পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুয়াবিয়া মুনাফিক ছিল তার প্রমাননাসিবিদের ‎‘হাদি’ ‏মুয়াবিয়া ‎‘হারাম’ ‏পান করেছেআহলে সুন্নার ইমাম, ‏ইমাম আহমেদ বিন হাম্বল তার মুসনাদে হাম্বলে খণ্ড ৫ পাতা ৩৪৭ এ উল্লেখ করেছেন।📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَدَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَجْلَسَنَا عَلَى الْفُرُشِ ثُمَّ أُتِينَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلْنَا ثُمَّ أُتِينَا بِالشَّرَابِ فَشَرِبَ مُعَاوِيَةُ ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي ثُمَّ قَالَ مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مُعَاوِيَةُ كُنْتُ أَجْمَلَ شَبَابِ قُرَيْشٍ وَأَجْوَدَهُ ثَغْرًا وَمَا شَيْءٌ كُنْتُ أَجِدُ لَهُ لَذَّةً كَمَا كُنْتُ أَجِدُهُ وَأَنَا شَابٌّ غَيْرُ اللَّبَنِ أَوْ إِنْسَانٍ حَسَنِ الْحَدِيثِ يُحَدِّثُنِي📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚“আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদা বর্ণনা করেছেন ‎“আমি ও আমার আব্বা মুয়াবিয়ার কাছে গেলাম,মুয়াবিয়া আমাদের ফারসের উপর বসতে দিল এবং আমাদের জন্য খাদ্য পরিবেশন করল ও আমরা খেলাম, ‏তারপর মুয়াবিয়া শারাব নিয়ে এল, ‏মুয়াবিয়া পান করল ও আমার আব্বাকে দিল, ‏আমার আব্বা বললেন ‎*এটা আমি রসুল সাঃ হারাম করার* ‏পর থেকে পান করেনি”।মুয়াবিয়ার হারাম বীর্যে পয়দা হওয়া নাসিবিদের কাছে তাদের হারাম বাপের পর্দা ফাঁস হয়ে যায় এই হাদিসে তাই কিছু নাসিবি এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার বাহানা খোঁজে।মা’যাম আয যাওয়াদ এ ইমাম হাইসামি এটাকে উল্লেখ করে লিখেছেন📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚رواه أحمد ورجاله رجال الصحيحআহমেদ বর্ণনা করেছেন এবং বর্ণনাকারিগন সাহিহ।আল্লামাহ হাসান সাক্কাফ, ‏বর্তমানে জর্ডনের ইমাম নমবি সেন্টারের চিফ তিনি ইবনে জাওজির কিতাব ‎‘দুফা শুবাহ আল তাসবিহ’ ‏এর হাশিয়া লেখাতে এই হাদিসের নোটে লিখেছেন ‎‘বর্ণনা কারীগণ সব সাহিহ মুসলিমের বর্ণনা কারী”শেইখ শুয়াইব আরনাউত মুসনাদে আহমাদ এর এই হাদিসের কমেন্ট এ বলেছেন ‎‘শক্তিশালী সনদ’।সুতারং এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নাসিবিদের নেই।আরও দেখুন মুয়াবিয়ার দারু প্রীতি এবং দারু খেয়ে মাতাল হওয়ার কথা ইবনে আসাকির তার তারিখে উল্লেখ করেছেন। আরবিটা দেওয়া হল।📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚عبد الله بن الحارث بن امية بن عبد شمس بن عبد مناف وفد على معاوية وهو كبير ذكر أبو علي الحسين بن القاسم الكوكبي نا أحمد بن عبيد نا حسين بن علوان الكلبي عن عنبسة بن عمرو قال وفد عبد الله بن الحارث بن امية بن عبد شمس على معاوية فقربه حتى مست ركبتاه رأسه ( 2 ) ثم قال له معاوية ما بقي منك قال ذهب والله خيري وشري قال معاوية ذهب والله خير قلبك وبقي شر كثير فما لنا عندك قال إن أحسنت لم أحمدك وإن اسأت لمتك قال والله ما انصفتني قال ومتى أنصفتك فوالله لقد شججت أخاك حنظلة فما أعطيتك عقلا ولا قودا وأنا الذي أقول * أصخر بن حرب لانعدك ( 3 ) سيدا * فسد غيرنا إذ كنت لست بسيد * وانت الذي تقول * شربت الخمر حتى صرت كلا * على الأدنى ومالي من صديق وحتى ما أوسد من وساد * إذا أنشو سوى الترب السحيق * فوثب على معاوية يخبطه بيده ومعاوية ينحاز ويضحك📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚নাসিবিদের ‎‘হাদি’ ‏মুয়াবিয়া মদ চোরাচালান করতমুহাদ্দিস শাহ আব্দুল আযিয দেহলবি তার শিয়া বিরোধী প্রপাগ্নডা বই ‎‘তোফা ইসনা আশারি’এর পাতা ৬৩৮ এ লিখেছেনঃ“আবাদা বিন সামিত সিরিয়াতে ছিল তিনি মুয়াবিয়ার লাইন দেওয়া উটের বহর দেখলেন যেগুলির পিছনে মদ ঝোলান ছিল, ‏আবাদা জিজ্ঞেস করল ‎‘এতে কি আছে’? ‏লোকজন বলল এতে মদ আছে যেগুলি মুয়াবিয়া বিক্রি করতে পাঠিয়েছে। আবাদা একটা ছুরি নিয়ে উটের ‎(ঝোলান) ‏দড়ি গুলি কেটে দিল যাতে সব মদ পড়ে যায়”।এই রেওয়াত ইবনে আসাকির এর তারিখ এ দামিস্ক ‎,যাহাবির সিয়ার আলাম নাবুলাতেও পাওয়া যায় কিন্তু মনে হচ্ছে নতুন ভার্সন থেকে মুয়াবিয়ার নামটা তুলে দিয়ে ‎‘অমুক’ ‏বসান হয়েছে।তা সত্ত্বেও আবাদা বিন সামিত যে মদ গুলি ফেলে দেয় সেগুলি সিরিয়ার শাসকএর ছিল সেকথা এই বই গুলিতে উল্লেখ আছে।আর সেটাই যথেষ্ট প্রমানের জন্য যে সিরিয়ার শাসক মুয়াবিয়া ছিল।শেখ শোয়াইব আরনাউত সিয়ার আলাম নাবুলার হাসিয়াতে এটাকে ‎‘হাসান’ ‏উত্তম হাদিস বলে বর্ণনা করেছেন।মদ চোরাচালান করার আরও হাদিস পাওয়া যায় যেমন মুত্তাকী আল হিন্দি তার ‎‘কানযুল আম্মাল’ ‏এ উল্লেখ করেছেন। খণ্ড হাদিস নং ১৩৭১৬📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚عن محمد بن كعب القرظي قال : غزا عبد الرحمن بن سهل الانصاري في زمن عثمان ، ومعاوية أمير على الشام ، فمرت به روايا خمر تحمل ، فقام إليها عبد الرحمن برمحه ، فبقر كل رواية منها فناوشه (2) غلمانه حتى بلغ شأنه معاوية ، فقال : دعوه فانه شيخ قد ذهب عقله فقال : كذب والله ما ذهب عقلي ولكن رسول الله صلى عليه وسلم نهانا أن ندخله بطوننا واسقيتنا ، وأحلف بالله لئن أنا بقيت حتى أرى في معاوية ما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم لابقرن (1) بطنه أو لاموتن دونه.📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚“মুহাম্মাদ বিন কা’ব আল কুরযি বর্ণনা করেছে ‎‘আব্দুর রাহমান বিন সাহল আল আনসারি উসমানের জামানায় একটা যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন এবং মুয়াবিয়া সিরিয়ার আমির ছিল, ‏তার সামনে দিয়ে মদের ব্যরেল যাচ্ছিল ফলে তিনি বর্শা নিয়ে গেলেন এবং সব ব্যরেল খুঁচিয়ে দিলেন। গোলামেরা বাধা দিতে লাগল এমনকি মুয়াবিয়ার কাছে খবর দেওয়া হল এব্যপারে। মুয়াবিয়া বলল ‎‘ওকে ছেড়ে দাও ও বুড়ো আর ওর মাথার দোষ হয়েছে’, (আব্দুর রহমান) ‏বলল ‎‘আল্লাহের কসম ও মিথ্যা বলেছে, ‏আমার মাথার দোষ হয়নি, ‏রসুল সাঃ আমাদের এটা পান করতে বারণ করেছেন, ‏আমি আল্লাহের কসম করে বলছি যদি আমি ততদিন বেঁচে থাকি সেটা দেখতে যেটা আমি রসুল সাঃ থেকে শুনেছি মুয়াবিয়া সমন্ধে, ‏হয় আমি মুয়াবিয়ার পেট চিরে দেব অথবা মারা যাব”।( ‏নোটঃ রসুল সাঃ থেকে কি শুনেছিল সেটা হল যে রাসুল সাঃ মুয়াবিয়া কে অভিসম্পাত দিয়েছিল যে মুয়াবিয়ার পেট কক্ষন ভরবে না ‎…সাহিহ মুসলিম ‎)উপরুক্ত হাদিসটা আরও অনেক কিতাবে উল্লেখ করেছে যেমনঃ১) ‏ইবনে আসাকির এর আসদুল গাবা, ‏খণ্ড ১ পাতা ৬৯৯।২) ‏আল ইসাবা, ‏খণ্ড ৪ পাতা ৩১৩।৩) ‏তারিখ দামিস্ক, ‏খণ্ড ৩৪ পাতা ৪২০।📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚নিবেদকমোঃ আলীলা'নাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲

ইমামত অস্বীকারকারীর পরিনামঃ🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲“একজন প্রার্থনাকারী চাইলো একটি শাস্তি যা অবশ্যই ঘটবে,-- যা কেউ এড়াতে পারে না বিশ্বাসহীনদের কাছ থেকে”(সুরা মা-য়ারিজ,আয়াত# ১-২)📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚।সুফিয়ান বিন ওয়াইনা বর্ননা করিয়াছেন যে,যখন রাসুল(সাঃ) গাদীরে খুমে লোকদেরকে একত্র করিলেন এবং হযরত আলীর(আঃ) হাত ধরিয়া ফরমাইলেনঃআমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা,এই সংবাদ সারা দেশব্যাপী ছড়াইয়া পড়িল।হারিস বিন নোমান এই সংবাদ শুনিয়া নিজের উটের পিঠ হইতে নামিয়া রাসুলের(সাঃ) খেদমতে হাজির হইল এবং বাক-বিতন্ডা আরম্ভ করিল।সে বলিল যে,হে মুহাম্মাদ(সাঃ)! আপনি আমাদের কলেমা পড়িতে আদেশ দিলেন আমরা তাহা গ্রহন করিলাম,৫ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের আদেশ দিলেন আমরা তাহা পালন করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন ১ মাস রোজা পালনের আমরা তাও কবুল করিলাম,আপনি আদেশ দিলেন আমাদেরকে হজ্ব করিতে আমরা তাহাও নতশিরে মানিয়া লইলাম।তারপর এই সব মানিয়া নেয়ার পরও আপনি সন্তুষ্ট হইলেন না।এমনকি আপনি নিজের চাচাতো ভাইয়ের হাত ধরিয়া আমাদের উপর তাহার কতৃ্ত্ব স্থাপন করিলেন এবং বলিলেন যে, আমি যার মাওলা,এই আলীও তার মাওলা।এই আদেশ কি আপনার পক্ষ হইতে না কি আল্লাহর পক্ষ হইতে?তখন রাসুল(সাঃ) ফরমাইলেনঃঐ আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নাই,এই আদেশ আল্লাহর পক্ষ হইতে আসিয়াছে।তারপর হারিস ফিরিয়া তার উটের দিকে যাইতে লাগিল আর বলিতে লাগিলঃহে আল্লাহ!যাহা মুহাম্মাদ(সাঃ) বলিয়াছেন তাহা যদি সত্য হইয়া থাকে তাহা হইলে আমার উপর আকাশ হইতে পাথর নিক্ষেপ কর অথবা আমার উপর কোন ভয়ানক কোন আযাব প্রেরন কর।হারিস নিজের উটের পিঠে উঠিতে না উঠিতেই আকাশ হইতে একটি পাথর তাহার মাথার উপর পড়িল এবং তাহার নিম্নদেশ দিয়া বাহির হইয়া গেল,তৎক্ষনাৎ সে ইন্তেকাল করিল।তারপর এই আয়াত নাযিল হইলো📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚(সুত্রঃ কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ৩০০; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,২য় খন্ড,পৃঃ ২৮৬;আল-গাদীর,১ম খন্ড,পৃঃ২৩৯;তাযকেরা সিবত ইবনে জাওযী,পৃঃ১৯;ফুসুলুল মহিম্মা,পৃঃ২৬;নুযহাতুল মাযালিস,২য় খন্ড, পৃঃ২৪২;ফাজাএলুল খামছা,১ম খন্ড,পৃঃ৩৯;নুরুল আবসার,পৃঃ১৭৮; বয়ানুস সায়াদাহ,৪র্থ খন্ড,পৃঃ২০২📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚📚🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲নিবেদকমোঃ আলীআল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুমলা'নাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন

আল্লামা বুরহানুদ্দিন বলেছেনসুন্নি হানাফি ফিকাহর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হিদায়ায় আল্লামা বুরহানুদ্দিন মুয়াবিয়াকে ‘জালিম বাদশাহদের সারিতে’ স্থান দিয়েছেন এবং আলী (আ.) ন্যায় বা হকের পক্ষে ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। (হিদায়া, খণ্ড-৩, পৃ-১৩৩, বিচারকার্য অধ্যায়)সুন্নি মাজহাবের ফাতহুল কাদির গ্রন্থে এসেছে: “সত্য সেযুগে আলীর সঙ্গেই ছিল। কারণ, তাঁর (নেতৃত্বের প্রতি জনগণের) বায়আত (আনুগত্যের শপথ) বিশুদ্ধ ছিল ও তা গৃহীত হয়। তাই তিনি জামাল যুদ্ধে ন্যায়ের পথে ছিলেন ও মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে সিফফিনের যুদ্ধের সময়ও ন্যায়ের পথে ছিলেন। এ ছাড়াও আলী (আ.)’র ন্যায় পথে থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় আম্মারের প্রতি রাসূলের (সা.) উক্তির আলোকে। রাসূল (সা.) আম্মারকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, তোমাকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হত্যা করবে। আর তাঁকে হত্যা করেছিল মুয়াবিয়ার সঙ্গীরা। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে মুয়াবিয়ার ও তার সঙ্গীরা (আমর ইবনে আসসহ) বিদ্রোহী ছিল।”এমন স্পষ্ট হাদিসের পরও মুয়াবিয়া ইজতিহাদি (বা ইসলামী মূল নীতির ভিত্তিতে নতুন বা স্বতন্ত্র ব্যাখ্যা আবিষ্কার) ভুল করেছেন বলে সাফাই দেয়ার কোনো উপায় নেই। অন্যদিকে বুখারির হাদিসে (আম্মারের মানাকিব বা মর্যাদা অধ্যায়ে, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠ-৫৩০) এসেছে, (রাসুল-সা. বলেছেন,) ‘শয়তান কখনও আম্মারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না।’ আম্মার আগাগোড়াই ছিলেন আলীর (আ. পক্ষে। মুয়াবিয়া ও আমর ইবনে আস তা জানা সত্ত্বেও আলী (আ.)’র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ অব্যাহত রেখেছিল এবং তারা আম্মারকে হত্যা করার পরও সঠিক পথ ধরেননি।আল্লামা সুয়ুতি বলেন- ইয়াজিদের পিতা (মুয়াবিয়া) ইয়াজিদকে যুবরাজ নিযুক্ত করেন, আর তা মেনে নেয়ার জন্য জনগণের ওপর বলপ্রয়োগ করেন।আলী আঃ কে গালি দেয়ার প্রথা চালু মুয়াবিয়ার আদেশ ছিল এরূপ- খোদার কসম , কখনো আলী আঃ কে গালি দেয়া ও অভিসম্পত দেয়া বন্ধ হবে না যতদিন শিশুরা যুবকে এবং যুবকরা বৃদ্ধে পরিনত হবে না। তামাম দুনিয়ায় আলীর ফজিলত বর্ণনা কারী আর কেও থাকবে না। (রাউফল হেজাব, আত তাবারী ৪র্থ খণ্ড, ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড, আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৮ম খণ্ড। ) মুসলিম শরীফের ফাজায়েল এ আলী ইবনে আবু তালিব অধ্যায় এ লিখা আছে যে- মুয়াবিয়া তার সমস্ত প্রদেশের গভর্নর এর উপর এ আদেশ জারী করেন যে , সকল মসজিদের খতিব গণ মিম্বর থেকে আলীর উপর অভিসম্পত করাকে যেন তাদের দায়িত্ব মনে করেন। (মুসলিম শরীফ) কারো মৃত্যুর পর তাকে গালি দেয়া ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থী।নিবেদকমোঃ আলীআল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম

সিরাতে মুস্তাকিম বলতে কাঁদের পথকে বুঝানো হয়েছে ?পবিত্র কোরআনে“ সূরা ফাতিহাতে ” আমাদের“ সরল সঠিক পথে ও যাদের প্রতিতি আপনি নেয়ামত দান করেছেন তাদের পথে পরিচালিত করুন। ” বলতে কাদের পথকে বুঝানো হয়েছে ?সালাবী তার তাফসীরে কাবীর গ্রন্থে (সূরা ফাতিহার তাফসীরে) ইবনে বুরাইদা হতে বর্ণনা করেছেন যে ,“ সিরাতে মুস্তাকিম ” বলতে“ মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর ইতরাত , আহলে বাইতের পথকে বুঝানো হয়েছে ” । ওয়াকী ইবনে যাররাহ সুফিয়ান সাওরী সাদী আসবাত ও মুজাহিদ হতে এরা সকলেই ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন , আমাদের সরল সঠিক পথে হেদায়েত কর , অর্থাৎ“ মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইতের পথ। ”সূত্রঃ- ইয়া নাবিউল মুয়াদ্দাত , পৃঃ-১১১ ; আরজাহুল মাতালেব , পৃঃ-৫৪৪ ; বায়ানুস সায়াদাহ , খঃ-১ , পৃঃ-৩৩ ; তাফসীর আলী বিন ইবরাহীম , খঃ-১ , পৃঃ-২৮ ; সাওয়াহেদুত তানযিল , খঃ-১ , পৃঃ-৫৭ ; তাফসীরুল বুরহান , খঃ-১ , পৃঃ-৫২ ; মানাকেবে ইবনে শাহরে আশুব , খঃ-১ , পৃঃ-১৫৬ ; আল মোরাজয়াত , পৃঃ-৫৫ ; মাজমাউল বায়ান , খঃ-১ , পৃঃ-২৮ ; সাওয়ায়েকুল মোহরিকা , পৃঃ-১৬ ; কিফায়াতুল মোওয়াহহেদীন , খঃ-১ , পৃঃ-১৯২ ; রওয়ানে জাভেদ , খঃ -১ , পৃঃ-১০ ; তাফসীরে নূরুস সাকালাইন , খঃ-১ , পৃঃ-২০-২১ ; তাফসীরে নমূনা , খঃ-১ , পৃঃ-৭৫ ; তাফসীরে ফুরাত , খঃ-১ , পৃঃ-১০।

হানাফী ইমাম আবু হানিফা: "ইমাম জাফর সাদিকের চেয়ে বড় ফকিহ আর দেখিনি" ইমাম জাফর সাদেক (আ.) এমন একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন যেখান থেকে হাজার হাজার আলেম বেরিয়ে আসেন।ইমাম বাকের (আ.) খাঁটি মোহাম্মাদি ইসলাম প্রচারের যে কাজ শুরু করেছিলেন ইমাম জাফর সাদেক (আ.) তাকে পূর্ণতায় পৌঁছে দেন। শুধু শিয়া চিন্তাবিদরা নন সেইসঙ্গে সুন্নি আলেম ও বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গও ইমামের এই কাজে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। আজকের আসরে আমরা ইমাম সম্পর্কে এরকম কয়েকজন চিন্তাবিদের মতামত শুনব।কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হামিদ বলেন: আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিকাহ শাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছি। এরমধ্যে ইমাম সাদেক আমার দৃষ্টি গভীরভাবে আকৃষ্ট করতে পেরেছেন। তিনি ফিকাহ শাস্ত্রকে এতটা সমৃদ্ধ করেছেন যে, তা শিয়া ও সুন্নি গবেষকদের চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে।আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের হাদিস বিশারদ মালিক বিন আনাস বলেন: জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ইবাদতের দিক দিয়ে আমি জাফর বিন মোহাম্মাদ সাদেক (আ.)’র সমতুল্য আর কাউকে দেখিনি।হানাফি মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফা নুমান বিন সাবেত বলেন: আমি ইমাম জাফর বিন মোহাম্মাদের চেয়ে বড় ফকিহ আর দেখিনি। আমি একদিন খলিফা মানসুরের নির্দেশে ফিকাহ শাস্ত্রের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন খলিফার দরবারে উপস্থিত আলেমদের সামনে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করি। দরবারে উপস্থিত ইমাম জাফর সাদেক (আ.) ৪০টি প্রশ্নেরই এত সুন্দর ও চমৎকার উত্তর দেন যে, উপস্থিত প্রত্যেকে একবাক্যে স্বীকার করেন ইসলামি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দিক দিয়ে তিনি সব আলেমের চেয়ে অগ্রগামী।এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ইসলামের ইতিহাসের বেশিরভাগ শাসকের ইসলামি জ্ঞানের প্রতি কোনো আগ্রহ ছিল না। কখনো কখনো যদি তাদের দরবারে কোনো আলেমের দেখা পাওয়া যেত তাহলে এ কাজে শাসকের উদ্দেশ্য ছিল এসব আলেমকে নিজের ক্ষমতা সুসংহত করার কাজে ব্যবহার করা এবং জনগণকে এটা বোঝানো যে, শাসক আলেমদের অনেক সম্মান করেন। কখনো কখনো আলেমদের অপমান করার জন্যও খলিফার দরবারে তলব করা হতো। আব্বাসীয় খলিফা মানসুর একই উদ্দেশ্যে আবু হানিফাকে ফিকাহ শাস্ত্রের ৪০টি জটিল প্রশ্ন প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে দরবারে উপস্থিত ব্যক্তিদের সামনে ইমাম জাফর সাদকে (আ.)কে বিপদে ফেলা যায়। মানসুরের ধারণা ছিল ইমাম এসব প্রশ্নের সামনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। কিন্তু মানসুরের ধারণার বিপরীতে ইমাম সাদেক (আ.) এসব প্রশ্নের এতটা প্রজ্ঞাপূর্ণ উত্তর দেন যাতে উপস্থিত সকলে হতভম্ভ হয়ে যায়।জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পাশাপাশি তাকওয়া ও সাধাসিধে জীবনযাপনের দিক দিয়েও ইমামের জুড়ি ছিল না। মানুষের সঙ্গে অতি উত্তম আচরণ ও উন্নত নৈতিক গুণাবলীর কারণে সাধারণ মানুষই ইমামকে সাদেক উপাধি দিয়েছিল; যে নামে তিনি সর্বাধিক পরিচিতি অর্জন করেন। মিশরের বিখ্যাত লেখক ড. আহমাদ আমিন এ সম্পর্কে বলেন: ইমাম সাদেক শুধু শিয়া মাজহাবের সবচেয়ে বড় ফকিহ ছিলেন না সেইসঙ্গে ইসলামের ইতিহাসের পরবর্তী আরো বহু যুগ ধরে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বড় জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি। বন্ধুরা! ইমাম জাফর সাদেক (আ.) কত মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন তা উপলব্ধি করার জন্য তাঁর সম্পর্কে আমরা আরো দু’জন বিখ্যাত মুসলিম পণ্ডিতের বক্তব্য তুলে ধরব। মিশরের প্রখ্যাত কবি, লেখক ও গবেষক আব্দুর রহমান আশ-শারকাভি ইমাম সাদেক (আ.) সম্পর্কে লিখেছেন: ইমাম সাদেকের যুগের সকল মানুষ তাঁকে ভালোবাসত ও সম্মান করত। কারণ, তাঁর চিন্তাশক্তির ব্যাপ্তি ছিল বিশাল, তাঁর চরিত্র ছিল মহান, মুখে সর্বদা হাসি লেগে থাকত এবং মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার ছিল অত্যন্ত অমায়িক। পরোপকারে তাঁর জুড়ি ছিল না। শাসকগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ হুমকি ও চাপ সত্ত্বেও তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে আল্লাহর একত্ববাদ ও দ্বীন প্রচারের দায়িত্ব পালন করে গেছেন।ইমাম জাফর সাদেক (আ.)’র উন্নত চারিত্রিক গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে মুসলিম বিশ্বের আরেকজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মোহাম্মাদ বিন তালহা শাফিয়ী বলেন: আহলে বাইতের মহান আলেম জাফর বিন মোহাম্মাদ সুগভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদত করতেন এবং সব সময় আল্লাহর জিকির তাঁর মুখে লেগে লাগত। তিনি বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতেন, কুরআনের মর্মার্থ ও শিক্ষা গভীরভাবে অনুধাবন করতেন এবং সেখান থেকে সাধারণ মানুষের বোঝার মতো শিক্ষা বের করে আনতেন। নিজের নফস বা রিপুকে তিনি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর নূরানি চেহারা দেখলে মানুষের আখেরাতের কথা স্মরণ হয়ে যেত। তিনি বক্তৃতা দিতে শুরু করলে মানুষের দুনিয়াপ্রেম ছুটে যেত এবং তারা কিয়ামতের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করত। তাঁর গুণাবলী বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়।ইমাম জাফর সাদেক (আ.) মোহাম্মাদি ইসলাম প্রচারের মহান দায়িত্ব পালনের একই সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও তৎপর ছিলেন। ইমাম যে পরিপূর্ণ ফিকাহ সংকলন রেখে গেছেন তা থেকে বোঝা যায়, ইসলাম তখনই মানুষের কল্যাণ করতে পারবে যখন এই ঐশী ধর্ম মানুষের জীবনের প্রতিটি প্রয়োজন পূরণের মতো দিকনির্দেশনা বাতলে দিতে পারবে। ইসলামি ফিকাহ শাস্ত্রে আধিপত্যকামী ও সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা থাকতে হবে। আল্লাহর কিতাব কুরআন মজিদ থেকে উৎসারিত জ্ঞান দিয়ে ইমাম যে পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন রেখে গেছেন তাতে মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। এজন্যই ইমাম সাদেক (আ.)’র ফিকাহ সংকলনকে আব্বাসীয় শাসকরা ভয় পেত।শেষাংশে এবার আমরা ইমাম জাফর সাদেক (আ.)’র কিছু মূল্যবান উপদেশবাণী শুনব। তিনি বলেছেন: ইসলামের শত্রুরা তোমাদের সন্তানদের অন্তরকে ভ্রান্ত শিক্ষা দিয়ে পূর্ণ করে ফেলার আগে তাদের মাঝে আমাদের শিক্ষা ছড়িয়ে দাও। প্রজ্ঞাবান ও বুৎপত্তিসম্পন্ন, ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ, সত্যবাদী ও কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষদের আমরা ভালোবাসি। আমাদের অনুসারীরা সঠিক পথপ্রাপ্ত, মুত্তাকি, নেককার, ঈমানদার ও সফলকাম হয়। আমার সবচেয়ে প্রিয় ভাই হচ্ছেন তিনি, যিনি আমার ভুল-ত্রুটিগুলো আমার সামনে তুলে ধরেন। মানসুর আব্বাসির বিষপ্রয়োগে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার আগ মুহূর্তে ইমাম সাদেক (আ.) সর্বশেষ যে মূল্যবান বাণী রেখে যান তা হচ্ছে: যে ব্যক্তি নামাজকে অবহেলা করে সে আমাদের শাফায়াত থেকে বঞ্চিত হবে।#নিবেদকমোঃ আলীআল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম