আল কোরআনে মাওলা আলী (আঃ)কে আল্লাহর নফস ঘোষনা করা হয়েছে । আল্লাহ্ পাক রাব্বুল ইজ্জত বলেন "মানুষের মধ্যে এমনও মানুষ আছে যে নিজের নাফসকে আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিক্রয় করে দেয় । আল্লাহ এইধরনের বান্দাকে ভালবেসে থাকেন...।" সুরা বাকারা/২০৭ । প্রানপ্রিয় বিবি খাদিজা বিনতে খুয়ায়লিদ সাঃআঃ এর ওফাত এবং অল্প কিছুদিন পরে হজরত আবু তালিবের ওফাতের কষ্ট নিয়ে মাওলা মুহাম্মদ সঃ বেদনায় জর্জরিত ছিলেন, এ অবস্থায় ৭০ কাবিলার কাফের একত্রিত হয়ে মাওলা মুহাম্মদ সঃ কে হত্যা করার জন্য উঠে পরে লাগে, ভেতরে বাইরে শত্রুরা হত্যার উদ্দেশ্যে ওত পেতে আছে। এমতাবস্থায় আল্লাহর হুকূমে মাওলা(সাঃ)মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন তখন হযরত আলীকে (আঃ) নিজের স্থানে স্থলাভিষিক্ত করেন ,যেনো ওনার কাছে গচ্ছিত আমানতগুলো মানুষদেরকে পৌছে দেন।মাওলা আলীর মোটেই ইচ্ছে নেই আল্লাহর রসুল, উনার মাওলা মুহাম্মদ সঃ কে একা যেতে দেয়ার। কিন্তু মাওলার হুকুম! কি আর করার। মাওলা আলী তার জীবনে মাওলা মুহাম্মদ সঃ এর কথায় কোনদিন কোন প্রশ্ন করেননি। যা বলেছেন “জ্বী মাওলা, লাব্বাঈক ইয়া মাওলা” কিন্তু রসুল সঃ যখন তাকে বললেন “আমার সবুজ চাদরটা গায়ে দিয়ে আমারবিছানায় শুয়ে থাক।তুমি আমার বিছানায় ঘুমিয়ে যাও” মাওলা আলী তখন শুধু এটুকু জিজ্ঞেস করলেন “ আমি যদি ঘুমাই, তাহলে আপনার জীবন বাঁচবে? আপনি নিরাপদে থাকবেন?” মাওলা মুহাম্মদ সঃ জবাব দিলেন “ হ্যাঁ। যদি তুমি “আমি” হয়ে ঘুমাও।“ একথা শুনে হযরত আলী (আঃ)শোকরনা সেজদা সেরে নবীজীর আদেশমতো নবীজীর (সাঃ)বিছানায় শায়িত হলেন, নবীজীর(সাঃ)স্থলবর্তী হিসাবে। আর এমন নিশ্চিন্তে ঘুম দিলেন যেন কোন বিপদই নেই। ঠিক তখনই মহান আল্লাহ নিজের দুই ফেরেশতা জীব্রঈল ও মিকাঈল (আঃ)কে বললেন যে , " আমি তোমাদের দুইজনের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করলাম । তোমাদের মধ্যে একজনের আয়ু অন্যজনের আয়ু হতে বৃদ্বি করে দিলাম ।এখন কে নিজের জীবন অপরের জন্য উৎসর্গ করবে? ঐ দুই ফেরেশতা নিজের জীবনকেই প্রাধান্য দিল।মানে দুজনেই নিজে বেচে থাকার আকুতি প্রকাশ করেন।আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন তখন ঐ দুই ফেরেশতাকে বললেন , " পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখো , তোমরা কি আলী ইবনে আবু তালিবের মত হতে পার না ?আমি আলী ও মুহাম্মদের মধ্যে ভাতৃত্ব স্থাপন করেছি।রাসুলের বিছানায় এখন আলী শায়িত আছে, সে জানে যে তার জীবন ঝুকির মুখে, কিন্তু কি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে! নিজের জীবনটা রাসুলের জন্য বিসর্জন দেওয়ার জন্য সম্পূর্ন প্রস্তত । তাই তোমরা উভয় পৃথিবীতে গিয়ে আলীর জীবন হেফাজত কর "।কারন সেই সময় রাসুলের গৃহের চর্তুদিকে চল্লিশ (কেউ কেউ বলেন ৭০ জন) জন কাফের উম্মুক্ত তলোয়ার হাতে রাসুলকে (সাঃ) হত্যার জন্য প্রস্তত ছিল ।উভয় ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরন করে , আলীর (আঃ) মাথার কাছে হযরত জীব্রাঈল(আঃ)এবং পায়ের কাছে মিকাঈল (আঃ)দাড়ালেন। জীব্রাঈল (আঃ) বললেন , " ধন্যবাদ ইয়া আলী ইবনে আবু তালিব , আপনার সমকক্ষ আর কেইবা হতে পারে, মহান আল্লাহআপনাকে নিয়ে ফেরেশতাদের সম্মুখে গর্ব করেছেন এবং এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহ উপরোক্ত আয়াত নবীজীর উপর নাজিল করেছেন "।সূত্র - তাফসীরে দুররে মানসুর ,খন্ড-৩,পৃ-১৮০ , মুসতাদরাকে হাকেম ,খন্ড-৩পৃ-৪ , মুসনাদে হাম্বাল , খন্ড-১, পৃ- ৩৪৮ ,কোরআনুল কারিম , পৃ-৫২৯ ( মহিউদ্দিনখান ) সহ প্রায় ৫০ টি গ্রন্থে এ ঘটনা উল্লেখ আছে।ভাব পাগলা আব্দুল্লাহ (৩০-১০-২১)
আল কোরআনে মাওলা আলী (আঃ)কে আল্লাহর নফস ঘোষনা করা হয়েছে ।
আল্লাহ্ পাক রাব্বুল ইজ্জত বলেন "মানুষের মধ্যে এমনও মানুষ আছে যে নিজের নাফসকে আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিক্রয় করে দেয় । আল্লাহ এইধরনের বান্দাকে ভালবেসে থাকেন...।" সুরা বাকারা/২০৭ ।
প্রানপ্রিয় বিবি খাদিজা বিনতে খুয়ায়লিদ সাঃআঃ এর ওফাত এবং অল্প কিছুদিন পরে হজরত আবু তালিবের ওফাতের কষ্ট নিয়ে মাওলা মুহাম্মদ সঃ বেদনায় জর্জরিত ছিলেন, এ অবস্থায় ৭০ কাবিলার কাফের একত্রিত হয়ে মাওলা মুহাম্মদ সঃ কে হত্যা করার জন্য উঠে পরে লাগে, ভেতরে বাইরে শত্রুরা হত্যার উদ্দেশ্যে ওত পেতে আছে। এমতাবস্থায় আল্লাহর হুকূমে মাওলা(সাঃ)মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন তখন হযরত আলীকে (আঃ) নিজের স্থানে স্থলাভিষিক্ত করেন ,
যেনো ওনার কাছে গচ্ছিত আমানতগুলো মানুষদেরকে পৌছে দেন।
মাওলা আলীর মোটেই ইচ্ছে নেই আল্লাহর রসুল, উনার মাওলা মুহাম্মদ সঃ কে একা যেতে দেয়ার। কিন্তু মাওলার হুকুম! কি আর করার। মাওলা আলী তার জীবনে মাওলা মুহাম্মদ সঃ এর কথায় কোনদিন কোন প্রশ্ন করেননি। যা বলেছেন “জ্বী মাওলা, লাব্বাঈক ইয়া মাওলা” কিন্তু রসুল সঃ যখন তাকে বললেন “আমার সবুজ চাদরটা গায়ে দিয়ে আমারবিছানায় শুয়ে থাক।তুমি আমার বিছানায় ঘুমিয়ে যাও” মাওলা আলী তখন শুধু এটুকু জিজ্ঞেস করলেন “ আমি যদি ঘুমাই, তাহলে আপনার জীবন বাঁচবে? আপনি নিরাপদে থাকবেন?” মাওলা মুহাম্মদ সঃ জবাব দিলেন “ হ্যাঁ। যদি তুমি “আমি” হয়ে ঘুমাও।“
একথা শুনে হযরত আলী (আঃ)শোকরনা সেজদা সেরে নবীজীর আদেশমতো নবীজীর (সাঃ)বিছানায় শায়িত হলেন, নবীজীর(সাঃ)স্থলবর্তী হিসাবে। আর এমন নিশ্চিন্তে ঘুম দিলেন যেন কোন বিপদই নেই। ঠিক তখনই মহান আল্লাহ নিজের দুই ফেরেশতা জীব্রঈল ও মিকাঈল (আঃ)কে বললেন যে , " আমি তোমাদের দুইজনের মধ্যে ভাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করলাম । তোমাদের মধ্যে একজনের আয়ু অন্যজনের আয়ু হতে বৃদ্বি করে দিলাম ।এখন কে নিজের জীবন অপরের জন্য উৎসর্গ করবে? ঐ দুই ফেরেশতা নিজের জীবনকেই প্রাধান্য দিল।মানে দুজনেই নিজে বেচে থাকার আকুতি প্রকাশ করেন।
আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন তখন ঐ দুই ফেরেশতাকে বললেন , " পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখো , তোমরা কি আলী ইবনে আবু তালিবের মত হতে পার না ?আমি আলী ও মুহাম্মদের মধ্যে ভাতৃত্ব স্থাপন করেছি।রাসুলের বিছানায় এখন আলী শায়িত আছে, সে জানে যে তার জীবন ঝুকির মুখে, কিন্তু কি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে! নিজের জীবনটা রাসুলের জন্য বিসর্জন দেওয়ার জন্য সম্পূর্ন প্রস্তত । তাই তোমরা উভয় পৃথিবীতে গিয়ে আলীর জীবন হেফাজত কর "।
কারন সেই সময় রাসুলের গৃহের চর্তুদিকে চল্লিশ (কেউ কেউ বলেন ৭০ জন) জন কাফের উম্মুক্ত তলোয়ার হাতে রাসুলকে (সাঃ) হত্যার জন্য প্রস্তত ছিল ।উভয় ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরন করে , আলীর (আঃ) মাথার কাছে হযরত জীব্রাঈল(আঃ)এবং পায়ের কাছে মিকাঈল (আঃ)দাড়ালেন। জীব্রাঈল (আঃ) বললেন , " ধন্যবাদ ইয়া আলী ইবনে আবু তালিব , আপনার সমকক্ষ আর কেইবা হতে পারে, মহান আল্লাহআপনাকে নিয়ে ফেরেশতাদের সম্মুখে গর্ব করেছেন এবং এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহ উপরোক্ত আয়াত নবীজীর উপর নাজিল করেছেন "।
সূত্র - তাফসীরে দুররে মানসুর ,খন্ড-৩,
পৃ-১৮০ , মুসতাদরাকে হাকেম ,খন্ড-৩
পৃ-৪ , মুসনাদে হাম্বাল , খন্ড-১, পৃ- ৩৪৮ ,
কোরআনুল কারিম , পৃ-৫২৯ ( মহিউদ্দিন
খান ) সহ প্রায় ৫০ টি গ্রন্থে এ ঘটনা উল্লেখ আছে।
ভাব পাগলা আব্দুল্লাহ (৩০-১০-২১)
মন্তব্যসমূহ