(পর্ব ৪৫): বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত হাসিলজুন ২৩, ২০১৯ ২০:২৫ Asia/Dhakaগত দুই আসরে আমরা ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.)’র পক্ষ থেকে শুরু করা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আসরে আমরা ইমামের আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি কিয়ামতের দিন বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত হাসিল করার জন্য ইমাম যে শর্ত বেধে দিয়েছেন সে সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করব।সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নবী বংশের পঞ্চম ইমাম যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে বিশিষ্ট আলেম-ওলামা তৈরি করা। মুসলিম সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও বেদআত প্রতিহত করা ছিল ইমাম বাকের (আ.)’র এই কাজের উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে উমাইয়া শাসকদের ধর্মবিদ্বেষী চরিত্র উন্মোচন করাও ছিল এ কাজে ইমামের আরেকটি লক্ষ্য। ইমামের এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সফল হয়।ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.)’র অন্যতম প্রখ্যাত ছাত্র ছিলেন মোহাম্মাদ বিন মোসলেম। ধর্মীয় জ্ঞানে তিনি যথেষ্ট বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি নিজে বলেন: আমি ইমাম বাকের (আ.)’র কাছ থেকে ৩০ হাজার হাদিস এবং ইমাম সাদেক (আ.)’র কাছ থেকে ১৬ হাজার হাদিস শিখেছি। আমি এই সব হাদিস মুখস্ত করেছি এবং মনে যেকোনো প্রশ্ন আসা মাত্রই ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে জিজ্ঞাসা করেছি।ইমামের আরেকজন ছাত্রের নাম জাবের বিন এজিদ জু’ফি। মুসলিম বিশ্বের এই শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদ বর্তমান ইরাকের কুফা নগরীতে বসবাস করতেন এবং সেখানে তিনি সামাজিক পদমর্যাদারও অধিকারী ছিলেন। ধর্ম, ইতিহাস ও হাদিস বিষয়ক জ্ঞান এমনকি রাজনৈতিক জ্ঞানেও তিনি যথেষ্ট পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে প্রায় ৫০ হাজার হাদিস শিখেছিলেন জাবের। এসব হাদিসে ধর্মের খুঁটিনাটি বিষয় ও ফিকাহ সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর ছিল।ইমামের এসব ছাত্র ধর্মীয় জ্ঞানে বুৎপত্তি অর্জনের পর এই জ্ঞান জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ইমাম বাকের (আ.) তাঁর অন্যতম ছাত্র আবান বিন তাগলিব সম্পর্কে বলেন: হে আবান! তুমি জনগণের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রশ্নের উত্তর এবং ফতোয়া দেয়ার জন্য মদীনার মসজিদে যাও। আমি চাই তোমার মতো জ্ঞানী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার অনুসারী বা শিয়া হিসেবে জনগণের মাঝে পরিচিতি লাভ করুক। ইমাম বাকের (আ.)’র সন্তান ও ষষ্ঠ ইমাম- ইমাম জাফর সাদেক (আ.) ইসলামি জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে তাঁর পিতা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তা কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেন। তিনি এ সম্পর্ক বলেন: আমার পিতার এসব জ্ঞানী ছাত্র না থাকলে তাঁর হাদিস ও শিক্ষাগুলো হারিয়ে যেত।এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে,উমাইয়া শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নবীবংশের পঞ্চম ইমামকে এসব দ্বীনী দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ইমাম বাকের (আ.) ইসলামি জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তার গুণগত মান ও ব্যাপ্তি এত বেশি ছিল যে, মুসলিম বিশ্বের যেকোনো চিন্তাবিদ তাঁর সামনে আসলে নিজেকে নিঃস্ব মনে করতেন। ইমামের যুগের একজন বড় মুসলিম চিন্তাবিদের নাম ছিল হাকাম বিন উতাইবা। তিনি যখনই ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে আসতেন তখনই গুটিসুটি মেরে যেতেন। এ সম্পর্কে তৎকালীন অন্যতম মুসলিম পণ্ডিত আব্দুল্লাহ বিন আতা মাক্কি বলেন: নিজ এলাকায় হাকাম অনেক উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম বাকেরের সামনে এলে তিনি সেভাবেই গুটিয়ে যেতেন যেভাবে একজন ছাত্র তার শিক্ষকের সামনে গেলে জড়োসড়ো হয়ে যায়।শুধু শিয়া আলেমগণ নন সেইসঙ্গে সুন্নি আলেমগণও ইমামের উচ্চতর ধর্মীয় জ্ঞানের কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন। শাফিয়ী মাজহাবের বিখ্যাত চিন্তাবিদ শাহাবুদ্দিন আহমাদ বিন হাজার হাইতামি বলেন: আবু জাফর মোহাম্মাদ বাকের এই কারণে বাকের উপাধি পেয়েছিলেন যে, তিনি ইসলামি জ্ঞানভাণ্ডার বিদীর্ণ করে এর শিক্ষা বের করে এনেছিলেন। তিনি ইসলামি শিক্ষার অনেক গোপন ও সুপ্ত বিষয় প্রকাশ করতে সক্ষম হন।ইমাম বাকের (আ.)’র আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল আহলে বাইতের অনুসারী শিয়া মুসলমানদের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা। উমাইয়া শাসকরা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে শিয়াদের সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিয়েছিল তার মূলোৎপাটন করা ছিল তাঁর এ কাজের লক্ষ্য। উমাইয়া শাসকরা সে সময় মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র মোসাহেবি ও চাটুকারিতার সংস্কৃতি চালু করেছিল। এ কারণে সাধারণ মানুষ প্রশংসা শুনলে খুশি এবং সমালোচনা শুনলে ক্ষুব্ধ হতো। এই অপসংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে ইমাম তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশ করে বলেন: যদি সমাজের সকল লোক তোমাকে ভর্ৎসনা করে তাহলেও দুঃখ পেও না এবং সবাই মিলে যদি অনর্থক তোমার প্রশংসা করে তাহলেও খুশি হওয়ার কিছু নেই। ইমাম এরপর তাঁর অনুসারীদের আরো বলেন, তোমরা পবিত্র কুরআনের বিধান মেনে চলবে। এই মহাগ্রন্থ যা কিছু করতে বলেছে তা করবে এবং যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছে তা থেকে বিরত থাকবে। যদি আল্লাহর বিধানের উল্টো চলা অবস্থায় কেউ তোমার প্রশংসা করে তাহলে সেই ধোঁকায় পা দিও না। সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী প্রতিটি মানুষ প্রশংসা শুনলে খুশি হয় এবং সমালোচনা শুনলে কষ্ট পায়। সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা মানুষের এই সহজাত প্রবৃত্তির অপব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেয়। তারা একজন মানুষের যে ভালো গুণগুলো নেই তাকে সেসব গুণে ভূষিত করে তার অন্তরে স্থান করে নেয় এবং এরপর নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে। দুষ্টু লোকের এই ধোঁকাবাজি থেকে রক্ষা পাওয়া মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ।ইমাম বাকের (আ.) এই ধোঁকাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যারা জীবন গড়বে তারাই কিয়ামতের দিন বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত লাভ করবে। অন্যথায় মুখে আহলে বাইত প্রেমিকের দাবি করে কেউ যদি খোদায়ী বিধানের উল্টো চলে তবে সে আহলে বাইতের শাফায়াত পাবে না।#পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/ মো: আবু সাঈদ / ২৩
(পর্ব ৪৫): বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত হাসিল
জুন ২৩, ২০১৯ ২০:২৫ Asia/Dhaka
গত দুই আসরে আমরা ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.)’র পক্ষ থেকে শুরু করা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আসরে আমরা ইমামের আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি কিয়ামতের দিন বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত হাসিল করার জন্য ইমাম যে শর্ত বেধে দিয়েছেন সে সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করব।
সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নবী বংশের পঞ্চম ইমাম যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে বিশিষ্ট আলেম-ওলামা তৈরি করা। মুসলিম সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও বেদআত প্রতিহত করা ছিল ইমাম বাকের (আ.)’র এই কাজের উদ্দেশ্য। একইসঙ্গে উমাইয়া শাসকদের ধর্মবিদ্বেষী চরিত্র উন্মোচন করাও ছিল এ কাজে ইমামের আরেকটি লক্ষ্য। ইমামের এই উদ্যোগ ব্যাপকভাবে সফল হয়।
ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.)’র অন্যতম প্রখ্যাত ছাত্র ছিলেন মোহাম্মাদ বিন মোসলেম। ধর্মীয় জ্ঞানে তিনি যথেষ্ট বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি নিজে বলেন: আমি ইমাম বাকের (আ.)’র কাছ থেকে ৩০ হাজার হাদিস এবং ইমাম সাদেক (আ.)’র কাছ থেকে ১৬ হাজার হাদিস শিখেছি। আমি এই সব হাদিস মুখস্ত করেছি এবং মনে যেকোনো প্রশ্ন আসা মাত্রই ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে জিজ্ঞাসা করেছি।
ইমামের আরেকজন ছাত্রের নাম জাবের বিন এজিদ জু’ফি। মুসলিম বিশ্বের এই শীর্ষস্থানীয় চিন্তাবিদ বর্তমান ইরাকের কুফা নগরীতে বসবাস করতেন এবং সেখানে তিনি সামাজিক পদমর্যাদারও অধিকারী ছিলেন। ধর্ম, ইতিহাস ও হাদিস বিষয়ক জ্ঞান এমনকি রাজনৈতিক জ্ঞানেও তিনি যথেষ্ট পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে প্রায় ৫০ হাজার হাদিস শিখেছিলেন জাবের। এসব হাদিসে ধর্মের খুঁটিনাটি বিষয় ও ফিকাহ সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর ছিল।
ইমামের এসব ছাত্র ধর্মীয় জ্ঞানে বুৎপত্তি অর্জনের পর এই জ্ঞান জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ইমাম বাকের (আ.) তাঁর অন্যতম ছাত্র আবান বিন তাগলিব সম্পর্কে বলেন: হে আবান! তুমি জনগণের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রশ্নের উত্তর এবং ফতোয়া দেয়ার জন্য মদীনার মসজিদে যাও। আমি চাই তোমার মতো জ্ঞানী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি আমার অনুসারী বা শিয়া হিসেবে জনগণের মাঝে পরিচিতি লাভ করুক। ইমাম বাকের (আ.)’র সন্তান ও ষষ্ঠ ইমাম- ইমাম জাফর সাদেক (আ.) ইসলামি জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে তাঁর পিতা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তা কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করেন। তিনি এ সম্পর্ক বলেন: আমার পিতার এসব জ্ঞানী ছাত্র না থাকলে তাঁর হাদিস ও শিক্ষাগুলো হারিয়ে যেত।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে,উমাইয়া শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নবীবংশের পঞ্চম ইমামকে এসব দ্বীনী দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ইমাম বাকের (আ.) ইসলামি জ্ঞান ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তার গুণগত মান ও ব্যাপ্তি এত বেশি ছিল যে, মুসলিম বিশ্বের যেকোনো চিন্তাবিদ তাঁর সামনে আসলে নিজেকে নিঃস্ব মনে করতেন। ইমামের যুগের একজন বড় মুসলিম চিন্তাবিদের নাম ছিল হাকাম বিন উতাইবা। তিনি যখনই ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ইমাম বাকের (আ.)’র কাছে আসতেন তখনই গুটিসুটি মেরে যেতেন। এ সম্পর্কে তৎকালীন অন্যতম মুসলিম পণ্ডিত আব্দুল্লাহ বিন আতা মাক্কি বলেন: নিজ এলাকায় হাকাম অনেক উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও ইমাম বাকেরের সামনে এলে তিনি সেভাবেই গুটিয়ে যেতেন যেভাবে একজন ছাত্র তার শিক্ষকের সামনে গেলে জড়োসড়ো হয়ে যায়।
শুধু শিয়া আলেমগণ নন সেইসঙ্গে সুন্নি আলেমগণও ইমামের উচ্চতর ধর্মীয় জ্ঞানের কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন। শাফিয়ী মাজহাবের বিখ্যাত চিন্তাবিদ শাহাবুদ্দিন আহমাদ বিন হাজার হাইতামি বলেন: আবু জাফর মোহাম্মাদ বাকের এই কারণে বাকের উপাধি পেয়েছিলেন যে, তিনি ইসলামি জ্ঞানভাণ্ডার বিদীর্ণ করে এর শিক্ষা বের করে এনেছিলেন। তিনি ইসলামি শিক্ষার অনেক গোপন ও সুপ্ত বিষয় প্রকাশ করতে সক্ষম হন।
ইমাম বাকের (আ.)’র আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল আহলে বাইতের অনুসারী শিয়া মুসলমানদের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করা। উমাইয়া শাসকরা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে শিয়াদের সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারনার জন্ম দিয়েছিল তার মূলোৎপাটন করা ছিল তাঁর এ কাজের লক্ষ্য। উমাইয়া শাসকরা সে সময় মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র মোসাহেবি ও চাটুকারিতার সংস্কৃতি চালু করেছিল। এ কারণে সাধারণ মানুষ প্রশংসা শুনলে খুশি এবং সমালোচনা শুনলে ক্ষুব্ধ হতো। এই অপসংস্কৃতি দূর করার লক্ষ্যে ইমাম তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশ করে বলেন: যদি সমাজের সকল লোক তোমাকে ভর্ৎসনা করে তাহলেও দুঃখ পেও না এবং সবাই মিলে যদি অনর্থক তোমার প্রশংসা করে তাহলেও খুশি হওয়ার কিছু নেই।
ইমাম এরপর তাঁর অনুসারীদের আরো বলেন, তোমরা পবিত্র কুরআনের বিধান মেনে চলবে। এই মহাগ্রন্থ যা কিছু করতে বলেছে তা করবে এবং যেসব কাজ করতে নিষেধ করেছে তা থেকে বিরত থাকবে। যদি আল্লাহর বিধানের উল্টো চলা অবস্থায় কেউ তোমার প্রশংসা করে তাহলে সেই ধোঁকায় পা দিও না।
সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী প্রতিটি মানুষ প্রশংসা শুনলে খুশি হয় এবং সমালোচনা শুনলে কষ্ট পায়। সুযোগসন্ধানী ব্যক্তিরা মানুষের এই সহজাত প্রবৃত্তির অপব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেয়। তারা একজন মানুষের যে ভালো গুণগুলো নেই তাকে সেসব গুণে ভূষিত করে তার অন্তরে স্থান করে নেয় এবং এরপর নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে। দুষ্টু লোকের এই ধোঁকাবাজি থেকে রক্ষা পাওয়া মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ।
ইমাম বাকের (আ.) এই ধোঁকাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী যারা জীবন গড়বে তারাই কিয়ামতের দিন বিশ্বনবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের শাফায়াত লাভ করবে। অন্যথায় মুখে আহলে বাইত প্রেমিকের দাবি করে কেউ যদি খোদায়ী বিধানের উল্টো চলে তবে সে আহলে বাইতের শাফায়াত পাবে না।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/ মো: আবু সাঈদ / ২৩
মন্তব্যসমূহ