পবিত্র কুরআন বিরোধী কিছু হাদিস((((((৬))))))১৮. কুরআনে ‘হাদিস ২ প্রকার, মেশকাত শরীফে ‘হাদিস ২৮ প্রকার!হাদিস শব্দের অর্থ কথা, বাণী, বৃত্তান্ত, প্রসংগ বা, উপদেশ। আল্লাহর কিতাবে দুই প্রকার হাদিসের উল্লেখ আছে। যথা- ১. আহ্সানাল হাদিস ও ২. লাহ্ওয়াল হাদিস।কুরআনে দেখুন১. আহ্সানাল হাদিসঃ ‘আল্লাহর অবতীর্ণ করেছেন আহ্সানাল হাদিস১ (উত্তম বাণী) সম্বলিত কিতাব যা সুসমঞ্জস এবং যা পুন: পুন: আবৃত্তি করা হয়। তাতে, যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এ-ই (আহ্সানাল হাদিসই) আল্লাহর পথনির্দেশ (৩৯:২৩)। [কুরআনের প্রতিটি আয়াতই আল্লাহ্র হাদিস। ৬,২৩৬ টি আয়াত বা হাদিস একত্রিভাবে কুরআনকে আল্লাহ্ বলেছেন ‘আহসানাল হাদিস সম্বলিত কিতাব’।] ‘এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করছি যথাযথ ভাবে। সুতরাং আল্লাহ্ এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে? (৪৫:৬)। ‘সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যাবাদীদের জন্য। সুতরাং তারা এর (কুরআনের) পরিবর্তে আর কোন হাদিসে বিশ্বাস স্থাপন করবে? (৭৭:৪৯-৫০)। [দীন হিসেবে আল্লাহর হাদিসের সাথে অন্য হাদিসের অনুসরণ করা যাবে কি?]২. লাহ্ওয়াল হাদিসঃ ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য লাহ্ওয়াল হাদিস২ (অসার বাণী) ক্রয় করে নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি (৩১:৬)। [‘আহ্সানাল হাদিসের’ অনুসরণ না করলেই শাস্তি। তাহলে ‘লাহ্ওয়াল হাদিসের’ প্রয়োজন আছে কি?]প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘রাসূলুল্লাহ্ তাঁর নবি- জিবনে যা বলেছেন, করেছেন বা অন্যের কোন কথা বা কার্যের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তাকে সূন্নাহ বলে। এর অপর নাম হাদিস;-মেশকাত-১/জ্ঞাতব্য বিষয় থেকে। ‘রাসূলুল্লাহ্ (স:)-এর সমস্ত বাণি ও কর্মকে বলা হয় হাদিস- শিক্ষাবর্ষ- ২০১৪, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণি থেকে।‘হাদিস অর্থ কথা বা বাণি। ... হাদিসের মূল বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে হাদিসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ক. কাওলি, খ. ফি’লি এবং গ. তাকরিরি।ক. কাওলিঃ মহানবি (স.)-এর মুখনিঃসৃত বাণীকে ‘কাওলি হাদিস বলে।খ. ফি’লিঃ যে হাদিসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে ফি’লি হাদিস বলে।গ. তাকরিরিঃ মহানবি (স.)-এর সামনে কোনো কথা বলেছেন কিংবা কোন কাজ করেছেন। তিনি তা নিজে করেন নি এবং তাতে বাধাও দেন নি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তা সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন। এরূপ অবস্থা বা বিষয়ের বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসকে তাকরিরি হাদিস বলা হয়। সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার। যথা- ক. মারফু, খ. মাওকুফ ও গ. মাকতু।মেশকাতে উপরোক্ত ৬ (ছয়) প্রকার হাদিস ছাড়াও আরও হাদিসের প্রকার ভেদ দেখুন-১. মোত্তাছিল, ২. মোনকাতে, ৩. মোরছাল, ৪. মোআল্লাক, ৫. মোদাল্লাছ, ৬. মোজ্তারেব, ৭. মোদ্রাজ, ৮. মোছ্নাদ, ৯. মাহ্ফুজ ও শাজ¦, ১০. মারূফ ও মোন্কার, ১১. মোআল্লাল, ১২. মোতাবে’ ও শাহেদ, ১৩. ছহীহ, ১৪. হাছান, ১৫. জঈফ, ১৬. মাওজু, ১৭. মাত্রূক, ১৮. মোব্হাম, ১৯. গরীব, ২০. আজীজ, ২১. মাশ্হূর, ২২. মোতাওয়াতের হাদিস। [সু-প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত ২৮ প্রকারের হাদিসগুলোর মধ্যে রহমানের (দয়াময়ের) হাদিস (২৬:৫), মূসার হাদিস (২০:৯; ৭৯:১৫), ইব্রাহীমের মেহমানদের হাদিস (৫১:২৪), সৈন্য বাহিনীর হাদিস (৮৫:১৭) ও কিয়ামতের হাদিসের (৮৮:১) উল্লেখ নেই। [আল্লাহর ২ প্রকারের হাদিস বাদ দিয়ে মানব রচিত ২৮ প্রকারের হাদিসের অনুসরণ করলে আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা হয় কি?]১৯. কুরআনে ‘সূন্নত আল্লাহর, বুখারি-মুসলিমে ‘সূন্নত রাসূলের!কুরআনে দেখুন, ‘আমার রাসূলগণের মধ্যে তোমার পূর্বে যাদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের ক্ষেত্রেও ছিল এরূপ সূন্নত এবং তুমি আমার (আল্লাহর) সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (১৭:৭৭)। পূর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ-ই ছিল আল্লাহর সূন্নত। আল্লাহর সূন্নত সুনির্ধারিত (৩৩:৩৮)। ‘তুমি কখনও আল্লাহর সূন্নতে কোন পরিবর্তন পাবে না (৩৩:৬২; ৩৫:৪৩)। ‘তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহ্র সূন্নত পূর্ব হতেই চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয় (৪০:৮৫)। ‘এ-ই আল্লাহর সূন্নত- প্রাচীন কাল হতে চলে আসছে, তুমি আল্লাহর সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (৪৮:২৩)। [সূন্নত অর্থ আইন, বিধান, রীতি বা প্রথা ইত্যাদি। আল্লাহর কিতাবে রাসূলের সূন্নত নামে কোন সূন্নত আছে কি?]বুখারি-মুসলিমে ... দেখুন, ‘লোকেরা আমার সূন্নত পরিবর্তন করে অন্য তরীকা গ্রহণ করবে (মেশকাত-১০/৫১৪৯)। ‘যে আমার সূন্নত হতে বিমুখ হবে সে আমার তরীকার নয় (মেশকাত-১/১৩৮)। ‘আমার পর তোমরা অনেক মতভেদ দেখবে, ‘তখন তোমরা আমার সূন্নতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নতকে আঁকড়িয়ে ধরবে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনে মাযাহ ও আহমদ);-মেশকাত-১/১৫৮। ‘যে ব্যক্তি আমার সূন্নতসমূহের এমন কোন সূন্নতকে জিন্দা করেছে যা আমার পর পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল তার জন্য সে সকল লোকের সওয়াবের পরিমাণ সওয়াব রয়েছে যারা এর সাথে আমল করবে (তিরমিযি ও ইবনে মাযাহ);-মেশকাত-১/১৬১, ১৬২। ‘যে আমার সূন্নতকে ভালোবাসে সে আমাকে ভালোবাসে আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে (তিরমিযি);-মেশকাত-১/১৬৬। [আল্লাহর সূন্নতের সাথে রাসূলের সূন্নত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নত স্বীকার করলে, সূন্নতের ক্ষেত্রে আল্লাহ্, রাসূল ও খোলাফায়ে রাশেদীন সমান হয়ে যায় অর্থাৎ শিরক হয়।২০. কুরআনে ‘রাসূলের সংগীদের সমযোগ্যতা অর্জন, প্রচলিত হাদিসে‘রাসূলের সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে ধর!কুরআনে দেখুন, ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্মদেশে নহর প্রবাহিত, সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে (৯:১০০)। [জান্নাতে যেতে হলে রাসূলের সংগী মুহাজির ও আনসারদের মত গুণাবলী অর্জন প্রয়োজন নয় কি?]প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ায়ে যাওয়ার কালে আমার সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে আটকায়ে ধরবে তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব রয়েছে (তিরমিযি, বায়হাকী);-মেশকাত-১/১৬৭। [সূন্নত আল্লাহর (৩৩:৩৮, ৬২; ৩৫:৪৩; ৪০:৮৫; ৪৮:২৩)। রাসূলের সূন্নতই নাই। সুতরাং হাদিসটি মিথ্যা নয় কি?]লা'নাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন
পবিত্র কুরআন বিরোধী কিছু হাদিস
১৮. কুরআনে ‘হাদিস ২ প্রকার, মেশকাত শরীফে ‘হাদিস ২৮ প্রকার!
হাদিস শব্দের অর্থ কথা, বাণী, বৃত্তান্ত, প্রসংগ বা, উপদেশ। আল্লাহর কিতাবে দুই প্রকার হাদিসের উল্লেখ আছে। যথা- ১. আহ্সানাল হাদিস ও ২. লাহ্ওয়াল হাদিস।
কুরআনে দেখুন
১. আহ্সানাল হাদিসঃ ‘আল্লাহর অবতীর্ণ করেছেন আহ্সানাল হাদিস১ (উত্তম বাণী) সম্বলিত কিতাব যা সুসমঞ্জস এবং যা পুন: পুন: আবৃত্তি করা হয়। তাতে, যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। এ-ই (আহ্সানাল হাদিসই) আল্লাহর পথনির্দেশ (৩৯:২৩)। [কুরআনের প্রতিটি আয়াতই আল্লাহ্র হাদিস। ৬,২৩৬ টি আয়াত বা হাদিস একত্রিভাবে কুরআনকে আল্লাহ্ বলেছেন ‘আহসানাল হাদিস সম্বলিত কিতাব’।] ‘এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট তিলাওয়াত করছি যথাযথ ভাবে। সুতরাং আল্লাহ্ এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে? (৪৫:৬)। ‘সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যাবাদীদের জন্য। সুতরাং তারা এর (কুরআনের) পরিবর্তে আর কোন হাদিসে বিশ্বাস স্থাপন করবে? (৭৭:৪৯-৫০)। [দীন হিসেবে আল্লাহর হাদিসের সাথে অন্য হাদিসের অনুসরণ করা যাবে কি?]
২. লাহ্ওয়াল হাদিসঃ ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশত আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য লাহ্ওয়াল হাদিস২ (অসার বাণী) ক্রয় করে নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। তাদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি (৩১:৬)। [‘আহ্সানাল হাদিসের’ অনুসরণ না করলেই শাস্তি। তাহলে ‘লাহ্ওয়াল হাদিসের’ প্রয়োজন আছে কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘রাসূলুল্লাহ্ তাঁর নবি- জিবনে যা বলেছেন, করেছেন বা অন্যের কোন কথা বা কার্যের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন তাকে সূন্নাহ বলে। এর অপর নাম হাদিস;-মেশকাত-১/জ্ঞাতব্য বিষয় থেকে। ‘রাসূলুল্লাহ্ (স:)-এর সমস্ত বাণি ও কর্মকে বলা হয় হাদিস- শিক্ষাবর্ষ- ২০১৪, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, সপ্তম শ্রেণি থেকে।
‘হাদিস অর্থ কথা বা বাণি। ... হাদিসের মূল বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে হাদিসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ক. কাওলি, খ. ফি’লি এবং গ. তাকরিরি।
ক. কাওলিঃ মহানবি (স.)-এর মুখনিঃসৃত বাণীকে ‘কাওলি হাদিস বলে।
খ. ফি’লিঃ যে হাদিসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ স্থান পেয়েছে তাকে ফি’লি হাদিস বলে।
গ. তাকরিরিঃ মহানবি (স.)-এর সামনে কোনো কথা বলেছেন কিংবা কোন কাজ করেছেন। তিনি তা নিজে করেন নি এবং তাতে বাধাও দেন নি বরং মৌনতা অবলম্বন করে তা সম্মতি বা অনুমোদন দিয়েছেন। এরূপ অবস্থা বা বিষয়ের বর্ণনা যে হাদিসে এসেছে সে হাদিসকে তাকরিরি হাদিস বলা হয়। সনদ বা রাবির পরম্পরার দিক থেকে হাদিস আবার তিন প্রকার। যথা- ক. মারফু, খ. মাওকুফ ও গ. মাকতু।
মেশকাতে উপরোক্ত ৬ (ছয়) প্রকার হাদিস ছাড়াও আরও হাদিসের প্রকার ভেদ দেখুন-১. মোত্তাছিল, ২. মোনকাতে, ৩. মোরছাল, ৪. মোআল্লাক, ৫. মোদাল্লাছ, ৬. মোজ্তারেব, ৭. মোদ্রাজ, ৮. মোছ্নাদ, ৯. মাহ্ফুজ ও শাজ¦, ১০. মারূফ ও মোন্কার, ১১. মোআল্লাল, ১২. মোতাবে’ ও শাহেদ, ১৩. ছহীহ, ১৪. হাছান, ১৫. জঈফ, ১৬. মাওজু, ১৭. মাত্রূক, ১৮. মোব্হাম, ১৯. গরীব, ২০. আজীজ, ২১. মাশ্হূর, ২২. মোতাওয়াতের হাদিস। [সু-প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত ২৮ প্রকারের হাদিসগুলোর মধ্যে রহমানের (দয়াময়ের) হাদিস (২৬:৫), মূসার হাদিস (২০:৯; ৭৯:১৫), ইব্রাহীমের মেহমানদের হাদিস (৫১:২৪), সৈন্য বাহিনীর হাদিস (৮৫:১৭) ও কিয়ামতের হাদিসের (৮৮:১) উল্লেখ নেই। [আল্লাহর ২ প্রকারের হাদিস বাদ দিয়ে মানব রচিত ২৮ প্রকারের হাদিসের অনুসরণ করলে আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা হয় কি?]
১৯. কুরআনে ‘সূন্নত আল্লাহর, বুখারি-মুসলিমে ‘সূন্নত রাসূলের!
কুরআনে দেখুন, ‘আমার রাসূলগণের মধ্যে তোমার পূর্বে যাদেরকে পাঠিয়েছিলাম তাদের ক্ষেত্রেও ছিল এরূপ সূন্নত এবং তুমি আমার (আল্লাহর) সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (১৭:৭৭)। পূর্বে যেসব নবী অতীত হয়ে গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এ-ই ছিল আল্লাহর সূন্নত। আল্লাহর সূন্নত সুনির্ধারিত (৩৩:৩৮)। ‘তুমি কখনও আল্লাহর সূন্নতে কোন পরিবর্তন পাবে না (৩৩:৬২; ৩৫:৪৩)। ‘তারা যখন আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসল না। আল্লাহ্র সূন্নত পূর্ব হতেই চলে আসছে এবং সে ক্ষেত্রে কাফিররা ক্ষতিগ্রস্ত হয় (৪০:৮৫)। ‘এ-ই আল্লাহর সূন্নত- প্রাচীন কাল হতে চলে আসছে, তুমি আল্লাহর সূন্নতের কোন পরিবর্তন পাবে না (৪৮:২৩)। [সূন্নত অর্থ আইন, বিধান, রীতি বা প্রথা ইত্যাদি। আল্লাহর কিতাবে রাসূলের সূন্নত নামে কোন সূন্নত আছে কি?]
বুখারি-মুসলিমে ... দেখুন, ‘লোকেরা আমার সূন্নত পরিবর্তন করে অন্য তরীকা গ্রহণ করবে (মেশকাত-১০/৫১৪৯)। ‘যে আমার সূন্নত হতে বিমুখ হবে সে আমার তরীকার নয় (মেশকাত-১/১৩৮)। ‘আমার পর তোমরা অনেক মতভেদ দেখবে, ‘তখন তোমরা আমার সূন্নতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নতকে আঁকড়িয়ে ধরবে (আবূ দাঊদ, তিরমিযি, ইবনে মাযাহ ও আহমদ);-মেশকাত-১/১৫৮। ‘যে ব্যক্তি আমার সূন্নতসমূহের এমন কোন সূন্নতকে জিন্দা করেছে যা আমার পর পরিত্যাক্ত হয়ে গিয়েছিল তার জন্য সে সকল লোকের সওয়াবের পরিমাণ সওয়াব রয়েছে যারা এর সাথে আমল করবে (তিরমিযি ও ইবনে মাযাহ);-মেশকাত-১/১৬১, ১৬২। ‘যে আমার সূন্নতকে ভালোবাসে সে আমাকে ভালোবাসে আর যে আমাকে ভালোবাসে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে (তিরমিযি);-মেশকাত-১/১৬৬। [আল্লাহর সূন্নতের সাথে রাসূলের সূন্নত এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নত স্বীকার করলে, সূন্নতের ক্ষেত্রে আল্লাহ্, রাসূল ও খোলাফায়ে রাশেদীন সমান হয়ে যায় অর্থাৎ শিরক হয়।
২০. কুরআনে ‘রাসূলের সংগীদের সমযোগ্যতা অর্জন, প্রচলিত হাদিসে‘রাসূলের সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে ধর!
কুরআনে দেখুন, ‘মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারাও তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্মদেশে নহর প্রবাহিত, সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে (৯:১০০)। [জান্নাতে যেতে হলে রাসূলের সংগী মুহাজির ও আনসারদের মত গুণাবলী অর্জন প্রয়োজন নয় কি?]
প্রচলিত হাদিসে দেখুন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মত বিগড়ায়ে যাওয়ার কালে আমার সূন্নতকে দৃঢ়ভাবে আটকায়ে ধরবে তার জন্য একশত শহীদের সওয়াব রয়েছে (তিরমিযি, বায়হাকী);-মেশকাত-১/১৬৭। [সূন্নত আল্লাহর (৩৩:৩৮, ৬২; ৩৫:৪৩; ৪০:৮৫; ৪৮:২৩)। রাসূলের সূন্নতই নাই। সুতরাং হাদিসটি মিথ্যা নয় কি?]
লা'নাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন
মন্তব্যসমূহ