পবিত্র। কোরআন বিরোধী কিছু হাদিস(((((পর্ব 3)))))৫. কুরআনে ‘বিপদ আপতিত হলে ইন্নালিল্লাহি ... ... বুখারি-মুসলিমে ‘লা ইলাহা ... !কুরআনে দেখুন, ‘যারা তাদের উপর বিপদ আপতিত হলে বলে ‘ইন্নালিল্লাহি ... ... (আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী)। এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের রবের নিকট হতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎপথে পরিচালিত (২:১৫৬-১৫৭)। [আল্লাহ মানুষের বিপদের সময় কি বলতে হবে তা কি তিনি তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেন নি?]বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বিপদের সময় বলতেন, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ... ... (মহান সহিঞ্চু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; ... যিনি মহা আরশের রব! আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, যিনি আসমানসমূহ ও যমিনের রব এবং মহাআরশের রব! (মেশকাত-৫/২৩০৫)। [আল্লাহ যা শিক্ষা দিয়েছেন রাসূল তা না বলার কারণ কি?]৬.কুরআনে ‘মৃত্যু হয় শাস্তি ও শান্তিতে, বুখারি-মুসলিমে‘ফিরিস্তা চপেটাঘাত খায় মূসার হাতে!কুরআনে দেখুন, ‘যাদের মৃত্যু ঘটায় ফিরিস্তাগণ তারা নিজেদের প্রতি যুলূম করতে থাকা অবস্থায়; অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘আমরা মন্দ কর্ম করতাম না ... ... তোমরা দ্বার দিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ কর, সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।... ... ফিরিস্তাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফিরিস্তারা বলবে ‘সালামুন আলাইকুম’ তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর (১৬:২৮,২৯,৩২)। [ফিরিস্তাগণ কি মানুষের অনুমতি নিয়ে মৃত্যু ঘটায়?]বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘মৃত্যুর ফিরিস্তা মূসা ইবনে ইমরানের নিকট এসে বললেন, ‘আপনার রবের ডাকে সাড়া দিন। তখন মূসা মৃত্যুর ফিরিস্তার চোখের উপর চপেটাঘাত করলেন। ফলে তার চক্ষু উপড়িয়ে গেল। ... ... ফিরিস্তা আল্লাহর নিকট গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে এমন এক বান্দার নিকট পাঠায়েছেন, যে মরতে চায় না। এমন কি সে আমার চক্ষু উপড়িয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাাহ তার চক্ষু ফিরিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘তুমি আবার আমার সেই বান্দার নিকট যাও এবং বল: তুমি কি বেঁচে থাকতে চাও? যদি তুমি বেঁচে থাকতে চাও, তা হলে একটি ষাঁড়ের পিঠে হাত রাখ এবং তোমার হাত ওর যতগুলি পশম ঢেকে ফেলবে, প্রতিটি পশমের বদলে তোমাকে এক এক বছর আয়ু দান করা হবে। এ শুনে মূসা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা, তারপর কি হবে? ফিরিস্তা বললেন; তারপর তোমাকে মরতে হবে ... (মেশকাত-১০/৫৪৬৮)। [আল্লাহ মূসাকে ঐরপ ক্ষমতা দিয়েছিলেন কি?]৭. কুরআনে ‘ঈমান ও সৎকর্মে জান্নাত, বুখারি-মুসলিমে‘আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে!কুরআনে দেখুন, ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মে তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে (২:৮২)। [কুরআনের সকল আইন মানার শর্তে সালাত প্রতিষ্ঠিত এবং ইমামের নিকট যাকাত-সদকা (৯:৭১-৭২, ১০৩-১০৪; ৬৩:১০) দিলেই জান্নাত নিশ্চিত হয়। আল্লাহ কি তাঁর কিতাবে কারা জান্নাতে যাবে তা বলেন নি?]বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আল্লাহর নিরানব্বই- এক কম একশতটি নাম রয়েছে। যে তা মুখস্ত করবে জান্নাতে যাবে (মেশকাত-৫/২১৭৯; ২১৮০)। [কুরআনে কি আল্লাহর নিরানব্বটি নাম আছে? ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে আল্লাহ তাকে জান্নাত দিতে চেয়েছেন কি?]৮. কুরআনে ‘আল্লাহর নামে দীনের কিতাব লিখবে না, বুখারি-মুসলিরা লিখেছে!কুরআনে দেখুন, ‘সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এ আল্লাহর নিকট হতে।’ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (২:৭৯, ২৫৭; ৬:১১২)। [আল্লাহর নাম দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের কিতাব লিখতে আল্লাহ বলেছেন কি?]৯. কুরআনে ‘আল্লাহু, প্রচলিত হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার!কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ’ ডাকো অথবা রাহমান ডাকো সকল সুন্দর নামই তো তাঁর (১৭:১১০)। ‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেই সকল নামেই ডাকবে; যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে; তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে (৭:১৮০)। [নাম বিকৃত করে আল্লাহ নামের সাথে আকবার নাম যুক্ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা উচিত হবে কি?]বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার (মেশকাত-৮/৩৭৫৫, ৩৮০৪)। ‘আল্লাহু আকবার’ পূর্ণ করে আসমান ও জমিনে মধ্যে যা আছে তাকে (রযীন);-মেশকাত-৫/২২১৪। ‘রাসূল সালাতে কেবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে হাত উঠিয়ে বলতেন, ‘আল্লাহু আকবার’ (ইবনু মাযাহ);-মেশকাত-২/৭৫৪, ৭৬৪। ‘বল, ‘আল্লাহু আকবার’ (মুসলিম ও আবূদাঊদ);-মেশকাত-২/৫৯১ ও ২/৫৯৪। ২/৫৯৯, ৭৪৫, ৬০৯; ৩/১১৩২, ১১৯৪ নং হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দ রয়েছে। [আল্লাহ তার কিতাবে ‘আল্লাহু আকাবার’ নামে ডাকতে বলেছেন কি?]
পবিত্র। কোরআন বিরোধী কিছু হাদিস
৫. কুরআনে ‘বিপদ আপতিত হলে ইন্নালিল্লাহি ... ... বুখারি-মুসলিমে ‘লা ইলাহা ... !
কুরআনে দেখুন, ‘যারা তাদের উপর বিপদ আপতিত হলে বলে ‘ইন্নালিল্লাহি ... ... (আমরা তো আল্লাহরই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী)। এরাই তারা যাদের প্রতি তাদের রবের নিকট হতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎপথে পরিচালিত (২:১৫৬-১৫৭)। [আল্লাহ মানুষের বিপদের সময় কি বলতে হবে তা কি তিনি তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেন নি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বিপদের সময় বলতেন, ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ... ... (মহান সহিঞ্চু আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; ... যিনি মহা আরশের রব! আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, যিনি আসমানসমূহ ও যমিনের রব এবং মহাআরশের রব! (মেশকাত-৫/২৩০৫)। [আল্লাহ যা শিক্ষা দিয়েছেন রাসূল তা না বলার কারণ কি?]
৬.কুরআনে ‘মৃত্যু হয় শাস্তি ও শান্তিতে, বুখারি-মুসলিমে‘ফিরিস্তা চপেটাঘাত খায় মূসার হাতে!
কুরআনে দেখুন, ‘যাদের মৃত্যু ঘটায় ফিরিস্তাগণ তারা নিজেদের প্রতি যুলূম করতে থাকা অবস্থায়; অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ করে বলবে, ‘আমরা মন্দ কর্ম করতাম না ... ... তোমরা দ্বার দিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ কর, সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।... ... ফিরিস্তাগণ যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফিরিস্তারা বলবে ‘সালামুন আলাইকুম’ তোমরা যা করতে তার ফলে জান্নাতে প্রবেশ কর (১৬:২৮,২৯,৩২)। [ফিরিস্তাগণ কি মানুষের অনুমতি নিয়ে মৃত্যু ঘটায়?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘মৃত্যুর ফিরিস্তা মূসা ইবনে ইমরানের নিকট এসে বললেন, ‘আপনার রবের ডাকে সাড়া দিন। তখন মূসা মৃত্যুর ফিরিস্তার চোখের উপর চপেটাঘাত করলেন। ফলে তার চক্ষু উপড়িয়ে গেল। ... ... ফিরিস্তা আল্লাহর নিকট গিয়ে বললেন, ‘আপনি আমাকে এমন এক বান্দার নিকট পাঠায়েছেন, যে মরতে চায় না। এমন কি সে আমার চক্ষু উপড়িয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাাহ তার চক্ষু ফিরিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘তুমি আবার আমার সেই বান্দার নিকট যাও এবং বল: তুমি কি বেঁচে থাকতে চাও? যদি তুমি বেঁচে থাকতে চাও, তা হলে একটি ষাঁড়ের পিঠে হাত রাখ এবং তোমার হাত ওর যতগুলি পশম ঢেকে ফেলবে, প্রতিটি পশমের বদলে তোমাকে এক এক বছর আয়ু দান করা হবে। এ শুনে মূসা জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা, তারপর কি হবে? ফিরিস্তা বললেন; তারপর তোমাকে মরতে হবে ... (মেশকাত-১০/৫৪৬৮)। [আল্লাহ মূসাকে ঐরপ ক্ষমতা দিয়েছিলেন কি?]
৭. কুরআনে ‘ঈমান ও সৎকর্মে জান্নাত, বুখারি-মুসলিমে‘আল্লাহর ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে!
কুরআনে দেখুন, ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মে তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে (২:৮২)। [কুরআনের সকল আইন মানার শর্তে সালাত প্রতিষ্ঠিত এবং ইমামের নিকট যাকাত-সদকা (৯:৭১-৭২, ১০৩-১০৪; ৬৩:১০) দিলেই জান্নাত নিশ্চিত হয়। আল্লাহ কি তাঁর কিতাবে কারা জান্নাতে যাবে তা বলেন নি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘আল্লাহর নিরানব্বই- এক কম একশতটি নাম রয়েছে। যে তা মুখস্ত করবে জান্নাতে যাবে (মেশকাত-৫/২১৭৯; ২১৮০)। [কুরআনে কি আল্লাহর নিরানব্বটি নাম আছে? ৯৯টি নাম মুখস্ত করলে আল্লাহ তাকে জান্নাত দিতে চেয়েছেন কি?]
৮. কুরআনে ‘আল্লাহর নামে দীনের কিতাব লিখবে না, বুখারি-মুসলিরা লিখেছে!
কুরআনে দেখুন, ‘সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘এ আল্লাহর নিকট হতে।’ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (২:৭৯, ২৫৭; ৬:১১২)। [আল্লাহর নাম দিয়ে বুখারি-মুসলিমদের কিতাব লিখতে আল্লাহ বলেছেন কি?]
৯. কুরআনে ‘আল্লাহু, প্রচলিত হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার!
কুরআনে দেখুন, ‘বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ’ ডাকো অথবা রাহমান ডাকো সকল সুন্দর নামই তো তাঁর (১৭:১১০)। ‘আল্লাহর জন্য রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেই সকল নামেই ডাকবে; যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন করবে; তাদের কৃতকর্মের ফল তাদেরকে দেওয়া হবে (৭:১৮০)। [নাম বিকৃত করে আল্লাহ নামের সাথে আকবার নাম যুক্ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা উচিত হবে কি?]
বুখারি-মুসলিমে দেখুন, ‘রাসূল বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার! আল্লাহু আকবার (মেশকাত-৮/৩৭৫৫, ৩৮০৪)। ‘আল্লাহু আকবার’ পূর্ণ করে আসমান ও জমিনে মধ্যে যা আছে তাকে (রযীন);-মেশকাত-৫/২২১৪। ‘রাসূল সালাতে কেবলামুখী হয়ে দাড়িয়ে হাত উঠিয়ে বলতেন, ‘আল্লাহু আকবার’ (ইবনু মাযাহ);-মেশকাত-২/৭৫৪, ৭৬৪। ‘বল, ‘আল্লাহু আকবার’ (মুসলিম ও আবূদাঊদ);-মেশকাত-২/৫৯১ ও ২/৫৯৪। ২/৫৯৯, ৭৪৫, ৬০৯; ৩/১১৩২, ১১৯৪ নং হাদিসে ‘আল্লাহু আকবার’ শব্দ রয়েছে। [আল্লাহ তার কিতাবে ‘আল্লাহু আকাবার’ নামে ডাকতে বলেছেন কি?]
মন্তব্যসমূহ