সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
**** সেই দুটি বস্তু কী ? *****
------------------------------
আমাদের মুসলিম সমাজে একটি বিষয় ব্যাপক ভাবে প্র্রচলিত আছে যে, 
সেটা হলো :---
--
"কোরআন ও হাদিস মেনে চললেই হবে" আর কিছু প্রয়োজন নাই, তাতেই ইসলাম মানা হয়ে যাবে,ধর্ম পালন করা হয়ে যাবে ইত্যাদী। 
--
অথচ কোরআন ও হাদিস শরীফের ভিতরে যাহাদেরকে অনুস্বরণ আনুগত্য করা ও প্রাণের চাইতে বেশী ভালবাসার জন্য আদেশ দেওয়া আছে। তাহা বলা হয়না। 
--
তাহলে সেই ফরজ আদেশ বা সুন্নাহটি কাহাকে বলে ? অবশ্যই তা জানা প্রয়োজন আছে। 
--
আসল সত্যটি কী ক্ষমতার স্বার্থে মানুষের কাছে গোপন রেখে তৎকালিন মোনাফেকগণ মুসলমানের মাঝে বাতিল ফেরকা তৈরীর সূত্রপাত করেছিল এখনো অব্যাহত আছে।
--
চিন্তাশীলদের জন্য হাদিস শরীফ দুই খানি নিম্নে উল্লেখ করা হলো :---
------------------------------
'রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন--
ﺍﻧﻲ ﺗﺎﺭﻙ ﻓﻴﻜﻢ ﺍﻟﺜﻘﺎﻟﻴﻦ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ
ﻋﺘﺮﻃﻲ ﺍﻫﻞ ﺑﻴﺘﻲ
অর্থঃ
"আমি তোমাদের নিকটে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি প্রথম হচ্ছে-- আল্লাহর কিতাব, এবং দ্বিতীয় হচ্ছে-আহলে বাইত।"
--
( নবী করিম (সা:)'র পরিবারের সদস্যগণ।" অর্থাৎ-- পাক পাঞ্জাতনের চার জন সদস্য যথা-- হযরত মওলা আলী (আ:), মা ফাতেমা (আ:), ইমাম হাসান (আ:), ইমাম হোসাইন (আ:)। 
--
সূত্রঃ--
(মুসলিম ৭/১২২, হামিদিয়া লাইব্রেরী বুখারী ৫/২৮০--২৮২।তিরমিযী ৬ষ্ঠ খন্ড,
মুসতাদরাক আল হাকীম ৩/১০৯। শিবলি নুমানীর সিরাতুন নাবী ২য় খন্ড,
মুসনাদে আহমাদ ৩/১৪--১৭। 
ইসলামিক ফাউন্ডেশন মুসলিম শরীফ ৭ম খন্ড । আমি কেন তাবলীগ করি--২৮ নং পৃঃ)
--
★★★★★
প্রশ্ন :- কিস্তিয়ে নূহ্ (আ:) কী ? 
অর্থাৎ--নূহ (আ:)'র নৌকা কোনটি ? 
--
উত্তরঃ--আহলে বাইয়াত। (আলে মোহাম্মদ (সা:)। 
--
" নবী (সাঃ)-এর প্রিয় সাহাবি হযরত
আবুজার আল গিফারী (রাঃ) একদা পবিত্র কা'বার দরজায় দাঁড়িয়ে উপস্থিত
সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে--
" হে লোক সকল । আশা করি তোমরা
আমাকে ভাল করেই চিন এবং জান । আর তোমাদের মাঝে কেউ যদি এমন থেকে থাকে, যারা আমার পরিচয় জানো না,তাঁদের কাছে আমার পরিচয় হচ্ছে, আমি আবুজার আল গিফারী । 
রাসুল (সাঃ) এর একজন ঘনিষ্ঠ সহচর । আর এই ঘনিষ্ঠ সাহচার্যের দরুন,
আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে- --
"আমার আহলে বাইত এর সদস্যগণ মানুষের জন্য ( মানব জাতীর জন্য ) তেমনি আশ্রয় ও নাজাতের কিস্তি যেমন, আল্লাহর নবী হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তি মহা প্রলয়ের সময় তার কওমের আশ্রয় ও নাজাতের প্রতীক ( বা মাধ্যম) ছিল । অর্থাৎ, যাহারাই হযরত নূহ (আঃ) এর কিস্তিতে উঠেছিল, তারাই মহাপ্রলয় থেকে নাজাত পেয়েছিল,
--
তেমনি এই উম্মতের যারা আমার আহলে বাইতকে ভালোবাসবে,অনুসরণ করবে বা তাদের দলভুক্ত থাকবে তারাই নাজাত পাবে ও যারা অনুসরণ করবে না তারা ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।"
--
" সুত্রঃ-- 
কানজুল উম্মাল খঃ-৬,পৃঃ-২৫৬। মুসনাদে হাম্বাল খঃ-২-পৃঃ-৭৮৬, তাফসীরে কাবির-- খঃ-২৭, পৃঃ-১৬৭, মেশকাত--খঃ-১১, হাঃ-১৬৭, --
মুস্তাদারাকে হাকেম-- খঃ-৩, পৃঃ-১৫১, খঃ-২, পৃঃ-৩৪৩,
তারিখে খোলফা পৃঃ-৩০৭,
সাওয়ায়েকে মোহরেকা পৃঃ-১৫০। 
--
"সংক্ষিপ্ত আলোচনা"
আহলে বাইতের প্রধান হলেন মাওলা আলী (আ:) । যিঁনি মুমিন ও মুনাফিক চিনার বা স্বনাক্ত করার মানদন্ড ।
--
মাওলা আলী (আ:) কে যে ভালবাসে সে মুমিন । যে বিরুধীতা করে সে মুনাফিক।
( হাদিস) 
--
মাওলা আলী (আ:) হতে ত্বরীকার ছিলছিলা শুরু হয়েছে যা হাত বাই হাত সিনা ব সিনা হক্কানী পীর-মুর্শীদ ওলী-আওলীয়াগণের মাধ্যমে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে। বেলায়েতি নূর বা জ্ঞান ছাড়া কেহ কোরআনের জ্ঞানে জ্ঞানি বা আলেম হতে পারবে না। 
--
শরীয়তের ভাষায় তিনিই আলেম যার জাহেরী ও বাতেনী এলেম আছে ।
--
রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন যে --
" আমি জ্ঞানের শহর বা ভান্ডার, এই শহরে প্রবেশের (এক মাত্র) দরওজা হচ্ছে মওলা আলী (আ:)।" ( হাদিস) 
--
কেবল আক্ষরিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যাক্তিবর্গ কখনোই কোরআনের জ্ঞানে আলেম হতে পারবে না। এটাই শরীয়তের বিধান। 
--
অথচ ইয়াজিদি উমাইয়া বংশের শাসন আমলে প্রতিষ্টিত আহলে বাইয়াত বিরুধী শিক্ষা ব্যাবস্থার যাতাকলে প্রকৃত তাছাউফ শিক্ষা ও আহলে বাইয়াত এর ভালবাসার আদর্শ ধামাচাপা পরে আছে। 
--
সত্য স্বন্ধানীদের তাহাই আবিষ্কার করে আমল করতে হয়
প্রচারে মোঃ শামসীর হায়দার
 
 
 
 
  
 
 
 
 
মন্তব্যসমূহ