আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদইয়া আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব আঃ মাদাদ ইমামত অস্বীকারকারীর পরিনাম“একজন প্রার্থনাকারী চাইলো একটি শাস্তি যা অবশ্যই ঘটবে,-- যা কেউ এড়াতে পারে না বিশ্বাসহীনদের কাছ থেকে”(সুরা মা-য়ারিজ,আয়াত# ১-২)।সুফিয়ান বিন ওয়াইনা বর্ননা করিয়াছেন যে,যখন রাসুল(সাঃ) গাদীরে খুমে লোকদেরকে একত্র করিলেন এবং হযরত আলীর(আঃ) হাত ধরিয়া ফরমাইলেনঃআমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা,এই সংবাদ সারা দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িল।হারিস বিন নোমান এই সংবাদ শুনিয়া নিজের উটের পিঠ হইতে নামিয়া রাসুলের(সাঃ) খেদমতে হাজির হইল এবং বাক-বিতন্ডা আরম্ভ করিল।সে বলিল যে,হে মুহাম্মাদ(সাঃ)! আপনি আমাদের কলেমা পড়িতে আদেশ দিলেন আমরা তাহা গ্রহন করিলাম,৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের আদেশ দিলেন আমরা তাহা পালন করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন ১ মাস রোজা পালনের আমরা তাও কবুল করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন আমাদেরকে হজ্ব করিতে আমরা তাহাও নতশিরে মানিয়া লইলাম।তারপর এই সব মানিয়া নেয়ার পরও আপনি সন্তুষ্ট হইলেন না।এমনকি আপনি নিজের চাচাতো ভাইয়ের হাত ধরিয়া আমাদের উপর তাহার কতৃ্ত্ব স্থাপন করিলেন এবং বলিলেন যে, আমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা।এই আদেশ কি আপনার পক্ষ হইতে না কি আল্লাহর পক্ষ হইতে?তখন রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃঐ আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নাই,এই আদেশ আল্লাহর পক্ষ হইতে আসিয়াছে।তারপর হারিস ফিরিয়া তার উটের দিকে যাইতে লাগিল আর বলিতে লাগিলঃহে আল্লাহ!যাহা মুহাম্মাদ(সাঃ) বলিয়াছেন তাহা যদি সত্য হইয়া থাকে তাহা হইলে আমার উপর আকাশ হইতে পাথর নিক্ষেপ কর অথবা আমার উপর কোন ভয়ানক কোন আযাব প্রেরন কর।হারিস নিজের উটের পিঠে উঠিতে না উঠিতেই আকাশ হইতে একটি পাথর তাহার মাথার উপর পড়িল এবং তাহার নিম্নদেশ দিয়া বাহির হইয়া গেল,তৎক্ষনাৎ সে ইন্তেকাল করিল।তারপর এই আয়াত নাযিল হইলো।(সুত্রঃ কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ৩০০; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,২য় খন্ড,পৃঃ ২৮৬;আল-গাদীর,১ম খন্ড,পৃঃ২৩৯;তাযকেরা সিবত ইবনে জাওযী,পৃঃ১৯;ফুসুলুল মহিম্মা,পৃঃ২৬;নুযহাতুল মাযালিস,২য় খন্ড, পৃঃ২৪২;ফাজাএলুল খামছা,১ম খন্ড,পৃঃ৩৯;নুরুল আবসার,পৃঃ১৭৮; বয়ানুস সায়াদাহ,৪র্থ খন্ড,পৃঃ২০২;)। মোঃ শামসীর
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ
ইয়া আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবি তালিব আঃ মাদাদ
ইমামত অস্বীকারকারীর পরিনাম
“একজন প্রার্থনাকারী চাইলো একটি শাস্তি যা অবশ্যই ঘটবে,-- যা কেউ এড়াতে পারে না বিশ্বাসহীনদের কাছ থেকে”(সুরা মা-য়ারিজ,আয়াত# ১-২)
।
সুফিয়ান বিন ওয়াইনা বর্ননা করিয়াছেন যে,যখন রাসুল(সাঃ) গাদীরে খুমে লোকদেরকে একত্র করিলেন এবং হযরত আলীর(আঃ) হাত ধরিয়া ফরমাইলেনঃআমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা,এই সংবাদ সারা দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িল।হারিস বিন নোমান এই সংবাদ শুনিয়া নিজের উটের পিঠ হইতে নামিয়া রাসুলের(সাঃ) খেদমতে হাজির হইল এবং বাক-বিতন্ডা আরম্ভ করিল।সে বলিল যে,হে মুহাম্মাদ(সাঃ)! আপনি আমাদের কলেমা পড়িতে আদেশ দিলেন আমরা তাহা গ্রহন করিলাম,৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের আদেশ দিলেন আমরা তাহা পালন করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন ১ মাস রোজা পালনের আমরা তাও কবুল করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন আমাদেরকে হজ্ব করিতে আমরা তাহাও নতশিরে মানিয়া লইলাম।তারপর এই সব মানিয়া নেয়ার পরও আপনি সন্তুষ্ট হইলেন না।এমনকি আপনি নিজের চাচাতো ভাইয়ের হাত ধরিয়া আমাদের উপর তাহার কতৃ্ত্ব স্থাপন করিলেন এবং বলিলেন যে, আমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা।এই আদেশ কি আপনার পক্ষ হইতে না কি আল্লাহর পক্ষ হইতে?তখন রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃঐ আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নাই,এই আদেশ আল্লাহর পক্ষ হইতে আসিয়াছে।তারপর হারিস ফিরিয়া তার উটের দিকে যাইতে লাগিল আর বলিতে লাগিলঃহে আল্লাহ!যাহা মুহাম্মাদ(সাঃ) বলিয়াছেন তাহা যদি সত্য হইয়া থাকে তাহা হইলে আমার উপর আকাশ হইতে পাথর নিক্ষেপ কর অথবা আমার উপর কোন ভয়ানক কোন আযাব প্রেরন কর।হারিস নিজের উটের পিঠে উঠিতে না উঠিতেই আকাশ হইতে একটি পাথর তাহার মাথার উপর পড়িল এবং তাহার নিম্নদেশ দিয়া বাহির হইয়া গেল,তৎক্ষনাৎ সে ইন্তেকাল করিল।তারপর এই আয়াত নাযিল হইলো।(সুত্রঃ কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ৩০০; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,২য় খন্ড,পৃঃ ২৮৬;আল-গাদীর,১ম খন্ড,পৃঃ২৩৯;তাযকেরা সিবত ইবনে জাওযী,পৃঃ১৯;ফুসুলুল মহিম্মা,পৃঃ২৬;নুযহাতুল মাযালিস,২য় খন্ড, পৃঃ২৪২;ফাজাএলুল খামছা,১ম খন্ড,পৃঃ৩৯;নুরুল আবসার,পৃঃ১৭৮; বয়ানুস সায়াদাহ,৪র্থ খন্ড,পৃঃ২০২;)।
মোঃ শামসীর হায়দার
মন্তব্যসমূহ