বিসমিল্লাহির রহমানির রহিমআল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদদুশমানে আহলে বায়াত পার বেশুমার নালত বর্ষিত হোকজান্নাতে বৃদ্বদের নেতা প্রসংগে –সপ্তম আব্বাসীয় খলীফা মামুনের বিশাল রাজকীয় দরবার ।আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে সকল জ্ঞানীগুনিজনের এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ।সপ্তম আব্বাসীয় খলীফা মামুন স্বয়ং নিজে সেখানে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ।ঐ সমাবেশে অনেকক্ষন ব্যপী এক মুনাযিরা অনুস্ঠিত হয় , যা ছিল নিম্নরুপ —একজন বিজ্ঞ সুন্নি আলেম বললেন , রেওয়াতে আছে যে , নবী (সাঃ) হযরত আবু বকর ও হযরত ওমরের শানে বলেছেন ,” হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর হচ্ছেন বেহেশতে বৃদ্বদের নেতা “।খলীফা মামুন তীব্র প্রতিবাদের সুরে বললেন যে , এই হাদিসটি মোটেই গ্রহনযোগ্য নয় । কেননা বেহেশতে কোন বৃদ্ব ও বৃদ্বা থাকবেই না ।এছাড়া এ ব্যাপারে রেওয়ায়েত রয়েছে যেমন , নবীজী (সাঃ) এর কাছে এক বৃদ্বা মহিলা এসেছিলেন । আর মহানবী (সাঃ) সেই বৃদ্বা মহিলাকে বলেছিলেন যে , বৃদ্বা মহিলা কখনইবেহেশতে প্রবেশ করবে না ।এই কথা শুনে বৃদ্বা মহিলা কাঁদতে শুরু করেন ।মৃদু হেসে দয়াল নবীজী (সাঃ) তাকে বললেন , আল্লাহ বলেছেন , বেহেশতে যারা প্রবেশ করবে, আমরা তাদেরকে নতুন জন্ম দান করাব এবং সকলকে যুবক যুবতীর রুপ দান করব , পুরুষগন তাদের স্ত্রীগনের সাথে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ব হবে এবং তারা মিষ্টভাষী ও সমব য়সের অধিকারী হবে ।সূত্র – ওয়াকীহা – ৩৫-৩৭ ।যেহেতু তোমাদের চিন্তা মতে হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর যুবক হয়ে যাবে ও তারা বেহেশতে প্রবেশ করবে , সেহেতু তোমরা কিভাবে এই রেওয়ায়েত উল্লেখ কর , যখন কিনা রাসুল (সাঃ) বলেছেন , ” হাসান এবং হোসেন (আঃ) হচ্ছেন পূর্বের ও পরের বেহেশতবাসী যুবকদের সর্দার এবং তাদের পিতা আলী (আঃ) এর মর্যাদা তাদের থেকেও উচ্চে “।সূত্র – বিহারুল আনোয়ার ,খন্ড-৪৯,পৃ-১৯৩
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ
দুশমানে আহলে বায়াত পার বেশুমার নালত বর্ষিত হোক
জান্নাতে বৃদ্বদের নেতা প্রসংগে –
সপ্তম আব্বাসীয় খলীফা মামুনের বিশাল রাজকীয় দরবার ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে সকল জ্ঞানীগুনিজনের এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল ।
সপ্তম আব্বাসীয় খলীফা মামুন স্বয়ং নিজে সেখানে প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ।
ঐ সমাবেশে অনেকক্ষন ব্যপী এক মুনাযিরা অনুস্ঠিত হয় , যা ছিল নিম্নরুপ —
একজন বিজ্ঞ সুন্নি আলেম বললেন , রেওয়াতে আছে যে , নবী (সাঃ) হযরত আবু বকর ও হযরত ওমরের শানে বলেছেন ,
” হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর হচ্ছেন বেহেশতে বৃদ্বদের নেতা “।
খলীফা মামুন তীব্র প্রতিবাদের সুরে বললেন যে , এই হাদিসটি মোটেই গ্রহনযোগ্য নয় । কেননা বেহেশতে কোন বৃদ্ব ও বৃদ্বা থাকবেই না ।
এছাড়া এ ব্যাপারে রেওয়ায়েত রয়েছে যেমন , নবীজী (সাঃ) এর কাছে এক বৃদ্বা মহিলা এসেছিলেন । আর মহানবী (সাঃ) সেই বৃদ্বা মহিলাকে বলেছিলেন যে , বৃদ্বা মহিলা কখনইবেহেশতে প্রবেশ করবে না ।
এই কথা শুনে বৃদ্বা মহিলা কাঁদতে শুরু করেন ।
মৃদু হেসে দয়াল নবীজী (সাঃ) তাকে বললেন , আল্লাহ বলেছেন , বেহেশতে যারা প্রবেশ করবে, আমরা তাদেরকে নতুন জন্ম দান করাব এবং সকলকে যুবক যুবতীর রুপ দান করব , পুরুষগন তাদের স্ত্রীগনের সাথে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ব হবে এবং তারা মিষ্টভাষী ও সমব য়সের অধিকারী হবে ।
সূত্র – ওয়াকীহা – ৩৫-৩৭ ।
যেহেতু তোমাদের চিন্তা মতে হযরত আবু বকর ও হযরত ওমর যুবক হয়ে যাবে ও তারা বেহেশতে প্রবেশ করবে , সেহেতু তোমরা কিভাবে এই রেওয়ায়েত উল্লেখ কর , যখন কিনা রাসুল (সাঃ) বলেছেন , ” হাসান এবং হোসেন (আঃ) হচ্ছেন পূর্বের ও পরের বেহেশতবাসী যুবকদের সর্দার এবং তাদের পিতা আলী (আঃ) এর মর্যাদা তাদের থেকেও উচ্চে “।
সূত্র – বিহারুল আনোয়ার ,খন্ড-৪৯,পৃ-১৯৩
মন্তব্যসমূহ