যে হাদিসের অপব্যাখ্যা করে মুনিফক মুয়াবিয়াকে বিখ্যাত সাহাবী বানানো হয় এবং সরলমনা মুসলমান দেরকে ধোঁকা দেওয়া হয়ঃ= ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকে বলেন, নবী মুহাস্মাদ সঃ বলেন, "তোমরা আমার সাহাবীদের সমালোচনা কর না। আমার সাহাবীরা আকাশের নক্ষত্র তুল্য।" এবার আসুন জেনে নিই সাহাবী কাকে বলে? আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা, যারা নবী সাঃ কে সরাসরি দেখেছে এবং ইসলাম ধর্ম কবুল করছে তাদেরকে সাহাবী বলে। মূলত এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়, ভিত্তিহিন তথ্য। সাহাবী মানে অনুসারি, সঙ্গী, Follower, Comrade. যারা নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর অনুসারি ছিলেন, তাঁকে দেখেছেন, অনুসরন করেছেন,নবী সাঃ এর নেতৃত্বে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন তারা নবী সাঃ এর সাহাবী । এই সুত্রে যারা নবী ইব্রাহীম আঃ এর সঙ্গী ছিলেন তারা নবী ইব্রাহীম আঃ এর সাহাবী ছিলেন । নবীজি সাঃ এর সাহাবী বলতে যারা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত নবী সঃ এবং তার আহলে বায়াতের উপর পূর্ণ আস্থার সহিত দাসত্ব করছেন, মূলত তারাই হলো নবীজি সাঃ এর সাহাবী। যিনি নবী সঃ এবং তাঁর আহলে বায়াত অর্থাৎ মাওলা আলী আঃ , মা ফাতেমা রাঃ এবং মাওলা ইমাম হাসান রাঃ ও হোসাইন রাঃ কে জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবেসছেন এবং তাঁদের কদমে নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করছেন তাঁরাই হলো সাহাবী। সাহাবীর সংজ্ঞা মূলত ব্যাপক, লিখতে গেলে একটি বড় আকারের কিতাব হয়ে যাবে। হযরত আবু বকর যখন খলিফা ছিলেন, তখন একশ্রেণীর নামদারী সাহাবীরা যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন আবু বকর এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বহু নামদারী সাহাবীকে হত্যা করে। তারপর হযরত ওমর ও উসমান যখন খলিফা হয়, তখন বিভিন্ন নামদারী সাহাবীকে অপরাধের জন্য শাস্তি ও হত্যা করে। কেউ চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করে, এরা কিন্তু সবাই নামধারী সাহাবী ছিল। নবী সঃ যখন মদীনার বাদশাহ ছিলেন, তখনও বিভিন্ন সাহাবী অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করত। একবার নবী সঃ গণিমতের মাল বন্টন করার সময়, এক সাহাবী বলে ওঠে হে নবী ! আমার প্রতি ইনসাফ করুন এবং আমাকে ঠকাবেন না। তখন নবী সঃ তাকে ধিক্কার জানিয়েছিল। আবু বকর, ওমর ও উসমান যখন নামদারী সাহাবীদেরকে হত্যা করেছে, তখন আমরা সমস্বরে চিৎকার করে বলি ঠিক কাজ করেছে। কারণ কতগুলো মুনাফেক সাহাবীকে হত্যা করেছে। আচ্ছা মেনে নিলাম,খুবই যুক্তি সঙ্গত কথা। মাওলা আলী আঃ এর হত্যাকারী মুলজিম ছিল একজন কুরআনের হাফেজ নামদারী বিশ্বাস ঘাতক সাহাবী নামের ভন্ড । এখন আমি কি তাকেও সাহাবী হিসাবে মেনে নিয়ে আকাশের নক্ষত্র তুল্য মনে করব? নাকি তাকে বেইমান মুনাফেক সাহাবী মনে করব? অথচ নবী সঃ মাওলা আলী আঃ সম্বন্ধে বলছেন, " আমি যার মাওলা আলী তাঁর মাওলা। মুমিন ব্যক্তি আলী আঃ এর বিদ্বেষ পোষণ করবে না এবং মুনাফেক কখনো আলী আঃ কে ভালোবাসবে না। যে ব্যক্তি আলী আঃ কে ভালোবাসে, সে আমাকে ভালোবাসে এবং যে আলী আঃ এর সাথে শক্রতা করে, সে আমার শক্র।" এইরকম আরো অসংখ্য হাদিস রয়েছে। এবার আসি মূল প্রসঙ্গে। অথচ মুনাফেক মুয়াবিয়া লাঃ সিফফিনের যুদ্ধে সরাসরি মাওলা আলী আঃ এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবীকে হত্যা করে। তারমধ্যে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী পাগলা রহঃ সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। মূলত মুনাফিক মুয়াবিয়া মাওলা আলী আঃ কে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই যুদ্ধ করে। আচ্ছা মাওলা আলী আঃ এর সাথে যুদ্ধ করার নাম কি শক্রতা? নাকি বন্ধুত্ব করা? যদি বলেন বন্ধুত্ব করা, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আর যদি বলেন শক্রতা করা, তাহলে বলব মুয়াবিয়া লাঃ মুনাফেক নিশ্চয়ই । নবী সঃ বলেন, যে আলী আঃ এর শক্র সে আমার শক্র। এখন বলুন নবী সঃ এর শক্র কিভাবে সাহাবী হতে পারে? এই অমোঘ সত্য কথাটি আপনাদের হৃদয়ে কবে নাড়া দিবে, আমি তা জানি না। শুধু এইটুকুই জানি, আপনারা আহলে বায়াতের দুশমন ভন্ড পীরের খপ্পরে পড়ে অন্ধ বিবেকহীন হয়ে গেছেন। হৃদয়ের উপলব্ধি আপনাদের শুকনো মরুভূমি হয়ে গেছে। আবার দেখুন পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা নিসা আয়াত নং ৪ঃ৯৩ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেন, " যে একজন মুমিন বান্দাকে হত্যা করে, সে চির জাহান্নামী এবং অভিশপ্ত।" এখন আপনার কি মনে হয়, মাওলা আলী আঃ এর পক্ষের হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবী তারা কেউ মুমিন ছিল না? যাদেরকে মুনাফিক মুয়াবিয়া লাঃ সিফফিনের যুদ্ধে হত্যা করেছিল। আচ্ছা দাদা ভাই, সাহাবী হত্যাকারীর নাম কি সাহাবী হতে পারে? একটু হৃদয় দিয়ে বিশ্লেষণ করুন, তাহলে উত্তর আপনার শুদ্ধ বিবেক ঠিকই দিয়ে দিবে। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, শুধু তর্কে জিতার জন্য এবং ভন্ড পীরের খপ্পরে পড়ে পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদিস অনায়াসে অস্বীকার করছেন। আর আহলে বায়াতের চরম দুশমনে পরিণত হচ্ছেন। এখনো কিন্তু সময় ফুরিয়ে যায়নি আপনার। একবার তওবা করে ফিরে আসুন আহলে বায়াতের পথে। গোলক ধাঁধাঁয় আর কতকাল পড়ে থাকবেন, এবার একটু সত্যের সন্ধান করুন। আমরা অবশ্যই সাহাবীদেরকে সম্মান করি এবং ভালোবাসি।তবে কোন আহলে বায়াতের দুশমন মুনাফেক সাহাবীকে নয়। আহলে বায়াতের দুশমনকে আমরা নর্দমার কীটের চেয়েও নিকৃষ্ট জানি। আর সাহাবী তো দুরের কথা। সাহাবীরা অবশ্যই আকাশের নক্ষত্র তুল্য। যেমন ছিলেন সালমান ফারসি, আবু জর গিফরী ও আব্বাস রাঃ ইত্যাদি সাহাবী। যারা আমার আহলে বায়াতকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন এবং জীবন যৌবন আহলে বায়াতের কদমে উৎসর্গ করেছিলেন। এদেরকে আমরা শুধু আকাশের নক্ষত্র তুল্য নয় বরং আমাদের মাথার তাজ মনে করি এবং হৃদয়ের মনি কুঠায় স্থান দিয়েছি। সাহাবীদেরকে সমালোচনা করব, এমন সাধ্য আমাদের নাই। কিন্তু মুনাফিক মুয়াবিয়া লাঃ দের মত ছদ্মবেশি বেইমানদের কেমনে সাহাবা বলি? সাহাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিই? তার চরিত্রের নোংরামি বিশ্লেষন করলে, তুলে ধরলে যদি সমালোচনা হয় তবে আমরা কি করবো? কুরআনের নির্দেশ দ্বীরের ক্ষেত্রে সত্যটি জানিয়ে দেয়া, পৌঁছিয়ে দেয়া দায়িত্বঃ ১৬ঃ৮২/ ৩ঃ২০/ ৫ঃ৯২/৯৯/১৩ঃ৪০/২৪ঃ৫৪/ ২৯ঃ১৮/ ৩৬ঃ১৭/ ৪২ঃ৪৮/৬৪ঃ১২/৭২ঃ২৮/৮০ঃ১-১১।কারবালা প্রান্তরে খুনি এজিদ লাঃ সরাসরি যুদ্ধ করেননি, শুধু হুকুম দিয়েছিল মাওলা ইমাম হোসাইন রাঃ কে হত্যা করতে। আর মুয়াবিয়া লাঃ সরাসরি মাওলা আলী আঃ এর বিপক্ষে সিফফিনের যুদ্ধ করেছিল। আচ্ছা সেদিন সিফফিনের যুদ্ধে যদি মাওলা আলী আঃ শহীদ হতেন, তাহলে মুয়াবিয়াকে কি বলতেন? তারপরও কি মুয়াবিয়াকে সাহাবী বলতেন? আচ্ছা আপনি যদি সিফফিনের যুদ্ধে থাকতেন, তাহলে সেদিন আপনি কার পক্ষে যুদ্ধ করতেন? মাওলা আলী আঃ এর পক্ষে! নাকি মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে! যদি বলেন মাওলা আলী আঃ এর পক্ষে হয়ে মুয়াবিয়া লাঃ এর বিপক্ষে যুদ্ধ করতেন, তাহলে আজ কেনো মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে সাফাই গাইছেন? তারা কারা? তাদের পরিচয় কি হবে? আর যদি বলেন, মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষ নিয়ে মাওলা আলী আঃ এর বিপক্ষে যুদ্ধ করতেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আজ যারা মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে সাফাই গাইছেন আপনারা নিশ্চিত থাকুন, সেদিন আপনারা সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলী আঃ এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতেন। ইস! সেদিন কারবালা প্রান্তরে মাওলা ইমাম হোসাইন রাঃ যদি শহীদ না হতো, তাহলে আজ আপনারা এজিদ লাঃ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন। তখন সেই মুয়াবিয়া লাঃ এর মতো একই ফতোয়া দিতেন। এই যে শুনছেন,আমি কিন্তু ওহাবী ও আহলে হাদিসের লোকজনকে বলছি না। আমি কথাগুলো নামদারী সুফিবাদের অনুসারীদেরকে বলছি। আপনাদেরকে দোহাই দিয়ে বলছি, আর আহলে বায়াতের নাম বিক্রি করে পাক পাঞ্জাতনকে অপমান করবেন না। আপনাদের চেয়ে ওহাবী এবং আহলে হাদিসের লোকজন শতগুণ মন্দের ভালো। কারণ তারা সরাসরি পাক পাঞ্জাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু আপনাদের মতো পাক পাঞ্জাতনের নাম বিক্রি করে খায় না। তারা যদি কাফের হয়, তাহলে আপনারা মুনাফেক। তাই বলি কাফেরের চেয়ে মুনাফেক জঘন্য। শুনুন মানুষ কিন্তু এখন অনেক সচেতন, আপনাদের ভন্ডামি পীরগিরী সবাই ধরে ফেলবে। কারণ সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেওয়া যায় না। আজ হোক কাল হোক মানুষ আপনাদেরকে ধিক্কার জানাবেই। এখনো সময় আছে আহলে বায়াতকে ভালোবেসে সঠিক সুফিবাদে ফিরে আসুন। কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন। জয় পাক পাঞ্জাতনের জয়। মাওলা আলী আঃ আপনার কদমে ঠাঁই চায় অধমে। ০৭--০৯--২০২০ খ্রীঃ।
যে হাদিসের অপব্যাখ্যা করে মুনিফক মুয়াবিয়াকে বিখ্যাত সাহাবী বানানো হয় এবং সরলমনা মুসলমান দেরকে ধোঁকা দেওয়া হয়ঃ=
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকে বলেন, নবী মুহাস্মাদ সঃ বলেন,
"তোমরা আমার সাহাবীদের সমালোচনা কর না। আমার সাহাবীরা আকাশের নক্ষত্র তুল্য।"
এবার আসুন জেনে নিই সাহাবী কাকে বলে?
আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা, যারা নবী সাঃ কে সরাসরি দেখেছে এবং ইসলাম ধর্ম কবুল করছে তাদেরকে সাহাবী বলে। মূলত এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়, ভিত্তিহিন তথ্য। সাহাবী মানে অনুসারি, সঙ্গী, Follower, Comrade. যারা নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর অনুসারি ছিলেন, তাঁকে দেখেছেন, অনুসরন করেছেন,নবী সাঃ এর নেতৃত্বে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছেন তারা নবী সাঃ এর সাহাবী । এই সুত্রে যারা নবী ইব্রাহীম আঃ এর সঙ্গী ছিলেন তারা নবী ইব্রাহীম আঃ এর সাহাবী ছিলেন । নবীজি সাঃ এর সাহাবী বলতে যারা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্ত নবী সঃ এবং তার আহলে বায়াতের উপর পূর্ণ আস্থার সহিত দাসত্ব করছেন, মূলত তারাই হলো নবীজি সাঃ এর সাহাবী। যিনি নবী সঃ এবং তাঁর আহলে বায়াত অর্থাৎ মাওলা আলী আঃ , মা ফাতেমা রাঃ এবং মাওলা ইমাম হাসান রাঃ ও হোসাইন রাঃ কে জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবেসছেন এবং তাঁদের কদমে নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করছেন তাঁরাই হলো সাহাবী। সাহাবীর সংজ্ঞা মূলত ব্যাপক, লিখতে গেলে একটি বড় আকারের কিতাব হয়ে যাবে।
হযরত আবু বকর যখন খলিফা ছিলেন, তখন একশ্রেণীর নামদারী সাহাবীরা যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন আবু বকর এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বহু নামদারী সাহাবীকে হত্যা করে। তারপর হযরত ওমর ও উসমান যখন খলিফা হয়, তখন বিভিন্ন নামদারী সাহাবীকে অপরাধের জন্য শাস্তি ও হত্যা করে। কেউ চুরি, ডাকাতি, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করে, এরা কিন্তু সবাই নামধারী সাহাবী ছিল। নবী সঃ যখন মদীনার বাদশাহ ছিলেন, তখনও বিভিন্ন সাহাবী অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করত। একবার নবী সঃ গণিমতের মাল বন্টন করার সময়, এক সাহাবী বলে ওঠে হে নবী ! আমার প্রতি ইনসাফ করুন এবং আমাকে ঠকাবেন না। তখন নবী সঃ তাকে ধিক্কার জানিয়েছিল। আবু বকর, ওমর ও উসমান যখন নামদারী সাহাবীদেরকে হত্যা করেছে, তখন আমরা সমস্বরে চিৎকার করে বলি ঠিক কাজ করেছে। কারণ কতগুলো মুনাফেক সাহাবীকে হত্যা করেছে। আচ্ছা মেনে নিলাম,খুবই যুক্তি সঙ্গত কথা।
মাওলা আলী আঃ এর হত্যাকারী মুলজিম ছিল একজন কুরআনের হাফেজ নামদারী বিশ্বাস ঘাতক সাহাবী নামের ভন্ড । এখন আমি কি তাকেও সাহাবী হিসাবে মেনে নিয়ে আকাশের নক্ষত্র তুল্য মনে করব? নাকি তাকে বেইমান মুনাফেক সাহাবী মনে করব?
অথচ নবী সঃ মাওলা আলী আঃ সম্বন্ধে বলছেন, " আমি যার মাওলা আলী তাঁর মাওলা। মুমিন ব্যক্তি আলী আঃ এর বিদ্বেষ পোষণ করবে না এবং মুনাফেক কখনো আলী আঃ কে ভালোবাসবে না। যে ব্যক্তি আলী আঃ কে ভালোবাসে, সে আমাকে ভালোবাসে এবং যে আলী আঃ এর সাথে শক্রতা করে, সে আমার শক্র।" এইরকম আরো অসংখ্য হাদিস রয়েছে। এবার আসি মূল প্রসঙ্গে।
অথচ মুনাফেক মুয়াবিয়া লাঃ সিফফিনের যুদ্ধে সরাসরি মাওলা আলী আঃ এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবীকে হত্যা করে। তারমধ্যে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী পাগলা রহঃ সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। মূলত মুনাফিক মুয়াবিয়া মাওলা আলী আঃ কে কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই যুদ্ধ করে।
আচ্ছা মাওলা আলী আঃ এর সাথে যুদ্ধ করার নাম কি শক্রতা? নাকি বন্ধুত্ব করা? যদি বলেন বন্ধুত্ব করা, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আর যদি বলেন শক্রতা করা, তাহলে বলব মুয়াবিয়া লাঃ মুনাফেক নিশ্চয়ই । নবী সঃ বলেন, যে আলী আঃ এর শক্র সে আমার শক্র। এখন বলুন নবী সঃ এর শক্র কিভাবে সাহাবী হতে পারে? এই অমোঘ সত্য কথাটি আপনাদের হৃদয়ে কবে নাড়া দিবে, আমি তা জানি না।
শুধু এইটুকুই জানি, আপনারা আহলে বায়াতের দুশমন ভন্ড পীরের খপ্পরে পড়ে অন্ধ বিবেকহীন হয়ে গেছেন। হৃদয়ের উপলব্ধি আপনাদের শুকনো মরুভূমি হয়ে গেছে।
আবার দেখুন পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা নিসা আয়াত নং ৪ঃ৯৩ আয়াতে সুস্পষ্টভাবে আল্লাহ বলেন, " যে একজন মুমিন বান্দাকে হত্যা করে, সে চির জাহান্নামী এবং অভিশপ্ত।"
এখন আপনার কি মনে হয়, মাওলা আলী আঃ এর পক্ষের হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবী তারা কেউ মুমিন ছিল না? যাদেরকে মুনাফিক মুয়াবিয়া লাঃ সিফফিনের যুদ্ধে হত্যা করেছিল। আচ্ছা দাদা ভাই, সাহাবী হত্যাকারীর নাম কি সাহাবী হতে পারে? একটু হৃদয় দিয়ে বিশ্লেষণ করুন, তাহলে উত্তর আপনার শুদ্ধ বিবেক ঠিকই দিয়ে দিবে। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, শুধু তর্কে জিতার জন্য এবং ভন্ড পীরের খপ্পরে পড়ে পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদিস অনায়াসে অস্বীকার করছেন। আর আহলে বায়াতের চরম দুশমনে পরিণত হচ্ছেন। এখনো কিন্তু সময় ফুরিয়ে যায়নি আপনার। একবার তওবা করে ফিরে আসুন আহলে বায়াতের পথে। গোলক ধাঁধাঁয় আর কতকাল পড়ে থাকবেন, এবার একটু সত্যের সন্ধান করুন। আমরা অবশ্যই সাহাবীদেরকে সম্মান করি এবং ভালোবাসি।তবে কোন আহলে বায়াতের দুশমন মুনাফেক সাহাবীকে নয়। আহলে বায়াতের দুশমনকে আমরা নর্দমার কীটের চেয়েও নিকৃষ্ট জানি। আর সাহাবী তো দুরের কথা। সাহাবীরা অবশ্যই আকাশের নক্ষত্র তুল্য। যেমন ছিলেন সালমান ফারসি, আবু জর গিফরী ও আব্বাস রাঃ ইত্যাদি সাহাবী। যারা আমার আহলে বায়াতকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন এবং জীবন যৌবন আহলে বায়াতের কদমে উৎসর্গ করেছিলেন। এদেরকে আমরা শুধু আকাশের নক্ষত্র তুল্য নয় বরং আমাদের মাথার তাজ মনে করি এবং হৃদয়ের মনি কুঠায় স্থান দিয়েছি। সাহাবীদেরকে সমালোচনা করব, এমন সাধ্য আমাদের নাই। কিন্তু মুনাফিক মুয়াবিয়া লাঃ দের মত ছদ্মবেশি বেইমানদের কেমনে সাহাবা বলি? সাহাবা হিসেবে স্বীকৃতি দিই? তার চরিত্রের নোংরামি বিশ্লেষন করলে, তুলে ধরলে যদি সমালোচনা হয় তবে আমরা কি করবো? কুরআনের নির্দেশ দ্বীরের ক্ষেত্রে সত্যটি জানিয়ে দেয়া, পৌঁছিয়ে দেয়া দায়িত্বঃ ১৬ঃ৮২/ ৩ঃ২০/ ৫ঃ৯২/৯৯/১৩ঃ৪০/২৪ঃ৫৪/ ২৯ঃ১৮/ ৩৬ঃ১৭/ ৪২ঃ৪৮/৬৪ঃ১২/৭২ঃ২৮/৮০ঃ১-১১।
কারবালা প্রান্তরে খুনি এজিদ লাঃ সরাসরি যুদ্ধ করেননি, শুধু হুকুম দিয়েছিল মাওলা ইমাম হোসাইন রাঃ কে হত্যা করতে। আর মুয়াবিয়া লাঃ সরাসরি মাওলা আলী আঃ এর বিপক্ষে সিফফিনের যুদ্ধ করেছিল। আচ্ছা সেদিন সিফফিনের যুদ্ধে যদি মাওলা আলী আঃ শহীদ হতেন, তাহলে মুয়াবিয়াকে কি বলতেন? তারপরও কি মুয়াবিয়াকে সাহাবী বলতেন? আচ্ছা আপনি যদি সিফফিনের যুদ্ধে থাকতেন, তাহলে সেদিন আপনি কার পক্ষে যুদ্ধ করতেন? মাওলা আলী আঃ এর পক্ষে! নাকি মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে! যদি বলেন মাওলা আলী আঃ এর পক্ষে হয়ে মুয়াবিয়া লাঃ এর বিপক্ষে যুদ্ধ করতেন, তাহলে আজ কেনো মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে সাফাই গাইছেন? তারা কারা? তাদের পরিচয় কি হবে? আর যদি বলেন, মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষ নিয়ে মাওলা আলী আঃ এর বিপক্ষে যুদ্ধ করতেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আজ যারা মুয়াবিয়া লাঃ এর পক্ষে সাফাই গাইছেন আপনারা নিশ্চিত থাকুন, সেদিন আপনারা সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলী আঃ এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতেন। ইস! সেদিন কারবালা প্রান্তরে মাওলা ইমাম হোসাইন রাঃ যদি শহীদ না হতো, তাহলে আজ আপনারা এজিদ লাঃ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতেন। তখন সেই মুয়াবিয়া লাঃ এর মতো একই ফতোয়া দিতেন। এই যে শুনছেন,আমি কিন্তু ওহাবী ও আহলে হাদিসের লোকজনকে বলছি না। আমি কথাগুলো নামদারী সুফিবাদের অনুসারীদেরকে বলছি। আপনাদেরকে দোহাই দিয়ে বলছি, আর আহলে বায়াতের নাম বিক্রি করে পাক পাঞ্জাতনকে অপমান করবেন না। আপনাদের চেয়ে ওহাবী এবং আহলে হাদিসের লোকজন শতগুণ মন্দের ভালো। কারণ তারা সরাসরি পাক পাঞ্জাতনের বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু আপনাদের মতো পাক পাঞ্জাতনের নাম বিক্রি করে খায় না। তারা যদি কাফের হয়, তাহলে আপনারা মুনাফেক। তাই বলি কাফেরের চেয়ে মুনাফেক জঘন্য। শুনুন মানুষ কিন্তু এখন অনেক সচেতন, আপনাদের ভন্ডামি পীরগিরী সবাই ধরে ফেলবে। কারণ সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেওয়া যায় না। আজ হোক কাল হোক মানুষ আপনাদেরকে ধিক্কার জানাবেই। এখনো সময় আছে আহলে বায়াতকে ভালোবেসে সঠিক সুফিবাদে ফিরে আসুন। কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন। জয় পাক পাঞ্জাতনের জয়। মাওলা আলী আঃ আপনার কদমে ঠাঁই চায় অধমে।
০৭--০৯--২০২০ খ্রীঃ।
মন্তব্যসমূহ