পবিত্র কুরআনের আলো থেকে আলী ইবনে আবী তালিব আঃ এর মর্যাদাপর্ব (((২)))উল্লেখিত সব বর্ণনাতেই একথা বলা হয়েছে যে,যখন নবিজী ﷺ-এঁর কাছে ‘কুরবা’ বা নিকটাত্মীয় কারা তা জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেন যে,তারা হলেন হযরত আলী (আ:), ফাতেমা (আ:),ইমাম হাসান (আ:) ও হুসাইন (আ:)।(ক্রমশঃ)★৩. পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছেوَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْرِى نَفْسَهُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ“লোকদের মধ্যে এমন অনেক আছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির বিনিময়ে নিজেদের প্রাণকে বিক্রি করে,আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি দয়াশীল।”[সূরা আল বাকারা,আয়াত নং ২০৭]🌺এ আয়াতও হযরত আলী (আ:) প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে।নবিজী ﷺ যখন মক্কা থেকে মদীরায় হিজরত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং মক্কার মুশরিকরা রাতে হযরতের উপর হামলা করে তাঁকে হত্যার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আল্লাহ তায়ালা নবিজী ﷺ কে মুশরিকদের নীল নকশা সম্পর্কে অবহিত করেন।তখন নবিজীর বিছানায় শুয়ে থাকার জন্য হযরত আলী (আ:) তৈরী হন।সে রাতটি ‘লাইলাতুল মুবিত’ নামে প্রসিদ্ধ হয়।কোন কোন সুন্নী আলেমগন সে বর্ণনাটি সমর্থন করেছেন।যেমন:*(ক.) হাসকানী হানাফী প্রণীত শাওয়াহেদুত তানযীল: ১ম খন্ড,পৃঃ ১৩৩-১৪১*(খ.) ইবনে সাবাগ মালেকী প্রণীত “ফসুলুল মুহিম্মাত” হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত- পৃঃ ৩১।*(গ.) সাবত ইবনে জাওযী প্রণীত ‘তাযকিরাতুল খাওয়াস’ হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত-পৃঃ ৩৫ ও ২০০।*(ঘ.) কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’ ইস্তামবুলে মুদ্রিত,পৃঃ ৯২।*(ঙ.) ফাখরুদ্দীন রাযীর তাফসীরে কবীর: ৫ম খন্ড,পৃঃ ২২৩।মিশরে মুদ্রিত।*(চ.) শাবলাঞ্জী প্রণীত ‘নূরুল আবসার’ ওসমানিয়া জাপাখানায় মুদ্রিত, পৃঃ ৭৮*(ছ.) মুসনাদে আহমদ: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৪৮।★৪. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছেالذين ينفقون اموالهم باليل والنهار سرا وعلانية فلهم اجرهم عند ربهم ولاخوف عليهم ولاهم يحزنون“যারা রাতে ও দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে তাদের জন্য তাদের প্রভুর কাছে প্রতিদান রয়েছে। তাদের জন্য কোন ভয় নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।”[সূরা বাকারা,আয়াত নং ২৭৪]★আহলে সুন্নাত সহ বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে,এ আয়াত হযরত আলী (আ:) সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। যেমন:*(ক.) কাশশাফে যামাখশারী: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩১৯।বৈরুতে মুদ্রিত,১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-১৬৪ মিশর হতে মুদ্রিত।*(খ.) ইবনে জাওজী হানাফী প্রণীত তাযকেরাতূল খাওয়াস’: পৃঃ ১৪।*(গ.) ফখরে রাযীর ‘তাফসীরে কবীর’: ৭ম খন্ড,পৃঃ ৮৯,মিশরে মুদ্রিত।*(ঘ.)তাফসীরে কুরতুবী:৩য় খন্ড,পৃঃ ৩৪৭*(ঙ.) তাফসীরে ইবনে কাসীর: ১ম খন্ড, পৃঃ ৩২৬।*(চ.) আদ দুররুল মানসূর: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৬৩।*(চ.) কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইউনাবিউল মুওয়াদ্দাত’: পৃঃ ৯২,ইস্তামবুলে মুদ্রিত পৃঃ ২১২।★৫. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছেانما وليكم الله و رسوله والذين أمنوا الذين يقيمون الصلوة ويؤتون الزكوة وهم راكعون“নিশ্চয়ই তোমাদের অভিভাবক হচ্ছেন আল্লাহ,তাঁর রসূল এবং যারা ঈমান এনেছে আর রুকু অবস্থায় যাকাত দান করে।” [সূরা মায়েদা,আয়াত নং ৫৫]✌হযরত আলী (আ:)-এর ব্যাপারে এ আয়াত নাযিল হয়েছে।ঘটনাটি ছিল এই যে,একজন ভিখারী মসজিদে প্রবেশ করে সাহায্যের প্রার্থনা জানায়।কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি।ঐ সময় হযরত আলী (আ:) নামাযে রুকুতে ছিলেন।ঐ অবস্থাতেই তিনি আঙ্গুলের ইশারা করেন।ভিখারী কাছে আসে এবং হযরত আলীর হাত থেকে তাঁর আংটিটি খুলে নেয়।★এ আয়াতের শানে নযূল যে হযরত আলী (আ.) তা আহলে সুন্নাতের মুফাসসীরগণও সমর্থন করেছেন এবং তাদের তাফসীরের কিতাবে তা উদ্বৃত করেছেন।যেমন:*(ক.) মুুহিউদ্দীন তাবারী প্রণীত যাখায়েরুল ওকবা পৃঃ ৮৮,কায়রোর মাকতাবাতুল কুদসী হতে মুদ্রিত।*(খ.) তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃঃ ১৪৯ মিশরের মুনিরিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত।*(গ.) তাফসীরে ইবনে কাসীর: ২য় খন্ড, পৃঃ ৭১,মিশরে মুদ্রিত।*(ঘ.) শেখ আবুল হাসান আলী ইবনে আহমদ আল ওয়াহিদ আন নিশাপুরী আসবাবুল নুযূল: পৃ ১৪৮ হিন্দিয়া প্রকাশনী থেকে মুদ্রিত (১৩১৫ হিজরী) মিশর।*(ঙ.) জালালুদ্দীন সুয়ূতী প্রণীত লুবাবুন নূকুল মুস্তাফা আল হালাবী ছাপাখানা হতে মুদ্রিত,পৃঃ ৯০।*(চ.) তাফসীরে বায়যাভী-আনোয়ারুত তানযীল প্রাচীন মিশরে মুদ্রিত,পৃঃ ১২০।*(ছ.) তাফসীরে তাবারী: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃষ্ঠা ১৬৫, মিশরে মুদ্রিত।*(জ.) আল্লামা নাসাফী: ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮৯।*(ঝ.) আল্লামা যামাখশারী প্রণীত ‘আল কাশশাফ’ ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৪৭। আত্তেজারাত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত,মিশর।*(ঞ.) ফাখরে রাযীর তাফসীরে কাবীর ১২তম খন্ড,পৃঃ ২৬-নতুন মুদ্রণ,মিশর হতে।*(ট.) শেখ আবু বকর আহমদ ইবনে আলী আর রাযী হানাফী প্রণীত আহকামুল কুরআন: ২য় খন্ড,পৃঃ ৫৪৩ মিশর হতে মুদ্রিত।*(ঠ.) কুরতুবী প্রণীত আল জামে লি আহকামিল কুরআন: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ২২১, মিশরে মুদ্রিত।*(ড.) তাফসীরে আদদুররুল মানসুর: ২য় খন্ড,পৃঃ ২৯৩,প্রথম প্রকাশ,মিশর।⏩সূরা মায়দাহ ৫৫ নং আয়াত,যেখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মসজিদে নববিতে সংগঠিত একটি ঘটনার প্রশংসায় নাযিল করেছিলেন।‘তোমাদের ওয়ালি তো হচ্ছেন আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুল এবং সেই সকল মুমিনগণ যারা সালাত কায়েম করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত দেয়।’আয়াতটি নাযিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে তাফসিরকারক ও ঐতিহাসিকগণ চমৎকার একটি ঘটনার বর্ণনা করেছেন। একবার আল্লাহ’র রাসুল (ﷺ) সাহাবীদের সাথে মসজিদে নববিতে বসে ছিলেন, যখন আলী (رضي الله عنه) সালাত আদায় করছিলেন।এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে মসজিদে নববিতে সকলের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করে নিরাশ হয়েছে এবং আল্লাহ্ দরবারে অভিযোগ করছিল যে,‘ইয়া আল্লাহ্! তুমি সাক্ষি থেকো,তোমার নবীর মসজিদ থেকে আমি খালি হাতে ফিরে গেলাম।’ তখন আবুল হাসান (আলী (رضي الله عنه)) রুকু অবস্থায় ছিলেন এবং ভিক্ষুকের দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দেন এবং ভিক্ষুক তাঁর হাত থেকে রাসুল (ﷺ)’র উপহার দেয়া সুলেমানি আংটি খুলে নিয়ে যায়।এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে রাসুল (ﷺ) আল্লাহ’র দরবারে হাত তুলে দোয়া করেন,‘হে আল্লাহ্! তুমি হারুনকে যেমন মুসার স্থলাভিষিক্ত করেছিলে, তেমনই আলি’কে আঁমার স্থলাভিষিক্ত করে দাও।’ তখন জিবরাঈল (عليه السلام) সূরা মায়েদার ৫৫ আয়াত নিয়ে হাজির হন।[তাফিসির-এ-মারেফুল কোরআন,সূরা মায়েদাহ আয়াত ৫৫]এখানে পবিত্র কুরআনুল কারীম দিয়ে খুব সুন্দর করে আমিরুল মোমেনীন আলী ইবনে আবী তালিব এর বর্ণনা করা হয়েছে যেটাকে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ও রাহমাতাল্লিল আলামিন রাসুলে খোদার মাধ্যমে সবাইকে জানানো হয়েছেনিবেদক মোঃ শামসীর হায়দার আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম০৬.০১.২১
পবিত্র কুরআনের আলো থেকে আলী ইবনে আবী তালিব আঃ এর মর্যাদা
পর্ব (((২)))
উল্লেখিত সব বর্ণনাতেই একথা বলা হয়েছে যে,যখন নবিজী ﷺ-এঁর কাছে ‘কুরবা’ বা নিকটাত্মীয় কারা তা জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেন যে,তারা হলেন হযরত আলী (আ:), ফাতেমা (আ:),ইমাম হাসান (আ:) ও হুসাইন (আ:)।(ক্রমশঃ)
★৩. পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে
وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَشْرِى نَفْسَهُ ٱبْتِغَآءَ مَرْضَاتِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ رَءُوفٌۢ بِٱلْعِبَادِ
“লোকদের মধ্যে এমন অনেক আছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির বিনিময়ে নিজেদের প্রাণকে বিক্রি করে,আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি দয়াশীল।”
[সূরা আল বাকারা,আয়াত নং ২০৭]
🌺এ আয়াতও হযরত আলী (আ:) প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে।নবিজী ﷺ যখন মক্কা থেকে মদীরায় হিজরত করার সিদ্ধান্ত নেন এবং মক্কার মুশরিকরা রাতে হযরতের উপর হামলা করে তাঁকে হত্যার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন আল্লাহ তায়ালা নবিজী ﷺ কে মুশরিকদের নীল নকশা সম্পর্কে অবহিত করেন।তখন নবিজীর বিছানায় শুয়ে থাকার জন্য হযরত আলী (আ:) তৈরী হন।সে রাতটি ‘লাইলাতুল মুবিত’ নামে প্রসিদ্ধ হয়।কোন কোন সুন্নী আলেমগন সে বর্ণনাটি সমর্থন করেছেন।যেমন:
*(ক.) হাসকানী হানাফী প্রণীত শাওয়াহেদুত তানযীল: ১ম খন্ড,পৃঃ ১৩৩-১৪১
*(খ.) ইবনে সাবাগ মালেকী প্রণীত “ফসুলুল মুহিম্মাত” হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত- পৃঃ ৩১।
*(গ.) সাবত ইবনে জাওযী প্রণীত ‘তাযকিরাতুল খাওয়াস’ হায়দারিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত-পৃঃ ৩৫ ও ২০০।
*(ঘ.) কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’ ইস্তামবুলে মুদ্রিত,পৃঃ ৯২।
*(ঙ.) ফাখরুদ্দীন রাযীর তাফসীরে কবীর: ৫ম খন্ড,পৃঃ ২২৩।মিশরে মুদ্রিত।
*(চ.) শাবলাঞ্জী প্রণীত ‘নূরুল আবসার’ ওসমানিয়া জাপাখানায় মুদ্রিত, পৃঃ ৭৮
*(ছ.) মুসনাদে আহমদ: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৪৮।
★৪. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে
الذين ينفقون اموالهم باليل والنهار سرا وعلانية فلهم اجرهم عند ربهم ولاخوف عليهم ولاهم يحزنون
“যারা রাতে ও দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে তাদের জন্য তাদের প্রভুর কাছে প্রতিদান রয়েছে। তাদের জন্য কোন ভয় নেই, তারা চিন্তিতও হবে না।”
[সূরা বাকারা,আয়াত নং ২৭৪]
★আহলে সুন্নাত সহ বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে,এ আয়াত হযরত আলী (আ:) সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। যেমন:
*(ক.) কাশশাফে যামাখশারী: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩১৯।বৈরুতে মুদ্রিত,১ম খন্ড,পৃষ্ঠা-১৬৪ মিশর হতে মুদ্রিত।
*(খ.) ইবনে জাওজী হানাফী প্রণীত তাযকেরাতূল খাওয়াস’: পৃঃ ১৪।
*(গ.) ফখরে রাযীর ‘তাফসীরে কবীর’: ৭ম খন্ড,পৃঃ ৮৯,মিশরে মুদ্রিত।
*(ঘ.)তাফসীরে কুরতুবী:৩য় খন্ড,পৃঃ ৩৪৭
*(ঙ.) তাফসীরে ইবনে কাসীর: ১ম খন্ড, পৃঃ ৩২৬।
*(চ.) আদ দুররুল মানসূর: ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৬৩।
*(চ.) কান্দুযী হানাফী প্রণীত ‘ইউনাবিউল মুওয়াদ্দাত’: পৃঃ ৯২,ইস্তামবুলে মুদ্রিত পৃঃ ২১২।
★৫. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে
انما وليكم الله و رسوله والذين أمنوا الذين يقيمون الصلوة ويؤتون الزكوة وهم راكعون
“নিশ্চয়ই তোমাদের অভিভাবক হচ্ছেন আল্লাহ,তাঁর রসূল এবং যারা ঈমান এনেছে আর রুকু অবস্থায় যাকাত দান করে।” [সূরা মায়েদা,আয়াত নং ৫৫]
✌হযরত আলী (আ:)-এর ব্যাপারে এ আয়াত নাযিল হয়েছে।ঘটনাটি ছিল এই যে,একজন ভিখারী মসজিদে প্রবেশ করে সাহায্যের প্রার্থনা জানায়।কিন্তু কেউ তাতে সাড়া দেয়নি।ঐ সময় হযরত আলী (আ:) নামাযে রুকুতে ছিলেন।ঐ অবস্থাতেই তিনি আঙ্গুলের ইশারা করেন।ভিখারী কাছে আসে এবং হযরত আলীর হাত থেকে তাঁর আংটিটি খুলে নেয়।
★এ আয়াতের শানে নযূল যে হযরত আলী (আ.) তা আহলে সুন্নাতের মুফাসসীরগণও সমর্থন করেছেন এবং তাদের তাফসীরের কিতাবে তা উদ্বৃত করেছেন।যেমন:
*(ক.) মুুহিউদ্দীন তাবারী প্রণীত যাখায়েরুল ওকবা পৃঃ ৮৮,কায়রোর মাকতাবাতুল কুদসী হতে মুদ্রিত।
*(খ.) তাফসীরে রুহুল মাআনী ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃঃ ১৪৯ মিশরের মুনিরিয়া ছাপাখানায় মুদ্রিত।
*(গ.) তাফসীরে ইবনে কাসীর: ২য় খন্ড, পৃঃ ৭১,মিশরে মুদ্রিত।
*(ঘ.) শেখ আবুল হাসান আলী ইবনে আহমদ আল ওয়াহিদ আন নিশাপুরী আসবাবুল নুযূল: পৃ ১৪৮ হিন্দিয়া প্রকাশনী থেকে মুদ্রিত (১৩১৫ হিজরী) মিশর।
*(ঙ.) জালালুদ্দীন সুয়ূতী প্রণীত লুবাবুন নূকুল মুস্তাফা আল হালাবী ছাপাখানা হতে মুদ্রিত,পৃঃ ৯০।
*(চ.) তাফসীরে বায়যাভী-আনোয়ারুত তানযীল প্রাচীন মিশরে মুদ্রিত,পৃঃ ১২০।
*(ছ.) তাফসীরে তাবারী: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃষ্ঠা ১৬৫, মিশরে মুদ্রিত।
*(জ.) আল্লামা নাসাফী: ১ম খন্ড,পৃঃ ২৮৯।
*(ঝ.) আল্লামা যামাখশারী প্রণীত ‘আল কাশশাফ’ ১ম খন্ড,পৃঃ ৩৪৭। আত্তেজারাত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত,মিশর।
*(ঞ.) ফাখরে রাযীর তাফসীরে কাবীর ১২তম খন্ড,পৃঃ ২৬-নতুন মুদ্রণ,মিশর হতে।
*(ট.) শেখ আবু বকর আহমদ ইবনে আলী আর রাযী হানাফী প্রণীত আহকামুল কুরআন: ২য় খন্ড,পৃঃ ৫৪৩ মিশর হতে মুদ্রিত।
*(ঠ.) কুরতুবী প্রণীত আল জামে লি আহকামিল কুরআন: ৬ষ্ঠ খন্ড,পৃঃ ২২১, মিশরে মুদ্রিত।
*(ড.) তাফসীরে আদদুররুল মানসুর: ২য় খন্ড,পৃঃ ২৯৩,প্রথম প্রকাশ,মিশর।
⏩সূরা মায়দাহ ৫৫ নং আয়াত,যেখানে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মসজিদে নববিতে সংগঠিত একটি ঘটনার প্রশংসায় নাযিল করেছিলেন।
‘তোমাদের ওয়ালি তো হচ্ছেন আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুল এবং সেই সকল মুমিনগণ যারা সালাত কায়েম করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত দেয়।’
আয়াতটি নাযিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে তাফসিরকারক ও ঐতিহাসিকগণ চমৎকার একটি ঘটনার বর্ণনা করেছেন। একবার আল্লাহ’র রাসুল (ﷺ) সাহাবীদের সাথে মসজিদে নববিতে বসে ছিলেন, যখন আলী (رضي الله عنه) সালাত আদায় করছিলেন।এমন সময় এক ভিক্ষুক এসে মসজিদে নববিতে সকলের কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করে নিরাশ হয়েছে এবং আল্লাহ্ দরবারে অভিযোগ করছিল যে,‘ইয়া আল্লাহ্! তুমি সাক্ষি থেকো,তোমার নবীর মসজিদ থেকে আমি খালি হাতে ফিরে গেলাম।’ তখন আবুল হাসান (আলী (رضي الله عنه)) রুকু অবস্থায় ছিলেন এবং ভিক্ষুকের দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দেন এবং ভিক্ষুক তাঁর হাত থেকে রাসুল (ﷺ)’র উপহার দেয়া সুলেমানি আংটি খুলে নিয়ে যায়।এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে রাসুল (ﷺ) আল্লাহ’র দরবারে হাত তুলে দোয়া করেন,‘হে আল্লাহ্! তুমি হারুনকে যেমন মুসার স্থলাভিষিক্ত করেছিলে, তেমনই আলি’কে আঁমার স্থলাভিষিক্ত করে দাও।’ তখন জিবরাঈল (عليه السلام) সূরা মায়েদার ৫৫ আয়াত নিয়ে হাজির হন।
[তাফিসির-এ-মারেফুল কোরআন,সূরা মায়েদাহ আয়াত ৫৫]
এখানে পবিত্র কুরআনুল কারীম দিয়ে খুব সুন্দর করে আমিরুল মোমেনীন আলী ইবনে আবী তালিব এর বর্ণনা করা হয়েছে যেটাকে স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন ও রাহমাতাল্লিল আলামিন রাসুলে খোদার মাধ্যমে সবাইকে জানানো হয়েছে
নিবেদক
মোঃ শামসীর হায়দার
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম
০৬.০১.২১
মন্তব্যসমূহ