আল্লাহ পাক স্বয়ং মোয়াবিয়াকে জাহান্নামী বলছে। আমার কিছু করার নাই। ধারাবাহিক পোস্ট নং ০১+২ পর্ব । ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦কারবালা প্রান্তরের ঐতিহাসিক পটভূমি। সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪ঃ ৯৩وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدًا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمًاউচ্চারণঃ ওয়া মাইঁ ইয়াকতুলমু’মিনাম মুতা‘আম্মিদান ফাজাঝাউহূজাহান্নামুখা-লিদান ফীহা-ওয়া গাদিবাল্লা-হু ‘আললইহি ওয়া লা‘আনাহু ওয়া আ‘আদ্দাল্লাহু ‘আযা-বান ‘আজীমা-। অর্থ: "যে ব্যাক্তি জ্ঞাতসারে মোমিন কে হত্যা করে তাহার পুরষ্কার জাহান্নাম, ঊহাতে সে স্থায়ী হইয়া থাকিবে এবং তাহার উপরে আল্লাহর গজব ও লানত, এবং তাহার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত করিয়াছেন৷"এবার আপনি ই সিদ্ধান্ত নেন কোরআন মানবেন নাকি মুয়াবিয়াকে ভালবেসে যাবেন।কারণ মোয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর পক্ষের হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবীদেরকে হত্যা করেছে। তাছাড়া সে এই যুদ্ধে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী রাঃ কে হত্যা করে। আর তারা সবাই ছিলেন প্রথম শ্রেণীর মুমিন। এবার আপনার বিচার বুদ্ধি দিয়ে বুঝে নিন। মোয়াবিয়া কতোবড় নিকৃষ্ট মোনাফেক ছিলো। এরপরও যদি কেউ মোয়াবিয়াকে সাহাবী বলে, আপনি ধরে নিবে সে পবিত্র কুরআন শরীফ অস্বীকারকারী এবং পাক পান্জাতনের চিরশত্রু। এদের সাথে আপনি কোন সম্পর্ক রাখবেন না। তাহলে আপনি কখনো ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারবেন না। যেকোনো আহলে বায়াত প্রেমিক এই পোস্ট কপি করার পূর্ণ অধিকার রাখেন ।♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦স্বয়ং রাসূল পাক সঃ মোয়াবিয়াকে মোনাফেক বলেছে। বিস্তারিত পড়ুন। ( ধারাবাহিক পর্ব নং২ । ♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦কারবালা প্রান্তরের ঐতিহাসিক পটভূমি। ইতিহাসের সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক মাবিয়ার বংশ পরিচয় এবং মাবিয়ার ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ। এই মাবিয়া হলো নরপিশাচ কাফের এজিদের পিতা। এই মাবিয়া এজিদকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কে এই মাবিয়ামাবিয়ার পরিচয় দিতে গিয়ে " খিলাফতের ইতিহাস " নামক গ্রন্হের লেখক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, আমির মাবিয়া হযরত রাসূল পাক (সঃ) এর মুখোশধারী সাহাবী ছিলেন। তার পুরো বংশ রাসূল পাক সঃ এর সবচেয়ে বড় দুশমন ছিলেন এবং অবশেষে নিরুপায় হয়ে মক্কা বিজয়ের পর মুসলমানদের চরম ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে মাবিয়া এবং তার বংশধরেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। রাসূল পাক সঃ এর প্রবলতম ঘোর শক্রু কুরাইশ দলপতি নরপিশাচ আবু সুফিয়ান তার পিতা ছিলেন। যিনি রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। রাসূল পাক সঃ কে হত্যা করতে সর্ব ক্ষণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকত। এমন কোন অপরাধ নাই যে, সে রাসূল পাক সঃ এর সাথে করার চেষ্টা করে নাই। যখন দেখল রাসূল পাক সঃ এর কোন ক্ষতি করতে সক্ষম নয়, তখন দুরভিসন্ধি নিয়ে মক্কা বিজয়ের পর তার সন্তান মাবিয়াকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যাতে মুসলমানদের ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করা যায়। এই ধরণের চরম মোনাফেকি উদ্দেশ্য নিয়ে মুসলমানদের ভিতরে ঢুকে পড়ে। মাবিয়ার মাতার নাম ছিল হেন্দা। যিনি ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নিকৃষ্ট নারী হিসাবে পরিচিত। এই নরপিশাচ নারী রাসূল পাক সঃ এর আপন চাচা হামজা রাঃ এর কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিল এবং হামজা রাঃ এর শরীর মোবারক টুকরো টুকরো করে কেটে গলায় মালা পরেছিল। এই সেই নারী যিনি প্রতিটি যুদ্ধে কাফেরদেরকে উৎসাহ প্রদান করত। তার ভাই, পিতা -মাতা এবং বংশধরেরা রাসূল পাক সঃ এর ঘোরতর শক্রু ছিল। এই নরপিশাচ হেন্দার ভাই এবং পিতা বদরের যুদ্ধে মারা যায়। আর হেন্দার এই ভাই ও পিতাকে বদর যুদ্ধে হামজা রাঃ হত্যা করে। তাই হেন্দা প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য ওহুদের যুদ্ধে হামজা রাঃ এর কলিজা চিবিয়ে খায় এবং তার শরীর মোবারক টুকরো টুকরো করে কেটে গলায় মালা পরে। মাবিয়ার দাদা ছিলেন উমাইয়া। এই উমাইয়া নরপিশাচ হযরত বিল্লাহ রাঃ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করেন। আর এই উমাইয়া নামানুসারে মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে দাদার নামে উমাইয়া মুসলিম খিলাফত চালু করেন। আর এই উমাইয়া খিলাফত শাসনামল ছিল দীর্ঘ ৮৯ বছর। আচ্ছা বলুন তো একজন বিধর্মী কাফেরের নামে কি মুসলিম খিলাফত হতে পারে। আমার রাসূল পাক সঃ কে চরমভাবে হেয়পতিপন্ন এবং অপমান করার জন্য মাবিয়া ও তার নরপিশাচ ছেলে এজিদ এই কাজটি করেছিল। রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে স্হাপন করল নরপিশাচ উমাইয়ার নাম। যা আজও ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে।প্রথম দিকে মাবিয়া একজন সামান্য সৈনিক, পরে একজন ক্ষুদ্র সেনাপতি ছিলেন। তারপর ক্ষমতার লোভে হযরত আলী রাঃ এর সাথে বিদ্রোহী হয়ে শিফফিনের যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এই যুদ্ধের মাধ্যমে মাবিয়া কৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক ক্ষমতাবান হন। পরবর্তীতে মাবিয়া খারেজিদের দ্বারা মাওলা আলীকে গুপ্ত হত্যা করে মুসলিম খিলাফতের খলিফা নিযুক্ত হন। আবু সুফিয়ান জীবিত থাকলে দেখতে পারতেন, রাসূল পাক সঃ এর যে সকল কাজের বিরোধিতা তিনি সর্বদা করতেন, সেই সকল কাজের বিরোধিতা করে মাবিয়া মুসলিম খিলাফতের বাদশাহ হন। মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর একজন নামধারী সাহবী হলেও, রাসূল পাক সঃ এর সঙ্গ তিনি পাননি। কারণ রাসূল পাক সঃ মক্কা বিজয় করে আবার মদিনায় চলে যায়। আর মাবিয়া মক্কায় থেকে যায়। হযরত রাসূল পাক সঃ হযরত আলী রাঃ সমন্ধে যা বলেন, " যে ব্যক্তি আমার আলীকে গালি দিল, সে যেন আমাকে গালি দিল "। ( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৫)। " হে আল্লাহ ! আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু। হে আল্লাহ ! যে আলীকে ভালবাসবে তুমি তাকে ভালবাসিও, যে আলীর শক্রু হবে তুমি তার শক্রু হইও "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৫ )। " মোনাফেক ব্যক্তিই আলীকে ভালবাসবে না এবং মু'মেন ব্যক্তি আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে না "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৪ )। " আমি জ্ঞানের শহর এবং আলী তার দরজা "। ( শরহে ফিকহে আকবার, পৃষ্ঠা নং ১১২ )। " দুনিয়ার ধন-সম্পদের মধ্যে আমার জন্য দুইটি ( ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন ) স্বর্গীয় ফুলস্বরুপ "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৯ )। " আমি যার মাওলা, হযরত আলী তার মাওলা "। ( বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৮০। রাহমানিয়া লাইব্রেরি, ঢাকা। )। হযরত আলী রাঃ বলেন, " কোন মুমেন ব্যক্তির হৃদয়ে আমার এবং মাবিয়ার ভালবাসা একসাথে থাকতে পারে না "। ( মাওলার অভিষেক, সদর উদ্দিন চিশতি )। সুতরাং হযরত আলী রাঃ এর সাথে বিরোধিতা করা মানে রাসূল পাক সঃ এর সাথে বিরোধিতা করা। আর রাসূল পাক সঃ এর সাথে বিরোধিতা করা মানে স্বয়ং আল্লাহর সাথে বিরোধিতা করা। অথচ দেখা যায় যে, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে চরম বিরোধিতা করেছেন। শিফফিন নামক যুদ্ধ তার জলন্ত প্রমাণ। আসলে মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর রেখে যাওয়া ধর্মকে ধবংস করতে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই এই বিরোধিতা করছেন।মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক কর্ণেল অসবর্ন বলেন, " বিচক্ষণহীন, অবিবেকী ও নির্মম উমাইয়া বংশের প্রথম খলিফা তার নিজ স্বার্থ বজায় রাখার জন্য যেকোন অপরাধমূলক কার্য করতে সংকোচ বোধ করত না। প্রবল প্রতিদ্বন্দীকে অপসারণের জন্য হত্যাই ছিল তার চিরাচরিত রীতি। সে ইমাম হাসানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছিল। হযরত আলীর সহকারী মালিক আল আসতারকে অনুরূপ ভাবে হত্যা করেছিল। তার পুত্র এজিদের উত্তরাধিকারী নিরাপদ করবার জন্য মাবিয়া হযরত আলীর একমাত্র জীবিত পুত্র হোসাইনের সাথে প্রদত্ত ওয়াদা ভঙ্গ করতে দ্বিধা করেন নাই "।মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক মুর বলেন, " কোরআন ও হাদিসের আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রথম ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমাধি রচনা করেন মাবিয়া। ধূর্ততা, কপটতা ও অসাধুতার আশ্রয় গ্রহণ করে তিনি ইমাম হাসানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অবমাননা করে মৃত্যুর পূর্বে শুধুমাত্র নিজ অযোগ্য পুত্রকেই মনোনীত করেন নাই, বরং ছলে-বলে ও কৌশলে আরব জাহানের জনসাধারণের আনুগত্য অর্জন করেন "।মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক আমীর আলী বলেন, মাবিয়া ছিলেন ধূর্ত, ধর্ম ভয়হীন, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন, কৃপণ অথচ নিজ স্বার্থে অস্বাভাবিক উদার এবং যাবতীয় ধর্মীয় কাজে লোক দেখানো নিষ্ঠাবান। কিন্তু তার কোন পরিকল্পনা বা আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণতা সাধনে কোন মানবীয় বা ধর্মীয় রীতিনীতিই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারত না "।মাবিয়া বিভিন্ন সময়ে হজরত আলী রাঃ এর প্রতি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। উহুদের যুদ্ধে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। শিফফিনের যুদ্ধে মাবিয়া প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হযরত আলী রাঃ এর কাছ থেকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পায়। শিফফিনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে হঠাৎ মাবিয়াকে দেখে হযরত আলী রাঃ বলে উঠলেন, " মাবিয়া তুমি নিজে যুদ্ধের ময়দানে আসছ না কেন ? তাহলে ব্যাপারটা সহজেই মিমাংসিত হতে পারে "।মাবিয়ার সেনাপতি আমর সম্মান রক্ষার জন্য মাবিয়াকে যুদ্ধে হযরত আলী রাঃ এর মোকাবিলা করবার জন্য উৎসাহিত করলেন। কিন্তু মাবিয়া বললেন, " হযরত আলীর সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে কেউ কোনদিন জীবিত থাকে না "।মাবিয়া প্রায়ই গর্ব করে বলতেন, " আরবীয় রাজাদের মধ্যে আমিই প্রথম রাজা "।মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী রাঃ এর শাহাদাৎ বরণের পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র হযরত ইমাম হাসান রাঃ খলিফা নির্বাচিত হলেন। রাজনীতি এবং কূটনীতি সম্পর্কে ইমাম হাসান রাঃ এর তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাছাড়া ইমাম হাসান রাঃ ছিলেন খুবই শান্তশিষ্ট এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী। সিরিয়া ও মিশরের উচ্চবিলাষী শাসক মাবিয়া খিলাফতের এই দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করলেন। হযরত ইমাম হাসান রাঃ সেনাপতি কায়েসের নেতৃত্বে মাবিয়ার বিরুদ্ধে ১২হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। কায়েস যখন শক্রু পক্ষের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধরত, তখন মাবিয়া ধূর্ততার আশ্রয় নিলেন। মাবিয়া বীর যোদ্ধা কায়েসের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে দিলেন। ফলে ইমাম হাসান রাঃ এর সৈন্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। তখন মাবিয়া এবং ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মাবিয়ার পরে হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ মুসলিম খলিফা হবেন। কিন্তু প্রতারক মাবিয়া ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে নরপিশাচ এজিদকে খলিফা নিযুক্ত করে এবং তার নামে খেলাফতের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সকল প্রাদেশিক গভর্নরের নিকট ফরমান জারি করে। কিন্তু মাবিয়ার এই ফরমান মক্কা ও মদিনা লোক ব্যতীত, সকল প্রদেশের গভর্নররা এজিদকে খলিফা হিসাবে মেনে নিল। রাসূল পাক সঃ বলেন, মোনাফেকের চিহ্ন ৩টি। ১/ কথায় কথায় মিথ্যা বলে। ২/ ওয়াদা ভঙ্গ করে। ৩/ আমানতের খিয়ানত করে। আর এই মোনাফেক কাফেরদের চেয়ে ভয়ংকর। আর মাবিয়া ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে, ইতিহাসে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক হিসাবে পরিচিত। উল্লেখ্য যে, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সময়ও খিলাফত নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু পেরে উঠতে না পারলেও একেবারে পিছবা হননি। তিনি মোক্ষম সুযোগ মনে করে অতি শীঘ্রই ইরাক আক্রমন করলেন। মাবিয়া দীর্ঘ ২০বছর শাসন ক্ষমতায় ছিলেন এবং তার বংশধরেরা দীর্ঘ ৮৯ বছর মুসলিম খলিফা হিসাবে ক্ষমতায় ছিলেন। ( ৬৬১ - ৭৫০) সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। মাবিয়ার দাদার নাম ছিল উমাইয়া। আর এই উমাইয়ের নামে মুসলিম খিলাফত রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয়। হযরত রাসূল পাক সঃ এর নাম চিরতরে মুছে ফেলা হয়। এই উমাইয়া ছিল একজন বিধর্মী কাফের এবং রাসূল পাক সঃ ও ইসলামের একজন বড় দুশমন ছিল। সে বিখ্যাত আশেকে রাসূল হযরত বেলাল রাঃ কে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। উমাইয়া ও তার পুত্র আবু সুফিয়ান রাসূল পাক সঃ এবং ইসলামের বিরোধিতা করে যে ক্ষতি সাধন করেছে, মাবিয়া ও তার পুত্র এজিদের দ্বারা রাসূল পাক সঃ এবং ইসলাম ধর্মের তার চেয়েও অনেক বেশী ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা কোনদিন পূরণ হবার নয়। কারণ উমাইয়া ও তার পুত্র আবু সুফিয়ান রাসূল পাক সঃ বংশের কাউকে হত্যা করতে পারে নাই। কিন্তু মাবিয়া এবং তার পুত্র এজিদ রাসূল পাক সঃ এর পরিবারের সকল সদস্য নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়। তারা হযরত আলী রাঃ, ইমাম হাসান ও হোসাইন রাঃ এবং সন্তানদের সহ সবাইকে কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে। মাবিয়া তার পূর্ব পুরুষদের প্রতিশোধ নিতেই বিধর্মী কাফের উমাইয়ার নামে মুসলিম খিলাফত চালু করে এবং এক নতুন ধর্মের প্রবর্তন ঘটান। যা এজিদি ইসলাম নামে পরিচিত এবং এখনো সারা বিশ্বে বিরাজমান।নরপিশাচ এজিদ কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মদিনা ও মক্কায় আক্রমন করে। এজিদের সৈন্য বাহিনী মদীনার মসজিদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে এবং মদীনাবাসীর উপর চরম নির্যাতন করে এবং শিশুসহ বহু লোককে হত্যা করে। এরপর এজিদের সৈন্য বাহিনী মক্কায় আক্রমন করে ২মাস শহর অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা পবিত্র কাবাগৃহের গিলাফ অগ্নিসংযোগ করে। এই অবরোধ চলাকালে এজিদের মৃত্যু হলে, এজিদের সৈন্য বাহিনীরা মক্কা ছেড়ে দামেস্ক নগরে চলে যায়। যারা মাবিয়াকে সাহাবী মনে করেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন। ১/ মাবিয়া কেন শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ? ২/ মাবিয়া কেন ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করেছিল ? ৩/ মাবিয়া কেন নরপিশাচ কাফের এজিদকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের খলিফা নিযুক্ত করলো ? ৪/ মাবিয়া কেন খারেজিদের দলভুক্ত করল। আর এই খারেজিদের নিয়ে মাবিয়া শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ) এবং ইমাম হাসান (রাঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। ৫/ মাবিয়া কেন শিফফিনের যুদ্ধে শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর পক্ষের শত শত নিরীহ নিষ্পাপ বিখ্যাত সাহাবীদের হত্যা করল। আর এই হত্যার দায়ভার কে নিবে। ৬/ মাবিয়া কেন শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর ওফাতের পর ইমাম হাসান রাঃ কে হটিয়ে নিজে কেন মুসলিম জাহানের খলিফা হলো। মাবিয়া কি ইমাম হাসান রাঃ এর চেয়ে বেশি যোগ্য ছিল ? ৭/ মাবিয়া কেন ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে ইমাম হোসাইন রাঃ এর পরিবর্তে নিজ পুত্র কাফের এজিদকে মুসলিম জাহানের খলিফা নিযুক্ত করল। তাহলে এজিদ কি ইমাম হোসাইন রাঃ এর চেয়ে বেশি যোগ্য ছিল ? ৮/ মাবিয়া কেন শিফফিন যুদ্ধের মাধ্যমে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী (রাঃ) কে হত্যা করলো। ৯/ মাবিয়া কেনো রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে, তার দাদা মূর্তি পূজারী উমাইয়ার নামে উমাইয়া মুসলিম খিলাফত চালু করলো। অথচ রাসূল পাক সঃ বলেছেন, মোনাফেক ব্যক্তি হযরত আলীকে ভালবাসবে না। তাহলে আপনারা বলুন , মাবিয়া কি হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করে শক্রুতা পোষণ করল না ? নিশ্চয়ই মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করে শক্রুতা পোষণ করেছেন। একমাত্র বদ্ধ উন্মাদ পাগল এবং মাবিয়ার অনুসারী ছাড়া সবাই বলবে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে শক্রুতা করেছেন। মাবিয়া যদি হযরত আলী রাঃ কে ভালবাসত, তাহলে কখনোই হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করতে পারত না। আর এই জন্যই রাসূল পাক সঃ বলেছেন, যে হযরত আলীকে ভালবাসবে না, সে মোনাফেক। মূলত মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করেননি বরং স্বয়ং রাসূল পাক সঃ এর সাথে যুদ্ধ করেছেন। মূলত রাসূল পাক সঃ মাবিয়াকে মোনাফেক বলেছেন, আমি কিন্তু বলিনি। আমি শুধুমাত্র তুলে ধরেছি। উপরের হাদিসগুলো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে মাবিয়া সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক ছিল। কারা এই খারেজি ? খারিজ আরবি শব্দ। আর বাংলা অর্থ বাতিল। রাসূল পাক সঃ এর এক ধরনের মোনাফেক সাহাবী ছিল। যারা মক্কা বিজয়ের পর নিরুপায় হয়ে মাবিয়া এবং তার পিতা- মাতার সাথে ইসলাম গ্রহণ করে। এই খারেজি সম্প্রদায় রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে মাবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ান এবং আবু জেহেলের নেতৃত্বে ২৭টি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারা প্রতিবারই পরাজয় বরণ করে। অবশেষে মক্কা বিজয়ের পর তারা চিন্তা করল, আমরা তো সারাজীবন ইসলাম ধর্মের বাহিরে থেকে রাসূল পাক সঃ এবং তার পরিবার-পরিজন ও ইসলাম ধর্মের কোন ক্ষতি করতে পারলাম না। এখন দেখি ইসলাম ধর্মের ভিতরে ঢুকে নবী পরিবার ধব্বংস করতে পারি কিনা এবং মুহাম্মদের নাম চিরতরে মুছে ফেলতে পারি কিনা। এই উদ্দেশ্যে নিয়েই তারা সবাই মুসলমান হয়ে গেল। রাসূল পাক সঃ ওফাতের পর তারা প্রচন্ডভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। তারা সর্ব ক্ষণ হযরত আলী রাঃ এর বিরোধিতা করতে লাগল এবং ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ শুরু করল। তারা এমন কোন জগন্য কাজ নাই, যা তারা করল না। আর এদেরকে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ত মাবিয়া। কারণ এরা একসময় মাবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধ করেছিল। অবশেষে হযরত আলী রাঃ এদেরকে ইসলাম ধর্ম থেকে বাতিল এবং বের করে দেন। এই খারজিরা শুধু মাত্র হযরত আবু বকর রাঃ এবং ওমর ফারুক রাঃ মানে। তারা কখনো শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ কে মানে না। বরং তারা বলে হযরত আলী রাঃ খলিফার অযোগ্য। তাই হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে তাদের প্রচন্ড ক্ষোভ ছিল। অবশেষে মাবিয়া এদেরকে দলভুক্ত করেন। পরবর্তীতে মাবিয়ার নির্দেশে এই খারেজিরা শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ কে নামাজরত অবস্থায় নৃশংস ভাবে হত্যা করে এবং মাবিয়া সমগ্র মুসলিম জাহানের অবৈধভাবে খলিফা হয়ে যায়। যারা বলে শিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল হযরত আলী রাঃ এবং মাবিয়ার ভুল বুঝাবুঝির কারণে। হযরত আলী রাঃ ছিলেন সমস্ত ভুলের উর্ধে। জীবনে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নাই। এমন দলিল কেউ দিতে পারবেন না। কারণ রাসূল পাক সঃ ছিলেন জ্ঞানের শহর এবং হযরত আলী রাঃ ছিলেন দরজা। এরা মূলত হযরত আলী রাঃ কে কলংকিত করার জন্য বলে দুজনের ভুল বুঝাবুঝির কারনে শিফফিনের যুদ্ধ হয়েছিল। তাই দুজনই সঠিক। এরা মূলত মাবিয়ার অপরাধ ঢাকার জন্য হযরত আলীকে দোষী বানায়। শিফফিনের যুদ্ধে শত শত বিখ্যাত সাহাবীদেরকে হত্যা করা হয়। তাহলে এই হত্যার দায়ভার কে নিবে। যদি দুজনই সঠিক হয়, তাহলে দুজনকেই হত্যাকারী বলা হবে। দেখেন এরা কত কৌশলে হযরত আলী রাঃ কে হত্যাকারী সাব্যস্ত করল। মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার মনে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল।রাসূল পাক সঃ বলেন, যে হযরত আলীকে কষ্ট দেয়, সে স্বয়ং আমাকে কষ্ট দেয়। তাহলে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, হযরত আলী রাঃ এবং রাসূল পাক সঃ এর মনে কষ্ট দিয়েছিল। আর রাসূল পাক সঃ এর মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সাহাবী হতে পারে না। যে হযরত আলী রাঃ কে অমান্য করে, সে স্বয়ং রাসূল পাক সঃ কে অমান্য করার শামিল। কেউ এই কথা বলতে পারবেন না, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার মনে কষ্টের বদলে আনন্দ দিয়েছে। এটা শুধু পাগল ছাড়া আর কেউ বলবে না। সেদিন শিফফিনের যুদ্ধে যদি হযরত আলী রাঃ মাবিয়ার নিকট পরাজয় বরণ করত। তাহলে নিশ্চয়ই মাবিয়া হযরত আলী রাঃ কে হত্যা অথবা বন্দী করত। তখনকার আরব জাহানের এটাই ছিল প্রচলন। কেউ এই কথা বলতে পারবেন না, হজরত আলী পরাজিত হলে মাবিয়া তাকে সম্মান করে জামাই আদর করে সিংহাসনে বসাত। যদি তাই হতো তাহলে আর যুদ্ধ সংঘটিত হতো না। তাই হযরত আলী রাঃ আক্ষেপ করে তার অনুসারীদের বলেছিলেন, " কোন মুমেন ব্যক্তির হৃদয়ে আমার আর মাবিয়ার ভালবাসা একসাথে থাকতে পারে না "।কতটা অবিশ্বাস, কতটা আস্হাহীন,কতটা সন্দেহ এবং কতটা শক্রুতা পোষণ করলে একজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায়। মাবিয়া ঠিক সেইরুপ শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর সাথে করেছিল। আর হযরত আলী রাঃ এর সাথে শক্রুতা পোষণ করা মানে স্বয়ং রাসূল পাক সঃ এর সাথে শক্রুতা করা। মাবিয়া কোন সাহসে হযরত আলী রাঃ কে অবিশ্বাস ও সন্দেহ করেছিল। যে হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ও অবিশ্বাস করবে, সে কখনো ঈমানদার হতে পারে না। তাইতো রাসূল পাক সঃ যথার্থ বলেছেন, মুমেন ব্যক্তি হযরত আলীকে ভালবাসবে এবং মোনাফেক ব্যক্তিই হযরত আলীর শক্রুতা পোষণ করবে। রাসূল পাক সঃ এর এই কথার দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণ হয় মাবিয়া কতটা নিকৃষ্ট মোনাফেক ছিল। এই শিফফিন যুদ্ধের মাধ্যমেই মুসলিম ঐক্য নষ্ট হয়। এক পক্ষ চলে যায় হযরত আলী রাঃ এর সাথে এবং অপর পক্ষ চলে যায় মাবিয়ার সাথে। সেই অনৈক্য ধারা এখনো বিরাজমান রয়ে গেছে। এক পক্ষ হযরত আলী রাঃ এর সাথে রয়ে গেছে এবং অপর পক্ষ মাবিয়ার সাথে রয়ে গেছে। মাবিয়া এবং তার বংশধরতা যেহেতু দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তাই মাবিয়ার অনুসারীর সংখ্যা বেশী। আর হযরত আলী রাঃ এর অনুসারীরা নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার। তাই মুসলিম বিশ্বে হযরত আলী রাঃ এর সংখ্যা খুবই সীমিত। এখন আপনি বলুন, আপনি কার পক্ষ অবলম্বন করবেন। হযরত আলী রাঃ এর অনুসারীরা হলো আহলে বায়াত অর্থাৎ অলী আল্লাহর দলে। আর মাবিয়ার অনুসারীরা হলো আহলে বায়াতের বিপক্ষে। যারা বায়াত প্রথা মানে না এবং বিশ্বাস করে না। এদের সাথে আমাদের দ্বন্দ্বটা সেই শিফফিনের যুদ্ধ থেকে শুরু হয়েছে এবং চলমান রয়ে গেছে। কোন কুতর্ক চাই না, শুধু মাত্র সুতর্ক এবং দলিল সহকারে যুক্তি ও প্রমাণ চাই। এই ৯টি প্রশ্নের সঠিক ও সুন্দর উত্তর চাই। যার ইতিহাস জানা আছে সেই শুধু উত্তর দিবেন। ( সূত্রঃ মোয়াবিয়া ও কারবালা, সৈয়দ গোলামুর রহমান। খিলাফতের ইতিহাস, মুহম্মদ আহসান উল্লাহ। এজিদি ধর্ম, এ,কে, মনজুরুল হক। মাওলার অভিষেক, সদর উদ্দিন চিশতি, সুফি দর্শন, ফকির আব্দুর রশিদ,এজিদের চক্রান্তে মোহাম্মদী ইসলাম, দেওয়ানবাগ দরবার শরিফ, ইসলামের ইতিহাস, ডঃ সৈয়দ মাহমুদুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস, কে আলী, ইমাম হাসান ও হোসাইন (রাঃ), মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান এবং HSC এর পাঠ্য বই ইসলামের ইতিহাস বই পড়লে মাবিয়া ও তার পুত্র এজিদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া বরিয়াবরী দরবার শরীফ এবং বাবা জাহাঙ্গীর এর সুরেশ্বরী দরবার শরীফের কিতাবগুলো পড়তে পারেন। আমি সামান্য কিছু অংশ মাত্র তুলে ধরেছি )। বিঃদ্রঃ ও ভাই আপনার একটি শেয়ার করা মানে শত শত মানুষ দেখার সুযোগ পাওয়া। আমার দয়াল রাসূল পাক সঃ কে ভালবেসে একটিবার শেয়ার করুন। হয়ত বা এই একটি শেয়ার আপনার মুক্তির কারণ হতে পারে। মহান দয়ালু আল্লাহ তায়ালা এই একটি শেয়ারের উছিলায় আপনার জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিয়ে, মুক্তির ব্যবস্হা করতে পারে। আসুন ভাই, রাসূল পাক সঃ কে ভালবেসে ইসলামের মহা শক্রুদের মুখোশ উন্মোচন করি। " রাসূল পাক সঃ এর প্রতি নাই যার প্রেম, কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন "।যেকোনো আহলে বায়াত প্রেমিক এই পোস্ট কপি করার পূর্ণ অধিকার রাখে।
আল্লাহ পাক স্বয়ং মোয়াবিয়াকে জাহান্নামী বলছে। আমার কিছু করার নাই। ধারাবাহিক পোস্ট নং ০১+২ পর্ব ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কারবালা প্রান্তরের ঐতিহাসিক পটভূমি।
সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪ঃ ৯৩
وَمَن يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدًا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمًا
উচ্চারণঃ ওয়া মাইঁ ইয়াকতুলমু’মিনাম মুতা‘আম্মিদান ফাজাঝাউহূজাহান্নামুখা-লিদান ফীহা-ওয়া গাদিবাল্লা-হু ‘আললইহি ওয়া লা‘আনাহু ওয়া আ‘আদ্দাল্লাহু ‘আযা-বান ‘আজীমা-।
অর্থ: "যে ব্যাক্তি জ্ঞাতসারে মোমিন কে হত্যা করে তাহার পুরষ্কার জাহান্নাম, ঊহাতে সে স্থায়ী হইয়া থাকিবে এবং তাহার
উপরে আল্লাহর গজব ও লানত, এবং তাহার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত করিয়াছেন৷"
এবার আপনি ই সিদ্ধান্ত নেন কোরআন মানবেন নাকি মুয়াবিয়াকে ভালবেসে যাবেন।কারণ মোয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে মাওলা আলীর পক্ষের হাজার হাজার বিখ্যাত সাহাবীদেরকে হত্যা করেছে। তাছাড়া সে এই যুদ্ধে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী রাঃ কে হত্যা করে। আর তারা সবাই ছিলেন প্রথম শ্রেণীর মুমিন।
এবার আপনার বিচার বুদ্ধি দিয়ে বুঝে নিন। মোয়াবিয়া কতোবড় নিকৃষ্ট মোনাফেক ছিলো। এরপরও যদি কেউ মোয়াবিয়াকে সাহাবী বলে, আপনি ধরে নিবে সে পবিত্র কুরআন শরীফ অস্বীকারকারী এবং পাক পান্জাতনের চিরশত্রু। এদের সাথে আপনি কোন সম্পর্ক রাখবেন না। তাহলে আপনি কখনো ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারবেন না।
যেকোনো আহলে বায়াত প্রেমিক এই পোস্ট কপি করার পূর্ণ অধিকার রাখেন ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
স্বয়ং রাসূল পাক সঃ মোয়াবিয়াকে মোনাফেক বলেছে। বিস্তারিত পড়ুন। ( ধারাবাহিক পর্ব নং২ ।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কারবালা প্রান্তরের ঐতিহাসিক পটভূমি।
ইতিহাসের সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক মাবিয়ার বংশ পরিচয় এবং মাবিয়ার ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ। এই মাবিয়া হলো নরপিশাচ কাফের এজিদের পিতা। এই মাবিয়া এজিদকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছিল।
কে এই মাবিয়া
মাবিয়ার পরিচয় দিতে গিয়ে " খিলাফতের ইতিহাস " নামক গ্রন্হের লেখক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, আমির মাবিয়া হযরত রাসূল পাক (সঃ) এর মুখোশধারী সাহাবী ছিলেন। তার পুরো বংশ রাসূল পাক সঃ এর সবচেয়ে বড় দুশমন ছিলেন এবং অবশেষে নিরুপায় হয়ে মক্কা বিজয়ের পর মুসলমানদের চরম ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে মাবিয়া এবং তার বংশধরেরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।
রাসূল পাক সঃ এর প্রবলতম ঘোর শক্রু কুরাইশ দলপতি নরপিশাচ আবু সুফিয়ান তার পিতা ছিলেন। যিনি রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। রাসূল পাক সঃ কে হত্যা করতে সর্ব ক্ষণ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকত। এমন কোন অপরাধ নাই যে, সে রাসূল পাক সঃ এর সাথে করার চেষ্টা করে নাই। যখন দেখল রাসূল পাক সঃ এর কোন ক্ষতি করতে সক্ষম নয়, তখন দুরভিসন্ধি নিয়ে মক্কা বিজয়ের পর তার সন্তান মাবিয়াকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যাতে মুসলমানদের ভিতরে ঢুকে চরম ক্ষতি করা যায়। এই ধরণের চরম মোনাফেকি উদ্দেশ্য নিয়ে মুসলমানদের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
মাবিয়ার মাতার নাম ছিল হেন্দা। যিনি ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নিকৃষ্ট নারী হিসাবে পরিচিত। এই নরপিশাচ নারী রাসূল পাক সঃ এর আপন চাচা হামজা রাঃ এর কলিজা চিবিয়ে খেয়েছিল এবং হামজা রাঃ এর শরীর মোবারক টুকরো টুকরো করে কেটে গলায় মালা পরেছিল। এই সেই নারী যিনি প্রতিটি যুদ্ধে কাফেরদেরকে উৎসাহ প্রদান করত। তার ভাই, পিতা -মাতা এবং বংশধরেরা রাসূল পাক সঃ এর ঘোরতর শক্রু ছিল। এই নরপিশাচ হেন্দার ভাই এবং পিতা বদরের যুদ্ধে মারা যায়। আর হেন্দার এই ভাই ও পিতাকে বদর যুদ্ধে হামজা রাঃ হত্যা করে। তাই হেন্দা প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য ওহুদের যুদ্ধে হামজা রাঃ এর কলিজা চিবিয়ে খায় এবং তার শরীর মোবারক টুকরো টুকরো করে কেটে গলায় মালা পরে।
মাবিয়ার দাদা ছিলেন উমাইয়া। এই উমাইয়া নরপিশাচ হযরত বিল্লাহ রাঃ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করেন। আর এই উমাইয়া নামানুসারে মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে দাদার নামে উমাইয়া মুসলিম খিলাফত চালু করেন। আর এই উমাইয়া খিলাফত শাসনামল ছিল দীর্ঘ ৮৯ বছর। আচ্ছা বলুন তো একজন বিধর্মী কাফেরের নামে কি মুসলিম খিলাফত হতে পারে। আমার রাসূল পাক সঃ কে চরমভাবে হেয়পতিপন্ন এবং অপমান করার জন্য মাবিয়া ও তার নরপিশাচ ছেলে এজিদ এই কাজটি করেছিল। রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে স্হাপন করল নরপিশাচ উমাইয়ার নাম। যা আজও ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে।
প্রথম দিকে মাবিয়া একজন সামান্য সৈনিক, পরে একজন ক্ষুদ্র সেনাপতি ছিলেন। তারপর ক্ষমতার লোভে হযরত আলী রাঃ এর সাথে বিদ্রোহী হয়ে শিফফিনের যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। এই যুদ্ধের মাধ্যমে মাবিয়া কৌশল ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক ক্ষমতাবান হন। পরবর্তীতে মাবিয়া খারেজিদের দ্বারা মাওলা আলীকে গুপ্ত হত্যা করে মুসলিম খিলাফতের খলিফা নিযুক্ত হন। আবু সুফিয়ান জীবিত থাকলে দেখতে পারতেন, রাসূল পাক সঃ এর যে সকল কাজের বিরোধিতা তিনি সর্বদা করতেন, সেই সকল কাজের বিরোধিতা করে মাবিয়া মুসলিম খিলাফতের বাদশাহ হন।
মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর একজন নামধারী সাহবী হলেও, রাসূল পাক সঃ এর সঙ্গ তিনি পাননি। কারণ রাসূল পাক সঃ মক্কা বিজয় করে আবার মদিনায় চলে যায়। আর মাবিয়া মক্কায় থেকে যায়।
হযরত রাসূল পাক সঃ হযরত আলী রাঃ সমন্ধে যা বলেন,
" যে ব্যক্তি আমার আলীকে গালি দিল, সে যেন আমাকে গালি দিল "। ( মেশকাত শরিফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৫)।
" হে আল্লাহ ! আমি যার বন্ধু, আলীও তার বন্ধু। হে আল্লাহ ! যে আলীকে ভালবাসবে তুমি তাকে ভালবাসিও, যে আলীর শক্রু হবে তুমি তার শক্রু হইও "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৫ )।
" মোনাফেক ব্যক্তিই আলীকে ভালবাসবে না এবং মু'মেন ব্যক্তি আলীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে না "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৪ )।
" আমি জ্ঞানের শহর এবং আলী তার দরজা "। ( শরহে ফিকহে আকবার, পৃষ্ঠা নং ১১২ )।
" দুনিয়ার ধন-সম্পদের মধ্যে আমার জন্য দুইটি ( ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন ) স্বর্গীয় ফুলস্বরুপ "। ( মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং ৫৬৯ )।
" আমি যার মাওলা, হযরত আলী তার মাওলা "। ( বুখারী শরীফ ৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং ২৮০। রাহমানিয়া লাইব্রেরি, ঢাকা। )।
হযরত আলী রাঃ বলেন,
" কোন মুমেন ব্যক্তির হৃদয়ে আমার এবং মাবিয়ার ভালবাসা একসাথে থাকতে পারে না "। ( মাওলার অভিষেক, সদর উদ্দিন চিশতি )।
সুতরাং হযরত আলী রাঃ এর সাথে বিরোধিতা করা মানে রাসূল পাক সঃ এর সাথে বিরোধিতা করা। আর রাসূল পাক সঃ এর সাথে বিরোধিতা করা মানে স্বয়ং আল্লাহর সাথে বিরোধিতা করা। অথচ দেখা যায় যে, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে চরম বিরোধিতা করেছেন। শিফফিন নামক যুদ্ধ তার জলন্ত প্রমাণ। আসলে মাবিয়া রাসূল পাক সঃ এর রেখে যাওয়া ধর্মকে ধবংস করতে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্যই এই বিরোধিতা করছেন।
মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক কর্ণেল অসবর্ন বলেন,
" বিচক্ষণহীন, অবিবেকী ও নির্মম উমাইয়া বংশের প্রথম খলিফা তার নিজ স্বার্থ বজায় রাখার জন্য যেকোন অপরাধমূলক কার্য করতে সংকোচ বোধ করত না। প্রবল প্রতিদ্বন্দীকে অপসারণের জন্য হত্যাই ছিল তার চিরাচরিত রীতি। সে ইমাম হাসানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছিল। হযরত আলীর সহকারী মালিক আল আসতারকে অনুরূপ ভাবে হত্যা করেছিল। তার পুত্র এজিদের উত্তরাধিকারী নিরাপদ করবার জন্য মাবিয়া হযরত আলীর একমাত্র জীবিত পুত্র হোসাইনের সাথে প্রদত্ত ওয়াদা ভঙ্গ করতে দ্বিধা করেন নাই "।
মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক মুর বলেন,
" কোরআন ও হাদিসের আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রথম ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সমাধি রচনা করেন মাবিয়া। ধূর্ততা, কপটতা ও অসাধুতার আশ্রয় গ্রহণ করে তিনি ইমাম হাসানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অবমাননা করে মৃত্যুর পূর্বে শুধুমাত্র নিজ অযোগ্য পুত্রকেই মনোনীত করেন নাই, বরং ছলে-বলে ও কৌশলে আরব জাহানের জনসাধারণের আনুগত্য অর্জন করেন "।
মাবিয়া সমন্ধে ঐতিহাসিক আমীর আলী বলেন,
মাবিয়া ছিলেন ধূর্ত, ধর্ম ভয়হীন, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন, কৃপণ অথচ নিজ স্বার্থে অস্বাভাবিক উদার এবং যাবতীয় ধর্মীয় কাজে লোক দেখানো নিষ্ঠাবান। কিন্তু তার কোন পরিকল্পনা বা আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণতা সাধনে কোন মানবীয় বা ধর্মীয় রীতিনীতিই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারত না "।
মাবিয়া বিভিন্ন সময়ে হজরত আলী রাঃ এর প্রতি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। উহুদের যুদ্ধে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল। শিফফিনের যুদ্ধে মাবিয়া প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হযরত আলী রাঃ এর কাছ থেকে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পায়। শিফফিনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে হঠাৎ মাবিয়াকে দেখে হযরত আলী রাঃ বলে উঠলেন,
" মাবিয়া তুমি নিজে যুদ্ধের ময়দানে আসছ না কেন ? তাহলে ব্যাপারটা সহজেই মিমাংসিত হতে পারে "।
মাবিয়ার সেনাপতি আমর সম্মান রক্ষার জন্য মাবিয়াকে যুদ্ধে হযরত আলী রাঃ এর মোকাবিলা করবার জন্য উৎসাহিত করলেন। কিন্তু মাবিয়া বললেন,
" হযরত আলীর সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে কেউ কোনদিন জীবিত থাকে না "।
মাবিয়া প্রায়ই গর্ব করে বলতেন,
" আরবীয় রাজাদের মধ্যে আমিই প্রথম রাজা "।
মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী রাঃ এর শাহাদাৎ বরণের পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র হযরত ইমাম হাসান রাঃ খলিফা নির্বাচিত হলেন। রাজনীতি এবং কূটনীতি সম্পর্কে ইমাম হাসান রাঃ এর তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাছাড়া ইমাম হাসান রাঃ ছিলেন খুবই শান্তশিষ্ট এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী। সিরিয়া ও মিশরের উচ্চবিলাষী শাসক মাবিয়া খিলাফতের এই দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করলেন।
হযরত ইমাম হাসান রাঃ সেনাপতি কায়েসের নেতৃত্বে মাবিয়ার বিরুদ্ধে ১২হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। কায়েস যখন শক্রু পক্ষের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে যুদ্ধরত, তখন মাবিয়া ধূর্ততার আশ্রয় নিলেন। মাবিয়া বীর যোদ্ধা কায়েসের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে দিলেন। ফলে ইমাম হাসান রাঃ এর সৈন্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিল। তখন মাবিয়া এবং ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মাবিয়ার পরে হযরত ইমাম হোসাইন রাঃ মুসলিম খলিফা হবেন। কিন্তু প্রতারক মাবিয়া ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে সম্পাদিত চুক্তি ভঙ্গ করে নরপিশাচ এজিদকে খলিফা নিযুক্ত করে এবং তার নামে খেলাফতের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য সকল প্রাদেশিক গভর্নরের নিকট ফরমান জারি করে। কিন্তু মাবিয়ার এই ফরমান মক্কা ও মদিনা লোক ব্যতীত, সকল প্রদেশের গভর্নররা এজিদকে খলিফা হিসাবে মেনে নিল।
রাসূল পাক সঃ বলেন, মোনাফেকের চিহ্ন ৩টি।
১/ কথায় কথায় মিথ্যা বলে।
২/ ওয়াদা ভঙ্গ করে।
৩/ আমানতের খিয়ানত করে।
আর এই মোনাফেক কাফেরদের চেয়ে ভয়ংকর। আর মাবিয়া ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে, ইতিহাসে সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক হিসাবে পরিচিত।
উল্লেখ্য যে, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সময়ও খিলাফত নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু পেরে উঠতে না পারলেও একেবারে পিছবা হননি। তিনি মোক্ষম সুযোগ মনে করে অতি শীঘ্রই ইরাক আক্রমন করলেন।
মাবিয়া দীর্ঘ ২০বছর শাসন ক্ষমতায় ছিলেন এবং তার বংশধরেরা দীর্ঘ ৮৯ বছর মুসলিম খলিফা হিসাবে ক্ষমতায় ছিলেন। ( ৬৬১ - ৭৫০) সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। মাবিয়ার দাদার নাম ছিল উমাইয়া। আর এই উমাইয়ের নামে মুসলিম খিলাফত রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয়। হযরত রাসূল পাক সঃ এর নাম চিরতরে মুছে ফেলা হয়।
এই উমাইয়া ছিল একজন বিধর্মী কাফের এবং রাসূল পাক সঃ ও ইসলামের একজন বড় দুশমন ছিল। সে বিখ্যাত আশেকে রাসূল হযরত বেলাল রাঃ কে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। উমাইয়া ও তার পুত্র আবু সুফিয়ান রাসূল পাক সঃ এবং ইসলামের বিরোধিতা করে যে ক্ষতি সাধন করেছে, মাবিয়া ও তার পুত্র এজিদের দ্বারা রাসূল পাক সঃ এবং ইসলাম ধর্মের তার চেয়েও অনেক বেশী ক্ষতি সাধিত হয়েছে, যা কোনদিন পূরণ হবার নয়। কারণ উমাইয়া ও তার পুত্র আবু সুফিয়ান রাসূল পাক সঃ বংশের কাউকে হত্যা করতে পারে নাই। কিন্তু মাবিয়া এবং তার পুত্র এজিদ রাসূল পাক সঃ এর পরিবারের সকল সদস্য নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়। তারা হযরত আলী রাঃ, ইমাম হাসান ও হোসাইন রাঃ এবং সন্তানদের সহ সবাইকে কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে।
মাবিয়া তার পূর্ব পুরুষদের প্রতিশোধ নিতেই বিধর্মী কাফের উমাইয়ার নামে মুসলিম খিলাফত চালু করে এবং এক নতুন ধর্মের প্রবর্তন ঘটান। যা এজিদি ইসলাম নামে পরিচিত এবং এখনো সারা বিশ্বে বিরাজমান।
নরপিশাচ এজিদ কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসাইনকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মদিনা ও মক্কায় আক্রমন করে। এজিদের সৈন্য বাহিনী মদীনার মসজিদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে এবং মদীনাবাসীর উপর চরম নির্যাতন করে এবং শিশুসহ বহু লোককে হত্যা করে।
এরপর এজিদের সৈন্য বাহিনী মক্কায় আক্রমন করে ২মাস শহর অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা পবিত্র কাবাগৃহের গিলাফ অগ্নিসংযোগ করে। এই অবরোধ চলাকালে এজিদের মৃত্যু হলে, এজিদের সৈন্য বাহিনীরা মক্কা ছেড়ে দামেস্ক নগরে চলে যায়।
যারা মাবিয়াকে সাহাবী মনে করেন, তাদের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন।
১/ মাবিয়া কেন শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ?
২/ মাবিয়া কেন ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করেছিল ?
৩/ মাবিয়া কেন নরপিশাচ কাফের এজিদকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের খলিফা নিযুক্ত করলো ?
৪/ মাবিয়া কেন খারেজিদের দলভুক্ত করল। আর এই খারেজিদের নিয়ে মাবিয়া শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ) এবং ইমাম হাসান (রাঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
৫/ মাবিয়া কেন শিফফিনের যুদ্ধে শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর পক্ষের শত শত নিরীহ নিষ্পাপ বিখ্যাত সাহাবীদের হত্যা করল। আর এই হত্যার দায়ভার কে নিবে।
৬/ মাবিয়া কেন শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর ওফাতের পর ইমাম হাসান রাঃ কে হটিয়ে নিজে কেন মুসলিম জাহানের খলিফা হলো। মাবিয়া কি ইমাম হাসান রাঃ এর চেয়ে বেশি যোগ্য ছিল ?
৭/ মাবিয়া কেন ইমাম হাসান রাঃ এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে ইমাম হোসাইন রাঃ এর পরিবর্তে নিজ পুত্র কাফের এজিদকে মুসলিম জাহানের খলিফা নিযুক্ত করল। তাহলে এজিদ কি ইমাম হোসাইন রাঃ এর চেয়ে বেশি যোগ্য ছিল ?
৮/ মাবিয়া কেন শিফফিন যুদ্ধের মাধ্যমে বিখ্যাত আশেকে রাসূল ওয়াইজ করণী (রাঃ) কে হত্যা করলো।
৯/ মাবিয়া কেনো রাসূল পাক সঃ এর নাম বাদ দিয়ে, তার দাদা মূর্তি পূজারী উমাইয়ার নামে উমাইয়া মুসলিম খিলাফত চালু করলো।
অথচ রাসূল পাক সঃ বলেছেন, মোনাফেক ব্যক্তি হযরত আলীকে ভালবাসবে না। তাহলে আপনারা বলুন , মাবিয়া কি হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করে শক্রুতা পোষণ করল না ? নিশ্চয়ই মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করে শক্রুতা পোষণ করেছেন। একমাত্র বদ্ধ উন্মাদ পাগল এবং মাবিয়ার অনুসারী ছাড়া সবাই বলবে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে শক্রুতা করেছেন। মাবিয়া যদি হযরত আলী রাঃ কে ভালবাসত, তাহলে কখনোই হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করতে পারত না। আর এই জন্যই রাসূল পাক সঃ বলেছেন, যে হযরত আলীকে ভালবাসবে না, সে মোনাফেক। মূলত মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ করেননি বরং স্বয়ং রাসূল পাক সঃ এর সাথে যুদ্ধ করেছেন। মূলত রাসূল পাক সঃ মাবিয়াকে মোনাফেক বলেছেন, আমি কিন্তু বলিনি। আমি শুধুমাত্র তুলে ধরেছি। উপরের হাদিসগুলো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে মাবিয়া সর্বনিকৃষ্ট মোনাফেক ছিল।
কারা এই খারেজি ?
খারিজ আরবি শব্দ। আর বাংলা অর্থ বাতিল। রাসূল পাক সঃ এর এক ধরনের মোনাফেক সাহাবী ছিল। যারা মক্কা বিজয়ের পর নিরুপায় হয়ে মাবিয়া এবং তার পিতা- মাতার সাথে ইসলাম গ্রহণ করে। এই খারেজি সম্প্রদায় রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে মাবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ান এবং আবু জেহেলের নেতৃত্বে ২৭টি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারা প্রতিবারই পরাজয় বরণ করে। অবশেষে মক্কা বিজয়ের পর তারা চিন্তা করল, আমরা তো সারাজীবন ইসলাম ধর্মের বাহিরে থেকে রাসূল পাক সঃ এবং তার পরিবার-পরিজন ও ইসলাম ধর্মের কোন ক্ষতি করতে পারলাম না। এখন দেখি ইসলাম ধর্মের ভিতরে ঢুকে নবী পরিবার ধব্বংস করতে পারি কিনা এবং মুহাম্মদের নাম চিরতরে মুছে ফেলতে পারি কিনা।
এই উদ্দেশ্যে নিয়েই তারা সবাই মুসলমান হয়ে গেল। রাসূল পাক সঃ ওফাতের পর তারা প্রচন্ডভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। তারা সর্ব ক্ষণ হযরত আলী রাঃ এর বিরোধিতা করতে লাগল এবং ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ শুরু করল। তারা এমন কোন জগন্য কাজ নাই, যা তারা করল না। আর এদেরকে পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ত মাবিয়া। কারণ এরা একসময় মাবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে রাসূল পাক সঃ এর বিরুদ্ধে ২৭টি যুদ্ধ করেছিল। অবশেষে হযরত আলী রাঃ এদেরকে ইসলাম ধর্ম থেকে বাতিল এবং বের করে দেন। এই খারজিরা শুধু মাত্র হযরত আবু বকর রাঃ এবং ওমর ফারুক রাঃ মানে। তারা কখনো শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ কে মানে না। বরং তারা বলে হযরত আলী রাঃ খলিফার অযোগ্য।
তাই হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে তাদের প্রচন্ড ক্ষোভ ছিল। অবশেষে মাবিয়া এদেরকে দলভুক্ত করেন। পরবর্তীতে মাবিয়ার নির্দেশে এই খারেজিরা শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ কে নামাজরত অবস্থায় নৃশংস ভাবে হত্যা করে এবং মাবিয়া সমগ্র মুসলিম জাহানের অবৈধভাবে খলিফা হয়ে যায়।
যারা বলে শিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল হযরত আলী রাঃ এবং মাবিয়ার ভুল বুঝাবুঝির কারণে। হযরত আলী রাঃ ছিলেন সমস্ত ভুলের উর্ধে। জীবনে বিন্দুমাত্র ভুল করেন নাই। এমন দলিল কেউ দিতে পারবেন না। কারণ রাসূল পাক সঃ ছিলেন জ্ঞানের শহর এবং হযরত আলী রাঃ ছিলেন দরজা। এরা মূলত হযরত আলী রাঃ কে কলংকিত করার জন্য বলে দুজনের ভুল বুঝাবুঝির কারনে শিফফিনের যুদ্ধ হয়েছিল। তাই দুজনই সঠিক। এরা মূলত মাবিয়ার অপরাধ ঢাকার জন্য হযরত আলীকে দোষী বানায়।
শিফফিনের যুদ্ধে শত শত বিখ্যাত সাহাবীদেরকে হত্যা করা হয়। তাহলে এই হত্যার দায়ভার কে নিবে। যদি দুজনই সঠিক হয়, তাহলে দুজনকেই হত্যাকারী বলা হবে। দেখেন এরা কত কৌশলে হযরত আলী রাঃ কে হত্যাকারী সাব্যস্ত করল।
মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার মনে প্রচন্ড কষ্ট দিয়েছিল।রাসূল পাক সঃ বলেন, যে হযরত আলীকে কষ্ট দেয়, সে স্বয়ং আমাকে কষ্ট দেয়। তাহলে মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, হযরত আলী রাঃ এবং রাসূল পাক সঃ এর মনে কষ্ট দিয়েছিল। আর রাসূল পাক সঃ এর মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সাহাবী হতে পারে না। যে হযরত আলী রাঃ কে অমান্য করে, সে স্বয়ং রাসূল পাক সঃ কে অমান্য করার শামিল। কেউ এই কথা বলতে পারবেন না, মাবিয়া হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার মনে কষ্টের বদলে আনন্দ দিয়েছে। এটা শুধু পাগল ছাড়া আর কেউ বলবে না।
সেদিন শিফফিনের যুদ্ধে যদি হযরত আলী রাঃ মাবিয়ার নিকট পরাজয় বরণ করত। তাহলে নিশ্চয়ই মাবিয়া হযরত আলী রাঃ কে হত্যা অথবা বন্দী করত। তখনকার আরব জাহানের এটাই ছিল প্রচলন। কেউ এই কথা বলতে পারবেন না, হজরত আলী পরাজিত হলে মাবিয়া তাকে সম্মান করে জামাই আদর করে সিংহাসনে বসাত। যদি তাই হতো তাহলে আর যুদ্ধ সংঘটিত হতো না। তাই হযরত আলী রাঃ আক্ষেপ করে তার অনুসারীদের বলেছিলেন, " কোন মুমেন ব্যক্তির হৃদয়ে আমার আর মাবিয়ার ভালবাসা একসাথে থাকতে পারে না "।
কতটা অবিশ্বাস, কতটা আস্হাহীন,কতটা সন্দেহ এবং কতটা শক্রুতা পোষণ করলে একজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায়। মাবিয়া ঠিক সেইরুপ শেরে খোদা হযরত আলী রাঃ এর সাথে করেছিল। আর হযরত আলী রাঃ এর সাথে শক্রুতা পোষণ করা মানে স্বয়ং রাসূল পাক সঃ এর সাথে শক্রুতা করা। মাবিয়া কোন সাহসে হযরত আলী রাঃ কে অবিশ্বাস ও সন্দেহ করেছিল। যে হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র সন্দেহ ও অবিশ্বাস করবে, সে কখনো ঈমানদার হতে পারে না। তাইতো রাসূল পাক সঃ যথার্থ বলেছেন, মুমেন ব্যক্তি হযরত আলীকে ভালবাসবে এবং মোনাফেক ব্যক্তিই হযরত আলীর শক্রুতা পোষণ করবে। রাসূল পাক সঃ এর এই কথার দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণ হয় মাবিয়া কতটা নিকৃষ্ট মোনাফেক ছিল।
এই শিফফিন যুদ্ধের মাধ্যমেই মুসলিম ঐক্য নষ্ট হয়। এক পক্ষ চলে যায় হযরত আলী রাঃ এর সাথে এবং অপর পক্ষ চলে যায় মাবিয়ার সাথে। সেই অনৈক্য ধারা এখনো বিরাজমান রয়ে গেছে। এক পক্ষ হযরত আলী রাঃ এর সাথে রয়ে গেছে এবং অপর পক্ষ মাবিয়ার সাথে রয়ে গেছে। মাবিয়া এবং তার বংশধরতা যেহেতু দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তাই মাবিয়ার অনুসারীর সংখ্যা বেশী। আর হযরত আলী রাঃ এর অনুসারীরা নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার। তাই মুসলিম বিশ্বে হযরত আলী রাঃ এর সংখ্যা খুবই সীমিত। এখন আপনি বলুন, আপনি কার পক্ষ অবলম্বন করবেন। হযরত আলী রাঃ এর অনুসারীরা হলো আহলে বায়াত অর্থাৎ অলী আল্লাহর দলে। আর মাবিয়ার অনুসারীরা হলো আহলে বায়াতের বিপক্ষে। যারা বায়াত প্রথা মানে না এবং বিশ্বাস করে না। এদের সাথে আমাদের দ্বন্দ্বটা সেই শিফফিনের যুদ্ধ থেকে শুরু হয়েছে এবং চলমান রয়ে গেছে।
কোন কুতর্ক চাই না, শুধু মাত্র সুতর্ক এবং দলিল সহকারে যুক্তি ও প্রমাণ চাই। এই ৯টি প্রশ্নের সঠিক ও সুন্দর উত্তর চাই। যার ইতিহাস জানা আছে সেই শুধু উত্তর দিবেন।
( সূত্রঃ মোয়াবিয়া ও কারবালা, সৈয়দ গোলামুর রহমান। খিলাফতের ইতিহাস, মুহম্মদ আহসান উল্লাহ। এজিদি ধর্ম, এ,কে, মনজুরুল হক। মাওলার অভিষেক, সদর উদ্দিন চিশতি, সুফি দর্শন, ফকির আব্দুর রশিদ,এজিদের চক্রান্তে মোহাম্মদী ইসলাম, দেওয়ানবাগ দরবার শরিফ, ইসলামের ইতিহাস, ডঃ সৈয়দ মাহমুদুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস, কে আলী, ইমাম হাসান ও হোসাইন (রাঃ), মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান এবং HSC এর পাঠ্য বই ইসলামের ইতিহাস বই পড়লে মাবিয়া ও তার পুত্র এজিদ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাছাড়া বরিয়াবরী দরবার শরীফ এবং বাবা জাহাঙ্গীর এর সুরেশ্বরী দরবার শরীফের কিতাবগুলো পড়তে পারেন। আমি সামান্য কিছু অংশ মাত্র তুলে ধরেছি )।
বিঃদ্রঃ ও ভাই আপনার একটি শেয়ার করা মানে শত শত মানুষ দেখার সুযোগ পাওয়া। আমার দয়াল রাসূল পাক সঃ কে ভালবেসে একটিবার শেয়ার করুন। হয়ত বা এই একটি শেয়ার আপনার মুক্তির কারণ হতে পারে। মহান দয়ালু আল্লাহ তায়ালা এই একটি শেয়ারের উছিলায় আপনার জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিয়ে, মুক্তির ব্যবস্হা করতে পারে। আসুন ভাই, রাসূল পাক সঃ কে ভালবেসে ইসলামের মহা শক্রুদের মুখোশ উন্মোচন করি।
" রাসূল পাক সঃ এর প্রতি নাই যার প্রেম, কে বলে মানুষ তারে পশু সেই জন "।
যেকোনো আহলে বায়াত প্রেমিক এই পোস্ট কপি করার পূর্ণ অধিকার রাখে।
মন্তব্যসমূহ