পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে আমিরুল মোমেনীন আলী ইবনে আবী তালিব আঃ এর মর্যাদাপর্ব (((((৫)))))★. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছেيايها الذين امنوا اتقوا الله وكونوا مع الصادقين“হে ঈমানদাররা তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।”[সূরা তওবা,আয়াত নং ১১৯]★কোন কোন মুফাসসীর বলেছেন যে, আয়াতে সাদেকীন বা সত্যবাদী বলতে হযরত আলী (আ:) ও তাঁর সঙ্গীদের বুঝানো হয়েছে।সত্যিকার অর্থে এর উজ্জ্বল প্রতিপাদ্য (মিসদাক) হচ্ছেন হযরত আমীরুল মুমেনীন (আ:)।*(ক.) ইবনে জওযী হানাফী প্রণীত- তাযকেরাতুল খাওয়াস: পৃঃ ১৬।*(খ.) মানাকেবে খাওয়ারেজমী হানাফী: পৃঃ ১৭৮।*(গ.) দুররুল মানসূর-সূয়ুতী: ৩য় খন্ড,পৃঃ ৩৯০।*(ঘ.) আলূসী প্রণীত তাফসীরে রুহুল মাআনী: ১ম খন্ড,পৃঃ ৪১।★৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃيَا عَلِيُّ، إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي أَنْ اُدْنِيكَ وَ أُعَلِّمُكَ ِلتَعِيَ، وَ أََنْزَلَتْ هَذِهِ الْآيَهُ: «وَ تَعِيَهَا اُذُنٌ وَاِعيَةٌ» فَأََنْتَ اُذُنٌ وَاعِيَةٌ لِعِلْمِي.হে আলী (আঃ)! আল্লাহ আঁমাকে বলেছেন,তোমাকে আঁমার কাছে এনে আঁমার ইলমকে তোমাকে শিক্ষা দিতে যাতে তুমি সেগুলো পুরোপুরি শিখে নাও। এ মর্মে এই আয়াত নাযিল হয়েছে ‘‘এবং সত্যগ্রাহী কান এটাকে ধারণ করে’’।কাজেই তুমি আঁমার জ্ঞানের সত্যগ্রাহী কান! [সূরা আল হাক্কাহ্: ১২ (হিলিয়াতুল আউলিয়া-১:৬৭,আদ দুররুল মানসূরঃ ৮:২৬৭]✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃصَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.আলী (আঃ) আঁমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার। *******দলিল********(ক.) আল ফেরদৌসঃ ২:৪০৩/৩৭৯৩*(খ.) আল ইমাম আলী (আঃ)– ইবনে আসাকিরঃ ২:৩১১/৮২২✌হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম! রাসূলে পাক (ﷺ) এঁর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম।দরজার নিকট আমি দেখেছি হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে,বুকে বুক লাগিয়েছেন এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন। [খাসায়েসে কুবরা: পৃষ্টা ২৮-২৯,মিশরে ছাপা,ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুবঃ পৃষ্টা-৪৫]✌জাবের (রাঃ) বলেনঃ তায়েফের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه) কে কাছে ডাকলেন।তাঁকে একপাশে নিয়ে কানে কানে যুক্তি করলেন।লোকজন বললো,‘‘তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে যুক্তি করা কতো দীর্ঘায়িত হলো!’’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন :مَا اَنْتَجَيْتُهُ ، وَلَكِنْ اللهَ انْتَجَاهُ.আমি তাঁর সাথে যুক্তি করিনি,বরং আল্লাহ তাঁর সাথে যুক্তি করেছেন। *******দলিল********(ক.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৭০ *(খ.) সুনানে তিরমিযীঃ ৫:৬৩৯/৩৭২৬*(গ.) খাসায়েসে নাসায়ী: ৫*(ঘ.) ফাযায়েলূস সাহাবা-২:৫৬০/৯৪৫*(ঙ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১৩০- ১৩২✌তাঈফ যুদ্ধের দিন রাসূল (ﷺ) আলী (আঃ)- এঁর সাথে গোপনে কথা বললে লোকেরা বলাবলি করতে লাগল যে,নবিজী তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ গোপনে কথাবার্তা বলছেন,রাসূল (ﷺ) বললেন আমি তাঁর সাথে গোপনে কথা বলিনি,বস্তুতঃ আল্লাহ তা’আলাই তার সঙ্গে কথা বলেছেন। [তিরমিযি,ইফাবাঃ ৬:৩৭২৬]নিবেদক মোঃ জাহিদ হুসাইন আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম১২.০১.২১
পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে আমিরুল মোমেনীন আলী ইবনে আবী তালিব আঃ এর মর্যাদা
পর্ব (((((৫)))))
★. পবিত্র কোরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে
يايها الذين امنوا اتقوا الله وكونوا مع الصادقين
“হে ঈমানদাররা তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।”
[সূরা তওবা,আয়াত নং ১১৯]
★কোন কোন মুফাসসীর বলেছেন যে, আয়াতে সাদেকীন বা সত্যবাদী বলতে হযরত আলী (আ:) ও তাঁর সঙ্গীদের বুঝানো হয়েছে।সত্যিকার অর্থে এর উজ্জ্বল প্রতিপাদ্য (মিসদাক) হচ্ছেন হযরত আমীরুল মুমেনীন (আ:)।
*(ক.) ইবনে জওযী হানাফী প্রণীত- তাযকেরাতুল খাওয়াস: পৃঃ ১৬।
*(খ.) মানাকেবে খাওয়ারেজমী হানাফী: পৃঃ ১৭৮।
*(গ.) দুররুল মানসূর-সূয়ুতী: ৩য় খন্ড,পৃঃ ৩৯০।
*(ঘ.) আলূসী প্রণীত তাফসীরে রুহুল মাআনী: ১ম খন্ড,পৃঃ ৪১।
★৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
يَا عَلِيُّ، إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي أَنْ اُدْنِيكَ وَ أُعَلِّمُكَ ِلتَعِيَ، وَ أََنْزَلَتْ هَذِهِ الْآيَهُ: «وَ تَعِيَهَا اُذُنٌ وَاِعيَةٌ» فَأََنْتَ اُذُنٌ وَاعِيَةٌ لِعِلْمِي.
হে আলী (আঃ)! আল্লাহ আঁমাকে বলেছেন,তোমাকে আঁমার কাছে এনে আঁমার ইলমকে তোমাকে শিক্ষা দিতে যাতে তুমি সেগুলো পুরোপুরি শিখে নাও। এ মর্মে এই আয়াত নাযিল হয়েছে ‘‘এবং সত্যগ্রাহী কান এটাকে ধারণ করে’’।কাজেই তুমি আঁমার জ্ঞানের সত্যগ্রাহী কান!
[সূরা আল হাক্কাহ্: ১২ (হিলিয়াতুল আউলিয়া-১:৬৭,আদ দুররুল মানসূরঃ ৮:২৬৭]
✌রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ
صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.
আলী (আঃ) আঁমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার।
*******দলিল*******
*(ক.) আল ফেরদৌসঃ ২:৪০৩/৩৭৯৩
*(খ.) আল ইমাম আলী (আঃ)– ইবনে আসাকিরঃ ২:৩১১/৮২২
✌হযরত ইমাম নেসায়ী (رضي الله عنه) উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন- ঐ জাত পাকের কসম! রাসূলে পাক (ﷺ) এঁর বেসালে হক (ইন্তেকালের) সময় সবচেয়ে নিকটে ছিলেন হযরত আলী আলাইহিস সালাম।দরজার নিকট আমি দেখেছি হুযুর পাক আলীর মুখে মুখ লাগিয়ে,বুকে বুক লাগিয়েছেন এবং চুপি চুপি কিছু গোপন কথা বলেছেন।
[খাসায়েসে কুবরা: পৃষ্টা ২৮-২৯,মিশরে ছাপা,ইয়া মুকালরেবুল ক্বুলুবঃ পৃষ্টা-৪৫]
✌জাবের (রাঃ) বলেনঃ তায়েফের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হযরত আলী (رضي الله عنه) কে কাছে ডাকলেন।তাঁকে একপাশে নিয়ে কানে কানে যুক্তি করলেন।লোকজন বললো,‘‘তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে যুক্তি করা কতো দীর্ঘায়িত হলো!’’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন :
مَا اَنْتَجَيْتُهُ ، وَلَكِنْ اللهَ انْتَجَاهُ.
আমি তাঁর সাথে যুক্তি করিনি,বরং আল্লাহ তাঁর সাথে যুক্তি করেছেন।
*******দলিল*******
*(ক.) আর রিয়াদুন নাদ্রাহঃ ৩:১৭০
*(খ.) সুনানে তিরমিযীঃ ৫:৬৩৯/৩৭২৬
*(গ.) খাসায়েসে নাসায়ী: ৫
*(ঘ.) ফাযায়েলূস সাহাবা-২:৫৬০/৯৪৫
*(ঙ.) আল মুস্তাদরাক-হাকেমঃ ৩:১৩০- ১৩২
✌তাঈফ যুদ্ধের দিন রাসূল (ﷺ) আলী (আঃ)- এঁর সাথে গোপনে কথা বললে লোকেরা বলাবলি করতে লাগল যে,নবিজী তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ গোপনে কথাবার্তা বলছেন,রাসূল (ﷺ) বললেন আমি তাঁর সাথে গোপনে কথা বলিনি,বস্তুতঃ আল্লাহ তা’আলাই তার সঙ্গে কথা বলেছেন। [তিরমিযি,ইফাবাঃ ৬:৩৭২৬]
নিবেদক
মোঃ জাহিদ হুসাইন
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদদিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম
১২.০১.২১
মন্তব্যসমূহ