চমৎকার ! এই না হলে মুসলমান ? আমার বাবা ইতিহাস জানতেন ঠিক তবে তিনি তো ইতিহাস বানাননি। এবার আপনাদের বোখারী গং থেকে সহিহ হাদিস ও ইতিহাসের আলোকে আমার পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছি।মা ফাতেমা (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উপর চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং আমৃত্যু তার সাথে আর কথা বলেনি। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৯১৬; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৪৪৪]রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফাতেমা আমার দেহেরই একটি একটি টুকরা। যে তাকে অসন্তুষ্ট করল, সে যেন আমাকে অসন্তুষ্ট করল। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৪৪১; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৬১৫০.৬১৫১ তাহলে আবু বকর (রাঃ) কি রাসূল (সাঃ) কেও অসন্তুষ্ট করলেন না?হযরত আবু বকর (রাঃ) খলিফা হওয়ার পর বায়াত সংগ্রহের অভিযান শুরু করেন, এর প্রথম লক্ষ্য ছিল হযরত আলী (রাঃ)। কারন, হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (রাঃ) কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ উত্তরাধিকারী বিধায় তার পক্ষ হতেই অবৈধ খলিফার বিপদের আশংকা করেছিলেন সবচেয়ে বেশী। তাই আবু বকর (রাঃ) এর নির্দেশে হযরত ওমর (রাঃ) একদল সৈন্যসহ হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বাসগৃহ অবরোধ করতে পাঠালেন। হযরত ওমর (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর গৃহ অবরোধ করে স্বদম্ভে বললেন, “ঘরে যারা আছে তারা এসে যদি আবু বকর (রাঃ) এর বায়াত না নেও তবে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে।” তখন লোকেরা বলছিল, আরে এখানে তো মা ফাতেমা (রাঃ) আছেন। হযরত ওমর (রাঃ) আবারও স্বদম্ভে বলেছিলেন, থাকুক। এরপর মাওলা আলী (রাঃ) এর হুকুমে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজায় এসে দাড়ালেন যাতে তাকে দেখে অন্ততঃ এরা সমীহ করে। কিন্তু কার্য তার বিপরীত দেখে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে দেন। হযরত ওমর (রাঃ) দরজায় সজোরে আঘাত করেন, ফলে দরজা ভেঙ্গে গিয়ে মা ফাতেমা (রাঃ) এর উপর পড়ে। ফলে দরজার আঘাতে মা ফাতেমা (রাঃ) এর পাজরের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তদ্দরুন তার গর্ভপাত হয় এবং গর্ভের সন্তানটি মারা যায়, তার নাম রাখা হয়েছিল মুহসীন। মা ফাতেমা (রঃ) আবু বকর ও ওমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “খোদার কসম, প্রত্যেক নামাজে আমি তোমাদের দুইজনের জন্য বদদোয়া করতে থাকব।”[ইবনে কুতাইবার “আল ইমামাহ ওয়াসসিয়াসাহ”; তাবারীর “তারিখ”; ইবনে আব্দি রাব্বিহ মালিকীর “আকদুল ফরিদ”; ইবনে আবিল হাদীদের “শারহে নাহজুল বালাগাহ”; মাসউদীর “মরুজুয যাহাব”]আবু বকর যে পদ্ধতিতে ওমরকে খলিফা নিযুক্ত করেছিলেন তাকে বলা যায় স্বেচ্ছাতন্ত্র। তিনি ইন্তেকালের পূর্বে ওসমানকে ডেকে এনে (ওমরের নাম) খেলাফত নামা লিখিয়েছিলেন।[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা]আবু বকর এবং ওমর একই প্ল্যান-প্রোগ্রাম মোতাবেকই কাজ করে খেলাফতের কার্য পরিচালনা করেছেন এবং ওসমান যাতে পরবর্তী খলিফা হতে পারে তার সুব্যবস্থা এবং হযরত আলী (রাঃ) কে যাতে বঞ্চিত বা হত্যা করা যায় তার প্ল্যান মোতাবেকই ছয় সদস্য বিশিষ্ট এক বোর্ড গঠন করে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়।ওমর তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও সুহাইবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, “যদি মানুষ মতভেদ করে তোমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষালম্বন করো, কিন্তু যদি তিনজন একদিকে এবং তিনজন অপর দিকে থাকে তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যেদিকে থাকে তোমরা সেদিকে থেকো।” [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭২৫ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৫১৪]“যদি দু’জন সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় এবং অপর দু’জন সদস্য অন্য প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় তবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর তার মধ্যস্থতা করবে। আবদুল্লাহ যে পক্ষকে নির্দেশ দিবে সে পক্ষ খলিফা নিয়োগ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর রায় যদি তারা মেনে না নেয়, তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যার পক্ষে থাকবে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর সে পক্ষে সমর্থন করবে। অপর পক্ষে এ রায় অমান্য করলে তাদের মাথা কেটে হত্যা করতে হবে। [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭৭৯ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬৭নিবেদকমোঃ শামসীর হায়দার
চমৎকার ! এই না হলে মুসলমান ? আমার বাবা ইতিহাস জানতেন ঠিক তবে তিনি তো ইতিহাস বানাননি। এবার আপনাদের বোখারী গং থেকে সহিহ হাদিস ও ইতিহাসের আলোকে আমার পোস্টের রেফারেন্স দিচ্ছি।
মা ফাতেমা (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উপর চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং আমৃত্যু তার সাথে আর কথা বলেনি। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৯১৬; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৪৪৪৪]
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফাতেমা আমার দেহেরই একটি একটি টুকরা। যে তাকে অসন্তুষ্ট করল, সে যেন আমাকে অসন্তুষ্ট করল। [বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৩৪৪১; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং-৬১৫০.৬১৫১
তাহলে আবু বকর (রাঃ) কি রাসূল (সাঃ) কেও অসন্তুষ্ট করলেন না?
হযরত আবু বকর (রাঃ) খলিফা হওয়ার পর বায়াত সংগ্রহের অভিযান শুরু করেন, এর প্রথম লক্ষ্য ছিল হযরত আলী (রাঃ)। কারন, হযরত আলী (রাঃ) ছিলেন রাসূল (রাঃ) কর্তৃক নিযুক্ত বৈধ উত্তরাধিকারী বিধায় তার পক্ষ হতেই অবৈধ খলিফার বিপদের আশংকা করেছিলেন সবচেয়ে বেশী। তাই আবু বকর (রাঃ) এর নির্দেশে হযরত ওমর (রাঃ) একদল সৈন্যসহ হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর বাসগৃহ অবরোধ করতে পাঠালেন। হযরত ওমর (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর গৃহ অবরোধ করে স্বদম্ভে বললেন, “ঘরে যারা আছে তারা এসে যদি আবু বকর (রাঃ) এর বায়াত না নেও তবে ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে।” তখন লোকেরা বলছিল, আরে এখানে তো মা ফাতেমা (রাঃ) আছেন। হযরত ওমর (রাঃ) আবারও স্বদম্ভে বলেছিলেন, থাকুক। এরপর মাওলা আলী (রাঃ) এর হুকুমে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজায় এসে দাড়ালেন যাতে তাকে দেখে অন্ততঃ এরা সমীহ করে। কিন্তু কার্য তার বিপরীত দেখে মা ফাতেমা (রাঃ) দরজা বন্ধ করে দেন। হযরত ওমর (রাঃ) দরজায় সজোরে আঘাত করেন, ফলে দরজা ভেঙ্গে গিয়ে মা ফাতেমা (রাঃ) এর উপর পড়ে। ফলে দরজার আঘাতে মা ফাতেমা (রাঃ) এর পাজরের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং তদ্দরুন তার গর্ভপাত হয় এবং গর্ভের সন্তানটি মারা যায়, তার নাম রাখা হয়েছিল মুহসীন। মা ফাতেমা (রঃ) আবু বকর ও ওমর (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “খোদার কসম, প্রত্যেক নামাজে আমি তোমাদের দুইজনের জন্য বদদোয়া করতে থাকব।”
[ইবনে কুতাইবার “আল ইমামাহ ওয়াসসিয়াসাহ”; তাবারীর “তারিখ”; ইবনে আব্দি রাব্বিহ মালিকীর “আকদুল ফরিদ”; ইবনে আবিল হাদীদের “শারহে নাহজুল বালাগাহ”; মাসউদীর “মরুজুয যাহাব”]
আবু বকর যে পদ্ধতিতে ওমরকে খলিফা নিযুক্ত করেছিলেন তাকে বলা যায় স্বেচ্ছাতন্ত্র। তিনি ইন্তেকালের পূর্বে ওসমানকে ডেকে এনে (ওমরের নাম) খেলাফত নামা লিখিয়েছিলেন।
[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৭ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা]
আবু বকর এবং ওমর একই প্ল্যান-প্রোগ্রাম মোতাবেকই কাজ করে খেলাফতের কার্য পরিচালনা করেছেন এবং ওসমান যাতে পরবর্তী খলিফা হতে পারে তার সুব্যবস্থা এবং হযরত আলী (রাঃ) কে যাতে বঞ্চিত বা হত্যা করা যায় তার প্ল্যান মোতাবেকই ছয় সদস্য বিশিষ্ট এক বোর্ড গঠন করে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
ওমর তার পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও সুহাইবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, “যদি মানুষ মতভেদ করে তোমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষালম্বন করো, কিন্তু যদি তিনজন একদিকে এবং তিনজন অপর দিকে থাকে তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যেদিকে থাকে তোমরা সেদিকে থেকো।”
[তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭২৫ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৫১৪]
“যদি দু’জন সদস্য একজন প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় এবং অপর দু’জন সদস্য অন্য প্রার্থীর পক্ষে রায় দেয় তবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর তার মধ্যস্থতা করবে। আবদুল্লাহ যে পক্ষকে নির্দেশ দিবে সে পক্ষ খলিফা নিয়োগ করবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর এর রায় যদি তারা মেনে না নেয়, তবে আবদুর রহমান ইবনে আওফ যার পক্ষে থাকবে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর সে পক্ষে সমর্থন করবে। অপর পক্ষে এ রায় অমান্য করলে তাদের মাথা কেটে হত্যা করতে হবে। [তাবারী প্রথম খণ্ড পৃষ্ঠা ২৭৭৯ এবং ইবনুল আসীর ৩য় খণ্ড পৃষ্ঠা ৬৭
নিবেদক
মোঃ শামসীর হায়দার
মন্তব্যসমূহ