আল্লাহররশ্মি আহলে বাইত আঃমূলতঃ নবী করিম (সা .) এর ইন্তেকালের পর প্রায় দুই শতাব্দি কোন মাযহাবের অস্তিত্ব ছিল না । কেননা হযরত আবু হানিফার জন্ম ৮০ হিজরী সনে এবং মৃত্যু ১৫০ হিঃ তে সংঘটিত হয় । হযরত মালিক বিন আনাস (ইমাম মালিক ) ৯৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহন এবং ১৭৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন । হযরত মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শাফেয়ী ১৫০ হিজরীতে জন্ম গ্রহন করেন আর ২০৪ হিজরীতে পরলোক গমন করেন । হযরত আহমদ বিন হাম্বল হিঃ ১৬৪ সনে ভূমিষ্ট হন এবং হিঃ ২৪১ সনে ইহলোক ত্যাগ করেন । আর আবুল হাসান আশ আরী ২৭০ হিঃ সনে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং ৩৩৫ হিজরীতে পরলোক গমন করেন ।হানাফী মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে মুসলমানগন কোন মাযহাব অনুসরন করতেন ? নিশ্চয়ই চার মাযহাবের মধ্যকার কোন মাযহাবের অনুসরন করতেন না কেউ । পক্ষান্তরে আহলে বাইতরে ইমামগন রাসূলুল্লাহর অব্যবহিত পর থেকেই পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের ইমাম হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সর্বাবস্থায় । আহলে বাইতের ইমামদের এ ধারাবাহিকতার কথাই ইমাম শাফেয়ী বলেছেন সাবলীল ভাষায়ঃوَ أمسَکتُ حَبلَ اللهِ وَ هُوَ وَلاءوهُمکَما قَد أُمِرنَا بالتَمسُّکِ بالحَبلِঅর্থাৎঃ আল্লাহর রশ্মি আকড়ে ধরেছি যা হচ্ছে তাদের ভালবাসা ও অনুসরন , কেননা এ রশ্মিকে আকড়ে ধরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।আর আল কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন ,) و َاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا(অর্থাৎঃ তোমরা আল্লাহর রশ্মিকে শক্তভাবে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না ।৮০বিভিন্ন সময় , বিভিন্ন প্রকার বাক্যাবলীর মাধ্যমে আর বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে মহানবী (সা .) আহলে বাইতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং তাদের অনুসরন করার বিষয়টি পরিস্কার ভাবে উম্মতকে বুঝিয়ে দিয়েছেন । তাই আমরা আহলে বাইতের এ রশ্মি তথা আলী থেকে মাহদী পর্যন্ত বারজন ইমামের পদাংক অনুসরনের মাধ্যমে পেতে পারি সত্য ও আলোর পথের নিশানা । আর যারা আহলে বাইতকে আকড়ে ধরে থাকলো মহানবী (সা .) এর বাণী মতে তারা কখনো পথ ভ্রষ্ট হবে না । তিনি বলেন ,انی تارک فیکم الثقلین کتاب الله و عترتی اهل بیتی إن تمسکتم بها لن تضلوا ابدا...........অর্থাৎঃ আমি তোমাদের জন্য দু’ টি ভারবাহী মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি । একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি আমার পবিত্র আহলে বাইত । যারা এ দু’ টিকে শক্ত করে আকড়ে ধরে থাকবে তারা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না ।………… .৮১পরিশিষ্টএক . নবীপাক ( সা .) সকল সাহাবীদের মধ্যে হযরত আলীর মর্যাদা ও গুনাবলী সর্বাধিক বর্ণনা করেছেন ।“ আর রিয়াদ আন নাদেরা” - র লেখক বলেছেন , হযরত ওমর বিন খাত্তাব থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেছেন , রাসূল ( সা .) বলেছেনঃما اکتسب مکتسب مثل علی، یهدی صاحبه الی الهدی.অর্থাৎঃ আলীর ন্যায় কেউ এত বেশী মর্যাদা অর্জন করতে পারে নি । তার পদাংক অনুসরনকারীরা হেদায়েতের পথে পরিচালিত ।৮২এ ধরণের বর্ণনা্ বিভিন্ন গ্রন্থে সামান্য শব্দ ও বাক্যের তারতম্যসহ উল্লেখিত হয়েছে ।৮৩দুই . নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বহুল বর্ণিত যে , তিনি বলেছেন ,“ আদম সৃষ্টির পূর্বে আমি এবং আলী একত্রে আল্লাহর নিকট এক খণ্ড নূর হিসেবে অবস্থান করতাম । অতঃপর যখন আল্লাহ হযরত আদমকে সৃষ্টি করলেন , তখন তিনি সেই নূরকে দু’ খণ্ডে বিভক্ত করলেন । এক খণ্ড আমি এবং অপরটি আলী ।৮৪তিন আল্লামা সুয়ূতি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে সূরা বাকারার নিম্নোক্ত আয়াতঃ) ف َتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ.(অর্থাৎঃ অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের নিকট থেকে কতগুলো শব্দ ( কালেমাত ) শিখলেন , ফলে সেগুলোর মাধ্যমে তিনি তওবা করেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা গ্রহনকারী ও অনুগ্রাহী ।৮৫এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃو اخرج ابن النجار عن ابن عباس قال: سألت رسول الله (ص) عن الکلمات التی تلقاها آدم من ربه فتاب علیه، قال: سأل بحق محمد و علی و فاطمة و الحسن و الحسین الا تبت علی فتاب علیهঅর্থাৎঃ ইবনে নাজ্জার ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল ( সা .) কে ঐ শব্দাবলী ( কালেমাত ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম , যা হযরত আদম আল্লাহর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন যার ফলে তার তওবা কবুল হয়েছিল । নবী ( সা .) প্রতিত্তোরে বলেনঃ আদম ( আ .), মুহাম্মদ , আলী , ফাতেমা , হাসান , হুসাইনের উছিলা ধরে আল্লাহর কাছে তওবা করেন , যার ফলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেন ।৮৬চার . বিভিন্ন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে যে , তিনি বলেছেন , আমি ও আলী একই বৃক্ষের দু’ টি শাখা ।‘ মুসতাদরাক আস সহিহাইন’ গ্রন্থে নিম্নলিখিতভাবে এ ধরনেরই একটি হাদীস লিপিবদ্ধ আছেঃ জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন , হে আলী , বিশ্বের অন্যান্য মানুষ পৃথক পৃথক বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে আর আমি এবং তুমি একই বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি ।৮৭পাঁচ . সিহাহ সিত্তার হাদীস গ্রন্থ ছাড়াও অন্যান্য অনেক হাদীস গ্রন্থসমূহ নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তিনি আলীকে নিজের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন । সহি তিরমিযিতে উৎকৃষ্ট সনদসহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেনঃ একদা নবী ( সা .) সাহাবীদেরকে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন । ইত্তোবসরে আলী এসে উপস্থিত হলে নবী ( সা .) তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন , হে আলী তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে ( উভয় জগতে ) আমার ভাই ।৮৮ছয় . সহি আল বুখারীতে‘ সুলহ’ অধ্যায়ে (کیف یکتب )‘ কাইফা ইয়াকতুব’ শীর্ষক পাঠে ( বাব ) বর্ণিত আছে যে , নবী ( সা .) আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ,انت منی و انا منکঅর্থাৎঃ ( হে আলী ) তুমি আমা হতে আর আমি তোমা হতে ।৮৯তথ্যসূত্রঃ১. সূরা আল আসরা , আয়াত নং-৭১ ।২. হাদীসঃاذا کنتم ثلاثة فامروا احدکم সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড -২ পৃঃ -৩৪৩. সূরা আল বাকারা ,আয়াত নং-২০১ ।৪. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-৩৩ ।৫. সূরা আর রাদ , আয়াত নং-৭।৬. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-১০৩ ।৭. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।৮. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৯৯ , হাদীস নং-৩৮০৭ ।৯. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।১০ সূরা আশ - শূরা , আয়াত নং - ২৩ ।১১ আল কাশশাফ , খণ্ড - ৪ , পৃঃ - ২২০ , আল কাবির , খণ্ড - ২৭ , পৃঃ ১৬৬ ; তাফসীর আল জামেয়া’ লি আহকাম আল - কোরআন , কুরতুবী , খণ্ড - ১৬ , পৃঃ - ২২ ।১২ নুর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ১০৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ ১৪৬ ; শারহ আল মাওয়াকেফ লি আয - যারক্বানী , খণ্ড - ৭ , পৃঃ ৭ ।১৩ আল মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড - ৩ , পৃঃ ১৫১ ; আল আওসাত , তাবরানী , আরবাইনঃ নাবহানী , পৃঃ ২১৬ থেকে বর্ণনা করেছেন । যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ - ১৫০ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ ৩০৭ ; নূর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ ১১৪ ।১৪. আল ক্বামুস আল মুহিত্বলিল ফিরুযাবাদী , খণ্ড-৩ , ফাসল আল হামযা , বাব আল লাম , পৃঃ৩৩১ , প্রিন্টঃ কায়রো , হালাবী ফাউন্ডেশন ।১৫. সূরা আল কেসাস , আয়াত নং-২৯ ।১৬. সূরা আল আনকাবুত , আয়াত নং-৩৩ ।১৭. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৪৫-৪৬ ।১৮. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৭৩ ।১৯. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩৩ ।২০. রুহুল মায়ানি , আলুসী , খণ্ড-২৪ , পৃঃ ১৪।২১. প্রাগুক্ত২২. তাফসীর আল কাশশাফ , খণ্ড-৩ , পৃঃ ২৬ ; ফাতহ আল ক্বাদীর , শাওকানী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৮০।২৩. আকরামাহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুনঃক) আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৪১ ।খ) মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , তারজামাতে আকরামাহ ।গ) আল মা’ য়ারিফ , ইবনে কুতাইবা , পৃঃ-৪৫৫ , প্রিন্ট কোম ।২৪. মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৭৩ ,৫৬২ ; আল ফাসল লি ইবনে হাযম , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২০৫ ।২৫. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩২ ।২৬. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩০ ।২৭. সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৩৪ ।২৮. সূরা তাহরীম ,আয়াত নং-৪ ।২৯. সহি বুখারী , খণ্ড-৭ , পৃঃ ২৮-২৯ ।৩০. তাফসীর আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪ ।৩১. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১১৫ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২৮ , পৃঃ ১০১ ; আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৮ , পৃঃ ১৩৫ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ ,পৃঃ ১৩৭ ; খণ্ড-৪ , পৃঃ ২২ ; সহি মুসলিম , কিতাব আত তালাক , হাদীস নং-৩১ ,৩২ ,৩৩ ,৩৪।৩২. কামেল ফি আত তারিখ , খণ্ড-৩ পৃঃ১০৫ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুবাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৭১ ,৭২ , গবেষক আলী শিরী ; আল ফুতুহ , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৪৯ ।৩৩. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ১৯৮ ; মুশকিল আল আসার , খণ্ড-১ , পৃঃ ২৩৩ একই বিষয়ে শব্দের তারতম্য ভেদে বিভিন্ন হাদীস বিদ্যমান , দৃষ্টান্ত স্বরূপঃ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-১৩ পৃঃ ২৪৮ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৬ ; উসদুল গা’ বা , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৯ ।৩৪. মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।৩৫. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৯৯ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪৮৩ ; মুসনাদ আত তাইয়ালীসি , খণ্ড-৮ , পৃঃ ২৭৪ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।৩৬. সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-৬১ ।৩৭. সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , বাবে ফাযায়িলে আলী , পৃঃ ১২০ ,১২১ ।৩৮. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৪ ,৩১৯ ।৩৯. সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ ১২৩ ।৪০. দুরারুস সিমতাইন , পৃঃ ২৩৯ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-২ , পৃঃ ১২ , খণ্ড-৩ , পৃঃ৪১৩ , খণ্ড-৪ , পৃঃ২৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ১৮৫ , খণ্ড-৩ , পৃঃ২৫৯ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১৯৮ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৭ ।৪১. সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ২৬৮ ; বাবে ফাযায়িলে আহলে বাইত ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৫ ।৪২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৫৫ ।৪৩ তাফসীরে দুররুল মানসুর , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৩ ; তাফসীরে আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৩ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীরে বাইযাভী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীর আল কুরআনুল কারিম , শেখ মুহাম্মদ আব্দুহ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৪৪২ ; তাফসীরে আল কাশশাফ , সূরা আল মায়েদার ৫৫ নং আয়াত ।৪৪ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , আস সা’ লাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ , বাব ৩৯ , হাদীস নং - ১১৯ ,১৬২ ।৪৫ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।৪৬ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩১৯ ;খণ্ড-৭ , পৃঃ -৩০৫ ; মাজমায়ঃ হাইসামী , পৃঃ -৮৮ ,১০২ ; রিয়াদ আন নাদের , খণ্ড-২ , পৃঃ -২২৭ ।৪৭ সূরা আশ শুরা , আয়াত নং-২১৪ ।৪৮ সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩২১ ।৪৯ উক্ত ঘটনা বিভিন্ন হাদীস বেত্তা তাদের স্ব -স্ব গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন । দৃষ্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃতারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৬২ -৬৩ ; তারিখে কামেল , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪০ -৪১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড১- , পৃঃ -১১১ ; শারহে নাহজুল বালাগা লি ইবনে হাদীদ , খণ্ড-১৩ , পৃঃ -২১০ -২২১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৬ ।৫০ সহি বুখারী , খণ্ড-৫ , পৃঃ - ; বাবে ফাযায়িলে আন -নাবী , বাবে মানাকিবে আলী , পৃঃ -২৪ ; আসনা আল মাতালিব লি জায়রী , পৃঃ -৫৩ ; তারিখে দামেস্ক লি ইবনে আসাকের ,খণ্ড -১ ; শাওয়াহিদ আত তানযিল ,খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫ ।৫১ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।৫২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৬৭ ।৫৩ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৩ ।৫৪ সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩৬২ ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৯ ; তারিখে ইবনে কাসির , খণ্ড-৪ , পৃঃ -২৮১ ,৩৬৮ , ৩৭০ ; খণ্ড -৫ ,পৃঃ -২১ ,২০৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১১৮ -১১৯ ; সুনানে ইবনে মাজা , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৩ , হাদীস নং -১১৬ ; তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩ ; তাবাক্বাত আল কুবরা , খণ্ড -২ ,অংশ -২ , পৃঃ -৫৭ ; সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৯০ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪২৯ ; মাযমাউয যাওয়ায়েদ , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১৬৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -২৫ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ; উসূল আল মুহিম্মা , পৃঃ -২৪ , নাজাফ ; আনসাব আল আশরাফ , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৫ ; খাসায়েস আল আমিরুল মু’ মেনিন , নাসাঈ , পৃঃ -৩৫ -৯৩ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৪ , পৃঃ -৫৩ , হাদীস নং -১০৯২ ।৫৫ তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১২৩ -১২৬ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৯০ ; মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৭৮ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ -৪৩ ; আস -সিরাতুন নাবাবিয়্যা , ইবনে হিশাম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৩১ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৯৬ ।৫৬ আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ -২১ ।৫৭ ফাইযুল ক্বাদির শারহে আল জামেয়া আস সাগীর , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫২১ ।৫৮ সহি মুসলিম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩৯ ।৫৯. মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ পৃঃ-৭৫৭ । লিসানুল মিযান , খণ্ড-১ , পৃ-২৬৭ । আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৩০-৩৩ ।৬০. মুসনাদ তাইয়্যালিসি , পৃঃ-২৫৯ , হাদীস নং-১৯১৩ । হিলইয়াত আল আউলিয়া , খণ্ড-৩ , পৃঃ-২২৪ । সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২২ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-২১৪ ।৬১. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ-৩৬০ । উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ-৫৭৪ । সহি আল বুখারী , কিতাব বাদয়’ আল খালক । তাবাকাত আল কোবরা , খণ্ড-২ , পৃঃ-৪০ । মুসনাদ আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২৮২ ।৬২. ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ , পৃঃ-২৬০ । আল মুসান্নেফ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-১২৬ , তিনি আইনাহ থেকে ইবনে আইনাহ হযরত ওমর থেকে আবার তিনি মুহাম্মদ বিন আলী থেকৈ বর্ণনা করেছেন যে , রাসুল (সা.) বলেছেনঃانّما فاطمة بضعة منی فمن اغضبها اغضبنی৬৩. সাক্বিফা ও ফদাক , আবি বাকর আহমাদ বিন আব্দুল আযিয জাওহারী ।৬৪. আল মানাক্বিব , যামাখশারী , পৃঃ-২১৩ । দুরারু বাহরিল মানাক্বিব ,আশ শেইখ আল হানাফি আল মুসিলি পৃঃ-১১৬ । আল আরবাইন , আল হাফেজ মুহাম্মদ বিন আবি ফাওয়ারিস , পৃঃ-১৪ । ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , পৃঃ-৮২ । মাক্বতাল আল হুসাইন , আল খাওয়ারেযমী , পৃঃ-৫৯ ।৬৫ সহি বুখারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ।৬৬ সহি বুখারী , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১০১ , কিতাবুল আহকাম , বাব নং -৫১ , বাবুল ইসতিখলাফ ।৬৭ সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ও ৪ , মিসর প্রিন্ট , তিনি ৮০ টা সনদ সহ বিভিন্ন প্রকার শব্দের তারতম্যের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।৬৮ সহি আবি দাউদ , খণ্ড-২ , পৃঃ -২০৭ , কিতাব আল মাহাদী ।৬৯ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ।৭০ মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৯৮ ; খণ্ড-৫ , পৃঃ -৮৬ -১০৮ ।৭১ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৬১৭ , ৬১৮ ভারত প্রিন্ট ।৭২ তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১৪ , পৃঃ -৩৫৩ , হাদীস নং -৭৬৭৩ ; মুনতাখাব কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৩১২ ।৭৩ তারিখে খোলাফা , পৃঃ -১০ ।৭৪ আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৮৯ ।৭৫ ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,পৃঃ -৪৪১ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৩৩ , হাদীস নং -৪৩০ -৪৩১ ।৭৬ কিফয়া আল আসার , পৃঃ -৭ (পুরানো প্রিন্ট ), কায়রো আল আসার , পৃঃ -৫৩ -৬৯ , প্রিন্ট ক্বোম ১৪০১ হিঃ ।৭৭ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ , হাদীস নং -৫৬২ ।৭৮ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৬৫ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ -৪ ; ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৪৯ ;খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৬ ,খণ্ড-৩ , পৃঃ -২০৭ ,২৯১ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৪২ ; সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩০২ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১২ , পৃঃ -১৬৫ ; মাওয়াদ্দা আল কোবরা , পৃঃ -২৯ ; মাক্বতাল আল হুসাইন লি খাওয়ারেযমী , পৃঃ -১৪৬ , হাদীস নং -৩২০ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড -৭ , পৃঃ -১০৩ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫৭৪ । এ ধরণের আরো অনেক গ্রন্থে বার ইমামের নাম সহ প্রচুর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে । আশা করি সত্য গ্রহনকারীদের জন্যে উপরোক্ত কয়টি উদ্ধৃতি যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হবে ।৭৯ কারবালা একটি সামাজিক ঘূর্ণাবর্তঃ মনির উদ্দিন ইউসূফ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , প্রথমও দ্বিতীয় প্রকাশ যথাক্রমে ডিসেম্বর - ১৯৯২ , পৃঃ - ১০ - ১১ ।৮০ সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-১০৩ ।৮১ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৬৬২ , হাদীস নং -৩৭৮৫ ,৩৭৮৮ , বাবে আহলে বাইতুন নবী , বৈরুত প্রিন্ট ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ -১২২ -১২৩ , মিসর প্রিন্ট ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪৮ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৫ , পৃঃ -১৮২ -১৮৯ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৩৫ ।৮২ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -২১৪ ।৮৩ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৭ ; আল ইসতিয়াব , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৬৬ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭২ ,৭৬ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , পৃঃ -৯৩ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -২২১ ; নূর আল আবসার , পৃঃ - ৭৩ ।৮৪ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৬৪ ; মিযানুল এতেদাল , যাহাবী , খণ্ড -১ পৃঃ -২৩৫ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৮ ।৮৫ সূরা আল বাকারা , আয়াত নং -৩৭ ।৮৬ কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -২৩৪ ।৮৭ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ২৪১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৫৪ ; যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ -১৬ ।৮৮ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৯ ;এ ধরণের হাদীস নিম্ন লিখিত গ্রন্থাবলীতেও দৃষ্টি গোচর হয় ।মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪ ,১১১ ,১২৬ ; সুনানে ইবনে মাজা , পৃঃ -১২ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৫৬ ,৬৩ ;কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৪ ; আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৫৫ ,১৬৭ ,২২৬ ,৪০০ ; তাবাক্বাত আল কোবরা ,খণ্ড-৮ , পৃঃ -১৪ , ১১৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৯ ,২৩০ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩১৭ ;তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১২ , পৃঃ -২৬৮ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭৪ -৭৫ ।৮৯ এ ধরনের উক্তি আরো বহু হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে । তন্মোধ্যে কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হল ।সুনানে বায়হাক্বী , খণ্ড-৮ , পৃঃ -৫ ; খাসায়েসে নাসাঈ ,পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৯৮ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১২০ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৪০ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড- 2 পৃঃ=২৯৭==২৯৯আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম খলীফা তুল বিলা ফাসাল

আল্লাহররশ্মি আহলে বাইত আঃ
মূলতঃ নবী করিম (সা .) এর ইন্তেকালের পর প্রায় দুই শতাব্দি কোন মাযহাবের অস্তিত্ব ছিল না । কেননা হযরত আবু হানিফার জন্ম ৮০ হিজরী সনে এবং মৃত্যু ১৫০ হিঃ তে সংঘটিত হয় । হযরত মালিক বিন আনাস (ইমাম মালিক ) ৯৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহন এবং ১৭৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন । হযরত মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শাফেয়ী ১৫০ হিজরীতে জন্ম গ্রহন করেন আর ২০৪ হিজরীতে পরলোক গমন করেন । হযরত আহমদ বিন হাম্বল হিঃ ১৬৪ সনে ভূমিষ্ট হন এবং হিঃ ২৪১ সনে ইহলোক ত্যাগ করেন । আর আবুল হাসান আশ আরী ২৭০ হিঃ সনে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং ৩৩৫ হিজরীতে পরলোক গমন করেন ।

হানাফী মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে মুসলমানগন কোন মাযহাব অনুসরন করতেন ? নিশ্চয়ই চার মাযহাবের মধ্যকার কোন মাযহাবের অনুসরন করতেন না কেউ । পক্ষান্তরে আহলে বাইতরে ইমামগন রাসূলুল্লাহর অব্যবহিত পর থেকেই পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের ইমাম হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সর্বাবস্থায় । আহলে বাইতের ইমামদের এ ধারাবাহিকতার কথাই ইমাম শাফেয়ী বলেছেন সাবলীল ভাষায়ঃ

وَ أمسَکتُ حَبلَ اللهِ وَ هُوَ وَلاءوهُم
کَما قَد أُمِرنَا بالتَمسُّکِ بالحَبلِ
অর্থাৎঃ আল্লাহর রশ্মি আকড়ে ধরেছি যা হচ্ছে তাদের ভালবাসা ও অনুসরন , কেননা এ রশ্মিকে আকড়ে ধরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।

আর আল কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন ,

) و َاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا(

অর্থাৎঃ তোমরা আল্লাহর রশ্মিকে শক্তভাবে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না ।৮০

বিভিন্ন সময় , বিভিন্ন প্রকার বাক্যাবলীর মাধ্যমে আর বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে মহানবী (সা .) আহলে বাইতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং তাদের অনুসরন করার বিষয়টি পরিস্কার ভাবে উম্মতকে বুঝিয়ে দিয়েছেন । তাই আমরা আহলে বাইতের এ রশ্মি তথা আলী থেকে মাহদী পর্যন্ত বারজন ইমামের পদাংক অনুসরনের মাধ্যমে পেতে পারি সত্য ও আলোর পথের নিশানা । আর যারা আহলে বাইতকে আকড়ে ধরে থাকলো মহানবী (সা .) এর বাণী মতে তারা কখনো পথ ভ্রষ্ট হবে না । তিনি বলেন ,

انی تارک فیکم الثقلین کتاب الله و عترتی اهل بیتی إن تمسکتم بها لن تضلوا ابدا...........

অর্থাৎঃ আমি তোমাদের জন্য দু’ টি ভারবাহী মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি । একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি আমার পবিত্র আহলে বাইত । যারা এ দু’ টিকে শক্ত করে আকড়ে ধরে থাকবে তারা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না ।………… .৮১

পরিশিষ্ট

এক . নবীপাক ( সা .) সকল সাহাবীদের মধ্যে হযরত আলীর মর্যাদা ও গুনাবলী সর্বাধিক বর্ণনা করেছেন ।“ আর রিয়াদ আন নাদেরা” - র লেখক বলেছেন , হযরত ওমর বিন খাত্তাব থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেছেন , রাসূল ( সা .) বলেছেনঃ

ما اکتسب مکتسب مثل علی، یهدی صاحبه الی الهدی.

অর্থাৎঃ আলীর ন্যায় কেউ এত বেশী মর্যাদা অর্জন করতে পারে নি । তার পদাংক অনুসরনকারীরা হেদায়েতের পথে পরিচালিত ।৮২

এ ধরণের বর্ণনা্ বিভিন্ন গ্রন্থে সামান্য শব্দ ও বাক্যের তারতম্যসহ উল্লেখিত হয়েছে ।৮৩

দুই . নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বহুল বর্ণিত যে , তিনি বলেছেন ,“ আদম সৃষ্টির পূর্বে আমি এবং আলী একত্রে আল্লাহর নিকট এক খণ্ড নূর হিসেবে অবস্থান করতাম । অতঃপর যখন আল্লাহ হযরত আদমকে সৃষ্টি করলেন , তখন তিনি সেই নূরকে দু’ খণ্ডে বিভক্ত করলেন । এক খণ্ড আমি এবং অপরটি আলী ।৮৪

তিন আল্লামা সুয়ূতি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে সূরা বাকারার নিম্নোক্ত আয়াতঃ

) ف َتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ.(

অর্থাৎঃ অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের নিকট থেকে কতগুলো শব্দ ( কালেমাত ) শিখলেন , ফলে সেগুলোর মাধ্যমে তিনি তওবা করেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা গ্রহনকারী ও অনুগ্রাহী ।৮৫

এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ

و اخرج ابن النجار عن ابن عباس قال: سألت رسول الله (ص) عن الکلمات التی تلقاها آدم من ربه فتاب علیه، قال: سأل بحق محمد و علی و فاطمة و الحسن و الحسین الا تبت علی فتاب علیه

অর্থাৎঃ ইবনে নাজ্জার ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল ( সা .) কে ঐ শব্দাবলী ( কালেমাত ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম , যা হযরত আদম আল্লাহর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন যার ফলে তার তওবা কবুল হয়েছিল । নবী ( সা .) প্রতিত্তোরে বলেনঃ আদম ( আ .), মুহাম্মদ , আলী , ফাতেমা , হাসান , হুসাইনের উছিলা ধরে আল্লাহর কাছে তওবা করেন , যার ফলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেন ।৮৬

চার . বিভিন্ন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে যে , তিনি বলেছেন , আমি ও আলী একই বৃক্ষের দু’ টি শাখা ।

‘ মুসতাদরাক আস সহিহাইন’ গ্রন্থে নিম্নলিখিতভাবে এ ধরনেরই একটি হাদীস লিপিবদ্ধ আছেঃ জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন , হে আলী , বিশ্বের অন্যান্য মানুষ পৃথক পৃথক বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে আর আমি এবং তুমি একই বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি ।৮৭

পাঁচ . সিহাহ সিত্তার হাদীস গ্রন্থ ছাড়াও অন্যান্য অনেক হাদীস গ্রন্থসমূহ নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তিনি আলীকে নিজের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন । সহি তিরমিযিতে উৎকৃষ্ট সনদসহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেনঃ একদা নবী ( সা .) সাহাবীদেরকে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন । ইত্তোবসরে আলী এসে উপস্থিত হলে নবী ( সা .) তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন , হে আলী তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে ( উভয় জগতে ) আমার ভাই ।৮৮

ছয় . সহি আল বুখারীতে‘ সুলহ’ অধ্যায়ে (کیف یکتب )‘ কাইফা ইয়াকতুব’ শীর্ষক পাঠে ( বাব ) বর্ণিত আছে যে , নবী ( সা .) আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ,

انت منی و انا منک

অর্থাৎঃ ( হে আলী ) তুমি আমা হতে আর আমি তোমা হতে ।৮৯

তথ্যসূত্রঃ
১. সূরা আল আসরা , আয়াত নং-৭১ ।

২. হাদীসঃاذا کنتم ثلاثة فامروا احدکم সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড -২ পৃঃ -৩৪

৩. সূরা আল বাকারা ,আয়াত নং-২০১ ।

৪. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-৩৩ ।

৫. সূরা আর রাদ , আয়াত নং-৭।

৬. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-১০৩ ।

৭. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।

৮. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৯৯ , হাদীস নং-৩৮০৭ ।

৯. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।

১০ সূরা আশ - শূরা , আয়াত নং - ২৩ ।

১১ আল কাশশাফ , খণ্ড - ৪ , পৃঃ - ২২০ , আল কাবির , খণ্ড - ২৭ , পৃঃ ১৬৬ ; তাফসীর আল জামেয়া’ লি আহকাম আল - কোরআন , কুরতুবী , খণ্ড - ১৬ , পৃঃ - ২২ ।

১২ নুর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ১০৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ ১৪৬ ; শারহ আল মাওয়াকেফ লি আয - যারক্বানী , খণ্ড - ৭ , পৃঃ ৭ ।

১৩ আল মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড - ৩ , পৃঃ ১৫১ ; আল আওসাত , তাবরানী , আরবাইনঃ নাবহানী , পৃঃ ২১৬ থেকে বর্ণনা করেছেন । যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ - ১৫০ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ ৩০৭ ; নূর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ ১১৪ ।

১৪. আল ক্বামুস আল মুহিত্বলিল ফিরুযাবাদী , খণ্ড-৩ , ফাসল আল হামযা , বাব আল লাম , পৃঃ৩৩১ , প্রিন্টঃ কায়রো , হালাবী ফাউন্ডেশন ।

১৫. সূরা আল কেসাস , আয়াত নং-২৯ ।

১৬. সূরা আল আনকাবুত , আয়াত নং-৩৩ ।

১৭. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৪৫-৪৬ ।

১৮. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৭৩ ।

১৯. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩৩ ।

২০. রুহুল মায়ানি , আলুসী , খণ্ড-২৪ , পৃঃ ১৪।

২১. প্রাগুক্ত

২২. তাফসীর আল কাশশাফ , খণ্ড-৩ , পৃঃ ২৬ ; ফাতহ আল ক্বাদীর , শাওকানী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৮০।

২৩. আকরামাহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুনঃ

ক) আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৪১ ।

খ) মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , তারজামাতে আকরামাহ ।

গ) আল মা’ য়ারিফ , ইবনে কুতাইবা , পৃঃ-৪৫৫ , প্রিন্ট কোম ।

২৪. মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৭৩ ,৫৬২ ; আল ফাসল লি ইবনে হাযম , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২০৫ ।

২৫. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩২ ।

২৬. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩০ ।

২৭. সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৩৪ ।

২৮. সূরা তাহরীম ,আয়াত নং-৪ ।

২৯. সহি বুখারী , খণ্ড-৭ , পৃঃ ২৮-২৯ ।

৩০. তাফসীর আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪ ।

৩১. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১১৫ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২৮ , পৃঃ ১০১ ; আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৮ , পৃঃ ১৩৫ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ ,পৃঃ ১৩৭ ; খণ্ড-৪ , পৃঃ ২২ ; সহি মুসলিম , কিতাব আত তালাক , হাদীস নং-৩১ ,৩২ ,৩৩ ,৩৪।

৩২. কামেল ফি আত তারিখ , খণ্ড-৩ পৃঃ১০৫ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুবাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৭১ ,৭২ , গবেষক আলী শিরী ; আল ফুতুহ , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৪৯ ।

৩৩. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ১৯৮ ; মুশকিল আল আসার , খণ্ড-১ , পৃঃ ২৩৩ একই বিষয়ে শব্দের তারতম্য ভেদে বিভিন্ন হাদীস বিদ্যমান , দৃষ্টান্ত স্বরূপঃ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-১৩ পৃঃ ২৪৮ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৬ ; উসদুল গা’ বা , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৯ ।

৩৪. মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।

৩৫. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৯৯ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪৮৩ ; মুসনাদ আত তাইয়ালীসি , খণ্ড-৮ , পৃঃ ২৭৪ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।

৩৬. সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-৬১ ।

৩৭. সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , বাবে ফাযায়িলে আলী , পৃঃ ১২০ ,১২১ ।

৩৮. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৪ ,৩১৯ ।

৩৯. সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ ১২৩ ।

৪০. দুরারুস সিমতাইন , পৃঃ ২৩৯ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-২ , পৃঃ ১২ , খণ্ড-৩ , পৃঃ৪১৩ , খণ্ড-৪ , পৃঃ২৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ১৮৫ , খণ্ড-৩ , পৃঃ২৫৯ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১৯৮ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৭ ।

৪১. সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ২৬৮ ; বাবে ফাযায়িলে আহলে বাইত ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৫ ।

৪২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৫৫ ।

৪৩ তাফসীরে দুররুল মানসুর , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৩ ; তাফসীরে আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৩ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীরে বাইযাভী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীর আল কুরআনুল কারিম , শেখ মুহাম্মদ আব্দুহ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৪৪২ ; তাফসীরে আল কাশশাফ , সূরা আল মায়েদার ৫৫ নং আয়াত ।

৪৪ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , আস সা’ লাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ , বাব ৩৯ , হাদীস নং - ১১৯ ,১৬২ ।

৪৫ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।

৪৬ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩১৯ ;খণ্ড-৭ , পৃঃ -৩০৫ ; মাজমায়ঃ হাইসামী , পৃঃ -৮৮ ,১০২ ; রিয়াদ আন নাদের , খণ্ড-২ , পৃঃ -২২৭ ।

৪৭ সূরা আশ শুরা , আয়াত নং-২১৪ ।

৪৮ সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩২১ ।

৪৯ উক্ত ঘটনা বিভিন্ন হাদীস বেত্তা তাদের স্ব -স্ব গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন । দৃষ্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৬২ -৬৩ ; তারিখে কামেল , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪০ -৪১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড১- , পৃঃ -১১১ ; শারহে নাহজুল বালাগা লি ইবনে হাদীদ , খণ্ড-১৩ , পৃঃ -২১০ -২২১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৬ ।

৫০ সহি বুখারী , খণ্ড-৫ , পৃঃ - ; বাবে ফাযায়িলে আন -নাবী , বাবে মানাকিবে আলী , পৃঃ -২৪ ; আসনা আল মাতালিব লি জায়রী , পৃঃ -৫৩ ; তারিখে দামেস্ক লি ইবনে আসাকের ,খণ্ড -১ ; শাওয়াহিদ আত তানযিল ,খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫ ।

৫১ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।

৫২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৬৭ ।

৫৩ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৩ ।

৫৪ সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩৬২ ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৯ ; তারিখে ইবনে কাসির , খণ্ড-৪ , পৃঃ -২৮১ ,৩৬৮ , ৩৭০ ; খণ্ড -৫ ,পৃঃ -২১ ,২০৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১১৮ -১১৯ ; সুনানে ইবনে মাজা , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৩ , হাদীস নং -১১৬ ; তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩ ; তাবাক্বাত আল কুবরা , খণ্ড -২ ,অংশ -২ , পৃঃ -৫৭ ; সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৯০ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪২৯ ; মাযমাউয যাওয়ায়েদ , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১৬৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -২৫ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ; উসূল আল মুহিম্মা , পৃঃ -২৪ , নাজাফ ; আনসাব আল আশরাফ , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৫ ; খাসায়েস আল আমিরুল মু’ মেনিন , নাসাঈ , পৃঃ -৩৫ -৯৩ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৪ , পৃঃ -৫৩ , হাদীস নং -১০৯২ ।

৫৫ তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১২৩ -১২৬ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৯০ ; মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৭৮ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ -৪৩ ; আস -সিরাতুন নাবাবিয়্যা , ইবনে হিশাম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৩১ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৯৬ ।

৫৬ আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ -২১ ।

৫৭ ফাইযুল ক্বাদির শারহে আল জামেয়া আস সাগীর , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫২১ ।

৫৮ সহি মুসলিম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩৯ ।

৫৯. মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ পৃঃ-৭৫৭ । লিসানুল মিযান , খণ্ড-১ , পৃ-২৬৭ । আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৩০-৩৩ ।

৬০. মুসনাদ তাইয়্যালিসি , পৃঃ-২৫৯ , হাদীস নং-১৯১৩ । হিলইয়াত আল আউলিয়া , খণ্ড-৩ , পৃঃ-২২৪ । সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২২ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-২১৪ ।

৬১. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ-৩৬০ । উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ-৫৭৪ । সহি আল বুখারী , কিতাব বাদয়’ আল খালক । তাবাকাত আল কোবরা , খণ্ড-২ , পৃঃ-৪০ । মুসনাদ আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২৮২ ।

৬২. ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ , পৃঃ-২৬০ । আল মুসান্নেফ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-১২৬ , তিনি আইনাহ থেকে ইবনে আইনাহ হযরত ওমর থেকে আবার তিনি মুহাম্মদ বিন আলী থেকৈ বর্ণনা করেছেন যে , রাসুল (সা.) বলেছেনঃ

انّما فاطمة بضعة منی فمن اغضبها اغضبنی

৬৩. সাক্বিফা ও ফদাক , আবি বাকর আহমাদ বিন আব্দুল আযিয জাওহারী ।

৬৪. আল মানাক্বিব , যামাখশারী , পৃঃ-২১৩ । দুরারু বাহরিল মানাক্বিব ,আশ শেইখ আল হানাফি আল মুসিলি পৃঃ-১১৬ । আল আরবাইন , আল হাফেজ মুহাম্মদ বিন আবি ফাওয়ারিস , পৃঃ-১৪ । ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , পৃঃ-৮২ । মাক্বতাল আল হুসাইন , আল খাওয়ারেযমী , পৃঃ-৫৯ ।

৬৫ সহি বুখারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ।

৬৬ সহি বুখারী , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১০১ , কিতাবুল আহকাম , বাব নং -৫১ , বাবুল ইসতিখলাফ ।

৬৭ সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ও ৪ , মিসর প্রিন্ট , তিনি ৮০ টা সনদ সহ বিভিন্ন প্রকার শব্দের তারতম্যের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।

৬৮ সহি আবি দাউদ , খণ্ড-২ , পৃঃ -২০৭ , কিতাব আল মাহাদী ।

৬৯ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ।

৭০ মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৯৮ ; খণ্ড-৫ , পৃঃ -৮৬ -১০৮ ।

৭১ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৬১৭ , ৬১৮ ভারত প্রিন্ট ।

৭২ তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১৪ , পৃঃ -৩৫৩ , হাদীস নং -৭৬৭৩ ; মুনতাখাব কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৩১২ ।

৭৩ তারিখে খোলাফা , পৃঃ -১০ ।

৭৪ আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৮৯ ।

৭৫ ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,পৃঃ -৪৪১ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৩৩ , হাদীস নং -৪৩০ -৪৩১ ।

৭৬ কিফয়া আল আসার , পৃঃ -৭ (পুরানো প্রিন্ট ), কায়রো আল আসার , পৃঃ -৫৩ -৬৯ , প্রিন্ট ক্বোম ১৪০১ হিঃ ।

৭৭ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ , হাদীস নং -৫৬২ ।

৭৮ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৬৫ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ -৪ ; ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৪৯ ;খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৬ ,খণ্ড-৩ , পৃঃ -২০৭ ,২৯১ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৪২ ; সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩০২ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১২ , পৃঃ -১৬৫ ; মাওয়াদ্দা আল কোবরা , পৃঃ -২৯ ; মাক্বতাল আল হুসাইন লি খাওয়ারেযমী , পৃঃ -১৪৬ , হাদীস নং -৩২০ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড -৭ , পৃঃ -১০৩ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫৭৪ । এ ধরণের আরো অনেক গ্রন্থে বার ইমামের নাম সহ প্রচুর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে । আশা করি সত্য গ্রহনকারীদের জন্যে উপরোক্ত কয়টি উদ্ধৃতি যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হবে ।

৭৯ কারবালা একটি সামাজিক ঘূর্ণাবর্তঃ মনির উদ্দিন ইউসূফ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , প্রথমও দ্বিতীয় প্রকাশ যথাক্রমে ডিসেম্বর - ১৯৯২ , পৃঃ - ১০ - ১১ ।

৮০ সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-১০৩ ।

৮১ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৬৬২ , হাদীস নং -৩৭৮৫ ,৩৭৮৮ , বাবে আহলে বাইতুন নবী , বৈরুত প্রিন্ট ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ -১২২ -১২৩ , মিসর প্রিন্ট ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪৮ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৫ , পৃঃ -১৮২ -১৮৯ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৩৫ ।

৮২ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -২১৪ ।

৮৩ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৭ ; আল ইসতিয়াব , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৬৬ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭২ ,৭৬ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , পৃঃ -৯৩ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -২২১ ; নূর আল আবসার , পৃঃ - ৭৩ ।

৮৪ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৬৪ ; মিযানুল এতেদাল , যাহাবী , খণ্ড -১ পৃঃ -২৩৫ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৮ ।

৮৫ সূরা আল বাকারা , আয়াত নং -৩৭ ।

৮৬ কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -২৩৪ ।

৮৭ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ২৪১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৫৪ ; যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ -১৬ ।

৮৮ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৯ ;

এ ধরণের হাদীস নিম্ন লিখিত গ্রন্থাবলীতেও দৃষ্টি গোচর হয় ।

মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪ ,১১১ ,১২৬ ; সুনানে ইবনে মাজা , পৃঃ -১২ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৫৬ ,৬৩ ;কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৪ ; আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৫৫ ,১৬৭ ,২২৬ ,৪০০ ; তাবাক্বাত আল কোবরা ,খণ্ড-৮ , পৃঃ -১৪ , ১১৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৯ ,২৩০ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩১৭ ;তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১২ , পৃঃ -২৬৮ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭৪ -৭৫ ।

৮৯ এ ধরনের উক্তি আরো বহু হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে । তন্মোধ্যে কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হল ।

সুনানে বায়হাক্বী , খণ্ড-৮ , পৃঃ -৫ ; খাসায়েসে নাসাঈ ,পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৯৮ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১২০ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৪০ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড- 2 পৃঃ=২৯৭==২৯৯

আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম খলীফা তুল বিলা ফাসাল

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিমআল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদপবিত্র কুরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর হাদিস থেকে আমিরুল মোমেনীন আলী ইবনে আবি তালিব আঃ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিসমহানবী হযরত মুহাম্মদ ‎(সা.)-এর উত্তরাধিকারী,তাঁর নবুওয়াতের মিশনের প্রধান সাহায্যকারী এবং দুনিয়া ও আখেরাতে রাসূলের ভ্রাতা আলী ‎(আ.) ‏আবরাহার পবিত্র মক্কা আক্রমণের ৩৩ বছর পর ১৩ রজব পবিত্র কা’বা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। মহান আল্লাহর আদেশে তাঁর নাম রাখা হয় আলী।শিশুকাল থেকেই মহানবী ‎(সা.)-এর সাথে হযরত আলীর বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে আলী ‎(আ.) ‏নিজেই বলেছেন ‎: ‘...তিনি আমাকে তাঁর কোলে রাখতেন যখন আমি শিশু ছিলাম। তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরতেন এবং তাঁর বিছানায় শুইয়ে রাখতেন। তাঁর পবিত্র দেহ আমার দেহকে স্পর্শ করত এবং তিনি আমাকে তাঁর শরীরের সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়াতেন। তিনি খাদ্য-দ্রব্য চিবিয়ে আমার মুখে পুরে দিতেন।...’১হযরত আবু তালিবের সংসারের ব্যয়ভার কমানোর জন্য হযরত আলীর বালক বয়সেই মহানবী ‎(সা.) ‏তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। তখন থেকে তিনি রাসূলের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে যান। রাসূল হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ইবাদাত করতে গেলেও তাঁকে সাথে নিয়ে যেতেন। হযরত আলী বলেন ‎: ‘তিনি ‎(মহানবী) ‏প্রতি বছর হেরাগুহায় একান্ত নির্জনে বাস করতেন। আমি তাঁকে দেখতাম। আমি ব্যতীত আর কোন লোকই তাঁকে দেখতে পেত না। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ্ ও খাদীজাহ্ ব্যতীত কোন মুসলিম পরিবারই পৃথিবীর বুকে ছিল না। আমি ছিলাম তাঁদের পরিবারের তৃতীয় সদস্য। আমি ওহী ও রেসালতের আলো প্রত্যক্ষ করেছি এবং নবুওয়াতের সুবাস ও সুঘ্রাণ অনুভব করেছি।’২তিনি মহানবীর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরণ করতেন। তিনি বলেন ‎: ‘উষ্ট্র শাবক যেমনভাবে উষ্ট্রীকে অনুসরণ করে ঠিক সেভাবে আমি তাঁকে অনুসরণ করতাম। তিনি প্রতিদিন তাঁর উন্নত চরিত্র থেকে একটি নিদর্শন আমাকে শিক্ষা দিতেন এবং আমাকে তা পালন করার নির্দেশ দিতেন।... ‏তাঁর ওপর যখন ওহী অবতীর্ণ হয়েছিল তখন আমি শয়তানের ক্রন্দন ধ্বনি শুনেছিলাম। তাই আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ‎: ‏হে রাসূলুল্লাহ্! ‏এ ক্রন্দন ধ্বনি কার? ‏তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন ‎: ‏এই শয়তান এখন থেকে তার পূজা ‎(ইবাদাত) ‏করা হবে না বলে হতাশ হয়ে গেছে। নিশ্চয় আমি যা শুনি তুমি তা শোন এবং আমি যা দেখি তা দেখ। তবে তুমি নবী নও,কিন্তু ‎[নবীর] ‏সহকারী এবং নিঃসন্দেহে তুমি মঙ্গল ও কল্যাণের ওপরই আছ।’৩আর তাই মহানবী ‎(সা.)-এর নবুওয়াতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর তিনিই সর্বপ্রথম তাঁর ওপর ঈমান আনেন এবং তিনিই তাঁর সাথে নামায আদায় করা প্রথম ব্যক্তি। ইমাম মালেক বর্ণনা করেছেন ‎: ‘মহানবী ‎(সা.) ‏সোমবারে নবুওয়াত প্রাপ্ত হন এবং আলী মঙ্গলবারে তাঁর ওপর ঈমান আনেন।’৪হযরত আলী নিজেই বলেন ‎: ‘আমি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূলের ভ্রাতা এবং তাঁর নবুওয়াতের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসস্থাপনকারী। একমাত্র মিথ্যাবাদী ছাড়া আমার পর কেউ এ দাবি করবে না। অন্য লোকদের নামায পড়ারও ৭ বছর আগে থেকে আমি নামায পড়েছি।’৫হযরত আলী ‎(আ.)-এর প্রসিদ্ধ উপাধিরাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏হযরত আলীকে বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ হচ্ছে সিদ্দিকে আকবার,ফারুকে আযম,আসাদুল্লাহ ও মুরতাজা।পবিত্র কুরআনে হযরত আলী ‎(আ.)-এর মর্যাদাহযরত আলীর শানে পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে। ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে,কোন ব্যক্তির গুণ বর্ণনায় এত অধিক কুরআনের বাণী অবতীর্ণ হয়নি যা হযরত আলী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস আরও বলেছেন যে,হযরত আলীর শানে তিনশ’ ‏আয়াত নাযিল হয়েছে এবং তাঁর গুণাবলি অত্যধিক ও প্রসিদ্ধ।৬ পবিত্র কুরআনের নাযিলকৃত আয়াতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হল ‎:১. ‏সূরা বাকারার ২০৭ নং আয়াতوَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ‘এবং মানুষের মধ্যে এমনও আছে,যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিক্রয় করে দেয় এবং আল্লাহ ‎(এরূপ) ‏বান্দাদের প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল।’সালাবী তাঁর তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে,রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন সেই সময় হযরত আলীকে তাঁর বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ দেন যাতে কাফির-মুশরিকরা মনে করে যে,রাসূল তাঁর নিজ ঘরেই রয়েছেন। আলী ‎(আ.) ‏নির্দ্বিধায় এ নির্দেশ পালন করলে মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন।৭ ২. ‏সূরা আলে ইমরানের ৬১ নং আয়াতفَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ‘অতঃপর তোমার নিকট যখন জ্ঞান ‎(কুরআন) ‏এসে গেছে,এরপরও যদি কেউ ‎(খ্রিস্টান) ‏তোমার সাথে তার ‎(ঈসার) ‏সম্বন্ধে তর্ক-বিতর্ক করে,তবে বল,‘(ময়দানে) ‏এস,আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের ও তোমাদের পুত্রদের,আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের এবং আমাদের সত্তাদের ও তোমাদের সত্তাদের;’ ‏অতঃপর সকলে মিলে ‎(আল্লাহর দরবারে) ‏নিবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষণ করি।’ঘটনাটি এরূপ ‎: ‏রাসূলুল্লাহ্ ‎(সা.)-এর নবুওয়াতের সত্যতা যাচাই করার জন্য নাজরানের একটি খ্রিস্টান প্রতিনিধিদল মদীনায় আসল। তাদের সাথে আলোচনা ফলপ্রসূ হলো না। রাসূল ‎(সা.) ‏হযরত ঈসা ‎(আ.) ‏সম্বন্ধে প্রতিনিধিদের বললেন যে,তিনি আল্লাহর পুত্র নন,বরং আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। রাসূলুল্লাহ্ হযরত ঈসার জন্মের ব্যাপারে হযরত আদমের উদাহরণও দিলেন। কিন্তু তারা কোন কথাই শুনল না। অবশেষে তিনি আল্লাহর আদেশে পরস্পরের বিরুদ্ধে দোয়া ও মিথ্যাবাদীদের ওপর অভিশাপ বর্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন,যাকে ‎‘মুবাহিলা’ ‏বলে। স্থির করা হল যে,নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট সময়ে উভয়ে নিজ নিজ পুত্রদের,নারীদের ‎(কন্যা সন্তানদের) ‏এবং তাদের নিজেদের ‎‘সত্তা’ ‏বলে গণ্য হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একত্র হবে এবং প্রত্যেকে অপরের প্রতি অভিসম্পাত ও আল্লাহর শাস্তি কামনা করবে। রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏ইমাম হুসাইনকে কোলে নিয়ে ইমাম হাসানের হাত ধরলেন এবং হযরত ফাতিমাকে নিজের পেছনে,আর হযরত আলীকে তাঁর পেছনে রাখলেন। অর্থাৎ ছেলেদের স্থানে তিনি নাতিদের,নারীদের স্থানে নিজ কন্যাকে এবং ‎‘সত্তা’ ‏বলে গণ্যদের স্থানে আলীকে নিলেন এবং দোয়া করলেন,‘হে আল্লাহ! ‏প্রত্যেক নবীর আহলে বাইত থাকে,এরা আমার আহলে বাইত। এদের সকল দোষ-ত্রুটি হতে মুক্ত ও পাক-পবিত্র রেখ।’ ‏তিনি এভাবে ময়দানে পৌঁছলে খ্রিস্টানদের নেতা আকব তা দেখে বলল,‘আল্লাহর কসম,আমি এমন নূরানী চেহারা দেখছি যে,যদি এ পাহাড়কে নিজ স্থান হতে সরে যেতে বলেন,তবে অবশ্যই সরে যাবে। সুতরাং মুবাহিলা হতে হাত গুটিয়ে নেওয়াই কল্যাণকর,অন্যথায় কিয়ামত অবধি খ্রিস্টানদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।’ ‏পরিশেষে তারা জিযিরা কর দিতে সম্মত হল। এটা হযরত আলীর একটি উঁচু স্তরের ফযিলত যে,তিনি আল্লাহর আদেশে রাসূলের ‎‘নাফ্স’ (অনুরূপ সত্তা) ‏সাব্যস্ত হলেন এবং সমুদয় নবীর থেকে শ্রেষ্ঠ হলেন।৮৩. ‏সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াত ‎يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ‘হে বিশ্বাসিগণ! ‏তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূল ও তোমাদের মধ্যে যারা নির্দেশের অধিকর্তা,তাদের আনুগত্য কর...।’ইমাম জাফর সাদিক ‎(আ.)- ‏কে জিজ্ঞেস করা হলো যে,উত্তরাধিকারীর আদেশ মান্য করা কি অবশ্যই কর্তব্য? ‏তিনি বললেন ‎: ‏হ্যাঁ,তাঁরা ঐসব ব্যক্তি যাঁদের আদেশ পালন করা এ আয়াতে ওয়াজিব করা হয়েছে...। এ আয়াত হযরত আলী বিন আবি তালিব,হযরত হাসান ও হযরত হুসাইন ‎(আ.)-এর শানে অবতীর্ণ হয়েছে।৯ ৪. ‏সূরা মায়েদার ৫৫ নং আয়াতإِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ‘(হে বিশ্বাসিগণ!) ‏তোমাদের অভিভাবক তো কেবল আল্লাহ,তাঁর রাসূল এবং সেই বিশ্বাসীরা যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং রুকু অবস্থায় যাকাত প্রদান করে।’শীয়া-সুন্নি উভয় মাযহাবের তফসীরকাররা একমত যে,আয়াতটি হযরত আলী ‎(আ.)-এর শানে নাযিল হয়েছে। যেমন ইবনে মারদুইয়া এবং খাতীব বাগদাদী ইবনে আব্বাস সূত্রে এবং তাবরানী ও ইবনে মারদুইয়া আম্মার ইবনে ইয়াসির ও আলী ইবনে আবি তালিব সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে,আয়াতটি আলী ইবনে আবি তালিব ‎(আ.) ‏সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে যখন তিনি রুকু অবস্থায় যাকাত দেন।ঘটনাটি এরূপ ‎: ‏একদিন হযরত আলী ‎(আ.) ‏মদীনার মসজিদে নামায পড়ছিলেন। এমন সময় একজন ভিক্ষুক এসে ভিক্ষা চাইল। কিন্তু কোন ভিক্ষা না পাওয়ায় সে ফরিয়াদ করল যে,রাসূলের মসজিদ থেকে সে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। এ সময় হযরত আলী রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি সেই অবস্থায় তাঁর ডান হাতের আঙ্গুল থেকে আংটি খুলে নেওয়ার জন্য ভিক্ষুকের প্রতি ইশারা করেন। ভিক্ষুক তাঁর হাত থেকে আংটি খুলে নেয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উপরিউক্ত আয়াত নাযিল হয়।১০৫. ‏সূরা মায়েদার ৬৭ নং আয়াতيَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ‘হে রাসূল! ‏যা ‎(যে আদেশ) ‏তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা পৌঁছে দাও,আর যদি তুমি তা না কর,তবে তুমি ‎(যেন) ‏তার কোন বার্তাই পৌঁছাওনি,এবং ‎(তুমি ভয় কর না) ‏আল্লাহ তোমাকে মানুষের অনিষ্ট হতে রক্ষা করবেন;এবং নিশ্চয় আল্লাহ অবিশ্বাসী সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।’যখন রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏দশম হিজরিতে বিদায় হজ্ব থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন সে সময় আল্লাহ্ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেন। ইবনে আবী হাতিম ও ইবনে আসাকির আবু সাঈদ খুদরী হতে বর্ণনা করেছেন যে,এ আয়াত গাদীরে খুম প্রান্তরে হযরত আলী ‎(আ.)-এর শানে নাযিল হয়েছে।বিদায় হজ্ব থেকে প্রত্যাবর্তন করার সময় গাদীরে খুম নামক স্থানে মহানবী ‎(সা.) ‏হযরত আলীকে তাঁর পরে সকল মুমিনের অভিভাবক বলে ঘোষণা দেন।১১এ ঘোষণা দেয়ার পর হযরত ওমর হযরত আলীর সাথে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান এবং বলেন ‎: ‘হে আলী ইবনে আবি তালিব! ‏আপনি আজ হতে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর মাওলা হয়ে গেলেন।’১২৬. ‏সূরা রাদের ৭ নং আয়াতإِنَّمَا أَنْتَ مُنْذِرٌ وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ‘(হে রাসূল!) ‏তুমি তো কেবল সতর্ককারী এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে এক পথ প্রদর্শক।’ইবনে মারদুইয়্যা,ইবনে জারীর,আবু নাঈম তাঁর ‎‘মারেফাত’ ‏গ্রন্থে,ইবনে আসাকির,দাইলামী ও ইবনে নাজ্জার তাঁদের স্ব স্ব গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে,আয়াতটি নাযিল হলে মহানবী ‎(সা.) ‏তাঁর হাত নিজের বুকে রেখে বললেন,‘আমিই সতর্ককারী।’ ‏অতঃপর আলীর কাঁধের প্রতি তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বললেন,‘হে আলী! ‏তুমিই পথপ্রদর্শক এবং মানুষ আমার পর তোমার মাধ্যমে হেদায়াতপ্রাপ্ত হবে।’ ‏উক্ত রেওয়ায়েতটি শব্দের তারতম্যে ইবনে মারদুইয়্যা সাহাবী আবু বারযাহ আসলামী হতে,জীয়াফীল হযরত ইবনে আব্বাস হতে,ইবনে আহমাদ তাঁর মুসনাদে এবং ইবনে মারদুইয়্যা ও ইবনে আসাকির স্বয়ং হযরত আলী ‎(আ.) ‏হতে বর্ণনা করেছেন।১৩৭. ‏সূরা রাদের ৪৩ নং আয়াতوَيَقُولُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَسْتَ مُرْسَلًا قُلْ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ وَمَنْ عِنْدَهُ عِلْمُ الْكِتَابِযারা অবিশ্বাস করেছে তারা বলে,‘তুমি আল্লাহর রাসূল নও।’ ‏তুমি বল,‘আমার ও তোমাদের মধ্যে ‎(রেসালাতের) ‏সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সেই ব্যক্তি যার কাছে গ্রন্থের পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে।’অধিকাংশ তাফসীরকার স্বীকার করেছেন যে,আয়াতে বর্ণিত সেই ব্যক্তি হলেন হযরত আলী ‎(আ.)। যেমন আসমী ‎‘যায়নুল ফাতা’ ‏নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং সা’লাবী আবদুল্লাহ ইবনে আতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে,আবদুল্লাহ বিন সালাম বলতেন,‘যার কাছে গ্রন্থের পূর্ণ জ্ঞান আছে’-এর উদ্দিষ্ট হযরত আলী ‎(আ.)। এজন্যই হযরত আলী ‎(আ.) ‏বারবার বলতেন,‘আমার কাছে আমার মৃত্যুর পূর্বে যা চাও জিজ্ঞেস কর।’১৪৮. ‏সূরা নাহলের ৪৩ নং আয়াতوَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ إِلَّا رِجَالًا نُوحِي إِلَيْهِمْ فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَতোমার পূর্বেও আমরা কেবল পুরুষদেরই ‎(রাসূল করে) ‏প্রেরণ করেছি যাদের প্রতি আমরা প্রত্যাদেশ প্রেরণ করতাম;যদি তোমরা না জেনে থাক তবে যারা জানে তাদের জিজ্ঞেস কর।আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন ‎: ‏জ্ঞানী ব্যক্তিরা অর্থাৎ আহলুয যিকর হলেন হযরত মুহাম্মাদ ‎(সা.),হযরত আলী ‎(আ.),হযরত ফাতেমা ‎(আ.),হযরত হাসান ও হুসাইন ‎(আ.)। যাবের ইবনে আবদুল্লাহ বলেছেন ‎: ‏যখন এই আয়াত নাযিল হল তখন হযরত আলী বললেন ‎: ‏আমরাই হলাম জ্ঞানের ভাণ্ডার।১৫৯. ‏সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতوَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا‘হে নবী পরিবার! ‏আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামার ঘরে এ আয়াত নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏হযরত ফাতিমা,ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন ‎(আ.)-কে ডাকেন এবং তাঁদেরকে একটি চাদরে ঢেকে নেন। হযরত আলী তাঁর পেছনে ছিলেন। তিনি তাঁকেও চাদরে ঢেকে নেন। অতঃপর বলেন ‎: ‘হে আল্লাহ্! ‏এরা আমার আহলে বাইত। অতএব,তুমি তাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করে দাও এবং তাদেরকে উত্তমরূপে পবিত্র কর।’ ‏তখন উম্মে সালামা বলেন ‎: ‘হে আল্লাহর রাসূল! ‏আমিও কি তাদের অন্তর্ভুক্ত?’ ‏তিনি বলেন ‎: ‘তুমি স্ব স্থানে আছ এবং তুমি কল্যাণের মধ্যেই আছ।’১৬হযরত উম্মে সালামা ছাড়াও হযরত আবু সাঈদ খুদরী ও আনাস ইবনে মালিক কর্তৃক এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।১৭১০. ‏সূরা শূরার ২৩ নং আয়াতقُلْ لَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى‘বল,আমি এর বিনিময়ে তোমাদের নিকট থেকে আমার নিকটাত্মীয়দের প্রতি ভালবাসা ছাড়া আর কোন প্রতিদান চাই না।’রাসূলুল্লাহ ‎(সা.)-এর নিকটাত্মীয় আহলে বাইতের সদস্যদের প্রতি ভালবাসা পোষণকে এ আয়াত দ্বারা মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য ফরয বলে ঘোষণা করেন।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন ‎: ‏যখন এ আয়াত নাযিল হল তখন সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন,হে রাসূলুল্লাহ! ‏আপনার নিকটাত্মীয়,যাদেরকে ভালবাসা আমাদের ওপর ওয়াজিব করা হয়েছে তারা কারা? ‏রাসূল ‎(সা.) ‏বললেন ‎: ‏আলী,ফাতেমা,হাসান ও হুসাইন।১৮রাসূলুল্লাহ ‎(সা.)-এর হাদীসে আলী ‎(আ.)হযরত আলীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী ‎(সা.)-এর নিকট থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হল ‎:১. ‏সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস বলেন,নবী ‎(সা.) ‏তাবুক যুদ্ধের সময় আলীকে লক্ষ্য করে বলেছেন ‎: ‘তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে,মর্যাদার দিক থেকে মূসার নিকট হারুন যে পর্যায়ে ছিলেন,তুমিও আমার নিকট ঐ পর্যায়ে রয়েছ?’১৯২. ‏অন্য একটি হাদীসে এসেছে ‎: ‏রাসূল বলেন ‎: ‘তুমি তো আমার নিকট তদ্রূপ যেরূপ হারুনের স্থান মূসার নিকট। পার্থক্য এতটুকু যে,আমার পরে কোন নবী নেই।’২০৩. ‏রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏ইমাম হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেন ‎: ‘যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে এবং এ দু’জন ও তাদের পিতা-মাতাকে ভালবাসে,সে কিয়ামতের দিন আমার সাথে একই মর্যাদায় অবস্থান করবে।’২১৪. ‏আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত। রাসূল বলেছেন ‎: ‘আলীর চেহারার দিকে তাকানোও ইবাদত।’২২৫. ‏রাসূলুল্লাহ্ ‎(সা.) ‏আলী ‎(আ.)-কে সম্বোধন করে বলেছিলেন ‎: ‘মুমিনরাই তোমাকে মহব্বত করবে এবং মুনাফিকরাই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে।’২৩৬. ‏তিরমিযী,নাসাঈ ও ইবনে মাযাহ হুবশী ইবনে জুনাদাহ্ ‎(রা.) ‏থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূল ‎(সা.) ‏বলেছেন ‎: ‘আলী আমা থেকে এবং আমি আলী থেকে। যে ব্যক্তি আলীকে ভালবেসেছে,সে আমাকে ভালোবেসেছে। আর যে ব্যক্তি আলীকে ভালবেসেছে,সে আল্লাহকে ভালবেসেছে। যে ব্যক্তি আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করেছে সে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করেছে। আর যে আমার শত্রু সে আল্লাহর শত্রু। যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দিয়েছে,সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে।’২৪৭. ‏রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏বলেন ‎: ‘(হে আলী!) ‏দুনিয়া ও আখেরাতে তুমি আমারই ভাই।’২৫৮. ‏আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা ‎(র.) ‏থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন ‎: ‏রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏বলেছেন ‎: ‘চার ব্যক্তিকে ভালবাসতে আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন এবং তিনি আমাকে এও অবহিত করেছেন যে,তিনিও তাদের ভালবাসেন। বলা হল ‎: ‏হে আল্লাহর রাসূল! ‏আমাদের তাদের নামগুলো বলুন। তিনি বলেন ‎: ‏আলীও তাদের অন্তর্ভুক্ত। এ কথা তিনি তিনবার বলেন। ‎(অবশিষ্ট তিনজন হলেন) ‏আবু যার,মিকদাদ ও সালমান।...’২৬৯. ‏জাবির ‎(রা.) ‏থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ‎: ‏তায়েফ অভিযানের দিন রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏আলীকে কাছে ডেকে তার সাথে চুপিসারে আলাপ করেন। লোকেরা বলল ‎: ‏তিনি তাঁর চাচাত ভাইয়ের সাথে দীর্ঘক্ষণ চুপিসারে কথা বললেন। রাসূলুল্লাহ ‎(সা.) ‏বলেন ‎: ‏আমি তার সাথে চুপিসারে কথা বলিনি;বরং আল্লাহই তার সাথে চুপিসারে কথা বলেছেন। ‎(অর্থাৎ তার সাথে চুপিসারে কথা বলার জন্য আল্লাহ্ই আমাকে আদেশ করেছেন।)২৭হযরত আলী সম্পর্কে অন্যান্য সাহাবীহযরত আবু বকর প্রায়ই হয়রত আলীর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। হযরত আয়েশা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ‎: ‘আমি রাসূলে করীমকে বলতে শুনেছি,আলীর মুখ দেখা ইবাদাতের শামিল।’২৮হযরত উমর বিন খাত্তাব বলতেন,হযরত আলী বিন আবি তালিবের তিনটি বৈশিষ্ট্য ছিল। যদি তার একটি আমার থাকত তাহলে আমি বলতাম যে,আমাকে লাল রঙের একটি উট দেয়া হলে তা অপেক্ষাও আমি তা পছন্দ করতাম। তাঁকে এ তিনটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন ‎: ‏১.তাঁর বিয়ে হয় রাসূল ‎(সা.)-এর কন্যার সাথে,২. ‏তাঁর সঙ্গে রাসূলে করীমের মসজিদে অবস্থান এবং যা রাসূলে করিমের জন্য বৈধ ছিল তার জন্যও তা বৈধ ছিল এবং ৩. ‏খায়বার যুদ্ধের পতাকা বহনের দায়িত্ব তাঁর ওপর ন্যস্ত ছিল।২৯হযরত উমর বলেছেন,হে আল্লাহ! ‏আমার ওপর এমন কোন বিপদ দিও না যখন আবুল হাসান ‎(আলী) ‏আমার নিকট উপস্থিত না থাকে। কারণ,তিনি আমার নিকট উপস্থিত থাকলে আমাকে সে বিপদ থেকে নিষ্কৃতি দেবেন।’৩০তাবরানী হযরত ইবনে আব্বাস থেকে রেওয়ায়াত করেছেন যে,হযরত আলীর আঠারটি বৈশিষ্ট্য এমন ছিল যা সমগ্র উম্মতের কারও ছিল না।’৩১তথ্যসূত্র১. ‏মমতাজ বেগম কর্তৃক প্রকাশিত নাহজ আল বালাঘা,২য় মুদ্রণ,আল খুতবাতুল কাসেয়াহ্,খুতবা নং ১৯১২. ‏প্রাগুক্ত৩. ‏প্রাগুক্ত৪. ‏মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏১১২;এটি ইমাম মালেক কর্তৃক বর্ণিত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হেরা গুহায় জিবরাঈল ‎(আ.) ‏কর্তৃক রাসূলুল্লাহ ‎(সা.)-এর নবুওয়াত ঘোষণার পর পরই হযরত আলী ‎(আ.) ‏তাঁর ঈমান আনার বিষয়টি প্রকাশ করেন।৫. ‏সুনানে ইবনে মাজাহ্,১ম খণ্ড,পৃ. ‏৪৪৬. ‏নূর-এ-সাকালাইন কর্তৃক প্রকাশিত,সাইয়্যেদ আলী জাফরী প্রণীত আল মুরতাজা,পৃ. ‏৩০।৭. ‏এহইয়াউ উলুমিদ্দীন,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏২৩৮;নুরুল আবসার,পৃ. ‏৮৬,মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏৪;তাফসীরে কুমী,১ম খণ্ড,পৃ. ‏৭১;তাযকিরাতু সিবতে ইবনে যাওযী,পৃ. ‏২১;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃ. ‏৯২।৮. ‏তাফসীরে জালালাইন,১ম খণ্ড,পৃ.৬০;বায়দ্বাভী,১ম খণ্ড,পৃ. ‏১১৮,তাফসীরে দুররুল মানসুর,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৩৯,মিশর মুদ্রণ;মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল,১ম খণ্ড,পৃ. ‏১৮৫;৯. ‏মাজমাউল বায়ান,২য় খণ্ড,পৃ. ‏১৪১;তাফসীরে কুমী,১ম খণ্ড,পৃ. ‏১৪১;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃ. ‏২১;শাওয়াহেদুত তানযিল,১ম খণ্ড,পৃ. ‏১৪৮;তাফসীরে ফুরাত,পৃ.২৮১০. ‏তাফসীরে তাবারী,৬ষ্ঠ খণ্ড,পৃ. ‏১৬৫;তাফসীরে রাযী,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏৪৩১;মানাকেবে খাওয়ারেযমী,পৃ. ‏১৭৮;যাখায়েরুল উকবা,পৃ. ‏১০২;তাফসীরে ইবনে কাসীর,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৭১;আল- ‏বেদায়া ওয়ান নেহায়া,৭ম খণ্ড,পৃ. ‏৩৫৭;সাওয়ায়েকে মুহরিকাহ,পৃ. ‏২৫;১১. ‏মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ‏৩৭২;ইমাম নাসাঈ প্রণীত খাসায়েসে আমীরুল মুমিনীন,পৃ. ‏২১;মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏১০৯;আল গাদীর,১ম খণ্ড,পৃ. ‏২১৪ ও ২২৯;শাওয়াহেদুত তানযিল,১ম খণ্ড,পৃ. ‏১৮৭ ।১২. ‏তাফসীরে তাবারী,৩য় খণ্ড,মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল,৩য় খণ্ড,দারে কুতনী।১৩. ‏তাফসীরে দুররে মানসুর,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ‏৪৫ দ্রষ্টব্য।১৪. ‏তাফসীরে দুররে মানসুর,৪র্থ খণ্ড,পৃ. ‏৬৯ ।১৫. ‏কেফাইয়াতুল মুওয়াহহিদীন,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৬৫০;মাজমাউল বায়ান,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৪১৩;কানযুল উম্মাল,৬ষ্ঠ খণ্ড,পৃ. ‏১৫৬;তাফসীরে তাবারী,১৪তম খণ্ড,পৃ. ‏১০৮ ।১৬. ‏বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত জামে আত-তিরমিযী,৬ষ্ঠ খণ্ড,হাদীস নং ৩৭২৫,পৃ. ‏৩৫৯ ।১৭. ‏মুসনাদে আহমাদ,১ম খণ্ড,পৃ. ‏৩৩১;যাখায়েরুল উকবা,পৃ. ‏২১,তাফসীরে তাবারী,২২তম খণ্ড,পৃ. ‏৮;মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏২০৮;ফাজায়েলে খামসাহ,১ম খণ্ড,পৃ. ‏২২৪;শাওয়াহেদুত তানযিল,২য় খণ্ড,পৃ. ‏১০ ।১৮. ‏যাখায়েরুল উকবা,পৃ. ‏৯ ও ১২;তাফসীরে যামাখশারী,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৩৩৯;সাওয়ায়েকে মুহরিকাহ,পৃ. ‏১০১,তাফসীরে দুররুল মানসূর,৬ষ্ঠ খণ্ড,পৃ. ‏৭;মুসনাদে আহমাদ,১ম খণ্ড,পৃ. ‏২২৯;আল গাদীর,৩য় খণ্ড,পৃ. ‏১৭২;শাওয়াহেদুত তানযিল,২য় খণ্ড,পৃ. ‏৩০ ।১৯. ‏আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ আল বুখারী,৩য় খণ্ড,হাদীস নং ৩৪৩১;বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ মুসলিম,৭ম খণ্ড,হাদীস নং ৬০৪২ ।২০. ‏বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ মুসলিম,৭ম খণ্ড,হাদীস নং ৬০৪০ ও জামে আত-তিরমিযী,৬ষ্ঠ খণ্ড,হাদীস নং ৩৬৬৮ ।২১. ‏বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত জামে আত-তিরমিযী,৬ষ্ঠ খণ্ড,হাদীস নং ৩৬৭০২২. ‏এমদাদীয়া লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত হযরত আলী ইবনে আবি তালিব ‎(রা.),পৃ. ‏১৫ ।২৩. ‏বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত জামে আত-তিরমিযী,৬ষ্ঠ খণ্ড,হাদীস নং ৩৬৭৩ ।২৪. ‏এমদাদিয়া লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত হযরত আলী ‎(রা.),পৃ. ‏১৫-১৬ ।২৫. ‏বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত জামে আত-তিরমিযী,৬ষ্ঠ খণ্ড,হাদীস নং ৩৬৫৮;২৬. ‏প্রাগুক্ত,হাদীস নং ৩৬৫৬;২৭. ‏প্রাগুক্ত,হাদীস নং ৩৬৬৪২৮. ‏সাওয়ায়েকে মুহরিকাহ,পৃ. ‏১৭৫ ।২৯. ‏সাওয়ায়েকে মুহরিকাহ,৩য় খণ্ড,এবং মুসতাদরাকে হাকেম,৩য় খণ্ড ।৩০. ‏মুনতাখাবে কানজুল উম্মাল,৩য় খণ্ড ।৩১. ‏সাওয়ায়েকে মুহরিকাহ ১১৩ ।(প্রত্যাশা,৩য় বর্ষ, ‏১ম সংখ্যাপ্রচারে মোঃ জাহিদ হুসাইন

শিশু ইমাম হযরত জাওয়াদ (আ.)'র জন্মবার্ষিকীসকল মোমিন মোমিনা কে জানাই ঈদ মোবারক🎂🎂🎂🎂🎂(((পর্ব ১)))🎂🎂🎂🎂🎂দশই রজব ইসলামের মহাখুশির দিন। এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন মাওলা মোহাম্মদ (সা) পবিত্র আহলে বাইতের সদস্য নবম ইমাম হযরত জাওয়াদ বা তাকি(আ)। নবীজীর আহলে বাইতের সদস্যরা কেবল মুসলমানদেরই ধর্মীয় নেতা নন বরং যারাই সত্য পথের সন্ধানী কিংবা কল্যাণকামী-তাদের সবারই নেতা।আহলে বাইতের এই মহান ইমাম হযরত জাওয়াদ (আ) এর জন্ম-বার্ষিকীতে আপনাদের সবার প্রতি রইলো অশেষ অভিনন্দন ও প্রাণঢালা মোবারকবাদ এবং মাওলা মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শানে পেশ করছি অসংখ্য দরুদ ও সালাম ।ইমাম জাওয়াদের জন্ম হয়েছিল ১৯৫ হিজরিতে তথা ৮১১ খ্রিস্টাব্দের ১২ এপ্রিল পবিত্র মদীনায়। মজলুম ও দরিদ্রদের প্রতি ব্যাপক দানশীলতা ও দয়ার জন্য তিনি 'জাওয়াদ' উপাধি পেয়েছিলেন। তাকি বা খোদাভীরু ছিল তাঁর আরেকটি উপাধি। জগত-বিখ্যাত মহাপুরুষ ইমাম রেজা (আ) ছিলেন তাঁর বাবা। আর তাঁর মায়ের নাম ‘সাবিকাহ’ বলে জানা যায়। ইমাম রেজা (আ) তাঁর এই স্ত্রীর নাম রেখেছিলেন খিইজরান। তিনি ছিলেন মহানবীর স্ত্রী উম্মুল মু’মিনিন হযরত মারিয়া কিবতির (আ) বংশধর। ইমাম জাওয়াদ (আ) ১৭ বছর ইমামতের দায়িত্ব পালনের পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে শাহাদত বরণ করেন। তিনিই হলেন ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়স্ক ইমাম। আহলে বাইতের অন্য ইমামগণের মত ইমাম জাওয়াদ (আ.)ও ছিলেন উচ্চতর নৈতিক গুণ, জ্ঞান ও পরিপূর্ণতার অধিকারী। ইসলামের মূল শিক্ষা ও সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবন এবং বিকাশ ছিল তাঁর তৎপরতার মূল লক্ষ্য বা কেন্দ্রবিন্দু। সেযুগের সব মাজহাবের জ্ঞানী-গুণীরা ইমাম জাওয়াদ (আ.)'র উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।সমসাময়িক যুগের প্রখ্যাত সুন্নি চিন্তাবিদ কামালউদ্দিন শাফেয়ি ইমাম জাওয়াদ (আ.) সম্পর্কে বলেছেন, "মুহাম্মাদ বিন আলী তথা ইমাম জাওয়াদ (আ.) ছিলেন অত্যন্ত উঁচু মর্যাদা ও গুণের অধিকারী। মানুষের মুখে মুখে ফিরতো তাঁর প্রশংসা। তাঁর উদারতা, প্রশস্ত দৃষ্টি ও সুমিষ্ট কথা সবাইকে আকৃষ্ট করত। যে-ই তাঁর কাছে আসতো নিজের অজান্তেই এই মহামানবের অনুরাগী হয়ে পড়ত এবং তাঁর কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করত।" ইমাম জাওয়াদ (আ) মাত্র সাত বা আট বছর বয়সে ইমামতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এতো অল্প বয়সে তাঁর ইমামতিত্বের বিষয়টি ছিল যথেষ্ট বিস্ময়কর। ফলে অনেকেই এ বিষয়ে সন্দেহ করতেন। অথচ আল্লাহর তো এই শক্তি আছে যে তিনি মানুষকে তার বয়সের স্বল্পতা সত্ত্বেও পরিপূর্ণ বিবেক-বুদ্ধির পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেন। কোরানের আয়াতের ভিত্তিতে পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও এরকম উদাহরণ বহু আছে। যেমন শিশুকালে হযরত ইয়াহিয়া (আ) এর নবুয়্যত প্রাপ্তি, মায়ের কোলে নবজাতক ঈসা (আ) এর কথা বলা ইত্যাদি সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ ক্ষমতারই নিদর্শন। ইমাম জাওয়াদ (আ) শৈশব-কৈশোরেই ছিলেন জ্ঞানে-গুণে, ধৈর্য ও সহনশীলতায়, ইবাদত-বন্দেগিতে, সচেতনতায়, কথাবার্তায় শীর্ষস্থানীয় মহামানব। একবার হজ্জ্বের সময় বাগদাদ এবং অন্যান্য শহরের বিখ্যাত ফকীহদের মধ্য থেকে আশি জন মদীনায় ইমাম জাওয়াদ (আ) এর কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা ইমামকে বহু বিষয়ে জিজ্ঞেস করে অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত ও সন্তোষজনক জবাব পেলেন। ফলে জাওয়াদ (আ)’র ইমামতিত্বের ব্যাপারে তাদের মনে যেসব সন্দেহ ছিল-তা দূর হয়ে যায়।প্রচারে মোঃ জাহিদ হুসাইন আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম‌লা'নাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂🎂