সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
ওয়াহাবিরা জানে মদিনার রাসুল চেনে না প্রাণের নবী মোহাম্মদ (সাঃ) কে
পর্ব শেষ
গাদীরে খুম নামক স্থানে আয়াতগুলো নাজিল হওয়া মাত্র নবী করিম (স.) থমকে দাড়িয়ে গেলেন এবং যারা বিভিন্ন দিকে চলে গিয়েছিলেন সবাইকে ফিরিয়ে আনার জন্য লোক পাঠালেন। সব লোক জমায়েত হওয়ার পর হামদ ও সালাত সম্পন্ন করলেন। উটের উপর যে গদি ছিলো তার উপর আরো গদি স্থাপন করেলেন যেনো উচু হয়। এরপর শিষ্যবর্গকে বললেন- মুসলমানগন তোমরা কি জনো না যে আমি মোমিনদের নিকট প্রত্যেকের নিজ নিজ আত্মা অপেক্ষাও তোমাদের হিতৈষী বন্ধু। শিষ্যগন বললেন- হে আল্লাহর হাবিব, আমাদের আত্মা অপেক্ষা অধিক প্রিয় সুহৃদ। অতঃপর তিনি তাদের বললেন- হে মুসলমানগন আল্লাহ আমাকে আহ্বান করেছেন, আমিও তার কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তোমরা জানিও যে আমি তোমাদের মধ্যে দুটো সমপরিমান ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি, যদি এ দুটোকে আকড়ে ধরে থাকো তাহলে কখনোই পথভ্রষ্ট হবেনা। যদি একটিকে ছাড়ো তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। তার প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমার আহলে বায়াত (আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন) এ দুটো কখনোই পরস্পর হতে বিচ্ছিন্ন হবেনা যতক্ষন না হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত হবে। তাই লক্ষ্য রেখো তাদের সাথে তোমরা কিরূপ আচরন করবে এটা আমি দেখবো। (সিরাতুন্নবী আল্লামা শিবলী নোমানী/বোখারী/মুসলিম/তিরমিজি মসনদে হাম্বল/তফসিরে কবির/হিলায়তুল আউলিয়া (১ম খন্ড) তফসিরে দোররে মনসুর/উসদুল গাবা। মোল্লাগন এই গুরুত্বপূনূ হাদিসটিকে বলে থাকেন এভাবে- একটি আল্লাহর কিতাব আরেকটি রাসুলের হাদিস। তারা তারা রাসুলের বংশধর তথা পাক পাঞ্জাতন বলতে চান না। রাসুল পাক আরো বললেন- তোমরা জেনে রাখবে খোদাতায়ালা আমার প্রভু আর আমি বিশ্ববাসীর প্রভু। পরে তিনি আলীর হস্ত ধারন করে বলতে লাগলেন- মান কুনতুম মাওলাহু ফাহাজা আলাউন মাওলাহু। আমি যার মওলা আলীও তার মওলা। হে আল্লাহ যে ব্যক্তি তাকে বন্ধু বানায় তুমিও তাকে বন্ধুরূপে গ্রহন করো এবং যে ব্যক্তি আলীর সাথে শক্রতা করে তুমিও তার সঙ্গে শত্রুতা করো। অতপর উমর (রা.) আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন ও অভিনন্দন জানালেন এবং বললেন- স্বাগতম, স্বাগতম হে আবু তালিব সন্তান, প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর মওলা হিসেবে অভিনন্দিত হয়ে তুমি সকাল করবে, সন্ধ্যা করবে। (মেশতাত ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৫৪৮) ফজলুল করিম/সুসনদে আহম্মদ/তফসীরে দুররে মনসুর/জালাল উদ্দিন সিউতি ২য় খন্ড মিসর/মুসলিম/মোস্তাদরাক হাকিম। এক নরুল ইসলাম ফারুকী শহীদ হয়েছেন আরো লক্ষ লক্ষ ফারুকী মওজুদ আছে এবং থাকবে ইনশা আল্লাহ। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আজ এত বড় অন্যায় কাজ হাতে নিচ্ছো ইজিদি সৌদি সরকার এর পরিনাম ভয়াবহ যেনো রেখো
মন্তব্যসমূহ