সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
আমি শিয়া!! আলীর শিয়া নই!! নূহের
শিয়া!!
ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন নূহ
(আঃ)-এর অনুসারী বা 'শিয়া'
শিয়া শব্দের অর্থ
কি এবং কাদেরকে শিয়া বলা হয় এই
বিষয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই
সুস্পষ্ট ধারনা নাই। যার জন্য
আমরা 'শিয়া' বলে গালি দেই
বা মন্তব্য
করি। কিন্তু 'শিয়া' শব্দের অর্থ
কি তা আমরা জানিনা। আসুন
দেখি কুরআন কি বলেছে!!!
'শিয়া' আরবী শব্দ যার আভিধানিক
অর্থ অনুসারী। অর্থাৎ 'শিয়া' শব্দের
অর্থ হল অনুসারী।
কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ
বলেছেনঃ
ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦ ﺷِﻴﻌَﺘِﻪِ ﻟَﺈِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ
অনুবাদঃ ওয়া'ইন্না মিন
শিয়াতিহি লা ইব্রাহিম।
অর্থঃ আর ইব্রাহিম ছিল নূহের একজন
অনুসারী বা নূহ পন্থীদেরই একজন।
***সূরা আস-সাফফাতঃ আয়াত-৮৩।
'শিয়া' সম্পৰ্কে সংগৃহিত দলিলঃ
ইসলামী পরিভাষায়
শিয়া বলতে মুসলমানদের সেই
দলকে বুঝানো হয় যারা বিশ্বাস
করেন,
রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের
আগে বিভিন্ন
যায়গায় বিশেষ করে দশম হিজরীর
১৮ই যিলহজ্ব 'গাদির খুম' নামক
স্থানে হযরত আলী (রাদিঃ)-
কে নিজের
প্রতিনিধি নির্ধারণ করেন। তাদের
মতে, বিশ্বনবী (সাঃ) তাঁর মৃত্যুর পর
হযরত আলী (রাদিঃ)-
কে সুস্পষ্টভাবে নিজের রাজনৈতিক
ও
ধর্মীয়
প্রতিনিধি এবং খলিফা নির্ধারণ
করে যান।
গাদীরে খুমের এ
হাদিসটি হাদিসে মুতাওয়াতিরের
অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ মুসলিম ও
বুখারী - দুটি হাদিসগ্রন্থেই এ
হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে।
শিয়া আলেমদের পাশাপাশি প্রায়
৩৬০
জন বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ও পণ্ডিত এ
হাদিসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাদিসটি বিশ্বনবী (সাঃ)- এর ১১০
জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন।
হাদিসের সূত্রঃ রেডিও তেহরান/
এএস/
এমআই/২০
মন্তব্যঃ
উপরের হাদিসের
সত্যতা সম্পৰ্কে আমার জানা নাই।
যেভাবে পেয়েছি আমি সবার
অবগতির
জন্য সেইভাবেই পোষ্ট করলাম।
যদি হাদিসটি সম্পৰ্কে কোন
দ্বীনি বন্ধুর মতামত
থাকে তাহলে মেহেরবানী করে
মন্তব্য
করুন।
তবে, কুরআনের আয়াত কুরআন
থেকে নিয়েছি। আমার নিজের কিছু
কথা সংযোজন করেছি।
মূলকথা হলঃ আমরা মুসলিমরা সবাই
ইব্রাহিম (আঃ) এবং বিশ্বনবী (সাঃ)-
এর 'শিয়া' বা অনুসারী
কপি পেস্ট
মন্তব্যসমূহ