হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা) বলেছেনঃ-আমি হচ্ছি বায়তুল মামুরের মতো,যাহা আসমান বাসিদের কিবলা এবং ফেরেস্তারা যার চত্বরের তাওয়াফ করতে থাকে।সূত্র :ফাজাইল এ আহলুলবাইত (আ), খন্ড -০১ , পৃঃ ২৪৯ , আল কাতরা খন্ড -১ পৃঃ ৩৫১/৩৫২ ।হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেনঃ- তোমরা যদি আদমকে তাঁর জ্ঞানে, নুহকে তাঁর ধীশক্তিতে, ইবরাহীমকে তাঁর দূরদর্শিতায়, ইয়াহিয়াকে তাঁর সংযমশীলতায় আর মূসা ইবনে ইমরানকে তাঁর সাহসিকতায় এবং ঈসার সেবা ও মিতাচার দেখতে চাও, তাহলে আলীর উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকাও।সূত্র -ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব-ইবনে আসাকির ২:২৮০/৮১১, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭:৩৬৯।আল্লাহ যাদের এ্যাতো সম্মানে ভূষিত করলেন,তারা যে সবসময় সত্যের ওপরই অটল থাকবেন, তাতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু কালের ঘোলাজলে বিচক্ষণ মাছ শিকারীরা তাঁর ওপর যেসব রাজনৈতিক কূটচাল চেলে সাময়িক স্বার্থ চরিতার্থ করেছিল,তাদের কৃতকর্ম আজ অপ উপসর্গযোগে কলঙ্কিত।ইমাম (আ:) প্রথম জালিমের এর কালে বিভিন্ন লোকদের উপহাস ও অবহেলার পাত্র হয়েছেন, কিন্তু তিনি কখনো এর জন্য ভেঙে পড়েন নি কারন তিনি সর্বদা নিজের ঘরে প্রবেশ করার পর নবী কন্যা ফাতিমা (সাঃ) কে দেখতেন এবং উনার সাথে কথা বলে নিজের সকল দুঃখ ঘুচিয়ে ফেলতেন। মাওলা প্রায়ই বলতেনঃ-"রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শ্রেষ্ঠ উপহার যা আমাকে দিয়েছেন’ তিনি ফাতিমা (সা.আ.)।"মাওলা যখন নবীকণ্যা স্যাইয়েদা ফাতিমা যাহরা (সাঃআঃ) কে বিবাহ করে ঘরে এনেছিলেন, মাওলার মন আনন্দে ভরপুর ছিলো, কারণ স্যাইয়েদা ফাতিমা(সাঃআঃ) দো জাহানের শ্রেষ্ঠ নারী, যার সৌন্দর্য্য কে আল্লাহ নিজের সৌন্দর্য্য বলেছেন । মাওলা খুব আনন্দে থাকতেন সারাদিন যতই কঠিন যেত কিন্তু যখন তিনি ঘরে প্রবেশ করে স্যাইয়েদা ফাতিমা (সাঃআঃ)-এর পবিত্র চেহারার যিয়ারত করতেন এবং বলতেনঃ- "ফাতিমার চেহারা দেখলে আলী হয়ে যায় এমন যেন তার কোনো দুঃখ নেই৷"হযরত আবু বকরের খেলাফত কালে মাওলা আলী (আঃ) কে অনেকেই 'সালাম' দিত না। এই ঘটনা মাওলার দাসী হযরত ফিজ্জা কাছ থেকে শুনে হযরত ফাতিমা (সাঃআঃ) খুব দুঃখ পান, মাওলা আলী(আঃ) ঘরে প্রবেশ করলে সৈয়দা ফাতিমা(সাঃআঃ) তার পায়ে হাত রেখে তাকে বলেন, "আস সালামু আলাইকা ইয়া আমীরুল মুমিনীন "।তখন মাওলার চোখে পানি এসে পড়ে এবং বলেন, হে রাসুলের কন্যা, এ আপনি কি করছেন? আমাকে এভাবে ঝুকে সালাম করবেন না, আপনার মর্যাদা আমার নিকট অনেক বেশি।স্যাইয়েদা ফাতিমা(সাঃআঃ) বলেন, আমার মাওলা, শুনেছি আপনাকে কেউ সালাম করে না।মাওলা বললেন,এর চেয়ে বেশি দুঃখের ব্যাপার হলো আমি আলী যদি কাউকে সালাম দেই তাহলে সে সালামের জবাব দেওয়াও প্রয়োজন মনে করেনা।আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।———সৈয়দ হোসাইন উল হক
হযরত ফাতিমা জাহরা (সালামুল্লাহি আলাইহা) বলেছেনঃ-
আমি হচ্ছি বায়তুল মামুরের মতো,যাহা আসমান বাসিদের কিবলা এবং ফেরেস্তারা যার চত্বরের তাওয়াফ করতে থাকে।
সূত্র :ফাজাইল এ আহলুলবাইত (আ), খন্ড -০১ , পৃঃ ২৪৯ , আল কাতরা খন্ড -১ পৃঃ ৩৫১/৩৫২ ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেনঃ-
তোমরা যদি আদমকে তাঁর জ্ঞানে, নুহকে তাঁর ধীশক্তিতে, ইবরাহীমকে তাঁর দূরদর্শিতায়, ইয়াহিয়াকে তাঁর সংযমশীলতায় আর মূসা ইবনে ইমরানকে তাঁর সাহসিকতায় এবং ঈসার সেবা ও মিতাচার দেখতে চাও, তাহলে আলীর উজ্জ্বল মুখের দিকে তাকাও।
সূত্র -ইমাম আলী ইবনে আবি তালিব-ইবনে আসাকির ২:২৮০/৮১১, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৭:৩৬৯।
আল্লাহ যাদের এ্যাতো সম্মানে ভূষিত করলেন,তারা যে সবসময় সত্যের ওপরই অটল থাকবেন, তাতে আর সন্দেহ কী! কিন্তু কালের ঘোলাজলে বিচক্ষণ মাছ শিকারীরা তাঁর ওপর যেসব রাজনৈতিক কূটচাল চেলে সাময়িক স্বার্থ চরিতার্থ করেছিল,তাদের কৃতকর্ম আজ অপ উপসর্গযোগে কলঙ্কিত।
ইমাম (আ:) প্রথম জালিমের এর কালে বিভিন্ন লোকদের উপহাস ও অবহেলার পাত্র হয়েছেন, কিন্তু তিনি কখনো এর জন্য ভেঙে পড়েন নি কারন তিনি সর্বদা নিজের ঘরে প্রবেশ করার পর নবী কন্যা ফাতিমা (সাঃ) কে দেখতেন এবং উনার সাথে কথা বলে নিজের সকল দুঃখ ঘুচিয়ে ফেলতেন।
মাওলা প্রায়ই বলতেনঃ-
"রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শ্রেষ্ঠ উপহার যা আমাকে দিয়েছেন’ তিনি ফাতিমা (সা.আ.)।"
মাওলা যখন নবীকণ্যা স্যাইয়েদা ফাতিমা যাহরা (সাঃআঃ) কে বিবাহ করে ঘরে এনেছিলেন, মাওলার মন আনন্দে ভরপুর ছিলো, কারণ স্যাইয়েদা ফাতিমা(সাঃআঃ) দো জাহানের শ্রেষ্ঠ নারী, যার সৌন্দর্য্য কে আল্লাহ নিজের সৌন্দর্য্য বলেছেন । মাওলা খুব আনন্দে থাকতেন সারাদিন যতই কঠিন যেত কিন্তু যখন তিনি ঘরে প্রবেশ করে স্যাইয়েদা ফাতিমা (সাঃআঃ)-এর পবিত্র চেহারার যিয়ারত করতেন এবং বলতেনঃ-
"ফাতিমার চেহারা দেখলে আলী হয়ে যায় এমন যেন তার কোনো দুঃখ নেই৷"
হযরত আবু বকরের খেলাফত কালে মাওলা আলী (আঃ) কে অনেকেই 'সালাম' দিত না। এই ঘটনা মাওলার দাসী হযরত ফিজ্জা কাছ থেকে শুনে হযরত ফাতিমা (সাঃআঃ) খুব দুঃখ পান, মাওলা আলী(আঃ) ঘরে প্রবেশ করলে সৈয়দা ফাতিমা(সাঃআঃ) তার পায়ে হাত রেখে তাকে বলেন, "আস সালামু আলাইকা ইয়া আমীরুল মুমিনীন "।
তখন মাওলার চোখে পানি এসে পড়ে এবং বলেন, হে রাসুলের কন্যা, এ আপনি কি করছেন? আমাকে এভাবে ঝুকে সালাম করবেন না, আপনার মর্যাদা আমার নিকট অনেক বেশি।
স্যাইয়েদা ফাতিমা(সাঃআঃ) বলেন, আমার মাওলা, শুনেছি আপনাকে কেউ সালাম করে না।
মাওলা বললেন,এর চেয়ে বেশি দুঃখের ব্যাপার হলো আমি আলী যদি কাউকে সালাম দেই তাহলে সে সালামের জবাব দেওয়াও প্রয়োজন মনে করেনা।
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মদ।
———সৈয়দ হোসাইন উল হক
মন্তব্যসমূহ