কালাল্লাহুতায়ালা জাল্লা জালালুহু আম্মা নাওয়ালুহু ফিল কোরআনুল মাজিম-'ক্বুল লা আছআলুকুম আলাইহে আজরান ইল্লাল মায়াদাত্তা ফিল কুরবা।' (সূরা : শুরা ২৩, আয়াত)। অর্থ- বলুন হে রাসূল (সা.), রেসালাত বা নবুয়ত বিষয়ে চাইলে কোনো পারিশ্রমিক, আমি চাই আমার নিকট আত্মীয়ের অর্থাৎ আহলে বাইয়াতের সঙ্গে মাআদ্দাতা বা মহব্বত। ওই আয়াতকে বলা হয় আয়াতে মাআদ্দাতা বা প্রাণাধিক ভালোবাসার নিদর্শন। ওই আয়াত দ্বারা আল্লাহ আহলে বাইয়াতের প্রতি মহব্বত উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ফরজ করে দিয়েছেন।
রইসুল মুফাচ্ছেরীন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, উক্ত সূরা শুরার ২৩নং আয়াত যখন নাজিল হয়, তখন সাহাবায়ে কেরাম হুজুর পাককে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), আপনার কোনো নিকট আত্মীয়, যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাজিল হলো? জবাবে নবী করিম (সা.) বলেন, আলী, মা ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন। (তাফসিরে এ জালালইন মিসরি, দ্বিতীয় খণ্ড, ৩২নং পৃষ্ঠা, তাফসিরে ইবনে আরাবির দ্বিতীয় খণ্ড, ২১১ পৃ.)। তা ব্যতীত ও নিকট আত্মীয় সম্পর্কে মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৬৮ ও ২৬৯ পৃষ্ঠায় হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াকাস থেকে বর্ণিত- যে সূরা আল ইমনরার ৬১নং আয়াত নাজিল হলো তখন রাসূল (সা.) আলী, মা ফাতেমা, হাসান ও হোসাইনকে রাসূলের (সা.) গায়ের কাল কম্বলের ভেতর ডেকে নিয়ে বললেন, 'হে আল্লাহ সাক্ষী থাকুন, তারাই আমার নিকট আত্মীয়।'
আল্লাহ সূরা আল ইমরানের ১০৩নং আয়াতে ফরমাইয়াছেন- 'তোমরা আল্লাহ রুজ্জোকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ে যেও না।' এখন প্রশ্ন আসে আল্লাহর রুজ্জো কী? এর জবাবে হুজুরে পাক (সা.) হাদিস তিরমিজি শরিফে ফরমাইয়াছেন আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন এবং আমি, আল্লাহ পাকের রুজ্জো। যারা পাক পাঞ্জাতনের সঙ্গে দৃঢ় মহব্বত রেখেছেন তারাই আল্লাহর রুজ্জোকে আঁকড়ে ধরেছে। উক্ত আয়াতেই বলা হয়েছে, 'তোমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে যেও না।' কারণ যদি মুসলমানরা ভিন্ন ভিন্ন আকিদা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফেকরা সৃষ্টি করে, তবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হয়ে ইসলামকে দুর্বল করে ফেলবে। এতে মোহাম্মদী ইসলামকে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করে ফেলবে।
হজরত আলা ইবনে সুররা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হজরত রাসূল (সা.) ফরমাইয়াছেন- 'হোসাইন আমা হতে এবং আমি হোসাইন হতে।' অর্থাৎ আমি ও হোসাইন অভিন্ন। যে কেউ হোসাইনকে মহব্বত করে, আল্লাহ তাকেও মহব্বত করেন। হোসাইন স্বয়ংই একটি বংশ। (মেশকাত শরিফ, ৫৯০৯)।
হাদিসের আলোকে আহলে বাইয়াত :মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৭৩ পৃষ্ঠায় হজরত যায়েদ ইবনে আকরাম হতে বর্ণিত গাদীর ই কুমের ভাষণে রাসূল (সা.) ফরমাইয়াছেন, আমি দুটি ভারি জিনিস তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি। তোমরা তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে রাখলে বা আমলে নিয়ে এলে আমার পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না বা অন্ধকারে পড়ে মরবে না। এ দুটি ভারি জিনিসের মধ্যে ১নং কিতাবাল্লাহ আল্লাহর বাণী পাক কোরআন ও ২নং আমার আহলে বায়াত। তাই দুই জিনিস একটি অপরটি হতে কখনও পৃথক হবে না হাউজে কাওছার পর্যন্ত। মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৮১ পৃষ্ঠায় হজরত আবিয়ার গফিফারি কাবা ঘরের দরজা ধরে কসম খেয়ে বলেছেন, তোমরা জেনে রেখ আহলে বাইয়াত হজরত নূহর (আ.) কিস্তি বা নৌকার মতো। হজরত নূহর (আ.) পল্গাবনের সময় যারা কিস্তি বা নৌকায় উঠেছিল, তারাই বেঁচেছিল এবং যারা ওঠেনি, তারাই ধ্বংস হয়েছিল।
হজরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলছেন, অসিলার মাকামের ওপর আর কোনো মাকাম নেই। সুতরাং তোমরা আমার জন্য অসিলা প্রার্থী হও। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), অসিলার মাকামে আপনার সঙ্গে থাকবেন কে? জবাবে নবী করিম (সা.) বললেন, আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আ.)।
হজরত আলী (আ.) থেকে বর্ণিত- হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, হাশর দিবসে চার ব্যক্তির জন্য আমি নিজেই সুপারিশ করব- ১. যে আমার আহলে বাইয়াত ও বংশধরকে সম্মান দেবে; ২. যে আমার আহলে বাইয়াতের বংশধরের অভাব পূরণ করবে; ৩. যে আমার আউলাদের মধ্যে কেউ অস্থির হয়ে পড়লে উদ্ধার করার জন্য প্রয়াসী হবে; ৪. যে আমার আউলাদের জন্য কথায় ও কাজে মনেপ্রাণে মহব্বত রাখে।
রইসুল মুফাচ্ছেরীন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাছ (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, উক্ত সূরা শুরার ২৩নং আয়াত যখন নাজিল হয়, তখন সাহাবায়ে কেরাম হুজুর পাককে (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), আপনার কোনো নিকট আত্মীয়, যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাজিল হলো? জবাবে নবী করিম (সা.) বলেন, আলী, মা ফাতেমা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন। (তাফসিরে এ জালালইন মিসরি, দ্বিতীয় খণ্ড, ৩২নং পৃষ্ঠা, তাফসিরে ইবনে আরাবির দ্বিতীয় খণ্ড, ২১১ পৃ.)। তা ব্যতীত ও নিকট আত্মীয় সম্পর্কে মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৬৮ ও ২৬৯ পৃষ্ঠায় হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াকাস থেকে বর্ণিত- যে সূরা আল ইমনরার ৬১নং আয়াত নাজিল হলো তখন রাসূল (সা.) আলী, মা ফাতেমা, হাসান ও হোসাইনকে রাসূলের (সা.) গায়ের কাল কম্বলের ভেতর ডেকে নিয়ে বললেন, 'হে আল্লাহ সাক্ষী থাকুন, তারাই আমার নিকট আত্মীয়।'
আল্লাহ সূরা আল ইমরানের ১০৩নং আয়াতে ফরমাইয়াছেন- 'তোমরা আল্লাহ রুজ্জোকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর এবং দলে দলে বিভক্ত হয়ে যেও না।' এখন প্রশ্ন আসে আল্লাহর রুজ্জো কী? এর জবাবে হুজুরে পাক (সা.) হাদিস তিরমিজি শরিফে ফরমাইয়াছেন আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন এবং আমি, আল্লাহ পাকের রুজ্জো। যারা পাক পাঞ্জাতনের সঙ্গে দৃঢ় মহব্বত রেখেছেন তারাই আল্লাহর রুজ্জোকে আঁকড়ে ধরেছে। উক্ত আয়াতেই বলা হয়েছে, 'তোমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে যেও না।' কারণ যদি মুসলমানরা ভিন্ন ভিন্ন আকিদা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ফেকরা সৃষ্টি করে, তবে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হয়ে ইসলামকে দুর্বল করে ফেলবে। এতে মোহাম্মদী ইসলামকে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করে ফেলবে।
হজরত আলা ইবনে সুররা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হজরত রাসূল (সা.) ফরমাইয়াছেন- 'হোসাইন আমা হতে এবং আমি হোসাইন হতে।' অর্থাৎ আমি ও হোসাইন অভিন্ন। যে কেউ হোসাইনকে মহব্বত করে, আল্লাহ তাকেও মহব্বত করেন। হোসাইন স্বয়ংই একটি বংশ। (মেশকাত শরিফ, ৫৯০৯)।
হাদিসের আলোকে আহলে বাইয়াত :মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৭৩ পৃষ্ঠায় হজরত যায়েদ ইবনে আকরাম হতে বর্ণিত গাদীর ই কুমের ভাষণে রাসূল (সা.) ফরমাইয়াছেন, আমি দুটি ভারি জিনিস তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি। তোমরা তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে রাখলে বা আমলে নিয়ে এলে আমার পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না বা অন্ধকারে পড়ে মরবে না। এ দুটি ভারি জিনিসের মধ্যে ১নং কিতাবাল্লাহ আল্লাহর বাণী পাক কোরআন ও ২নং আমার আহলে বায়াত। তাই দুই জিনিস একটি অপরটি হতে কখনও পৃথক হবে না হাউজে কাওছার পর্যন্ত। মেশকাত শরিফের ৩নং জিলদের ২৮১ পৃষ্ঠায় হজরত আবিয়ার গফিফারি কাবা ঘরের দরজা ধরে কসম খেয়ে বলেছেন, তোমরা জেনে রেখ আহলে বাইয়াত হজরত নূহর (আ.) কিস্তি বা নৌকার মতো। হজরত নূহর (আ.) পল্গাবনের সময় যারা কিস্তি বা নৌকায় উঠেছিল, তারাই বেঁচেছিল এবং যারা ওঠেনি, তারাই ধ্বংস হয়েছিল।
হজরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলছেন, অসিলার মাকামের ওপর আর কোনো মাকাম নেই। সুতরাং তোমরা আমার জন্য অসিলা প্রার্থী হও। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.), অসিলার মাকামে আপনার সঙ্গে থাকবেন কে? জবাবে নবী করিম (সা.) বললেন, আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আ.)।
হজরত আলী (আ.) থেকে বর্ণিত- হুজুর (সা.) এরশাদ করেন, হাশর দিবসে চার ব্যক্তির জন্য আমি নিজেই সুপারিশ করব- ১. যে আমার আহলে বাইয়াত ও বংশধরকে সম্মান দেবে; ২. যে আমার আহলে বাইয়াতের বংশধরের অভাব পূরণ করবে; ৩. যে আমার আউলাদের মধ্যে কেউ অস্থির হয়ে পড়লে উদ্ধার করার জন্য প্রয়াসী হবে; ৪. যে আমার আউলাদের জন্য কথায় ও কাজে মনেপ্রাণে মহব্বত রাখে।
মন্তব্যসমূহ