ইমাম হাসান (আ.) এর সাথে মুসলমানদের বাইয়াতপ্রচারে আলি উন ওয়ালি উল্লাহ যখন আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) মসজিদে কুফায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হলেন। তখন ইমাম হাসান (আ.) তাঁর নির্দেশে নামাযের ইমামতি করেন এবং তিনি জীবনের শেষ মুহূর্তেও ইমাম হাসান (আ.) কে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়ে যান। তিনি বলেন: হে আমর পুত্র! আমার (মৃত্যুর) পর আমার স্থানে আসীন হবে...’ অতঃপর তিনি ইমাম হুসাইন (আ.) ও মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়া এবং তাঁর অপর সন্তানদেরকে ও শিয়া নেতৃবৃন্দকে এ ওসিয়তের উপর সাক্ষ্য হিসেবে রেখে ইমাম হাসান (আ.) কে স্বীয় গ্রন্থ ও অস্ত্র দান করে বলেন: হে আমার পুত্র! আল্লাহর রাসূল (স.) আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন যাতে আমি তোমাকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেই, যেভাবে তিনি আমাকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন এবং নিজের কিতাব ও অস্ত্রকে আমায় দান করেছেন। আর তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তোমাকে নির্দেশ দেই যেন নিজের জীবনের শেষ মুহূর্তে এগুলোকে তোমার ভাই হুসাইনের নিকট হস্তান্তর কর’। একদা ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনার শাষকের কাছে একটি খবর পৌছানোর জন্য আলী আকবর (আ.) কে দ্বায়িত্ব দেন যখন তিনি উক্ত খবরটি নিয়ে মদীনার শাষকের কাছে পৌছায় তখন শাষক তাকে জিজ্ঞাসা করে যে তোমার নাম কি? প্রতিউত্তরে তিনি বলেন আমার নাম আলী, শাষক আবার জিজ্ঞাসা করে যে তোর ভাইয়ের নাম কি? সে আবারও বলে আলী তখন শাষক রাগান্বিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে যে, তোমার বাবাকি তার সকল সন্তানের নাম আলী রাখতে চাই। উক্ত খবরাট তিনি তাঁর বাবা ইমাম হুসাইন (আ.) এর কাছে পৌছায়। তখন ইমাম হুসাইন (আ.) বলেন যে, খোদার শপথ যদি আমাকে ১০টি সন্তান দান করেন তাহলে আমি তাদের সবার নাম আলী রাখবো এবং যদি খোদা আমাকে ১০টি কন্যা সন্তান দান করেন তাহলে তাতের সবার নাম রাখবো ফাতিমা। আলী আকবরের ব্যাক্তিত্বঃ হজরত আলী আকবর ছিলেন সূদর্শন, যুবক, মিষ্টিভাষি এবং সর্বপরি তিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর সদৃশ।(মুনতাহিউল আমাল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৭৫) ইমাম হোসাইন (আ.)'র জন্মলগ্নে তার মা অর্থাৎ হযরত ফাতেমার (সা.) এর পাশে ছিলেন নবী (সা.)এর ফুপু সাফিয়া বিনতে আবদুল মোত্তালিব। রাসূল সে সময় তার ফুপুর কাছে এসে বলেন, হে ফুপু, আমার ছেলেকে আমার কাছে কাছে আনুন। তখন সাফিয়া বললেন, আমি তাকে এখনও পবিত্র করিনি। বিশ্বনবী (সা.) বললেন, "তাকে তুমি পবিত্র করবে? বরং আল্লাহই তাকে পরিষ্কার ও পবিত্র করেছেন।" ইমাম হোসাইন (আ.)’র জন্মের পর তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইক্বামত পাঠ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.)। মহান আল্লাহর নির্দেশে তিনি এই শিশুর নাম রাখেন হোসাইন। এ শব্দের অর্থ সুন্দর, সৎ, ভালো ইত্যাদি। হযরত সালমান ফারস (রা.) বলেছেন, একদিন দেখলাম যে, রাসূল (সা.) হোসাইন (আ.)-কে নিজের জানুর ওপর বসালেন ও তাকে চুমু দিলেন এবং বললেন, " তুমি এক মহান ব্যক্তি ও মহান ব্যক্তির সন্তান এবং মহান ব্যক্তিদের পিতা। তুমি নিজে ইমাম ও ইমামের পুত্র এবং ইমামদের পিতা। তুমি আল্লাহর দলিল বা হুজ্জাত ও আল্লাহর হুজ্জাতের পুত্র এবং আল্লাহর নয় হুজ্জাতের (বা নয় ইমামের) পিতা, আর তাঁদের সর্বশেষজন হলেন হযরত ইমাম মাহদী (আ.)"।বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তার প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হাসান ও হোসাইন (আ.)-কে নিজের সন্তান বলে অভিহিত করতেন। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, "নিশ্চয়ই হাসান ও হোসাইন জান্নাতে যুবকদের সর্দার।" (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস নং-৩৭২০)
ইমাম হাসান (আ.) এর সাথে মুসলমানদের বাইয়াত
প্রচারে আলি উন ওয়ালি উল্লাহ
যখন আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) মসজিদে কুফায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হলেন। তখন ইমাম হাসান (আ.) তাঁর নির্দেশে নামাযের ইমামতি করেন এবং তিনি জীবনের শেষ মুহূর্তেও ইমাম হাসান (আ.) কে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়ে যান।
তিনি বলেন: হে আমর পুত্র! আমার (মৃত্যুর) পর আমার স্থানে আসীন হবে...’ অতঃপর তিনি ইমাম হুসাইন (আ.) ও মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়া এবং তাঁর অপর সন্তানদেরকে ও শিয়া নেতৃবৃন্দকে এ ওসিয়তের উপর সাক্ষ্য হিসেবে রেখে ইমাম হাসান (আ.) কে স্বীয় গ্রন্থ ও অস্ত্র দান করে বলেন: হে আমার পুত্র! আল্লাহর রাসূল (স.) আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন যাতে আমি তোমাকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেই, যেভাবে তিনি আমাকে নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন এবং নিজের কিতাব ও অস্ত্রকে আমায় দান করেছেন। আর তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তোমাকে নির্দেশ দেই যেন নিজের জীবনের শেষ মুহূর্তে এগুলোকে তোমার ভাই হুসাইনের নিকট হস্তান্তর কর’।
একদা ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনার শাষকের কাছে একটি খবর পৌছানোর জন্য আলী আকবর (আ.) কে দ্বায়িত্ব দেন যখন তিনি উক্ত খবরটি নিয়ে মদীনার শাষকের কাছে পৌছায় তখন শাষক তাকে জিজ্ঞাসা করে যে তোমার নাম কি? প্রতিউত্তরে তিনি বলেন আমার নাম আলী, শাষক আবার জিজ্ঞাসা করে যে তোর ভাইয়ের নাম কি? সে আবারও বলে আলী তখন শাষক রাগান্বিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে যে, তোমার বাবাকি তার সকল সন্তানের নাম আলী রাখতে চাই। উক্ত খবরাট তিনি তাঁর বাবা ইমাম হুসাইন (আ.) এর কাছে পৌছায়। তখন ইমাম হুসাইন (আ.) বলেন যে, খোদার শপথ যদি আমাকে ১০টি সন্তান দান করেন তাহলে আমি তাদের সবার নাম আলী রাখবো এবং যদি খোদা আমাকে ১০টি কন্যা সন্তান দান করেন তাহলে তাতের সবার নাম রাখবো ফাতিমা।
আলী আকবরের ব্যাক্তিত্বঃ
হজরত আলী আকবর ছিলেন সূদর্শন, যুবক, মিষ্টিভাষি এবং সর্বপরি তিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর সদৃশ।(মুনতাহিউল আমাল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৭৫)
ইমাম হোসাইন (আ.)'র জন্মলগ্নে তার মা অর্থাৎ হযরত ফাতেমার (সা.) এর পাশে ছিলেন নবী (সা.)এর ফুপু সাফিয়া বিনতে আবদুল মোত্তালিব। রাসূল সে সময় তার ফুপুর কাছে এসে বলেন, হে ফুপু, আমার ছেলেকে আমার কাছে কাছে আনুন। তখন সাফিয়া বললেন, আমি তাকে এখনও পবিত্র করিনি। বিশ্বনবী (সা.) বললেন, "তাকে তুমি পবিত্র করবে? বরং আল্লাহই তাকে পরিষ্কার ও পবিত্র করেছেন।" ইমাম হোসাইন (আ.)’র জন্মের পর তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইক্বামত পাঠ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.)। মহান আল্লাহর নির্দেশে তিনি এই শিশুর নাম রাখেন হোসাইন। এ শব্দের অর্থ সুন্দর, সৎ, ভালো ইত্যাদি।
হযরত সালমান ফারস (রা.) বলেছেন, একদিন দেখলাম যে, রাসূল (সা.) হোসাইন (আ.)-কে নিজের জানুর ওপর বসালেন ও তাকে চুমু দিলেন এবং বললেন,
" তুমি এক মহান ব্যক্তি ও মহান ব্যক্তির সন্তান এবং মহান ব্যক্তিদের পিতা। তুমি নিজে ইমাম ও ইমামের পুত্র এবং ইমামদের পিতা। তুমি আল্লাহর দলিল বা হুজ্জাত ও আল্লাহর হুজ্জাতের পুত্র এবং আল্লাহর নয় হুজ্জাতের (বা নয় ইমামের) পিতা, আর তাঁদের সর্বশেষজন হলেন হযরত ইমাম মাহদী (আ.)"।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তার প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হাসান ও হোসাইন (আ.)-কে নিজের সন্তান বলে অভিহিত করতেন। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, "নিশ্চয়ই হাসান ও হোসাইন জান্নাতে যুবকদের সর্দার।" (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস নং-৩৭২০)
মন্তব্যসমূহ