মূয়াবীয়া ও তার উপদেশনামা প্রসঙ্গ ।মুয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান তার দুঃশ্চরিত্র লম্পট মাতাল পুত্র ঈয়াযীদকে খলীফা বানানোর জন্য বিভিন্ন অপকৌশল ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে লম্পট ঈয়াযীদের প্রতি বাইআত গ্রহন করতে বাধ্য করেছিলেন ।ইতিহাস থেকে জানা যায় মূয়াবীয়া মৃত্যশয্যায় থাকাকালে ঈয়াযীদ দামেস্কের বাইরে মৃগয়ারত ছিল ।মৃত্যুশয্যায় জনাব মূয়াবীয়া তার সুযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র ঈয়াযীদের জন্য যে উপদেশনামা লিখে দিয়েছিলেন তা ১৯৯২ সালের ৪ ই জুলাই , দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল যা নিম্নে উদৃত করা হইল ।"হে প্রিয় বৎস !আমি তোমার পথের সব কাটা অপসারন করে পথ সম্পুর্ন পরিস্কার করে দিয়েছি । দুশমনদের পরাস্ত করে আরববাসীদের গর্দান তোমার কাছে নত করে দিয়েছি । তোমার জন্য অঢেল ধন-সম্পদ জমা করে রেখেছি ।তোমার প্রতি আমার একান্ত উপদেশ , আমার এসব উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তুমি হেজাজবাসীদের প্রতি সবসময় দয়াপ্রবন থাকবে , তারাই তোমার আসল ভিত্তি । যারা তোমার কাছে আসবে তাদের প্রতি সদা উত্তম ব্যবহার করবে । সেইসাথে ইরাকবাসীদের প্রতিও অনুগ্রহ করবে । তারা প্রতিদিন নয়া শাসনকর্তা দাবী করলে তা-ই করবে । সিরিয়ানদেরকে তোমার উপদেষ্টা নিয়োগ করবে ।দুশমনদের সাথে মোকাবেলা করতে হলে সিরিয়ানদের সাহায্য গ্রহন করবে । সফল হবার পরে সিরিয়ানদেরকে তাদের শহরে ফেরত আনবে । কেননা অন্যস্থানে অধিক অবস্থানের ফলে তাদের নৈতিক পরিবর্তন হবার আশংকা থাকে ।প্রিয় বৎস ! তোমার চারজন প্রধান শত্রু এখনও রয়ে গেল ।এরা হল -- হুসাইন ইবনে আলী , আবদুল্লা ইবনে উমর , আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর ও আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ।তবে এই চারজনের মধ্যে হুসাইন ইবনে আলী তোমার জন্য অধিক বিপদজ্জনক -- ।"বাংলা অনুবাদক ।প্রিয় পাঠক ,ইদানীং অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে এটা বলার চেষ্টা করেন যে , কারবালা হত্যাযজ্ঞে ঈয়াযীদ দায়ী নয় । ঈয়াযীদের প্রসঙ্গে পরে আলাপ হবে । আপাঃতত এটা তো দেখলেন যে , লম্পট পুত্রের থেকে জারজ পিতা কোন অংশেই কম নন !এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে তার সারাটি জীবন ব্যয় করেছে হযরত আলীর (আঃ) বিরুদ্বে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও যুদ্ব করে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে প্রতিটি মসজিদ থেকে জুমআর খুৎবাতে ইমাম আলী (আঃ) এবং তাঁর পবিত্র সন্তানদের প্রতি গালিগালাজ করিয়েছে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে হযরত হাসানকে (আঃ) বিষ প্রয়োগে হত্যা করিয়েছে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে হযরত আবু বকরের পুত্রকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -যে বিশ্বনবীর (সাঃ) অসংখ্য মুমিন সাহাবীকে নির্বিচারে হত্যা করেছে ।এই হইল সেই মূয়াবীয়া -ইমাম হোসেনকে (আঃ) হত্যা করার জন্য জোর তাগিদ সহ ওসিয়তনামা করে গেল !সর্বনিকৃষ্ট কুলাঙ্গার মূয়াবীয়ার প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রচন্ড শাস্তি ও লানত বর্ষিত হোক ।ঈলাহী আমিন ।সকলকে ধন্যবাদ এবং সালাম জানিয়ে আজকের মত বিদায় ।খোদা-হাফেজ ।নিবেদনে -সাকিল আহমেদ ।লাব্বাইক ইয়া হোসেন (আঃ) ,ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী আদরিকনী ।আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজহুম ।আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।লেখাটি সকলের প্রিয় Shoaib Mollah ভাইয়ের লেখা থেকে সংগৃহীত ।
মুয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান তার দুঃশ্চরিত্র লম্পট মাতাল পুত্র ঈয়াযীদকে খলীফা বানানোর জন্য বিভিন্ন অপকৌশল ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে লম্পট ঈয়াযীদের প্রতি বাইআত গ্রহন করতে বাধ্য করেছিলেন ।
ইতিহাস থেকে জানা যায় মূয়াবীয়া মৃত্যশয্যায় থাকাকালে ঈয়াযীদ দামেস্কের বাইরে মৃগয়ারত ছিল ।
মৃত্যুশয্যায় জনাব মূয়াবীয়া তার সুযোগ্য কুলাঙ্গার পুত্র ঈয়াযীদের জন্য যে উপদেশনামা লিখে দিয়েছিলেন তা ১৯৯২ সালের ৪ ই জুলাই , দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল যা নিম্নে উদৃত করা হইল ।
"হে প্রিয় বৎস !
আমি তোমার পথের সব কাটা অপসারন করে পথ সম্পুর্ন পরিস্কার করে দিয়েছি । দুশমনদের পরাস্ত করে আরববাসীদের গর্দান তোমার কাছে নত করে দিয়েছি । তোমার জন্য অঢেল ধন-সম্পদ জমা করে রেখেছি ।
তোমার প্রতি আমার একান্ত উপদেশ , আমার এসব উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তুমি হেজাজবাসীদের প্রতি সবসময় দয়াপ্রবন থাকবে , তারাই তোমার আসল ভিত্তি । যারা তোমার কাছে আসবে তাদের প্রতি সদা উত্তম ব্যবহার করবে । সেইসাথে ইরাকবাসীদের প্রতিও অনুগ্রহ করবে । তারা প্রতিদিন নয়া শাসনকর্তা দাবী করলে তা-ই করবে । সিরিয়ানদেরকে তোমার উপদেষ্টা নিয়োগ করবে ।
দুশমনদের সাথে মোকাবেলা করতে হলে সিরিয়ানদের সাহায্য গ্রহন করবে । সফল হবার পরে সিরিয়ানদেরকে তাদের শহরে ফেরত আনবে । কেননা অন্যস্থানে অধিক অবস্থানের ফলে তাদের নৈতিক পরিবর্তন হবার আশংকা থাকে ।
প্রিয় বৎস ! তোমার চারজন প্রধান শত্রু এখনও রয়ে গেল ।
এরা হল -- হুসাইন ইবনে আলী , আবদুল্লা ইবনে উমর , আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর ও আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের ।
তবে এই চারজনের মধ্যে হুসাইন ইবনে আলী তোমার জন্য অধিক বিপদজ্জনক -- ।"
বাংলা অনুবাদক ।
প্রিয় পাঠক ,
ইদানীং অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে এটা বলার চেষ্টা করেন যে , কারবালা হত্যাযজ্ঞে ঈয়াযীদ দায়ী নয় । ঈয়াযীদের প্রসঙ্গে পরে আলাপ হবে । আপাঃতত এটা তো দেখলেন যে , লম্পট পুত্রের থেকে জারজ পিতা কোন অংশেই কম নন !
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে তার সারাটি জীবন ব্যয় করেছে হযরত আলীর (আঃ) বিরুদ্বে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও যুদ্ব করে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে প্রতিটি মসজিদ থেকে জুমআর খুৎবাতে ইমাম আলী (আঃ) এবং তাঁর পবিত্র সন্তানদের প্রতি গালিগালাজ করিয়েছে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে হযরত হাসানকে (আঃ) বিষ প্রয়োগে হত্যা করিয়েছে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়েশাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে হযরত আবু বকরের পুত্রকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
যে বিশ্বনবীর (সাঃ) অসংখ্য মুমিন সাহাবীকে নির্বিচারে হত্যা করেছে ।
এই হইল সেই মূয়াবীয়া -
ইমাম হোসেনকে (আঃ) হত্যা করার জন্য জোর তাগিদ সহ ওসিয়তনামা করে গেল !
সর্বনিকৃষ্ট কুলাঙ্গার মূয়াবীয়ার প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রচন্ড শাস্তি ও লানত বর্ষিত হোক ।
ঈলাহী আমিন ।
সকলকে ধন্যবাদ এবং সালাম জানিয়ে আজকের মত বিদায় ।
খোদা-হাফেজ ।
নিবেদনে -
সাকিল আহমেদ ।
লাব্বাইক ইয়া হোসেন (আঃ) ,
ইয়া সাহেবুজ্জামান (আঃ) আদরিকনী আদরিকনী ।
আল্লাহুমা সাল্লে আলা মুহাম্মাদ ওয়া আলে মুহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজহুম ।
আল্লাহুম্মাল আন কাতালাহ আমিরিল মুমিনিন (আঃ) ।
লেখাটি সকলের প্রিয় Shoaib Mollah ভাইয়ের লেখা থেকে সংগৃহীত ।
মন্তব্যসমূহ