ঈদ মোবারক সকল মুমিন ও মমিনা কে জানাই ঈদ মোবারকমহানবী হযরত মাওলা মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমাম জাফর সাদিক (আ)'র জন্মদিন ১৭ রবিউল আউয়াল ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেছিলেন,আমাদের তথা রাসূল (সাঃ)'র আহলে বাইতের কাছে রয়েছে ভবিষ্যতের জ্ঞান,অতীতের জ্ঞান,অন্তরে অনুপ্রাণিত বা সঞ্চারিত জ্ঞান,ফেরেশতাদের বাণী যা আমরা শুনতে পাই,আমাদের কাছে রয়েছে রাসূল (সাঃ)'র অস্ত্রসমূহ এবং আহলে বাইতের সদস্য ইমাম মাহদী (আঃ)'র কাছে না পৌঁছা পর্যন্ত সেগুলো আমাদের হাতছাড়া হবে না। আমাদের কাছে রয়েছে হযরত মূসা (আঃ)'র তৌরাত,হযরত ঈসা (আঃ)'র ইঞ্জিল, হযরত দাউদ (আঃ)'র যাবুর এবং মহান আল্লাহর পাঠানো অন্যান্য আসমানি কেতাব। ইমাম সাদিক্ব আরও বলেছেন:এ ছাড়াও আমাদের কাছে রয়েছে হযরত ফাতিমা (সঃ)'র সহিফা যাতে রয়েছে সমস্ত ভবিষ্যৎ ঘটনার বিবরণ এবং পৃথিবীর শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত সমস্ত শাসকের নাম তাতে লেখা আছে। আমাদের কাছে রয়েছে আল জামী নামের দলীল,সত্তুর গজ দীর্ঘ ঐ দলীলে লেখা রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)'র নিজ মুখের উচ্চারিত ও নির্দেশিত বাণী এবং ঐসব বাণী আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) নিজ হাতে লিখেছিলেন। আল্লাহর শপথ! এতে রয়েছে মানুষের জন্যে কিয়ামত পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সবকিছু। হযরত মাওলা মুহাম্মাদ (সাঃ)'র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যরা সব সময়ই অন্য যে কোনো ব্যক্তিত্ব বা শাসকদের চেয়ে মানুষের বেশী শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসার পাত্র ছিলেন। আর এ জন্যে কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও ক্ষমতাসীন শাসকরা এই মহাপুরুষগণকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন এবং ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)ও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। আব্বাসীয় শাসক আল মানসুর ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) 'র ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারই নির্দেশে ১৪৮ হিজরির ২৫ শে শাওয়াল বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শহীদ করা হয় নবী বংশ তথা আহলে বাইতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)কে। কিন্তু অন্য অনেক মহান ইমামের মতোই ধার্মিক মানুষের অন্তরের রাজ্যে আজো ক্ষমতাসীন হয়ে আছেন হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.)মুসলমানদের সব মাজহাবের কাছেই বরেণ্য ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হওয়ায় তাঁর আদর্শ হতে পারে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সূত্র। চারজন সুন্নি ইমামের মধ্যে একজন তাঁর প্রত্যক্ষ ছাত্র এবং আরও দুই জন সুন্নি ইমাম তাঁর পরোক্ষ ছাত্র ছিলেন।মালিকি মাজহাবের ইমাম মালেক বিন আনাস ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.) সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর শপথ! মানুষের কোনো চোখ সংযম সাধনা, জ্ঞান, ফজিলত ও ইবাদতের ক্ষেত্রে জা’ফর ইবনে মুহাম্মাদের চেয়ে বড় কাউকে দেখেনি, কোনো কান এসব ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে বড় কারো কথা শুনেনি এবং কোনো হৃদয়ও তা কল্পনা করেনি।ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.)’র একটি অমূল্য বাণী তিনি বলেছেন,যারা নামাজকে গুরুত্বহীন মনে করবে অথবা কম গুরুত্ব দিবে তারা আমাদের তথা মাওলা মুহাম্মাদ (সা.)’র আহলে বাইতের শাফায়াত তাদের ভাগ্যে জুটবে না।আজকের এই মহাখুশির দিন উপলক্ষে আবারও সবাইকে জানাচ্ছি অশেষ মুবারকবাদ। #
ঈদ মোবারক
সকল মুমিন ও মমিনা কে জানাই ঈদ মোবারক
মহানবী হযরত মাওলা মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য ইমাম জাফর সাদিক (আ)'র জন্মদিন ১৭ রবিউল আউয়াল
ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেছিলেন,আমাদের তথা রাসূল (সাঃ)'র আহলে বাইতের কাছে রয়েছে ভবিষ্যতের জ্ঞান,অতীতের জ্ঞান,অন্তরে অনুপ্রাণিত বা সঞ্চারিত জ্ঞান,ফেরেশতাদের বাণী যা আমরা শুনতে পাই,আমাদের কাছে রয়েছে রাসূল (সাঃ)'র অস্ত্রসমূহ এবং আহলে বাইতের সদস্য ইমাম মাহদী (আঃ)'র কাছে না পৌঁছা পর্যন্ত সেগুলো আমাদের হাতছাড়া হবে না। আমাদের কাছে রয়েছে হযরত মূসা (আঃ)'র তৌরাত,হযরত ঈসা (আঃ)'র ইঞ্জিল, হযরত দাউদ (আঃ)'র যাবুর এবং মহান আল্লাহর পাঠানো অন্যান্য আসমানি কেতাব। ইমাম সাদিক্ব আরও বলেছেন:
এ ছাড়াও আমাদের কাছে রয়েছে হযরত ফাতিমা (সঃ)'র সহিফা যাতে রয়েছে সমস্ত ভবিষ্যৎ ঘটনার বিবরণ এবং পৃথিবীর শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত সমস্ত শাসকের নাম তাতে লেখা আছে। আমাদের কাছে রয়েছে আল জামী নামের দলীল,সত্তুর গজ দীর্ঘ ঐ দলীলে লেখা রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)'র নিজ মুখের উচ্চারিত ও নির্দেশিত বাণী এবং ঐসব বাণী আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) নিজ হাতে লিখেছিলেন। আল্লাহর শপথ! এতে রয়েছে মানুষের জন্যে কিয়ামত পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সবকিছু।
হযরত মাওলা মুহাম্মাদ (সাঃ)'র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যরা সব সময়ই অন্য যে কোনো ব্যক্তিত্ব বা শাসকদের চেয়ে মানুষের বেশী শ্রদ্ধা ও গভীর ভালবাসার পাত্র ছিলেন। আর এ জন্যে কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী ও ক্ষমতাসীন শাসকরা এই মহাপুরুষগণকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন এবং ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)ও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। আব্বাসীয় শাসক আল মানসুর ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) 'র ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তারই নির্দেশে ১৪৮ হিজরির ২৫ শে শাওয়াল বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শহীদ করা হয় নবী বংশ তথা আহলে বাইতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)কে। কিন্তু অন্য অনেক মহান ইমামের মতোই ধার্মিক মানুষের অন্তরের রাজ্যে আজো ক্ষমতাসীন হয়ে আছেন হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ)
ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.)মুসলমানদের সব মাজহাবের কাছেই বরেণ্য ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হওয়ায় তাঁর আদর্শ হতে পারে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের সূত্র। চারজন সুন্নি ইমামের মধ্যে একজন তাঁর প্রত্যক্ষ ছাত্র এবং আরও দুই জন সুন্নি ইমাম তাঁর পরোক্ষ ছাত্র ছিলেন।
মালিকি মাজহাবের ইমাম মালেক বিন আনাস ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.) সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর শপথ! মানুষের কোনো চোখ সংযম সাধনা, জ্ঞান, ফজিলত ও ইবাদতের ক্ষেত্রে জা’ফর ইবনে মুহাম্মাদের চেয়ে বড় কাউকে দেখেনি, কোনো কান এসব ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে বড় কারো কথা শুনেনি এবং কোনো হৃদয়ও তা কল্পনা করেনি।
ইমাম জা’ফর আস সাদিক (আ.)’র একটি অমূল্য বাণী তিনি বলেছেন,
যারা নামাজকে গুরুত্বহীন মনে করবে অথবা কম গুরুত্ব দিবে তারা আমাদের তথা মাওলা মুহাম্মাদ (সা.)’র আহলে বাইতের শাফায়াত তাদের ভাগ্যে জুটবে না।
আজকের এই মহাখুশির দিন উপলক্ষে আবারও সবাইকে জানাচ্ছি অশেষ মুবারকবাদ। #
মন্তব্যসমূহ