পবিত্র কোরআনের আলোকে মাওলা আলী (আ:) এঁর মর্যাদা-১ম পর্ব ★১. হজরত আলী (আঃ) মর্যাদা এত অধিক যে,ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল বলেন-রাসূল ﷺ-এঁর সাহাবীগণের মধ্যে অন্য কারো সম্পর্কে আলী (আঃ)-এঁর মত এত অধিক মর্যাদা বর্ণিত হয়নি।[মুনতাহাল আমালঃ ১ম খণ্ড,পৃষ্ঠা-১২০ ও তারিখে হাবিবুস সাঈরঃ১ম খণ্ড,পৃঃ ৪১১]★ইবনে হাজার তার সাওয়ায়েক নামক গ্রন্থে লিখেছেনঃ আলী (আঃ)-এঁর শানে (সম্পর্কে) যত কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে,অন্য কোন ব্যক্তির শানে এত পরিমাণ আয়াত নাজিল হয়নি।[ইমতাউল আসমাঃ পৃষ্ঠা ৫১০]🌺পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছেمن المؤمنین رجال صدقوا ماعاهدوا الله علیه فمنهم من قضی نحبه ومنهم من ینتظر وما بدلوا تبدیلا“মুমিনদের মধ্যে এমন পুরুষ রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতির (আল্লাহর রাস্তায় আত্মত্যাগ) উপর অবিচল রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছুলোক তাদের ওয়াদা পূর্ণ করেছে।আর কিছু লোক অপেক্ষায় আছে এবং তাদের প্রতিশ্রুতিতে কোনরূপ পরিবর্তন করেনি।”[সূরা আহজাব,আয়াত নং ২৩]⏩এ আয়াতে কাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে মুফাসসীরদের বিভিন্ন মত রয়েছে।নিশ্চিতভাবে শাহাদাতের জন্য অপেক্ষমান লোকদের মধ্যে হযরত আলী (আ:) অন্যতম। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কোন কোন মুফাসসীর এ মতটির কথা উল্লেখ করেছেন।যেমন:*১. হাকেম আবুল কাসেম হেসকানী হানাফী ‘শাওয়াহেদুত্ তানযীল’ কিতাবের ১ম ও ২য় খন্ডে ৬২৭ ও ৬২৮ নম্বর হাদীসে হযরত আলী (আ:) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,তিঁনি বলেছেন :رجال صدقوا আয়াতটি আঁমাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।খোদার কসম,আঁমি কি সেই ব্যক্তি যে শাহাদাতের জন্য অপেক্ষা করছি! আঁমি কখনো নিঁজের কর্মপন্থা পরিবর্তন করিনি,আঁমি আঁমার প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল রয়েছি।’★★⏫*২. কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’ ইস্তম্বুলে মুদ্রিত পৃষ্ঠা: ৯৬ এবং হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত,পৃ: ১১০।*৩. মানাকেবে খাওয়ারেজমী হানাফী, হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত,পৃষ্ঠা: ১৯৭।*৪. তাযকেরায়ে ইবনে জাওযী হানাফী- পৃঃ ১৭।*৫. আসসাওয়ায়েকুল মুহরেকা: পৃঃ ৮০।*৬. শাবলাঞ্জী নূরুল আবসার,সাদীয়া প্রেসে মুদ্রিত-পৃঃ ৭৮*৭.তাফসীরে খাজেম ৫ম খন্ড,পৃষ্ঠা: ২০৩*৮. ফাজায়েলুল খাম্সা মিনাস সেহাহ আস্ সিত্তা ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮৭।✌আয়াতটি খন্দকের যুদ্ধ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ।ঐ সময় কাফের ও মুশরিকদের বিশাল বাহিনী মদীনার দিকে অভিযান পরিচালনা করে।রসূলে খোদা ﷺ তাদের অভিযান সম্পর্কে অবহিত হয়ে পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন যে,মদীনার চার পাশে খন্দক খনন করা হবে,যাতে দুশমন মদীনার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। খন্দক খননের পর শত্রু বাহিনী এ অবস্থায় মুখোমুখি হয়ে হোঁচট খায়। এরপর মাত্র কয়েকজন ব্যতীত শত্রুসৈন্যরা খন্দক বেষ্টনীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে আমর ইবনে আবদু ছিল প্রচন্ড-বীরত্বের অধিকারী।সে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে প্রতিদ্বন্দীর জন্য হাঁক দিতে থাকে।মুসলমানরা তখন ইতস্তত বোধ করছিলেন।এ সময় হযরত আলী (আ:) তার সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত হন।ঠিক ঐ সময় নবী করিম ﷺ হযরত আলীর জন্য দোয়া করেন এবং এ বিখ্যাত উক্তিটি করেন-برز الایمان کله الشرک کلهঅর্থাৎ “সমগ্র ঈমান (আলী) সমগ্র কুফরের মুখোমুখি হয়েছে।”আলী যদি পরাজিত হয় প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ও ঈমান পরাজয় বরণ করবে আর যদি আমর ইবনে আবদু পরাজিত হয় তাহলে সমস্ত কুফরই যেন পরাজিত হবে।শেষ পর্যন্ত হযরত আলী (আ:) জয়লাভ করেন।তিঁনি আমর ইবনে আবদুকে হত্যা করেন।এ প্রসঙ্গে নবী করিম ﷺ বলেন,لضربة علی یوم الخندق افضل من عبادة الثقلینঅথবাضربة علی یوم الخندق افضل من اعمال امتی الی یوم القیامة“খন্দকের দিন আলীর আঘাতের মর্যাদা মানব ও জ্বিন উভয় জাতির ইবাদতের চাইতে উত্তম।” অথবা “খন্দকের দিন আলীর একটি আঘাতের মর্যাদা উম্মতের কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের ইবাদতের চাইতে উত্তম।” শত্রুর উপর হানা হযরত আলীর একটি আঘাতের এতখানি মূল্য কেন সে বিষয়টিও পরিষ্কার।কেননা,হযরত আলীর এ আঘাত যদি সেদিন না হত তাহলে হয়ত কুফরী শক্তি জয়লাভ করত।পরিণামে ইসলামের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেত। অন্যদের ইবাদত-বন্দেগী করার অবকাশ তখন কিভাবে থাকত? এ বর্ণনাটি সুন্নী আলেমগণ তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন।যেমন:*(ক.) আল্লামা ইযযুদ্দীন ঈজী প্রণীত ‘কিতাবে মুওয়াফেক’ ইস্তামবুলে মুদ্রিত-পৃঃ ৬১৭।*(খ.) ফখরুদ্দীন রাজী প্রণীত নেহায়াতুল উকুল ফি দেরায়াতিল উসুল।পান্ডুলিপি- পৃঃ ১১৪।*(গ.) আল্লামা তাফতাযানী প্রণীত সারহুল সাকাসেদ: ২য় খন্ড,পৃঃ ২৩০*(ঘ.) আল্লামা কান্দুযী প্রণীত “ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’-৯৫ ও ১৩৭ পৃষ্ঠাইস্তামবুলে মুদ্রিত।*(ঙ.) আল্লামা মওলভী আদ দেহলভী প্রণীত ‘তাজহীযুল যাহিশ: পান্ডু লিপি পৃঃ ৪০৭।*(চ.) আল্লামা বেহজাত আফিন্দী প্রণীত “তারিখে আলে মুহাম্মদ’-পৃঃ ৫৭★২. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছেقل لا اسءلكم عليه اجرأ الا المودة في القربي“হে নবী! তুমি বলে দাও,আঁমি রেসালাতের বিনিময়ে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না,একমাত্র আঁমার নিকটাত্মীয়দের সাথে ভালোবাসা পোষণ ছাড়া।”[সূরা শূরা,আয়াত নং ২৩]★আহলে সুন্নাত সূত্রে বহু বর্ণনা আছে যে, আয়াতে কুরবা বা নিকটাত্মীয় বলতে হযরত আলী (আ:),হযরত ফাতেমা, হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ তাঁদের সাথে ভালোবাসা পোষণ করা অবশ্য কর্তব্য বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।*(ক.) তাফসীরে তাবারী: ২৫ খন্ড,পৃঃ ২৫ মিশরে মুদ্রিত।*(খ.) তাফসীরে কাশশাফ: ৩য় খন্ড,পৃঃ ৪০২/৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২২০,মিশরে মুদ্রিত।*(গ.) তাফসীরে কাবীর: ২৭ তম খন্ড,পৃঃ ১৬৬।মিশকুরআন ও হাদীসের আলোকে হযরত আলী (আ:)-এর পরিচয় মুদ্রিত।*(ঘ.) তাফসীরে বায়যাভী: ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১২৩।মিশকুরআন ও হাদীসের আলোকে হযরত আলী (আ:)-এর পরিচয় মুদ্রিত।*(ঙ.) তাফসীরে ইবনে কাছির: ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১১২।*(চ.) তাফসীরে কুরতুবী: ১৬তম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ২২।*(ছ.) দুররুল মানসুর: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৭।*(জ.) ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত-কান্দুযী হানাফী: পৃঃ ১০৬,১৯৪,২৬১ ইস্তামবুলে মুদ্রিত।*(ঝ.) তাফসীরে নাসাফী: ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১০৫।নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম03.01.21
পবিত্র কোরআনের আলোকে মাওলা আলী (আ:) এঁর মর্যাদা-১ম পর্ব
★১. হজরত আলী (আঃ) মর্যাদা এত অধিক যে,ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল বলেন-রাসূল ﷺ-এঁর সাহাবীগণের মধ্যে অন্য কারো সম্পর্কে আলী (আঃ)-এঁর মত এত অধিক মর্যাদা বর্ণিত হয়নি।
[মুনতাহাল আমালঃ ১ম খণ্ড,পৃষ্ঠা-১২০ ও তারিখে হাবিবুস সাঈরঃ১ম খণ্ড,পৃঃ ৪১১]
★ইবনে হাজার তার সাওয়ায়েক নামক গ্রন্থে লিখেছেনঃ আলী (আঃ)-এঁর শানে (সম্পর্কে) যত কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে,অন্য কোন ব্যক্তির শানে এত পরিমাণ আয়াত নাজিল হয়নি।[ইমতাউল আসমাঃ পৃষ্ঠা ৫১০]
🌺পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে
من المؤمنین رجال صدقوا ماعاهدوا الله علیه فمنهم من قضی نحبه ومنهم من ینتظر وما بدلوا تبدیلا
“মুমিনদের মধ্যে এমন পুরুষ রয়েছে যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতির (আল্লাহর রাস্তায় আত্মত্যাগ) উপর অবিচল রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছুলোক তাদের ওয়াদা পূর্ণ করেছে।আর কিছু লোক অপেক্ষায় আছে এবং তাদের প্রতিশ্রুতিতে কোনরূপ পরিবর্তন করেনি।”
[সূরা আহজাব,আয়াত নং ২৩]
⏩এ আয়াতে কাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে মুফাসসীরদের বিভিন্ন মত রয়েছে।নিশ্চিতভাবে শাহাদাতের জন্য অপেক্ষমান লোকদের মধ্যে হযরত আলী (আ:) অন্যতম। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের কোন কোন মুফাসসীর এ মতটির কথা উল্লেখ করেছেন।যেমন:
*১. হাকেম আবুল কাসেম হেসকানী হানাফী ‘শাওয়াহেদুত্ তানযীল’ কিতাবের ১ম ও ২য় খন্ডে ৬২৭ ও ৬২৮ নম্বর হাদীসে হযরত আলী (আ:) থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,তিঁনি বলেছেন :رجال صدقوا আয়াতটি আঁমাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে।খোদার কসম,আঁমি কি সেই ব্যক্তি যে শাহাদাতের জন্য অপেক্ষা করছি! আঁমি কখনো নিঁজের কর্মপন্থা পরিবর্তন করিনি,আঁমি আঁমার প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল রয়েছি।’★★
⏫
*২. কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’ ইস্তম্বুলে মুদ্রিত পৃষ্ঠা: ৯৬ এবং হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত,পৃ: ১১০।
*৩. মানাকেবে খাওয়ারেজমী হানাফী, হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত,পৃষ্ঠা: ১৯৭।
*৪. তাযকেরায়ে ইবনে জাওযী হানাফী- পৃঃ ১৭।
*৫. আসসাওয়ায়েকুল মুহরেকা: পৃঃ ৮০।
*৬. শাবলাঞ্জী নূরুল আবসার,সাদীয়া প্রেসে মুদ্রিত-পৃঃ ৭৮
*৭.তাফসীরে খাজেম ৫ম খন্ড,পৃষ্ঠা: ২০৩
*৮. ফাজায়েলুল খাম্সা মিনাস সেহাহ আস্ সিত্তা ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮৭।
✌আয়াতটি খন্দকের যুদ্ধ প্রসঙ্গে অবতীর্ণ।ঐ সময় কাফের ও মুশরিকদের বিশাল বাহিনী মদীনার দিকে অভিযান পরিচালনা করে।রসূলে খোদা ﷺ তাদের অভিযান সম্পর্কে অবহিত হয়ে পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন যে,মদীনার চার পাশে খন্দক খনন করা হবে,যাতে দুশমন মদীনার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে। খন্দক খননের পর শত্রু বাহিনী এ অবস্থায় মুখোমুখি হয়ে হোঁচট খায়। এরপর মাত্র কয়েকজন ব্যতীত শত্রুসৈন্যরা খন্দক বেষ্টনীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে আমর ইবনে আবদু ছিল প্রচন্ড-বীরত্বের অধিকারী।সে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে প্রতিদ্বন্দীর জন্য হাঁক দিতে থাকে।মুসলমানরা তখন ইতস্তত বোধ করছিলেন।এ সময় হযরত আলী (আ:) তার সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত হন।ঠিক ঐ সময় নবী করিম ﷺ হযরত আলীর জন্য দোয়া করেন এবং এ বিখ্যাত উক্তিটি করেন-
برز الایمان کله الشرک کله
অর্থাৎ “সমগ্র ঈমান (আলী) সমগ্র কুফরের মুখোমুখি হয়েছে।”
আলী যদি পরাজিত হয় প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ও ঈমান পরাজয় বরণ করবে আর যদি আমর ইবনে আবদু পরাজিত হয় তাহলে সমস্ত কুফরই যেন পরাজিত হবে।শেষ পর্যন্ত হযরত আলী (আ:) জয়লাভ করেন।তিঁনি আমর ইবনে আবদুকে হত্যা করেন।এ প্রসঙ্গে নবী করিম ﷺ বলেন,
لضربة علی یوم الخندق افضل من عبادة الثقلین
অথবা
ضربة علی یوم الخندق افضل من اعمال امتی الی یوم القیامة
“খন্দকের দিন আলীর আঘাতের মর্যাদা মানব ও জ্বিন উভয় জাতির ইবাদতের চাইতে উত্তম।” অথবা “খন্দকের দিন আলীর একটি আঘাতের মর্যাদা উম্মতের কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের ইবাদতের চাইতে উত্তম।” শত্রুর উপর হানা হযরত আলীর একটি আঘাতের এতখানি মূল্য কেন সে বিষয়টিও পরিষ্কার।কেননা,হযরত আলীর এ আঘাত যদি সেদিন না হত তাহলে হয়ত কুফরী শক্তি জয়লাভ করত।পরিণামে ইসলামের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যেত। অন্যদের ইবাদত-বন্দেগী করার অবকাশ তখন কিভাবে থাকত? এ বর্ণনাটি সুন্নী আলেমগণ তাদের কিতাবে উল্লেখ করেছেন।যেমন:
*(ক.) আল্লামা ইযযুদ্দীন ঈজী প্রণীত ‘কিতাবে মুওয়াফেক’ ইস্তামবুলে মুদ্রিত-পৃঃ ৬১৭।
*(খ.) ফখরুদ্দীন রাজী প্রণীত নেহায়াতুল উকুল ফি দেরায়াতিল উসুল।পান্ডুলিপি- পৃঃ ১১৪।
*(গ.) আল্লামা তাফতাযানী প্রণীত সারহুল সাকাসেদ: ২য় খন্ড,পৃঃ ২৩০
*(ঘ.) আল্লামা কান্দুযী প্রণীত “ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’-৯৫ ও ১৩৭ পৃষ্ঠা
ইস্তামবুলে মুদ্রিত।
*(ঙ.) আল্লামা মওলভী আদ দেহলভী প্রণীত ‘তাজহীযুল যাহিশ: পান্ডু লিপি পৃঃ ৪০৭।
*(চ.) আল্লামা বেহজাত আফিন্দী প্রণীত “তারিখে আলে মুহাম্মদ’-পৃঃ ৫৭
★২. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে
قل لا اسءلكم عليه اجرأ الا المودة في القربي
“হে নবী! তুমি বলে দাও,আঁমি রেসালাতের বিনিময়ে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না,একমাত্র আঁমার নিকটাত্মীয়দের সাথে ভালোবাসা পোষণ ছাড়া।”
[সূরা শূরা,আয়াত নং ২৩]
★আহলে সুন্নাত সূত্রে বহু বর্ণনা আছে যে, আয়াতে কুরবা বা নিকটাত্মীয় বলতে হযরত আলী (আ:),হযরত ফাতেমা, হযরত ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনের কথা বলা হয়েছে অর্থাৎ তাঁদের সাথে ভালোবাসা পোষণ করা অবশ্য কর্তব্য বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
*(ক.) তাফসীরে তাবারী: ২৫ খন্ড,পৃঃ ২৫ মিশরে মুদ্রিত।
*(খ.) তাফসীরে কাশশাফ: ৩য় খন্ড,পৃঃ ৪০২/৪র্থ খন্ড,পৃঃ ২২০,মিশরে মুদ্রিত।
*(গ.) তাফসীরে কাবীর: ২৭ তম খন্ড,পৃঃ ১৬৬।মিশকুরআন ও হাদীসের আলোকে হযরত আলী (আ:)-এর পরিচয় মুদ্রিত।
*(ঘ.) তাফসীরে বায়যাভী: ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১২৩।মিশকুরআন ও হাদীসের আলোকে হযরত আলী (আ:)-এর পরিচয় মুদ্রিত।
*(ঙ.) তাফসীরে ইবনে কাছির: ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১১২।
*(চ.) তাফসীরে কুরতুবী: ১৬তম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ২২।
*(ছ.) দুররুল মানসুর: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ৭।
*(জ.) ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত-কান্দুযী হানাফী: পৃঃ ১০৬,১৯৪,২৬১ ইস্তামবুলে মুদ্রিত।
*(ঝ.) তাফসীরে নাসাফী: ৪র্থ খন্ড,পৃঃ ১০৫।
নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম
03.01.21
মন্তব্যসমূহ