সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান
রিসালাতে খলিফা ওমর (রাঃ)………………………
…………………………………………..
হযরত উকবা ইবনে আমের রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসুল দঃ বলেছেন,আমার পরে কেঁউ নবি হলে নিশ্চই ওমর ইবনে খাত্তাব হতো।
(তিরমিজি -৩৬২৪)
উক্ত হাদিসটি এমন কোন মুসলমান নাই যিনি জিবনে একবার হলেও শুনেন নি। যদি নবিজি দঃ ওমরেরে শানে উক্ত কথা বলেই যেতেন তবে প্রশ্ন জাগে কি করে আবু বকর রাঃ ইসলামের প্রথম খলিফ হন!!!???? কেন আবু বকর রাঃ নবিজির পরে যার নবি হবার কথা সেই ওমর রাঃ হাতে বায়াত গ্রহন করলেন না!!??? আর তিনি ওমর রাঃ কেন উক্ত হাদিস টি নিয়ে জনগনের কাছে এসে দাবি উপস্থাপন করলেন না!!?? এহেন মর্যাদাশিল ব্যক্তি যিনি নবি হবার যোগ্য (ওমর রাঃ) তাকে ১ম খলিফা বানাতে আবু বকর রাঃ সহ অন্যান্য সাহাবিদের কিসে বাধাদিল। তাহলে নবিজির দঃ এর নামে চালিয়ে দেয়া উক্ত হাদিসটি কি আসলেই নবিজির বাক্য নাকি মাউলা আলী আঃ এর শান ও মানকে আরাল করার জন্য এই ধরনের হাদিসের আত্যপ্রকাশ করানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রনিত ভাবে।
পৃথিবিতে আগত সকল নবি ও রাসুলই মুলত ৪টি বংশধারা থেকে এসেছেন, মহান আল্লাহ বলেন- নিঃসন্দেহে আল্লাহ- আদম, নুহ, আলে ইবরাহিম ও আলে ইমরানকে নির্বাচন করেছেন যারা একে অপরের বংসধর ছিল( সূরা আলে ইমরান ৩৩,৩৪)
কোন নবি রাসুল ও তার পরবর্তি নবি (ওয়ারিস) কখনোই মুশরিক ছিলেন না আর না তারা কখনো মুরশরিক থেকে মুসলমান হয়েছেন।
ওমর নিজের বক্তব্য- আমি ইসলাম থেকে অনেক দূরে ছিলাম। জাহেলিয়াতের যুগে মদে আসক্ত ছিলাম এবং খুব বেশি পরিমানে মদ খেতাম ...(সিরাতে ইবনে হিসাম,প্রথম খন্ড ৩৬৮-৩৬৯)
আল্লাহপাকের কোরআন সাক্ষিদেয়, কোন নবি কিং বা নবির উত্তরসূরি কখনই মদ পারন করেন নি। যিনি নবির ওয়ারিস হবেন তিনি কুফরি থেকে মুক্ত ও পবিত্র হবেন।
মাউলা আলী আঃ বলেন, আমি আল্লাহর বান্দা এবং রাসুলের দঃ ভাই। আমি সিদ্দিকে আকবর। আমার পর কেবল মিথ্যাবাদীই এরুপ বলবে। আমি লোকদের মাঝে সাত বছর বয়সের পূর্বেই সালাত আদায় করেছি (সুনানে ইবনে মাজাহ শরিফ,খন্ড-১, পৃ-৮৩,ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
ওমর রাঃ নবি হতেন এটি একটি অতিব মিথ্যা, বানোয়াট বর্ননা।
আর তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে সঙ্গে মিলাবে না। এবং যেনেশুনে সত্যকে গোপন করবে না। (বাকারা-২/৪২)
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম
-রাজীব রহমান
মন্তব্যসমূহ