আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম 🕋হযরত মূয়াবীয়ার যে কাজগুলি বিশ্লেষনের দাবী রাখে ।একমাত্র মুয়াবীয়ার পরিবারই বংশ পরম্পরায় তিন পুরুষ পর্যায়ক্রমে নবী বংশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী শত্রুতা করেছে ।আবু সুফিয়ান , মূয়াবীয়া এবং ঈয়াযীদ — এই তিন পুরুষই পর্যায়ক্রমে রাসুল (সাঃ) , হযরত আলী (আঃ) , হযরত হাসান (আঃ) এবং হযরত হোসেনের (আঃ) বিরুদ্বে সরাসরি ভয়াবহ ষড়যন্ত্র এবং সর্বাত্মক বিদ্রোহ ও যুদ্ব করেছে ।নিম্নে শুধুমাত্র দ্বিতীয় পুরুষ কুখ্যাত মূয়াবীয়ার কুকর্মের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হইল ।ওহাবী-সালাফীদের সবথেকে প্রিয় খলীফা হচ্ছে হযরত মূয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান । এই বিষয় দুনিয়ার শীয়া-সুন্নিসহ সকল ইসলামী গবেষকবৃন্দ সম্পূর্ন ঐক্যমত পোষন করেন ।ইসলামী সাম্রাজ্যে সর্বপ্রথম রাজতন্ত্র স্থাপনকারী উমাইয়া বংশের প্রথম খলীফা জনাব মুয়াবীয়া তার দীর্ঘ শাসন আমলে নিম্নলিখিত কাজগুলো করেন যা ইসলামের সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ন নয় ।১) –হযরত আলীর (আঃ) মর্মান্তিক শাহাদাতের পরে সাহাবাগনের সাথে পরামর্শ না করে ছলছাতুরী আর তরবারীর সাহায্যে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ।উল্লেখ্য যে , মারেফুল কোরআন , পৃ- ৪২৭ এ বর্নিত হাদিস অনুযায়ী জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারীকে অভিসম্পাত করা হয়েছে ।২) –মূয়াবীয়া ছিল নবীর (সাঃ) পবিত্র আহলে বাইতগনের (আঃ) অন্যতম প্রকাশ্য শত্রু । মুয়াবীয়া তার শাসন আমলে প্রতি জুমআর দিন খুৎবায় নবী-পরিবারকে গালাগালি দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল । গালিগালাজ দেওয়ার প্রথা কমপক্ষে ৭০ বছর যাবৎ বলবৎ ছিল । ঐ সময় জুমআর নামাজের আগে খুৎবা পাঠ করা হইত । সে কারনে অনেক মুসল্লীরাই গালাগালি শ্রবণ না করে চলে যেত । তাই সচতুর মুয়াবীয়া নির্দেশ দেন যেন খুৎবা নামাজের আগেই আরম্ভ করা হয় যাতে করে খুৎবায় নবী-বংশের বিরুদ্ধে গালাগালি শুনতে মুসল্লিগণ একপ্রকার বাধ্য থাকেন ।হযরত আলী (আঃ) সহ সকল আহলে বায়েতগনের (আঃ) প্রতি সকল প্রদেশের মসজিদের মিম্বর হতে অভিসম্পাত বা গালাগাল করার নির্দেশ বাধ্যতামূলক করা , যা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ পর্যন্ত বলবৎ ছিল ।৩) –ইমাম হাসানের (আঃ) সাথে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত লিখিত চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করা ।৪) –দ্বিতীয় ইমাম হযরত হাসানকে (আঃ) বিষ প্রয়োগে হত্যা করে স্বীয় পুত্র ঈয়াযীদকে গদিতে বসানোর রাস্তাকে পরিষ্কার করেন ।৫) –প্রথম খলীফা হযরত আবু বকরের পুত্র হযরত মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরকে (রাঃ) জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা ।৬) –কুখ্যাত মুয়াবীয়া খাবার নিমন্ত্রন করে ফাঁদ পেতে উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশাকে হত্যা করে মাটিতে পূতে সেখানে বৃক্ষ রোপণ করে নৃশংস হত্যার ঘটনাকে আড়াল করেছিল । তাই ইতিহাসে উম্মল মুমেনিন হযরত আয়েশার কবরের সঠিক কোন অস্তিত্ব নাই ।৭) –রাজকীয় কায়দায় নিজেকে রাজা হিসেবে দাবী করে সাম্রাজ্য শাসন করা ।৮) –মদখোর , ভোগবিলাসী পুত্র ঈয়াযীদকে খলীফা হিসাবে মনোনীত করা ।৯) –বদরী সাহাবী হযরত ইবনে আদীকে (রাঃ) তাঁর ১২ জন সঙ্গীসহ জীবন্ত কবরস্থ করেন এই মুয়াবীয়া ।১০) –মুহাম্মদ বিন আবুবকর , মালিক আশতার সহ অনেকেই মুয়াবীয়ার জঘন্য হত্যার শিকার । মুয়াবীয়া তার রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কত জনকে যে গুপ্ত হত্যা করিয়েছে তার কোন সঠিক হিসাব নাই ।১১) –মহানবীর (সাঃ) আশেক হযরত উয়ায়েস করণীকেও (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে প্রাণ দিতে হয় মুয়াবীয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই ।১২) –হযরত ওসমান হত্যার পিছনেও বর্ণচোরা মুয়াবীয়ার হাত ছিল । তাই সে ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্রাট হবার পরেও হযরত ওসমান হত্যার কোন বিচার করে নাই ।১৩) –মুসলিম বাহিনীর লাশ হতে মস্তক বিছিন্ন এবং তা শহরে প্রর্দশন চালুকরন ।১৪) –মিথ্যা হাদিস তৈরী , প্রচারকরনের মহা ব্যবস্থাকরন ।১৫) –রাসুলের (সাঃ) হাদিস “সম্মানীত স্বামীর জন্য সন্তান এবং বেশ্যার জন্য কিছুই না” এর বিপরীতে জিয়াদকে ভাই হিসেবে ঘোষনা প্রদান ।১৬) –প্রাদেশিক শাসকদের অন্যায় কাজের বিরুদ্বে ব্যবস্থা না নেওয়া ।১৭) –দাড়িয়ে খুৎবা প্রদানের বদলে বসে খুৎবা প্রদান ।১৮) –ঈদের নামাজে আযান প্রথা চালু করা ।১৯) –রেশমী বস্ত্র পরিধান করা ।২০) –নবীজীর (সাঃ) আমলের ফেৎরা প্রথার পরির্বতন করা ২১) –বায়তুল মালকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরিগনিত করা ।সুপ্রিয় পাঠক ,প্রসঙ্গক্রমে আরও জেনে নিন যে , মুয়াবীয়ার সঠিক কোন পিতৃপরিচয় নাই ।কারন তার মা তাকে পেটে ধরা অবস্থায় আবু সুফিয়ানের সাথে ঘর-সংসার শুরু করে । আর বিবাহের পূর্বে হিন্দা যখন পতিতালয় পরিচালনা করত তখনই মুয়াবীয়া তার পেটে এসেছিল ।ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় যে , মুয়াবীয়ার জন্মদাত্রী জননী হিন্দা বিনতে আতবা তৎকালীন সময় কুখ্যাত বেশ্যা ছিল । সেসময় মক্কার সবথেকে বড় বেশ্যাপল্লীর প্রধান পরিচালিকা ছিল !বলা হয় মুয়াবীয়া চারজনের সন্তান ছিল । অর্থাৎ মুয়াবীয়ার সম্ভাব্য পিতা ছিল চারজন —১) আমারা বিন অলীদ মখজুমী২) মুসাফির বিন আমর৩) আবু সুফিয়ান৪) আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব !যেহেতু হিন্দা বহু ঘাটের পানি পান করেছিল তাই মুয়াবীয়ার প্রকৃত পিতা নির্ধারন করা অসম্ভব একটি বিষয় ।সূত্র – বইয়ের নাম – *উমাইয়া খেলাফত পৃষ্ঠা-৯* ভারতের কলিকাতার সবার পরিচিত লেখক – ডক্টর ওসমান গনী , এম এ, পিএইচডি, ডিলিট ,বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক – ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ,কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় , কলিকাতা / সিবত ইবনে জুজি তাজকেরা নামক পুস্তক পৃ-১১৬ ।অতএব মূয়াবীয়া যে কোন পুরুষের রাসায়ানিক বিক্রীয়ায় হিন্দার গর্ভে এসেছিল খোদ হিন্দাও তা জানত না ।সুপ্রিয় পাঠক ,দয়া করে ইতিহাস জানুন । এখানে শীয়া বা সুন্নি বিবেচ্য নয় । নিরপেক্ষ চোখ দিয়ে ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করুন ।— আমরা কি প্রকৃত সুন্নাহ অনুসরন করছি —লেখক – এম , এ , রহমান ,পৃষ্ঠা – ১৭৫ , ১৭৬ ।লা'নাতুল্লাহি আলা কাউমে জালেমিন…………………নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম 🕋
হযরত মূয়াবীয়ার যে কাজগুলি বিশ্লেষনের দাবী রাখে ।
একমাত্র মুয়াবীয়ার পরিবারই বংশ পরম্পরায় তিন পুরুষ পর্যায়ক্রমে নবী বংশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশী শত্রুতা করেছে ।
আবু সুফিয়ান , মূয়াবীয়া এবং ঈয়াযীদ — এই তিন পুরুষই পর্যায়ক্রমে রাসুল (সাঃ) , হযরত আলী (আঃ) , হযরত হাসান (আঃ) এবং হযরত হোসেনের (আঃ) বিরুদ্বে সরাসরি ভয়াবহ ষড়যন্ত্র এবং সর্বাত্মক বিদ্রোহ ও যুদ্ব করেছে ।
নিম্নে শুধুমাত্র দ্বিতীয় পুরুষ কুখ্যাত মূয়াবীয়ার কুকর্মের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা দেয়া হইল ।
ওহাবী-সালাফীদের সবথেকে প্রিয় খলীফা হচ্ছে হযরত মূয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান । এই বিষয় দুনিয়ার শীয়া-সুন্নিসহ সকল ইসলামী গবেষকবৃন্দ সম্পূর্ন ঐক্যমত পোষন করেন ।
ইসলামী সাম্রাজ্যে সর্বপ্রথম রাজতন্ত্র স্থাপনকারী উমাইয়া বংশের প্রথম খলীফা জনাব মুয়াবীয়া তার দীর্ঘ শাসন আমলে নিম্নলিখিত কাজগুলো করেন যা ইসলামের সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ন নয় ।
১) –
হযরত আলীর (আঃ) মর্মান্তিক শাহাদাতের পরে সাহাবাগনের সাথে পরামর্শ না করে ছলছাতুরী আর তরবারীর সাহায্যে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ।
উল্লেখ্য যে , মারেফুল কোরআন , পৃ- ৪২৭ এ বর্নিত হাদিস অনুযায়ী জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারীকে অভিসম্পাত করা হয়েছে ।
২) –
মূয়াবীয়া ছিল নবীর (সাঃ) পবিত্র আহলে বাইতগনের (আঃ) অন্যতম প্রকাশ্য শত্রু । মুয়াবীয়া তার শাসন আমলে প্রতি জুমআর দিন খুৎবায় নবী-পরিবারকে গালাগালি দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল । গালিগালাজ দেওয়ার প্রথা কমপক্ষে ৭০ বছর যাবৎ বলবৎ ছিল । ঐ সময় জুমআর নামাজের আগে খুৎবা পাঠ করা হইত । সে কারনে অনেক মুসল্লীরাই গালাগালি শ্রবণ না করে চলে যেত । তাই সচতুর মুয়াবীয়া নির্দেশ দেন যেন খুৎবা নামাজের আগেই আরম্ভ করা হয় যাতে করে খুৎবায় নবী-বংশের বিরুদ্ধে গালাগালি শুনতে মুসল্লিগণ একপ্রকার বাধ্য থাকেন ।
হযরত আলী (আঃ) সহ সকল আহলে বায়েতগনের (আঃ) প্রতি সকল প্রদেশের মসজিদের মিম্বর হতে অভিসম্পাত বা গালাগাল করার নির্দেশ বাধ্যতামূলক করা , যা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ পর্যন্ত বলবৎ ছিল ।
৩) –
ইমাম হাসানের (আঃ) সাথে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত লিখিত চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করা ।
৪) –
দ্বিতীয় ইমাম হযরত হাসানকে (আঃ) বিষ প্রয়োগে হত্যা করে স্বীয় পুত্র ঈয়াযীদকে গদিতে বসানোর রাস্তাকে পরিষ্কার করেন ।
৫) –
প্রথম খলীফা হযরত আবু বকরের পুত্র হযরত মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরকে (রাঃ) জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা ।
৬) –
কুখ্যাত মুয়াবীয়া খাবার নিমন্ত্রন করে ফাঁদ পেতে উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশাকে হত্যা করে মাটিতে পূতে সেখানে বৃক্ষ রোপণ করে নৃশংস হত্যার ঘটনাকে আড়াল করেছিল । তাই ইতিহাসে উম্মল মুমেনিন হযরত আয়েশার কবরের সঠিক কোন অস্তিত্ব নাই ।
৭) –
রাজকীয় কায়দায় নিজেকে রাজা হিসেবে দাবী করে সাম্রাজ্য শাসন করা ।
৮) –
মদখোর , ভোগবিলাসী পুত্র ঈয়াযীদকে খলীফা হিসাবে মনোনীত করা ।
৯) –
বদরী সাহাবী হযরত ইবনে আদীকে (রাঃ) তাঁর ১২ জন সঙ্গীসহ জীবন্ত কবরস্থ করেন এই মুয়াবীয়া ।
১০) –
মুহাম্মদ বিন আবুবকর , মালিক আশতার সহ অনেকেই মুয়াবীয়ার জঘন্য হত্যার শিকার । মুয়াবীয়া তার রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কত জনকে যে গুপ্ত হত্যা করিয়েছে তার কোন সঠিক হিসাব নাই ।
১১) –
মহানবীর (সাঃ) আশেক হযরত উয়ায়েস করণীকেও (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে প্রাণ দিতে হয় মুয়াবীয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই ।
১২) –
হযরত ওসমান হত্যার পিছনেও বর্ণচোরা মুয়াবীয়ার হাত ছিল । তাই সে ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্রাট হবার পরেও হযরত ওসমান হত্যার কোন বিচার করে নাই ।
১৩) –
মুসলিম বাহিনীর লাশ হতে মস্তক বিছিন্ন এবং তা শহরে প্রর্দশন চালুকরন ।
১৪) –
মিথ্যা হাদিস তৈরী , প্রচারকরনের মহা ব্যবস্থাকরন ।
১৫) –
রাসুলের (সাঃ) হাদিস “সম্মানীত স্বামীর জন্য সন্তান এবং বেশ্যার জন্য কিছুই না” এর বিপরীতে জিয়াদকে ভাই হিসেবে ঘোষনা প্রদান ।
১৬) –
প্রাদেশিক শাসকদের অন্যায় কাজের বিরুদ্বে ব্যবস্থা না নেওয়া ।
১৭) –
দাড়িয়ে খুৎবা প্রদানের বদলে বসে খুৎবা প্রদান ।
১৮) –
ঈদের নামাজে আযান প্রথা চালু করা ।
১৯) –
রেশমী বস্ত্র পরিধান করা ।
২০) –
নবীজীর (সাঃ) আমলের ফেৎরা প্রথার পরির্বতন করা
২১) –
বায়তুল মালকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরিগনিত করা ।
সুপ্রিয় পাঠক ,
প্রসঙ্গক্রমে আরও জেনে নিন যে , মুয়াবীয়ার সঠিক কোন পিতৃপরিচয় নাই ।
কারন তার মা তাকে পেটে ধরা অবস্থায় আবু সুফিয়ানের সাথে ঘর-সংসার শুরু করে । আর বিবাহের পূর্বে হিন্দা যখন পতিতালয় পরিচালনা করত তখনই মুয়াবীয়া তার পেটে এসেছিল ।
ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় যে , মুয়াবীয়ার জন্মদাত্রী জননী হিন্দা বিনতে আতবা তৎকালীন সময় কুখ্যাত বেশ্যা ছিল । সেসময় মক্কার সবথেকে বড় বেশ্যাপল্লীর প্রধান পরিচালিকা ছিল !
বলা হয় মুয়াবীয়া চারজনের সন্তান ছিল । অর্থাৎ মুয়াবীয়ার সম্ভাব্য পিতা ছিল চারজন —
১) আমারা বিন অলীদ মখজুমী
২) মুসাফির বিন আমর
৩) আবু সুফিয়ান
৪) আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব !
যেহেতু হিন্দা বহু ঘাটের পানি পান করেছিল তাই মুয়াবীয়ার প্রকৃত পিতা নির্ধারন করা অসম্ভব একটি বিষয় ।
সূত্র – বইয়ের নাম – *উমাইয়া খেলাফত পৃষ্ঠা-৯* ভারতের কলিকাতার সবার পরিচিত লেখক – ডক্টর ওসমান গনী , এম এ, পিএইচডি, ডিলিট ,
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক – ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ,
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় , কলিকাতা / সিবত ইবনে জুজি তাজকেরা নামক পুস্তক পৃ-১১৬ ।
অতএব মূয়াবীয়া যে কোন পুরুষের রাসায়ানিক বিক্রীয়ায় হিন্দার গর্ভে এসেছিল খোদ হিন্দাও তা জানত না ।
সুপ্রিয় পাঠক ,
দয়া করে ইতিহাস জানুন । এখানে শীয়া বা সুন্নি বিবেচ্য নয় । নিরপেক্ষ চোখ দিয়ে ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করুন ।
— আমরা কি প্রকৃত সুন্নাহ অনুসরন করছি —
লেখক – এম , এ , রহমান ,
পৃষ্ঠা – ১৭৫ , ১৭৬ ।
লা'নাতুল্লাহি আলা কাউমে জালেমিন
…………………নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন
মন্তব্যসমূহ