রাসুল(সাঃ) এবং আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলীর(আঃ) স্মরণীয় বানীমহানবী (সা.) বলেন : মুমিনকে কোন কাঠিন্য, অসুস্থতা ও দুঃখ স্পর্শ করলে তাতে যদি তার সামান্য কষ্টও হয় আল্লাহ্ সেটির বিনিময়ে তার পাপসমূহ খণ্ডন করেন।মহানবী (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছামতো খায়, ইচ্ছামতো পরিধান করে আর ইচ্ছামতো বাহনে আরোহণ করে, আল্লাহ্ তার ওপর অনুগ্রহের দৃষ্টি ফেলেন না যতক্ষণ না সে তা হারায় কিংবা বর্জন করে (এবং তওবা করে)।মহানবী (সা.) বলেন : মুমিন হলো একটি গমের শীষের মতো যা কখনো মাটিতে নুয়ে পড়ে আবার কখনো স্বীয় পায়ে দাঁড়ায়। আর কাফের হলো শক্ত গাছের মতো যা সর্বদা দণ্ডায়মান থাকে এবং কোনো সংবেদনের অধিকারী নয় (যে, ন্যায়ের কাছে মাথানত করবে)।তাঁকে (মহানবীকে) প্রশ্ন করা হলো : মানুষের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি কঠিনতর পরীক্ষার সম্মুখীন? উত্তরে তিনি বললেন : নবীগণ, অতঃপর সত্যপথে তাঁদের অনুরূপ ও সদৃশতমগণ। আর মুমিন তার ঈমানের মাত্রা অনুযায়ী এবং সৎকর্মের পরিমাণ অনুযায়ী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। যখন তার ঈমান সঠিক এবং কর্ম সৎ হবে তখন তার পরীক্ষাও কঠিনতর হবে। আর যার ঈমান নিকৃষ্ট আর কর্ম দুর্বল হবে তার পরীক্ষাও কম হবে।ইমাম আলী (আ.) বলেন : বিবেকবানের সাথে চলাফেরায় কোনো ভয় নেই। তার মর্যাদা থেকে লাভবান না হলেও তার বুদ্ধি থেকে লাভবান হবে। আর তার খারপ চরিত্র থেকে দূরে থাকবে। সম্মানীয় লোকের সাহচর্য বর্জন কর না। আর যদি তার বুদ্ধি থেকে কোনো উপকার লাভ না-ও কর তবু তোমার বুদ্ধি দ্বারা তার সম্মান থেকে লাভবান হও। আর যথাসম্ভব ধিকৃত আহম্মক থেকে পলায়ন করবে।ইমাম আলী (আ.) বলেন : হে লোকসকল! আল্লাহর থেকে ইয়াকীন কামনা কর। আর সুস্থতার প্রতি সচেতন হও। কারণ, সর্বোত্তম নেয়ামত হলো সুস্থতা। আর সুন্দরতম জিনিস যেটা অন্তরে স্থায়ী হয় তা হলো ইয়াকীন। লোকসানকারী হলো সেই ব্যক্তি যে দীনের ক্ষেত্রে লোকসান করে। আর গর্ব করতে হয় তাকে নিয়ে যার সুন্দর ইয়াকীন রয়েছে।ইমাম আলী (আ.) বলেন : জিহ্বা হলো একটি দাঁড়িপাল্লা, অজ্ঞতা একে হালকা করে আর বুদ্ধি একে ভারী করে।ইমাম আলীর নিকট আরজ করা হলো : প্রকৃত তওবা কী? তিনি উত্তর দিলেন : অন্তর দিয়ে অনুশোচনা, জিহ্বা দ্বারা ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা আর সে কাজে প্রত্যাবর্তন না করার দৃঢ় সংকল্প।মহানবী (সা.) বলেন : যদি আল্লাহর নিকট দুনিয়া (র মূল্য) একটি মশার ডানার সমানও হতো তাহলে কাফের ও মুনাফিকদেরকে (তিনি) কিছু প্রদান করতেন না।মহানবী (সা.) বলেন : দুনিয়া পরিবর্তনশীল (এক হাত থেকে আরেক হাতে আবর্তনশীল)। যা কিছু তোমার প্রাপ্য সেটা তোমার শত অক্ষমতা সত্ত্বেও অর্জিত হয়। আর (দুনিয়ার) যা কিছু তোমার জন্য অনিষ্টকর সেটা তুমি তোমার শক্তি দ্বারা প্রতিহত করতে পারবে না। যে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে তার শরীর আরামে থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকে তার চোখ উজ্জ্বল হয়।মহানবী (সা.) বলেন : আল্লাহ্ দু’টি স্বরকে ঘৃণা করেন : বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশির সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।ইমাম আলী (আ.) বলেন : তোমার ভাইয়ের জন্য তোমার সম্পদ ও জীবন দাও আর তোমার শত্রুর সাথে ন্যায্য আচরণ ও ন্যায়বিচার কর আর সকল মানুষের প্রতি তোমার সদ্ব্যবহার ও সদাচার প্রদর্শন কর। আর লোকজনকে সালাম দাও যাতে তারা তোমাকে সালাম দেয়।ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস মমতা আনে : দীন, বিনয় আর দান।ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি তিনটি থেকে বিরাগ হয় সে তিনটি জিনিসে উপনীত হয়। যে মন্দ কাজ থেকে বিরাগ হয়, সে সম্মান পায়, যে অহংকার থেকে বিরাগ হয়, সে মর্যাদা পায় আর যে কৃপণতা থেকে বিরাগ হয় সে আভিজাত্য পায়।ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস শত্রুতা আনে : কপটতা, জুলুম আর স্বার্থপরতা।অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা(তুহাফুল উকুল থেকে সংকলিত
রাসুল(সাঃ) এবং আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলীর(আঃ) স্মরণীয় বানী
মহানবী (সা.) বলেন : মুমিনকে কোন কাঠিন্য, অসুস্থতা ও দুঃখ স্পর্শ করলে তাতে যদি তার সামান্য কষ্টও হয় আল্লাহ্ সেটির বিনিময়ে তার পাপসমূহ খণ্ডন করেন।
মহানবী (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছামতো খায়, ইচ্ছামতো পরিধান করে আর ইচ্ছামতো বাহনে আরোহণ করে, আল্লাহ্ তার ওপর অনুগ্রহের দৃষ্টি ফেলেন না যতক্ষণ না সে তা হারায় কিংবা বর্জন করে (এবং তওবা করে)।
মহানবী (সা.) বলেন : মুমিন হলো একটি গমের শীষের মতো যা কখনো মাটিতে নুয়ে পড়ে আবার কখনো স্বীয় পায়ে দাঁড়ায়। আর কাফের হলো শক্ত গাছের মতো যা সর্বদা দণ্ডায়মান থাকে এবং কোনো সংবেদনের অধিকারী নয় (যে, ন্যায়ের কাছে মাথানত করবে)।
তাঁকে (মহানবীকে) প্রশ্ন করা হলো : মানুষের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি কঠিনতর পরীক্ষার সম্মুখীন? উত্তরে তিনি বললেন : নবীগণ, অতঃপর সত্যপথে তাঁদের অনুরূপ ও সদৃশতমগণ। আর মুমিন তার ঈমানের মাত্রা অনুযায়ী এবং সৎকর্মের পরিমাণ অনুযায়ী পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। যখন তার ঈমান সঠিক এবং কর্ম সৎ হবে তখন তার পরীক্ষাও কঠিনতর হবে। আর যার ঈমান নিকৃষ্ট আর কর্ম দুর্বল হবে তার পরীক্ষাও কম হবে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : বিবেকবানের সাথে চলাফেরায় কোনো ভয় নেই। তার মর্যাদা থেকে লাভবান না হলেও তার বুদ্ধি থেকে লাভবান হবে। আর তার খারপ চরিত্র থেকে দূরে থাকবে। সম্মানীয় লোকের সাহচর্য বর্জন কর না। আর যদি তার বুদ্ধি থেকে কোনো উপকার লাভ না-ও কর তবু তোমার বুদ্ধি দ্বারা তার সম্মান থেকে লাভবান হও। আর যথাসম্ভব ধিকৃত আহম্মক থেকে পলায়ন করবে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : হে লোকসকল! আল্লাহর থেকে ইয়াকীন কামনা কর। আর সুস্থতার প্রতি সচেতন হও। কারণ, সর্বোত্তম নেয়ামত হলো সুস্থতা। আর সুন্দরতম জিনিস যেটা অন্তরে স্থায়ী হয় তা হলো ইয়াকীন। লোকসানকারী হলো সেই ব্যক্তি যে দীনের ক্ষেত্রে লোকসান করে। আর গর্ব করতে হয় তাকে নিয়ে যার সুন্দর ইয়াকীন রয়েছে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : জিহ্বা হলো একটি দাঁড়িপাল্লা, অজ্ঞতা একে হালকা করে আর বুদ্ধি একে ভারী করে।
ইমাম আলীর নিকট আরজ করা হলো : প্রকৃত তওবা কী? তিনি উত্তর দিলেন : অন্তর দিয়ে অনুশোচনা, জিহ্বা দ্বারা ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা আর সে কাজে প্রত্যাবর্তন না করার দৃঢ় সংকল্প।
মহানবী (সা.) বলেন : যদি আল্লাহর নিকট দুনিয়া (র মূল্য) একটি মশার ডানার সমানও হতো তাহলে কাফের ও মুনাফিকদেরকে (তিনি) কিছু প্রদান করতেন না।
মহানবী (সা.) বলেন : দুনিয়া পরিবর্তনশীল (এক হাত থেকে আরেক হাতে আবর্তনশীল)। যা কিছু তোমার প্রাপ্য সেটা তোমার শত অক্ষমতা সত্ত্বেও অর্জিত হয়। আর (দুনিয়ার) যা কিছু তোমার জন্য অনিষ্টকর সেটা তুমি তোমার শক্তি দ্বারা প্রতিহত করতে পারবে না। যে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে তার শরীর আরামে থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থাকে তার চোখ উজ্জ্বল হয়।
মহানবী (সা.) বলেন : আল্লাহ্ দু’টি স্বরকে ঘৃণা করেন : বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশির সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : তোমার ভাইয়ের জন্য তোমার সম্পদ ও জীবন দাও আর তোমার শত্রুর সাথে ন্যায্য আচরণ ও ন্যায়বিচার কর আর সকল মানুষের প্রতি তোমার সদ্ব্যবহার ও সদাচার প্রদর্শন কর। আর লোকজনকে সালাম দাও যাতে তারা তোমাকে সালাম দেয়।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস মমতা আনে : দীন, বিনয় আর দান।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি তিনটি থেকে বিরাগ হয় সে তিনটি জিনিসে উপনীত হয়। যে মন্দ কাজ থেকে বিরাগ হয়, সে সম্মান পায়, যে অহংকার থেকে বিরাগ হয়, সে মর্যাদা পায় আর যে কৃপণতা থেকে বিরাগ হয় সে আভিজাত্য পায়।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস শত্রুতা আনে : কপটতা, জুলুম আর স্বার্থপরতা।
অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা
(তুহাফুল উকুল থেকে সংকলিত
মন্তব্যসমূহ