হজরত আলী (আঃ) এঁর সাথে বিদ্বেষ পোষণ করা হলো কুফুরী ★১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃعَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.আলী (আঃ) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬১৬/৩২৯৯০*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ৬:২৬৯/৬১৮৪মহানবী (ﷺ) বলেছেন,“আলী (আঃ) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী এবং মুমিনদের অভিভাবক। [কানযুল উম্মাল,১১তম খন্ড,পৃঃ ৬১৬]★২. আলী (আঃ) এঁর পথই সত্যের পথঃيَا عَمَّارُ، إِنْ رَأَيْتَ عَلِيّاً قَدْ سَلَكَ وَادِياً وَ سَلَكَ النَّاسُ وَادِياً غَيْرَهُ، فَاسْلُكْ مَعَ عَلِيٍّ و دَعِ النَّاسَ، إِنَّهُ لَنْ يَدُلَّكَ عَلَي رَدَيً، وَ لَنْ يُخْرِجَكَ مِنَ الْهُدَي.হে আম্মার! যদি দেখতে পাও যে আলী (আঃ) একপথে চলেছে আর লোকেরা অন্যপথে,তাহলে তুমি আলী (আঃ)র সাথে চলবে এবং লোকদেরকে ত্যাগ করবে।কারণ,আলী (আঃ) কখনো তোমাকে বক্রপথে পরিচালিত করবে না এবং তোমাকে হেদায়েতের পথ থেকে বাইরে নিয়ে যাবে না। 📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬১৩/৩২৯৭২*(খ.) তারীখে বাগদাদঃ ১৩:১৮৭✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃمَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.যে ব্যক্তি আলী (আঃ) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আল মানাকিব-ইবনে মাগাযেলী: ২৪০/২৮৭*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৪*(গ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১২:৩২৩/১৩৫৫৯★৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃيَا عَلِيُّ! إِنِّي اُحِبُّ لَكَ مَا اُحِبُّ لِنَفْسِي، وَ أَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي.হে আলী (আঃ)! আঁমি নিজের জন্যে যা পছন্দ করি তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি।আর আঁমার চোখে যা অপছন্দনীয় তোমার জন্যও সেটা অপছন্দ করি 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ১:১৪৬*(খ.) সুনানে তিরমিযীঃ ২:৭২/২৮২*(গ.) আল মুনাতাখাবু মিন মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ: ৫২/৬৭★৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃعَلِيٌّ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَ قَاتِلُ الْفَجَرةِ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ.আলী (আঃ) সতকর্মশীলদের নেতা আর ব্যভিচারীদের হন্তা। যে কেউ তাকে সাহায্য করে সে সাহায্য প্রাপ্ত হয় আর যে ব্যক্তি তাকে ত্যাগ করে সে বিফল হয় 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৯*(খ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০২/৩২৯০৯*(গ.) আস-সাওয়ায়েকুল মুহরিকাঃ ১২৫*(ঘ.) আল ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকিরঃ ২:৪৭৬/১০০৩ ও ৪৭৮/১০০৫★৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃحُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.আলী (আঃ)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।[আল ফেরদৌসঃ ২:১৪২/২৭২৩]✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃحُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.আলী (আঃ) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে 📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আর রিয়াদুন্ নাদরাহঃ ৩: ১৯০*(খ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২১/৩৩০২১*(গ.) আল ফেরদৌসঃ ২:১৪২/২৭২৩পুণ্যবানদের ইমাম (নেতা) ও পাপাচারীদের নিশ্চিহ্নকারী হলেন আলী। [কাঞ্জুল উম্মালঃ ১২তম খন্ড,পৃ: ২০৩, হাদিস নং ১১৪৯]রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃعَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.আলী (আঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ,যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের। 📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖*(ক.) সিয়ারু আ’লামুন নুবালাঃ ৮:২৫০*(খ.) ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকিরঃ ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬*(গ.) তারীখে বাগদাদঃ ৭:৪২১★৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃمَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে কষ্ট দেয় সে আঁমাকে কষ্ট দেয় 📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ৩:৪৮৩*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২২*(গ.) দালায়িলুন নব্যুওয়াতঃ ৫:৩৯৫*(ঘ.) আল ইহ্সান-ইবনে হিববানঃ ৯:৩৯/৬৮৮৪★৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃلَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.তোমরা আলী (আঃ)কে গালমন্দ করো না।সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১৯:১৪৮/৩২৪*(খ.) হিল্লিয়াতুল আউলিয়াঃ ১:৬৮ *(ঘ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২১/৩৩০১৭✌হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন, রাসুল ﷺ বলেছেন,”যে ব্যক্তি আলী (আঃ) কে গালি দিল,সে যেন আঁমাকেই গালি দিল।” (আর যে নবী ﷺ গালি দিল, সে এবং তার সঙ্গীরা নিশ্চিত জাহান্নামী, যা আমরা পবিত্র আল কোরআনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বা পড়েছি)। 📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মেশকাত,১১তম খন্ড,হাদিস ৫৮৪২*(খ.) সুনানে নাসাঈ,৫ম খন্ড,পৃঃ ১৩৩*(গ.) মুসনাদে হাম্বাল,৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৩২৩ *(ঘ.)মুস্তাদারাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃঃ১৩০ *(ঙ.) মুয়াদ্দাতুল কুরবাঃ পৃঃ ৪৪✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃمَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে গালমন্দ করে সে যেন আঁমাকেই গালি দিল। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক-ইবনে মাঞ্জুরঃ ১৭:৩৬৬*(খ.) ফাযায়েলুস সাহাবাঃ ২:৫৯৪/১০১১*(গ.) খাসায়েসে নাসায়ীঃ ২৪*(ঘ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২১*(ঙ.) মানাকিবে খারেযমীঃ ৮২উম্মে সালামাহ্ রাসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন,“যে কেউ আলীকে মন্দ নামে সম্বোধন করলো সে যেন আঁমাকেই মন্দ নামে সম্বোধন করলো।” ★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।★যাহাবীও তাঁর ‘তালখিস’ গ্রন্থে হাদীসটি বিশুদ্ধ বলে স্বীকার করেছেন।★আহমাদ ইবনে হাম্বল তাঁর ‘মুসনাদ’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৩২৩ পৃষ্ঠায় এবং নাসায়ী তাঁর ‘খাসায়েসুল আলাভীয়া’ গ্রন্থের ১৭ পৃষ্ঠায় উম্মে সালামাহ্ হতে এবং অন্যান্য হাদীসবিদগণও এটি বর্ণনা করেছেন।এরূপ অপর একটি হাদীস যা আমর ইবনে শাশ নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন তা হলো: যে কেউ আলীকে কষ্ট দিল সে আঁমাকেই কষ্ট দিল। ★৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “যে আলীকে দোষারোপ করল,সে আঁমাকে (রাসুল) দোষারোপ করল,আর যে আঁমাকে দোষারোপ করল সে খোদাকে দোষারোপ করল।আল্লাহ তাকে মুখ নীচু করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) সহিহ বুখারী-দ্বিতীয় খণ্ড*(খ.) সহিহ মুসলিম-দ্বিতীয় খণ্ড*(গ.) সহিহ তিরমিজি,৫ম খণ্ড★৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃلَوِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلي حُبِّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لَمَا خَلَقَ اللهُ تَعَالَي النَّارَ.যদি মানুষ আলী (আঃ) এঁর ভালোবাসায় একমত হতো তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আল ফেরদৌসঃ ৩:৩৭৩/১৩৫*(খ.) আল মানাকিব-খারেযমীঃ ৬৭/৩৯*(গ.) মাকতালুল হুসাইন (رضي الله عنه)- খারেযমীঃ ১:৩৮★১০. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন,“যে আঁমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহরই আনুগত্য করলো,আর যে আঁমার বিরোধিতা করলো সে আল্লাহরই বিরোধিতা করলো।আর যে আলীর আনুগত্য করেছে সে যেন আঁমারই আনুগত্য করেছে,আর যে তাঁর বিরোধিতা করেছে সে আঁমারই বিরোধিতা করেছে।”★হাকিম নিশাবুরী তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় এবং যাহাবী তাঁর ‘তালখিসে মুসতাদরাক’-এ হাদীসটি এনে বলেছেন যে,বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ। ★১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃأَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.হে লোকসকল! আলী (আঃ)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ৩:৮৬*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১৩৪★১২. হযরত আবু মুসা হামিদীর বর্ণনা, আমি আরাফার মধ্যে রাসুল (ﷺ) এঁর সঙ্গে ছিলাম।হযরত আবু বকর,হযরত ওসমান এবং অন্যান্য আসহাবও সঙ্গে ছিলেন।নবী (ﷺ) আবু বকরকে সন্মোধন করে বললেন” হে আবু বকর।এই ব্যাক্তি যাঁকে তুমি দেখছো আলী ইবনে আবু তালেব,উর্ধাকাশে সে আঁমার উত্তরসুরী, পৃথিবীতেও আঁমার উত্তরসুরী।যদি তুমি আল্লাহ্র সন্তষ্টির সাথে আল্লাহ্র সামনে হাজির হতে চাও,তবে আলীর সন্তোষ কামনা কর,তাঁর সন্তোষ্টি আল্লাহ্র সন্তোষ্টি,আর আলীর অসন্তষ্টি বা গজব, আল্লাহ্রই অসন্তষ্টি বা গজব।” 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) মুয়াদ্দাতুল কুরবাঃ পৃঃ ৬৩*(খ.) ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ ৪০৩★১৩. রাসূল (ﷺ) আলী (আঃ)-এঁর কাঁধে হাত রেখে বলেছেন : هذا إمام البررة قاتل الفجرة منصور من نصره,مخذول من خذله “এই আলী সৎ কর্মশীলদের ইমাম, অন্যায়কারীদের হন্তা,যে তাঁকে সাহায্য করবে সে সাফল্য লাভ করবে (সাহায্য প্রাপ্ত হবে) এবং যে তাঁকে হীন করার চেষ্টা করবে সে নিজেই হীন হবে।” ★হাদীসটি হাকিম নিশাবুরী তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৯ পৃষ্ঠায় জাবের বিন আবদুল্লাহ্ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন।তিঁনি বলেছেন,“এই হাদীসটি সহীহ।এঁর সনদও সহিহ।★১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃاَللّهُمَّ انْصُرْ مَنْ نَصَرَ عَلِيّاً، اَللَّهُمَّ أَكْرِمْ مَنْ أَكْرَمَ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أخْذُلْ مَنْ خَذَلَ عَلِيّاً.হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে সাহায্য করে তুমি তাঁকে সাহায্য করো,যে ব্যক্তি তাঁকে সম্মান করে তুমি তাঁকে সম্মান করো আর যে তাঁকে লাঞ্ছিত করে তুমি তাঁকে লাঞ্ছিত করো। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২৩/৩৩০৩৩*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১৭: ৩৯,৮২★১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃلَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.মুনাফিকরা আলী (আঃ)কে ভালোবাসে না,আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) সুনানে তিরমিযীঃ ৫:৬৩৫/৩৭১৭*(খ.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৮৯★১৬. অপর একখানা হাদিসে রাসূল ﷺ ফরমাইয়াছেনঃ “আলী (আঃ)-কে মুহব্বত করা ঈমান,আর আলী (আঃ)-র সঙ্গে শত্রুতা করা মুনাফেকী।”[সহিহ মুসলিম,১ম খন্ড,পৃ ৪৮]রাসূল ﷺ এঁর এইরূপ মন্তব্যের কারনে অনেক সাহাবায়ে কেরামগণই বলিয়া থাকিতেন যেঃ “আমরা আলী (আঃ) এঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা দেখিয়া নির্ধারন করিতাম যে,কে ঈমানদার ও কে মুনাফিক।”হযরত আবু জর গিফারী (রাঃ), হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাঃ),হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ),হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণীত হয়েছে যে,”আমরা সাহাবাগন হযরত আলীর প্রতি ঘৃণা দ্বারা মুনাফেক (সাহাবা) খুঁজে বের করতাম। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) সহীহ মুসলিম,১ম খন্ড,হাদিস-১৪৪ (ই:ফা:বা:)*(খ.) আশারা মোবাশশারাঃ পৃঃ ১৯৭ (এমদাদিয়া লাইঃ)*(গ.) কাতেবীনে ওহী,পৃঃ ২১২ ( ইসঃ ফাঃ বাঃ)*(ঘ.) জামে আত তিরমিজি,৬ষ্ঠ খণ্ড, হাদিস-৩৬৫৫,৩৬৫৪ (ইসলামিক সেন্টার )*(ঙ.) মিশকাত,১১ম খণ্ড,হাদিস-৫৮৪১ (এমদাদিয়া লাইঃ)*(চ.) হযরত আলী,পৃঃ ১৪,(এমদাদিয়া লাইঃ)⏹রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (আঃ) কে বলেনঃلَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.যদি তুমি না থাকতে তাহলে আঁমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৭৩*(খ.) আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী:৭০/১০১*(গ.) কানযুল উম্মালঃ ১৩:১৫২/৩৬৪৭৭★১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃيا عَلِيّ، طُوبَي لِمَنْ أَحَبَّكَ وَ صَدَّقَ فِيكَ وَ وَيْلٌ لِمَنْ أَبْغَضَكَ وَ كَذَّبَ فِيكَ.হে আলী (আঃ)! সুসংবাদ তার প্রতি যে তোঁমাকে ভালোবাসে এবং তোঁমাকে সত্য বলে জানে।আর দুর্ভাগ্য তাদের প্রতি যারা তোঁমার সাথে শত্রুতা করে এবং তোঁমার ব্যাপারে মিথ্যা আরোপ করে 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) তারীখে বাগদাদঃ ৯:৭২*(খ.) ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীনঃ ৫ম খন্ড*(গ.) আল কিস্মঃ ২:১৬১*(ঘ.) উসুদুল গবাহঃ ৪:২৩✌নবী (ﷺ) বলেছেন,“হে আলী! সৌভাগ্য সেই ব্যক্তির যে তোঁমাকে ভালবাসে ও তোঁমার বিষয়ে সত্য বলে এবং দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে তোঁমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে ও তোঁমার নামে মিথ্যা ছড়ায়।” ★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১৩৫ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন হাদীসটি সহীহ।সনদও সহিহ।★১৮. নবী (ﷺ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি আলীকে ভালবাসে সে যেন আঁমাকেই ভালবেসেছে,আর যে আলীর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে সে আঁমার সঙ্গেই শত্রুতা পোষণ করেছে।” ★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১৩০ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বুখাররী ও মুসলিমের শর্তানুসারে সহীহ বলেছেন।★যাহাবীও তাঁর ‘তালখিস’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে বিশুদ্ধ বলেছেন। আলী নিজেও বলেছেন,“সেই সত্তার শপথ,যিঁনি বীজ অঙ্কুরিত এবং মানুষের আত্মাকে সৃষ্টি করেন,উম্মী নবী (ﷺ) এই কথা বলেছেন যে,মুমিন ব্যতীত আঁমাকে (আলীকে) কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফিক ব্যতীত কেউ আঁমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে না।”★১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃمَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.আঁমি যার মাওলা আলী (আঃ)ও তার মাওলা।হে আল্লাহ! যে আলী (رضي الله عنه) কে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলী (رضي الله عنه)র সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো 📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০৯/৩২৯৫০*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১০৯*(গ.) মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ৯:১০৪*(ঘ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ৪:১৭৩/৪০৫৩*(ঙ.) তিরমিযীঃ ৫:৬৩৩/৩৭১৩*(চ.) মুসনাদে আহমাদঃ ১:৮৪,৮৮,১১৯, ১৫২,৩৩১ ও ৪:২৮১,৩৬৮,৩৭০,৩৭২ ও ৫:৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯।✌রাসূল ﷺ ইরশাদ করিয়াছেন যেঃ “আঁমি যাহার মাওলা (অভিবাভক), আলীও তাহার মাওলা (অভিবাভক)।হে আল্লাহ! যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ,যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে শত্রুতা রাখ।” *******দলিল********(ক.) সহিহ মুসলিম-২য় খন্ড,৩৬২ পৃঃ*(খ.) মুসনাদে ইমাম হাম্বল-৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২৮১★২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (আঃ) কে বলেনঃمَنْ أَحَبَّكَ حُفَّ بِالاَمْنِ وَ الْإِيمَانِ، وَ مَنْ أَبْغَضَكَ أَمَاتَهُ اللهُ مِيْتَةَ الْجَاهِلِيَّةِ.যে ব্যক্তি তোঁমাকে ভালোবাসবে, নিরাপত্তা ও ঈমান তাকে আবিষ্ট করবে। আর যে তোঁমার প্রতি শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু দান করবেন। 📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০৭/৩২৯৩৫*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৬৩/১১০৯২✌দারে কুতনী তাঁর ‘কিতাবুল আফরাদ’ গ্রন্থে ইবনে আব্বাস সূত্রে রাসূল হতে বর্ণনা করেছেন,“আলী ইবনে আবি তালিব ক্ষমার দ্বার। যে কেউ এ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করবে সে মুমিন,আর কেউ তা হতে বের হয়ে গেলে সে কাফের।” ★২১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃيَا عَلِيُّ، أَنْتَ سَيِّدٌ فِي الدُُّنْيَا وَ سَيِّدٌ فِي الْآخِرَةِ، حَبِيبُكَ حَبِيبِي وَ حَبِيبِي حَبِيبُ اللهِ، وَ عَدُوُّكَ عَدُوِّي وَ عَدُوِّي عَدُوُّ اللهِ وَ الْوَيْلُ لِمَنْ أَبْغَضَكَ بَعْدِي.হে আলী (আঃ)! তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের সরদার বা নেতা।তোমার বন্ধু আমারও বন্ধু,আর আঁমার বন্ধু আল্লাহরও বন্ধু।তোমার শত্রু আঁমারও শত্রু,আর আমার শত্রু আল্লাহরও শত্রু। অভিসম্পাত বা ধ্বংস তার ওপর যে আঁমার পরে তোমার সাথে শত্রুতা করবে। 📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖*(ক.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৮*(খ.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১২৪*(গ.) আল ফেরদৌসঃ ৫:৩২৪/৮৩২৫★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৮ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ বলেছেন____________ নিবেদক মোঃ শামসীর হায়দার আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম২৬/১২/২০
হজরত আলী (আঃ)
এঁর সাথে বিদ্বেষ পোষণ করা হলো কুফুরী
★১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.
আলী (আঃ) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬১৬/৩২৯৯০
*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ৬:২৬৯/৬১৮৪
মহানবী (ﷺ) বলেছেন,“আলী (আঃ) ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী এবং মুমিনদের অভিভাবক। [কানযুল উম্মাল,১১তম খন্ড,পৃঃ ৬১৬]
★২. আলী (আঃ) এঁর পথই সত্যের পথঃ
يَا عَمَّارُ، إِنْ رَأَيْتَ عَلِيّاً قَدْ سَلَكَ وَادِياً وَ سَلَكَ النَّاسُ وَادِياً غَيْرَهُ، فَاسْلُكْ مَعَ عَلِيٍّ و دَعِ النَّاسَ، إِنَّهُ لَنْ يَدُلَّكَ عَلَي رَدَيً، وَ لَنْ يُخْرِجَكَ مِنَ الْهُدَي.
হে আম্মার! যদি দেখতে পাও যে আলী (আঃ) একপথে চলেছে আর লোকেরা অন্যপথে,তাহলে তুমি আলী (আঃ)র সাথে চলবে এবং লোকদেরকে ত্যাগ করবে।কারণ,আলী (আঃ) কখনো তোমাকে বক্রপথে পরিচালিত করবে না এবং তোমাকে হেদায়েতের পথ থেকে বাইরে নিয়ে যাবে না।
📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬১৩/৩২৯৭২
*(খ.) তারীখে বাগদাদঃ ১৩:১৮৭
✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.
যে ব্যক্তি আলী (আঃ) থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আল মানাকিব-ইবনে মাগাযেলী: ২৪০/২৮৭
*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৪
*(গ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১২:৩২৩/১৩৫৫৯
★৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
يَا عَلِيُّ! إِنِّي اُحِبُّ لَكَ مَا اُحِبُّ لِنَفْسِي، وَ أَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي.
হে আলী (আঃ)! আঁমি নিজের জন্যে যা পছন্দ করি তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি।আর আঁমার চোখে যা অপছন্দনীয় তোমার জন্যও সেটা অপছন্দ করি
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ১:১৪৬
*(খ.) সুনানে তিরমিযীঃ ২:৭২/২৮২
*(গ.) আল মুনাতাখাবু মিন মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ: ৫২/৬৭
★৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَ قَاتِلُ الْفَجَرةِ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ.
আলী (আঃ) সতকর্মশীলদের নেতা আর ব্যভিচারীদের হন্তা। যে কেউ তাকে সাহায্য করে সে সাহায্য প্রাপ্ত হয় আর যে ব্যক্তি তাকে ত্যাগ করে সে বিফল হয়
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৯
*(খ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০২/৩২৯০৯
*(গ.) আস-সাওয়ায়েকুল মুহরিকাঃ ১২৫
*(ঘ.) আল ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকিরঃ ২:৪৭৬/১০০৩ ও ৪৭৮/১০০৫
★৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.
আলী (আঃ)র প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।
[আল ফেরদৌসঃ ২:১৪২/২৭২৩]
✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.
আলী (আঃ) এর ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে
📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আর রিয়াদুন্ নাদরাহঃ ৩: ১৯০
*(খ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২১/৩৩০২১
*(গ.) আল ফেরদৌসঃ ২:১৪২/২৭২৩
পুণ্যবানদের ইমাম (নেতা) ও পাপাচারীদের নিশ্চিহ্নকারী হলেন আলী। [কাঞ্জুল উম্মালঃ ১২তম খন্ড,পৃ: ২০৩, হাদিস নং ১১৪৯]
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي فَقَدْ كَفَرَ.
আলী (আঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ,যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।
📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖
*(ক.) সিয়ারু আ’লামুন নুবালাঃ ৮:২৫০
*(খ.) ইমাম আলী (رضي الله عنه)-ইবনে আসাকিরঃ ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬
*(গ.) তারীখে বাগদাদঃ ৭:৪২১
★৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.
যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে কষ্ট দেয় সে আঁমাকে কষ্ট দেয়
📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ৩:৪৮৩
*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২২
*(গ.) দালায়িলুন নব্যুওয়াতঃ ৫:৩৯৫
*(ঘ.) আল ইহ্সান-ইবনে হিববানঃ ৯:৩৯/৬৮৮৪
★৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.
তোমরা আলী (আঃ)কে গালমন্দ করো না।সে আল্লাহর সত্তায় ফানা গেছে্। অর্থাৎ, আল্লাহর ভালবাসায় বিলীন হয়ে গেছে
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১৯:১৪৮/৩২৪
*(খ.) হিল্লিয়াতুল আউলিয়াঃ ১:৬৮
*(ঘ.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২১/৩৩০১৭
✌হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) বলেন, রাসুল ﷺ বলেছেন,”যে ব্যক্তি আলী (আঃ) কে গালি দিল,সে যেন আঁমাকেই গালি দিল।” (আর যে নবী ﷺ গালি দিল, সে এবং তার সঙ্গীরা নিশ্চিত জাহান্নামী, যা আমরা পবিত্র আল কোরআনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি বা পড়েছি)।
📖📖📖📖 *****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মেশকাত,১১তম খন্ড,হাদিস ৫৮৪২
*(খ.) সুনানে নাসাঈ,৫ম খন্ড,পৃঃ ১৩৩
*(গ.) মুসনাদে হাম্বাল,৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৩২৩ *(ঘ.)মুস্তাদারাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃঃ১৩০
*(ঙ.) মুয়াদ্দাতুল কুরবাঃ পৃঃ ৪৪
✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.
যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে গালমন্দ করে সে যেন আঁমাকেই গালি দিল।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক-ইবনে মাঞ্জুরঃ ১৭:৩৬৬
*(খ.) ফাযায়েলুস সাহাবাঃ ২:৫৯৪/১০১১
*(গ.) খাসায়েসে নাসায়ীঃ ২৪
*(ঘ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২১
*(ঙ.) মানাকিবে খারেযমীঃ ৮২
উম্মে সালামাহ্ রাসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন,“যে কেউ আলীকে মন্দ নামে সম্বোধন করলো সে যেন আঁমাকেই মন্দ নামে সম্বোধন করলো।”
★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।
★যাহাবীও তাঁর ‘তালখিস’ গ্রন্থে হাদীসটি বিশুদ্ধ বলে স্বীকার করেছেন।
★আহমাদ ইবনে হাম্বল তাঁর ‘মুসনাদ’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৩২৩ পৃষ্ঠায় এবং নাসায়ী তাঁর ‘খাসায়েসুল আলাভীয়া’ গ্রন্থের ১৭ পৃষ্ঠায় উম্মে সালামাহ্ হতে এবং অন্যান্য হাদীসবিদগণও এটি বর্ণনা করেছেন।এরূপ অপর একটি হাদীস যা আমর ইবনে শাশ নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন তা হলো: যে কেউ আলীকে কষ্ট দিল সে আঁমাকেই কষ্ট দিল।
★৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “যে আলীকে দোষারোপ করল,সে আঁমাকে (রাসুল) দোষারোপ করল,আর যে আঁমাকে দোষারোপ করল সে খোদাকে দোষারোপ করল।আল্লাহ তাকে মুখ নীচু করে দোজখে নিক্ষেপ করবেন
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) সহিহ বুখারী-দ্বিতীয় খণ্ড
*(খ.) সহিহ মুসলিম-দ্বিতীয় খণ্ড
*(গ.) সহিহ তিরমিজি,৫ম খণ্ড
★৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
لَوِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلي حُبِّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لَمَا خَلَقَ اللهُ تَعَالَي النَّارَ.
যদি মানুষ আলী (আঃ) এঁর ভালোবাসায় একমত হতো তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আল ফেরদৌসঃ ৩:৩৭৩/১৩৫
*(খ.) আল মানাকিব-খারেযমীঃ ৬৭/৩৯
*(গ.) মাকতালুল হুসাইন (رضي الله عنه)- খারেযমীঃ ১:৩৮
★১০. রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন,“যে আঁমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহরই আনুগত্য করলো,আর যে আঁমার বিরোধিতা করলো সে আল্লাহরই বিরোধিতা করলো।আর যে আলীর আনুগত্য করেছে সে যেন আঁমারই আনুগত্য করেছে,আর যে তাঁর বিরোধিতা করেছে সে আঁমারই বিরোধিতা করেছে।”
★হাকিম নিশাবুরী তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২১ পৃষ্ঠায় এবং যাহাবী তাঁর ‘তালখিসে মুসতাদরাক’-এ হাদীসটি এনে বলেছেন যে,বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ।
★১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.
হে লোকসকল! আলী (আঃ)র বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মুসনাদে আহমাদঃ ৩:৮৬
*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১৩৪
★১২. হযরত আবু মুসা হামিদীর বর্ণনা, আমি আরাফার মধ্যে রাসুল (ﷺ) এঁর সঙ্গে ছিলাম।হযরত আবু বকর,হযরত ওসমান এবং অন্যান্য আসহাবও সঙ্গে ছিলেন।নবী (ﷺ) আবু বকরকে সন্মোধন করে বললেন” হে আবু বকর।এই ব্যাক্তি যাঁকে তুমি দেখছো আলী ইবনে আবু তালেব,উর্ধাকাশে সে আঁমার উত্তরসুরী, পৃথিবীতেও আঁমার উত্তরসুরী।যদি তুমি আল্লাহ্র সন্তষ্টির সাথে আল্লাহ্র সামনে হাজির হতে চাও,তবে আলীর সন্তোষ কামনা কর,তাঁর সন্তোষ্টি আল্লাহ্র সন্তোষ্টি,আর আলীর অসন্তষ্টি বা গজব, আল্লাহ্রই অসন্তষ্টি বা গজব।”
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) মুয়াদ্দাতুল কুরবাঃ পৃঃ ৬৩
*(খ.) ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃঃ ৪০৩
★১৩. রাসূল (ﷺ) আলী (আঃ)-এঁর কাঁধে হাত রেখে বলেছেন :
هذا إمام البررة قاتل الفجرة منصور من نصره,مخذول من خذله
“এই আলী সৎ কর্মশীলদের ইমাম, অন্যায়কারীদের হন্তা,যে তাঁকে সাহায্য করবে সে সাফল্য লাভ করবে (সাহায্য প্রাপ্ত হবে) এবং যে তাঁকে হীন করার চেষ্টা করবে সে নিজেই হীন হবে।”
★হাদীসটি হাকিম নিশাবুরী তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৯ পৃষ্ঠায় জাবের বিন আবদুল্লাহ্ আনসারী হতে বর্ণনা করেছেন।তিঁনি বলেছেন,“এই হাদীসটি সহীহ।এঁর সনদও সহিহ।
★১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
اَللّهُمَّ انْصُرْ مَنْ نَصَرَ عَلِيّاً، اَللَّهُمَّ أَكْرِمْ مَنْ أَكْرَمَ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أخْذُلْ مَنْ خَذَلَ عَلِيّاً.
হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আলী (আঃ)কে সাহায্য করে তুমি তাঁকে সাহায্য করো,যে ব্যক্তি তাঁকে সম্মান করে তুমি তাঁকে সম্মান করো আর যে তাঁকে লাঞ্ছিত করে তুমি তাঁকে লাঞ্ছিত করো।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬২৩/৩৩০৩৩
*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ১৭: ৩৯,৮২
★১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.
মুনাফিকরা আলী (আঃ)কে ভালোবাসে না,আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) সুনানে তিরমিযীঃ ৫:৬৩৫/৩৭১৭
*(খ.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৮৯
★১৬. অপর একখানা হাদিসে রাসূল ﷺ ফরমাইয়াছেনঃ “আলী (আঃ)-কে মুহব্বত করা ঈমান,আর আলী (আঃ)-র সঙ্গে শত্রুতা করা মুনাফেকী।”
[সহিহ মুসলিম,১ম খন্ড,পৃ ৪৮]
রাসূল ﷺ এঁর এইরূপ মন্তব্যের কারনে অনেক সাহাবায়ে কেরামগণই বলিয়া থাকিতেন যেঃ “আমরা আলী (আঃ) এঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা দেখিয়া নির্ধারন করিতাম যে,কে ঈমানদার ও কে মুনাফিক।”
হযরত আবু জর গিফারী (রাঃ), হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাঃ),হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ),হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণীত হয়েছে যে,”আমরা সাহাবাগন হযরত আলীর প্রতি ঘৃণা দ্বারা মুনাফেক (সাহাবা) খুঁজে বের করতাম।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) সহীহ মুসলিম,১ম খন্ড,হাদিস-১৪৪ (ই:ফা:বা:)
*(খ.) আশারা মোবাশশারাঃ পৃঃ ১৯৭ (এমদাদিয়া লাইঃ)
*(গ.) কাতেবীনে ওহী,পৃঃ ২১২ ( ইসঃ ফাঃ বাঃ)
*(ঘ.) জামে আত তিরমিজি,৬ষ্ঠ খণ্ড, হাদিস-৩৬৫৫,৩৬৫৪ (ইসলামিক সেন্টার )
*(ঙ.) মিশকাত,১১ম খণ্ড,হাদিস-৫৮৪১ (এমদাদিয়া লাইঃ)
*(চ.) হযরত আলী,পৃঃ ১৪,(এমদাদিয়া লাইঃ)
⏹রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (আঃ) কে বলেনঃ
لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ بَعْدِي.
যদি তুমি না থাকতে তাহলে আঁমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৭৩
*(খ.) আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী:৭০/১০১
*(গ.) কানযুল উম্মালঃ ১৩:১৫২/৩৬৪৭৭
★১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
يا عَلِيّ، طُوبَي لِمَنْ أَحَبَّكَ وَ صَدَّقَ فِيكَ وَ وَيْلٌ لِمَنْ أَبْغَضَكَ وَ كَذَّبَ فِيكَ.
হে আলী (আঃ)! সুসংবাদ তার প্রতি যে তোঁমাকে ভালোবাসে এবং তোঁমাকে সত্য বলে জানে।আর দুর্ভাগ্য তাদের প্রতি যারা তোঁমার সাথে শত্রুতা করে এবং তোঁমার ব্যাপারে মিথ্যা আরোপ করে
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) তারীখে বাগদাদঃ ৯:৭২
*(খ.) ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীনঃ ৫ম খন্ড
*(গ.) আল কিস্মঃ ২:১৬১
*(ঘ.) উসুদুল গবাহঃ ৪:২৩
✌নবী (ﷺ) বলেছেন,“হে আলী! সৌভাগ্য সেই ব্যক্তির যে তোঁমাকে ভালবাসে ও তোঁমার বিষয়ে সত্য বলে এবং দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তির যে তোঁমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে ও তোঁমার নামে মিথ্যা ছড়ায়।”
★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১৩৫ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বলেছেন হাদীসটি সহীহ।সনদও সহিহ।
★১৮. নবী (ﷺ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি আলীকে ভালবাসে সে যেন আঁমাকেই ভালবেসেছে,আর যে আলীর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে সে আঁমার সঙ্গেই শত্রুতা পোষণ করেছে।”
★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১৩০ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করে বুখাররী ও মুসলিমের শর্তানুসারে সহীহ বলেছেন।
★যাহাবীও তাঁর ‘তালখিস’ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করে বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে বিশুদ্ধ বলেছেন।
আলী নিজেও বলেছেন,“সেই সত্তার শপথ,যিঁনি বীজ অঙ্কুরিত এবং মানুষের আত্মাকে সৃষ্টি করেন,উম্মী নবী (ﷺ) এই কথা বলেছেন যে,মুমিন ব্যতীত আঁমাকে (আলীকে) কেউ ভালবাসবে না এবং মুনাফিক ব্যতীত কেউ আঁমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করবে না।”
★১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.
আঁমি যার মাওলা আলী (আঃ)ও তার মাওলা।হে আল্লাহ! যে আলী (رضي الله عنه) কে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলী (رضي الله عنه)র সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো
📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖
*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০৯/৩২৯৫০
*(খ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১০৯
*(গ.) মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ৯:১০৪
*(ঘ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানীঃ ৪:১৭৩/৪০৫৩
*(ঙ.) তিরমিযীঃ ৫:৬৩৩/৩৭১৩
*(চ.) মুসনাদে আহমাদঃ ১:৮৪,৮৮,১১৯, ১৫২,৩৩১ ও ৪:২৮১,৩৬৮,৩৭০,৩৭২ ও ৫:৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯।
✌রাসূল ﷺ ইরশাদ করিয়াছেন যেঃ “আঁমি যাহার মাওলা (অভিবাভক), আলীও তাহার মাওলা (অভিবাভক)।হে আল্লাহ! যে আলীর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখ,যে আলীর সাথে শত্রুতা রাখে তুমিও তাহার সঙ্গে শত্রুতা রাখ।”
*******দলিল*******
*(ক.) সহিহ মুসলিম-২য় খন্ড,৩৬২ পৃঃ
*(খ.) মুসনাদে ইমাম হাম্বল-৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২৮১
★২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (আঃ) কে বলেনঃ
مَنْ أَحَبَّكَ حُفَّ بِالاَمْنِ وَ الْإِيمَانِ، وَ مَنْ أَبْغَضَكَ أَمَاتَهُ اللهُ مِيْتَةَ الْجَاهِلِيَّةِ.
যে ব্যক্তি তোঁমাকে ভালোবাসবে, নিরাপত্তা ও ঈমান তাকে আবিষ্ট করবে। আর যে তোঁমার প্রতি শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু দান করবেন।
📖📖📖📖*******দলিল*******📖📖📖📖
*(ক.) কানযুল উম্মালঃ ১১:৬০৭/৩২৯৩৫
*(খ.) আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৬৩/১১০৯২
✌দারে কুতনী তাঁর ‘কিতাবুল আফরাদ’ গ্রন্থে ইবনে আব্বাস সূত্রে রাসূল হতে বর্ণনা করেছেন,“আলী ইবনে আবি তালিব ক্ষমার দ্বার। যে কেউ এ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করবে সে মুমিন,আর কেউ তা হতে বের হয়ে গেলে সে কাফের।”
★২১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
يَا عَلِيُّ، أَنْتَ سَيِّدٌ فِي الدُُّنْيَا وَ سَيِّدٌ فِي الْآخِرَةِ، حَبِيبُكَ حَبِيبِي وَ حَبِيبِي حَبِيبُ اللهِ، وَ عَدُوُّكَ عَدُوِّي وَ عَدُوِّي عَدُوُّ اللهِ وَ الْوَيْلُ لِمَنْ أَبْغَضَكَ بَعْدِي.
হে আলী (আঃ)! তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের সরদার বা নেতা।তোমার বন্ধু আমারও বন্ধু,আর আঁমার বন্ধু আল্লাহরও বন্ধু।তোমার শত্রু আঁমারও শত্রু,আর আমার শত্রু আল্লাহরও শত্রু। অভিসম্পাত বা ধ্বংস তার ওপর যে আঁমার পরে তোমার সাথে শত্রুতা করবে।
📖📖📖📖*****দলিল******📖📖📖📖
*(ক.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১২৮
*(খ.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১২৪
*(গ.) আল ফেরদৌসঃ ৫:৩২৪/৮৩২৫
★হাকিম তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থের ৩য় খণ্ডের ১২৮ পৃষ্ঠায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ বলেছেন
____________ নিবেদক মোঃ শামসীর হায়দার
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম
২৬/১২/২০
মন্তব্যসমূহ