পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রকৃতি কুরআন বিরোধী কিছু হাদিসপর্ব 2কুরআনে ‘মুরতাদের শাস্তি আল্লাহ দিবেন, বুখারি-মুসলিমে `মুরতাদকে হত্যা করলে জান্নাত!কুরআনে দেখুন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দীন হতে ফিরে যায় এবং কাফিররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের কর্ম নিষ্ফল হয়। তারাই অগ্নিবাসী (২:২১৭)। ‘সেদিন কতক মুখ উজ্জ্বল হবে এবং কতক মুখ কাল হবে; যাদের মুখ কাল হবে (তাদেরকে বলা হবে) ‘ঈমান আনয়নের পর কি তোমরা কুফুরি করে ছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তি ভোগ কর (৩:১০৬)। ‘হে মু‘মিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দীন হতে ফিরে গেলে নিশ্চয়ই আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যাঁরা তাকে ভালোবাসবে (৫:৫৪)। ‘তারা আল্লাহর শপথ করে যে, তারা কিছুই বলেনি; কিন্তু তারা তো কুফুরির কথা বলেছে এবং ইসলাম গ্রহণের পর কাফির হয়েছে; ... কিন্তু তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন (৯:৭৪)। ‘কেউ তার ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফুরির জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্য আছে মহাশাস্তি (১৬:১০৬)। [যারা দীন ইসলাম ত্যাগ করেছে তাদেরকে হত্যা করার অধিকার আল্লাহ কাউকে দিয়েছেন কি?]বুখারিÑমুসলিমে দেখুন, ‘দীন ইসলাম ত্যাগকারী যে মুসলিম জামায়াত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তাকে হত্যা করা হালাল (মেশকাত-৭/৪১৭২, ৪২৫৩, ৪২৬০, ৪২৭০)। ‘যে কেউ তার দীন (ইসলাম) পরিবর্তন করবে (মুরতাদ হবে) তাকে হত্যা কর (মেশকাত-৭/৪২৫১)। ‘যখন কোন বান্দা শিরকের দিকে পালিয়ে যায় তখন তার হত্যা হালাল (আবূ দাঊদ);-মেশকাত-৭/৪২৬৬। [আল্লাহ ধর্ম ত্যাগীদের হত্যার নির্দেশ দেন নি। সুতরাং রাসূল দীন ইসলাম ত্যাগকারীকে হত্যার নির্দেশ দিতে পারেন কি?]৩. কাফির / নাস্তিক কারা?১. ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেই না তারাই কাফির (সূরা-৫, মায়িদা, আয়াত-৪৪)। ‘কেবল কাফিররাই আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে (সেূরা-২৯, ‘আনকাবুত, আয়াত-৪৭)। [কাফির মানে নাস্তিক। উপরোক্ত আয়াত অনুসারে ‘আল্লাহর কিতাব অনুসারে বিধান না দিলে কাফির / নাস্তিক।]২. ‘যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে ও তাঁর রাসূলদেরকেও এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতক বিশ্বাস করি ও কতক অবিশ্বাস করি’ আর তারা মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়, তারাই প্রকৃত কাফির (সূরা-৪, নিসা, আয়াতঃ ১৫০-১৫১)। [উপরোক্ত আয়াত অনুসারে কুরআনের সাথে নিজেদের মনমত কোন বিষয় যোগ করে ধর্ম বানিয়ে নিলেও কাফির!]৪. কুরআনে ‘মৃত ব্যক্তিকে শুনানো অসম্ভব ‘মুসলিমে ‘সম্ভব!কুরআনে দেখুন, ‘তুমি তো মৃতকে কথা শুনাতে পারবে না (২৭:৮০; ৩০:৫২)। ‘তুমি শুনাতে পারবে কেবল তাদেরকে, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে (২৭:৮১; ৩০:৫৩)। ‘তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করেছি! তুমি কি তাদের কাউকে দেখতে পাও অথবা ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও? (১৯:৯৮)। [জীবিত অবস্থায় কুরআন না শুনলে মৃত ব্যক্তির কাছে কুরআন পড়লে মৃত লাশ কুরআনের আয়াত শোনেন কি?]মুসলিমে... দেখুন, ‘তোমাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ শিক্ষা দিবে (মেশকাত-৪/১৫২৮)। ‘তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট ‘সূরা ইয়াসিন’ পড়বে (আহমদ, আবূ দাউদ ও ইব্নু মাযাহ);-মেশকাত-৪/১৫৩৪। ‘যে শুধু আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য সূরা ‘ইয়াসিন’ পড়বে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে; সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট তা (সূরাহ ইয়াসিন) পড়বে (বায়হাকী-শোআবে);-মেশকাত-৫/২০৭৪। [মৃত ব্যক্তিকে কুরআন শুনানোর কথা আল্লাহর কিতাবে আছে কি?]বেশুমার লানত বর্ষিত হোক

চমৎকার ! এই না হলে মুসলমান ? আমার বাবা ইতিহাস জানতেন ঠিক তবে তিনি তো ইতিহাস বানাননি। এবার আপনাদের বোখারী গং থেকে সহিহ হাদিস ও ইতিহাসের আলোকে আমার পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছি।মা ফাতেমা (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উপর চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং আমৃত্যু তার সাথে আর কথা বলেনি। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৯১৬; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৪৪৪]রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফাতেমা আমার দেহেরই একটি একটি টুকরা। যে তাকে অসন্তুষ্ট করল, সে যেন আমাকে অসন্তুষ্ট করল। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৪৪১; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৬১৫০.৬১৫১ তাহলে আবু বকর (রাঃ) কি রাসূল (সাঃ) কেও অসন্তুষ্ট করলেন না?হযরত আবু বকর (রাঃ) খলিফা হওয়ার পর বায়াত সংগ্রহের অভিযান শুরু করেন, এর প্রথম লক্ষ্য ছিল হযরত আলী (রাঃ)। কারন, হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (রাঃ) কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ উত্তরাধিকারী বিধায় তার পক্ষ হতেই অবৈধ খলিফার বিপদের আশংকা করেছিলেন সবচেয়ে বেশী। তাই আবু বকর (রাঃ) এর নির্দেশে হযরত ওমর (রাঃ) একদল সৈন্যসহ হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বাসগৃহ অবরোধ করতে পাঠালেন। হযরত ওমর (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর গৃহ অবরোধ করে স্বদম্ভে বললেন, “ঘরে যারা আছে তারা এসে যদি আবু বকর (রাঃ) এর বায়াত না নেও তবে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে।” তখন লোকেরা বলছিল, আরে এখানে তো মা ফাতেমা (রাঃ) আছেন। হযরত ওমর (রাঃ) আবারও স্বদম্ভে বলেছিলেন, থাকুক। এরপর মাওলা আলী (রাঃ) এর হুকুমে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজায় এসে দাড়ালেন যাতে তাকে দেখে অন্ততঃ এরা সমীহ করে। কিন্তু কার্য তার বিপরীত দেখে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে দেন। হযরত ওমর (রাঃ) দরজায় সজোরে আঘাত করেন, ফলে দরজা ভেঙ্গে গিয়ে মা ফাতেমা (রাঃ) এর উপর পড়ে। ফলে দরজার আঘাতে মা ফাতেমা (রাঃ) এর পাজরের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তদ্দরুন তার গর্ভপাত হয় এবং গর্ভের সন্তানটি মারা যায়, তার নাম রাখা হয়েছিল মুহসীন। মা ফাতেমা (রঃ) আবু বকর ও ওমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “খোদার কসম, প্রত্যেক নামাজে আমি তোমাদের দুইজনের জন্য বদদোয়া করতে থাকব।”[ইবনে কুতাইবার “আল ইমামাহ ওয়াসসিয়াসাহ”; তাবারীর “তারিখ”; ইবনে আব্দি রাব্বিহ মালিকীর “আকদুল ফরিদ”; ইবনে আবিল হাদীদের “শারহে নাহজুল বালাগাহ”; মাসউদীর “মরুজুয যাহাব”]আবু বকর যে পদ্ধতিতে ওমরকে খলিফা নিযুক্ত করেছিলেন তাকে বলা যায় স্বেচ্ছাতন্ত্র। তিনি ইন্তেকালের পূর্বে ওসমানকে ডেকে এনে (ওমরের নাম) খেলাফত নামা লিখিয়েছিলেন।[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা]আবু বকর এবং ওমর একই প্ল্যান-প্রোগ্রাম মোতাবেকই কাজ করে খেলাফতের কার্য পরিচালনা করেছেন এবং ওসমান যাতে পরবর্তী খলিফা হতে পারে তার সুব্যবস্থা এবং হযরত আলী (রাঃ) কে যাতে বঞ্চিত বা হত্যা করা যায় তার প্ল্যান মোতাবেকই ছয় সদস্য বিশিষ্ট এক বোর্ড গঠন করে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়।ওমর তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও সুহাইবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, “যদি মানুষ মতভেদ করে তোমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষালম্বন করো, কিন্তু যদি তিনজন একদিকে এবং তিনজন অপর দিকে থাকে তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যেদিকে থাকে তোমরা সেদিকে থেকো।” [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭২৫ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৫১৪]“যদি দু’জন সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় এবং অপর দু’জন সদস্য অন্য প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় তবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর তার মধ্যস্থতা করবে। আবদুল্লাহ যে পক্ষকে নির্দেশ দিবে সে পক্ষ খলিফা নিয়োগ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর রায় যদি তারা মেনে না নেয়, তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যার পক্ষে থাকবে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর সে পক্ষে সমর্থন করবে। অপর পক্ষে এ রায় অমান্য করলে তাদের মাথা কেটে হত্যা করতে হবে। [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭৭৯ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬৭নিবেদকমোঃ শামসীর হায়দার