের স্বেচ্ছাচারিতা চুপ করে সহ্য করেননি, ফলে তারা ইমামের ওপর রুষ্ট হয়ে পড়ে। তাই তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইমাম বলদর্পি শাসকদের কাছে মাথা নত করেননি। অবশেষে জালিম মোতামেদ ইমামকে গোপনে বিষ প্রয়োগ করে। ফলে ইমাম ২৬০ হিজরির ৮ ই রবিউল আউয়াল শাহাদত বরণ করেন । মোতামেদ এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছিল যাতে গণ-বিদ্রোহ দেখা না দেয়। এবারে ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র একটি মু'জেজা তুলে ধরব। একবার এক নাসেবি তথা বিশ্বনবী (সা,)'র আহলে বাইতের বিদ্বেষী নবীবংশের এই মহান ইমামকে পরীক্ষা করার জন্য কতগুলো প্রশ্ন কাগজে লিখেছিল কালিবিহীন কলমে। একই কলমে আরো কয়েকজন কিছু বিষয় লেখে একই উদ্দেশ্যে। সেগুলো ইমাম হাসান আসকারি (আ.)'র কাছে পাঠানো হলে ইমাম সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখে পাঠান এবং নাসেবির কাগজের ওপর তার নাম, তার বাবার ও মায়ের নামও লিখে পাঠান। নাসেবি তা দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাঁর হুঁশ ফিরে আসার পর সে ইমামের প্রতি বিশ্বাস এন তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারী হয়ে যায়। ইমাম হাসান আসকারী (আ) এর মূল্যবান একটি বাণী । তিনি বলেছেন : আল্লাহর অত্যধিক প্রশংসা করবে ও আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করবে। মৃত্যুর কথাও বেশি বেশি স্মরণ করবে ও তা ভুলবে না; বেশি বেশি কুরআন পাঠ করবে এবং রাসূল (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের উদ্দেশে বেশি বেশি দরুদ পাঠাবে, কারণ, তাঁদের শানে দরুদ পাঠানোতে রয়েছে দশটি নেকি ও কল্যাণকর প্রভাব।সবাইকে আরো একবার মুবারকবাদ । অসংখ্য দরুদ ও রহমত বর্ষিত হোক ইমাম হাসান আসকারি (আঃ.)'এর ওপর।নিবেদক মোঃ শামসীর হায়দার

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমআলীউন ওয়ালিউল্লাহহে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন তাওহীদে এলাহীর সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন তাওহীদে এলাহীকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে পারা যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন নুরে এলাহীর তাজাল্লী দৃষ্টি গোচর হয়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন সুন্নতে এলাহীর সৌন্দর্য দেখা যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান।যেন আল্লাহ ও মুহাম্মাদের সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতার সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন ইলমে এলাহীর সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর কৌশলের সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর পরাক্রমশালীতার সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর মহানুভবতার সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি আল্লাহর বান্দাহ ও আবেদ হতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি আল্লাহর স্নেহের ক্ষমা পেতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর ধৈর্যের সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যের সৌন্দর্য দেখতে পাই।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রতি রহমান কিন্তু বিশেষ কিছু সৃষ্টির প্রতি রহিম এই রহস্যের ভেদ বুঝতে পারা যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আল্লাহ প্রকাশ্য গোপন এই রহস্যের ভেদ বুঝতে পারা যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন যে আলী, আলীকে সৃষ্টি করেছে সেই আলীর মর্যদা অনুধাবন করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন নবুওয়াতে মুহাম্মাদীর( সা) সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি রিসালাতেমুহাম্মাদীর( সা) সুগন্ধ অনুভব করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন খতমে নবুওয়াতে মুহাম্মাদীর( সা) প্রমাণ দিতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন নবুওয়াত ও রিসালাতে মুহাম্মাদী( সা) কে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন রাউফ ও রহিম নবী মুহাম্মাদের( সা) কৃপা দৃষ্টি পেতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন শাফায়াতে মুস্তাফা( স) পাওয়া যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন ইলমে মুস্তাফা তথা ইলমে লাদুন্নি পাওয়া যায়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি মুহাম্মাদী(সা) রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি মুহাম্মাদী(সা) ঝর্ণার সুমিষ্ট জল পান করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আলীর( আ) অভিভাবক মুহাম্মাদের( সা) মর্যদা উপলব্ধি করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি ওয়াক্তের মুহাম্মাদ ( আ ফ শ) এর দর্শণ ও শাফায়াত পায় এবং তাঁর আনসাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তীর সৌভাগ্য হয়।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন সিরাতাল মুস্তাকিমের উপর দৃঢ় থাকতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি আল্লাহর নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত হতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন মায়ের পবিত্রতার সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারি,কারণ আলী প্রেম মায়ের পবিত্রতার প্রমাণ।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি সত্য থেকে মিথ্যাকে পৃথক করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন মুমিন হতে পারি,কারণ আলীই মুমিনদের অভিভাবক।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি ইলমে কোরআন অর্জন করতে পারি,কারণ আলীই সবাক কোরআন।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি জান্নাত হতে জাহান্নামকে পৃথক করার ইলম অর্জন করতে পারি,কারণ আলীই জান্নাত-জাহান্নাম বন্টনকারী।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর সৌন্দর্য আলী উন ওয়ালি উল্লাহ তা উপলব্ধি করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর সুগন্ধ আলী উন ওয়ালি উল্লাহ তা উপলব্ধি করতে পারি।হে আমার বিরুদ্ধবাদীগণ আমি কেন আলি উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্য দেয় জান?যেন আমি মুমিনের পরিচয় আলী উন ওয়ালি উল্লাহ এই সাক্ষ্যকে মনে প্রাণে ধারণ করতে পারিনিবেদক বিধি তুমার ধর্ম কি

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমহযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘আমি মিথ্যা বলিনি। আমার ওপর মিথ্যা আরোপ করা হয়নি। আর আমি পথভ্রষ্ট হইনি এবং আমার দ্বারা কেউ পথভ্রষ্ট হয়নি।’- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৭৬হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘অন্যায় সূচনাকারী যালেম আগামী দিন (অর্থাৎ কিয়ামতের দিন) স্বীয় হাত কামড়ে খাবে।’- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৭৭যেমন পবিত্র কুরআনেও বলা হয়েছে : “যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে : ‘হায়! আমি যদি রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম।”- সূরা ফুরকান : ২৭হযরত আলী (আ.) মৃত্যু সম্পর্কে বলেছেন : ‘প্রস্থান (অর্থাৎ দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া) অতি নিকটে। সুতরাং সে ব্যক্তিই জ্ঞানী যে মৃত্যুকালে নিয়ে যাওয়ার মতো পাথেয় সঞ্চয় ও প্রস্তুত করে রাখে।- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৭৮হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘ধৈর্য যাকে পরিত্রাণ দিল না, অধৈর্য ও অস্থিরতা তাকে ধ্বংস করে দিল।’ (অর্থাৎ ধৈর্য মানুষের জন্য মুক্তি আনে আর অধৈর্য ধ্বংসের কারণ)।- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৮০হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘মানুষ তো এই পৃথিবীতে লক্ষ্যবস্তুর ন্যায় যাকে লক্ষ্য করে বানের ন্যায় মৃত্যু ছুটে আসে। সে লুণ্ঠিত বস্তুর ন্যায় যাকে লুণ্ঠন করে নেওয়ার জন্য বিপদ-আপদ দ্রুত বেগে তার দিকে ধাবিত হয়। পান করার ক্ষেত্রে প্রতিটি ঢোক গলায় আটকে যাওয়ার মতো এবং প্রতিটি লোকমা (গ্রাস) কষ্টদায়ক। বান্দাকে কোন একটি নিয়ামত লাভ করতে হলে তাকে অন্য একটি নিয়ামত হাতছাড়া করতে হয়। তার জীবনের একটি দিন ভবিষ্যতে করায়ত্ত করতে হলে স্বীয় জীবন থেকে অনুরূপ একটি দিন হাতছাড়া করতে হয়। অতএব, আমরা মৃত্যুর নিত্য সহচর। আর আমাদের জীবনাত্মা সহসা মৃত্যুমুখে পতিত হওয়ার লক্ষ্যবস্তুকে পরিণত হয়েছে। কাজেই আমাদের স্থায়িত্বের আশা কোথায়? এই দিবারাত্রি (অর্থাৎ সময়) যা কিছু উন্নত ও মহান করে তোলে পরক্ষণেই তা ধ্বংস করে দেয়, যা কিছু সৃষ্টি করে তা নষ্ট করে দেয় এবং যা কিছু পুঞ্জিভূত ও একত্র করে তা বিশৃঙ্খল করে দেয়।’- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৮২হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘হে আদম সন্তান! তুমি তোমার জীবন ধারণের অধিক যা কিছু উপার্জন কর, অন্যের জন্য তুমি তার ভাণ্ডার রক্ষক মাত্র।’ (অর্থাৎ আদম সন্তান তার জীবন ধারণের অধিক যা উপার্জন করে তা তার উওরাধিকারীর অথবা অন্যদের জন্যই হয়ে থাকে, সে শুধু ধন-সম্পদের রক্ষক মাত্র।)- নাহজুল বালাগা, উক্তি নং ১৮৩নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন

আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমমাওলা মোহাম্মদের (সা.)এর দেখানো পথ ও সৌভাগ্যের সিঁড়ি (পর্ব-১১)মাওলা (সা.)'র কিছু অমূল্য বাণী ও সংক্ষিপ্ত উপদেশ: মাওলা (সা.) বলেছেন : (মানুষের) সৌন্দর্য হলো জিহ্বায়।তিনি বলেছেন : জ্ঞানকে জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া যায় না, কিন্তু যতক্ষণ অবধি জ্ঞানীরা থাকে ততক্ষণ জ্ঞানীদের অপহরণ করা হয় ফলে আর কোন জ্ঞানী অবশিষ্ট থাকে না, আর তখন জনগণ মূর্খদেরকেই নেতা হিসাবে গ্রহণ করে। ফতোয়া চাওয়া হয় আর তারা না জেনে ফতোয়া প্রদান করে। ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ট থাকে, আর অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করে।তিনি বলেন : আমার উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো ফারাজ তথা মুক্তির অপেক্ষা করা (তথা ইমাম মাহদি –আ.’র বিশ্ব-বিপ্লবের সদস্য হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা)।আমরা (আমিসহ আমার আহলে বাইতের) আহলে বাইতের পৌরুষত্ব হলো যে আমাদের ওপর অত্যাচার করে তাকে ক্ষমা করা আর যে আমাদের প্রতি কৃপণতা করে তাকে দান করা। তিনি আরো বলেন : আমার উম্মতের মধ্যে থেকে আমার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বন্ধুরা হলো যে ব্যক্তির বোঝা হালকা, নামাজি, নির্জনে নিজ প্রতিপালকের উত্তম ইবাদত করে, জনগণের মধ্যে থাকে অজ্ঞাত, তার রুজি হয় দিনাতিপাত করার পরিমাণে এবং তার ওপরেই ধৈর্যধারণ করে থাকে। আর যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার উত্তরাধিকারের সম্পদ থাকে স্বল্প আর তার ওপর ক্রন্দনকারীর সংখ্যা হয় কম।মাওলা (সা.) বলেছেন : মুমিনকে কোনো কাঠিন্য, অসুস্থতা ও দুঃখ স্পর্শ করলে তাতে যদি তার সামান্য কষ্টও হয় আল্লাহ সেটির বিনিময়ে তার পাপগুলো মোচন করেন।তিনি বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছামত খায়, ইচ্ছামত পরিধান করে আর ইচ্ছামত বাহনে আরোহণ করে, আল্লাহ্ তার ওপর অনুগ্রহের দৃষ্টি ফেলেন না যতক্ষণ না সে তা হারায় কিংবা বর্জন করে (এবং তওবা করে)।মহানবী বলেন : মুমিন হলো একটি গমের শীষের মতো যা কখনো মাটিতে নুয়ে পড়ে আবার কখনো নিজ পায়ে দাঁড়ায়। আর কাফের হলো শক্ত গাছের মতো যা সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোনো সংবেদনের অধিকারী নয় (যে ন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে।)তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, মানুষের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি কঠিনতর পরীক্ষার সম্মুখীন? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন : নবীগণ, অতঃপর সত্য পথে তাদের অনুরূপ ও সদৃশতমগণ। আর মুমিনের ঈমানের মাত্রা ও সৎকর্মের পরিমাণ অনুযায়ী তাকে পরীক্ষা করা হয়। যখন তার ঈমান সঠিক এবং কর্ম সৎ হবে তখন তার পরীক্ষাও কঠিনতর হবে। আর যার ঈমান নিকৃষ্ট আর কর্ম দুর্বল হবে তার পরীক্ষাও কম হবে।মহানবী (সা.) আরো বলেন : যদি আল্লাহর কাছে দুনিয়া(র মূল্য) একটি মশার ডানার সমানও হতো তা হলে কাফের ও মুনাফিকদেরকে কিছুই দিতেন না। দুনিয়া পরিবর্তনশীল (এক হাত থেকে আরেক হাতে আবর্তনশীল)। যা কিছু তোমার প্রাপ্য সেটা তোমার শত অক্ষমতা সত্ত্বেও অর্জিত হয়। আর (দুনিয়ার) যা কিছু তোমার জন্য অনিষ্টকর সেটা তুমি তোমার শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে পারবে না। যে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে তার শরীর আরামে থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করেছে তাতে সন্তুষ্ট থাকে তার চোখ উজ্জ্বল হয়। হুজুর (সা.) বলেন : সত্যি কথা বলতে কি, খোদার কসম! এমন কোনো কাজই নেই যা তোমাদেরকে জাহান্নামের কাছে নেয় আর আমি তোমাদেরকে সে ব্যাপারে অবগত করিনি কিংবা তোমাদেরকে তা থেকে বারণ করিনি। অন্যদিকে এমন কোনো কাজই নেই যা তোমাদেরকে বেহেশতের কাছে নেয় আর আমি তোমাদেরকে সে ব্যাপারে অবগত করিনি কিংবা তার আদেশ করি নি। কারণ, রুহুল আমিন (জিবরাইল) আমার হৃদয়ে এ কথা প্রক্ষিপ্ত করেন যে, কখনোই কোনো প্রাণী মৃত্যুবরণ করে না, যতক্ষণ না নিজের নির্ধারিত রুজি লাভ করে থাকে। রুজির কামনায় মধ্যপন্থা অবলম্বন কর (ও বাড়াবাড়ি কর না)। বিলম্বে রুজি পৌঁছানো যেন তোমাদেরকে ঐ পথে ঠেলে না দেয় যে, আল্লাহর কাছে যা কিছু তোমাদের জন্য রয়েছে সেগুলোকে অবাধ্যতার পথ দিয়ে অন্বেষণ করো (হারামভাবে অর্জন করো) কারণ, যা কিছু আল্লাহর কাছে রয়েছে তা শুধু তাঁর আনুগত্যের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোনোভাবে লাভ করা যায় না। মাওলা (সা.) আরো বলেছেন : আল্লাহ্ দু’টি স্বরকে ঘৃণা করেন : বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশীর সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।তিনি বলেন : সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষণ হলো তাদের (দ্রব্যগুলোর) মূল্য সস্তা হওয়া এবং তাদের শাসকের ন্যায়বিচারক হওয়া। আর সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর ক্রোধের লক্ষণ হলো তাদের শাসকদের অবিচারক হওয়া এবং তাদের (পণ্য-দ্রব্যগুলোর) মূল্য চড়া হওয়া। তিনি আরো বলেন, চারটি জিনিস যার মধ্যে থাকে সে আল্লাহর মহিমাময় জ্যোতি-সমৃদ্ধ হয় : যার সব কাজের আশ্রয়স্থল হয় আল্লাহর একত্ববাদ এবং আমি তাঁর প্রেরিত হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান, তার ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাত বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি আবার আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব’।’আর ভালো কিছু লাভ করলে তখন বলে ‘আল হামদুলিল্লাহ্।’আর অপরাধ করলে বলে ‘আসতাগফিরুল্লাহ্ ওয়া আতুবু ইলাইহি। অর্থাত আমি আল্লাহর ক্ষমা চাচ্ছি ও আল্লাহর কাছেই ফিরছি।’মহান আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (সা.) বলেন, যাকে চারটি জিনিস দেয়া হয় তাকে আর চারটি জিনিস দেয়া থেকে কুণ্ঠা করা হয় না : যাকে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দেয়া হয় তাকে মার্জনা থেকে বঞ্চিত করা হয় না, আর যাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে দেয়া হয়, তাকে বেশি অনুগ্রহ লাভ থেকে বঞ্চিত করা হয় না, আর যাকে তওবা করার (অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসার) তৌফিক দেয়া হয় তাকে তওবা গৃহীত হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না। আর যাকে প্রার্থনার অনুমতি দেয়া হয় তাকে তা মঞ্জুর হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না।মহানবী (সা.) বলেন : জ্ঞান হলো গুপ্ত ভাণ্ডার তুল্য। আর তার চাবি হলো প্রশ্ন। অতএব, প্রশ্ন করো, আল্লাহ্ তোমাদের অনুগ্রহ করবেন। কারণ, চার ব্যক্তির জন্য পুরস্কার ও পারিশ্রমিক রয়েছে : প্রশ্নকারী, বক্তা, শ্রোতা আর তাদের ভক্তিকারী। তিনি আরো বলেন : জ্ঞানীদের কাছে প্রশ্ন করো আর হাকিম বা প্রজ্ঞাবানদের সাথে সংলাপ করো, আর দরিদ্রদের সাথে ওঠা-বসা করো।মহানবী (সা.) বলেন : আমার কাছে জ্ঞানের মর্যাদা ইবাদতের মর্যাদার চেয়ে বেশি প্রিয়। তোমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম হল পরহিজগারিতা (আত্মসংযম)। তিনি আরো বলেন : যে ব্যক্তি না জেনে জনগণের মধ্যে ফতোয়া প্রদান করে তার ওপরে আসমান ও জমিনের ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়নিবেদন ।।।।। মোঃ জাহিদ হুসাইন