সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ
সুলতানুল হিন্দ গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী (রহঃ) সঞ্জরী বলেছেনঃ-
"আউসাফে আলী বগুফতেগু মুমকিন নিস্ত,
গুনজায়েশে বহর দর সবু মুমকিন নিস্ত "
বংঙ্গানুবাদঃ আলীর (আঃ) মহিমা ভাষার তুলিতে যায় না কখনো আঁকা,
অসীম সাগর কলসির মাঝে যায় কি কখনো রাখা ?
মাওলানা জালালুদ্দিন রুমী (রহঃ) তাঁর 'দিউয়ানে শামস তাবরিজ' গ্রন্থে হযরত আলীর (আঃ) তাৎপর্য নির্দেশ করেছেনঃ-
"এটা কুফরি নয়, আমি কাফির নই।যত দিন হতে এই সৃষ্টি আছে,আলী (আঃ) আছেন, যত দিন সৃষ্টি থাকবে,আলী (আঃ) থাকবেন।
"এক রাতে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) আলীর (আঃ) কাছে কোরআনের তফসির শুনতে আসেন।শুধু সুরা ফাতেহার তফসির করতেই রাত ফজর হয়ে গেল দেখে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ এক সুরা ফাতিহার তফসির করতেই রাত ফজর হয়ে গেল। বাকি কিতাব তো পড়ে রইল।
মাওলা আলী (আঃ) বললেনঃ কোরআনের মূল সুরা এই ফাতিহা আর সুরা ফাতেহার মূল বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিমের মূল হচ্ছে বিসমিল্লাহ। বিসমিল্লাহর মূল হছে 'বে' হরফ টি।'বে' হরফের মূল হচ্ছে নুকতাটি আর এই নোকতাটি কে জানো?
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ না।
আলী (আঃ) বললেনঃ"আনা নুখতাতু আতহাল বায়ে " আমিই 'বে' -এর নিচের এই নুকতা।
মহানবী (সাঃ) বলে গেছেনঃ হে আল্লাহ্, আলী যেদিকে ঘুরবে হককে সেদিকে ঘুরিয়ে দিও।আরো বলেছেনঃ মোনাফেক ব্যতীত কেউ আলী বিদ্বেষী হতে পারে না।আলীর সাথে বিদ্বেষ রাখে কি-না, তা দেখে কে মোনাফেক, সাহাবা ও আনসারগণ তা নির্ণয় করতেন।[তিরমিজি ]
হযরত জাবের (রাঃ) বলেনঃ তায়েফ গমনের দিন রসুলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আলীকে (আঃ) ডেকে নিয়ে পরামর্শে বসলেন।এক ঘণ্টা বেশী দেরি হওয়ায় সাহাবীগণ আরজ করলেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে এমন কি লম্বা-চওড়া গোপন পরামর্শ করলেন?
রসুলে খোদা (সাঃ) উত্তর দিলেনঃ গোপন পরামর্শ আমি করিনি, স্বয়ং আল্লাহতায়ালাই তাঁর সাথে পরামর্শ করেছেন ।
প্রচারে মোঃ শামসীর হায়দার
মন্তব্যসমূহ