মোঃ জাহিদ হোসেন
আল্লাহররশ্মি আহলে বাইত আঃ
মূলতঃ নবী করিম (সা .) এর ইন্তেকালের পর প্রায় দুই শতাব্দি কোন মাযহাবের অস্তিত্ব ছিল না । কেননা হযরত আবু হানিফার জন্ম ৮০ হিজরী সনে এবং মৃত্যু ১৫০ হিঃ তে সংঘটিত হয় । হযরত মালিক বিন আনাস (ইমাম মালিক ) ৯৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহন এবং ১৭৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন । হযরত মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শাফেয়ী ১৫০ হিজরীতে জন্ম গ্রহন করেন আর ২০৪ হিজরীতে পরলোক গমন করেন । হযরত আহমদ বিন হাম্বল হিঃ ১৬৪ সনে ভূমিষ্ট হন এবং হিঃ ২৪১ সনে ইহলোক ত্যাগ করেন । আর আবুল হাসান আশ আরী ২৭০ হিঃ সনে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং ৩৩৫ হিজরীতে পরলোক গমন করেন ।
হানাফী মাযহাব সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে মুসলমানগন কোন মাযহাব অনুসরন করতেন ? নিশ্চয়ই চার মাযহাবের মধ্যকার কোন মাযহাবের অনুসরন করতেন না কেউ । পক্ষান্তরে আহলে বাইতরে ইমামগন রাসূলুল্লাহর অব্যবহিত পর থেকেই পর্যায়ক্রমে মুসলমানদের ইমাম হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সর্বাবস্থায় । আহলে বাইতের ইমামদের এ ধারাবাহিকতার কথাই ইমাম শাফেয়ী বলেছেন সাবলীল ভাষায়ঃ
وَ أمسَکتُ حَبلَ اللهِ وَ هُوَ وَلاءوهُم
کَما قَد أُمِرنَا بالتَمسُّکِ بالحَبلِ
অর্থাৎঃ আল্লাহর রশ্মি আকড়ে ধরেছি যা হচ্ছে তাদের ভালবাসা ও অনুসরন , কেননা এ রশ্মিকে আকড়ে ধরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
আর আল কুরআনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন ,
) و َاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا(
অর্থাৎঃ তোমরা আল্লাহর রশ্মিকে শক্তভাবে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না ।৮০
বিভিন্ন সময় , বিভিন্ন প্রকার বাক্যাবলীর মাধ্যমে আর বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে মহানবী (সা .) আহলে বাইতের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং তাদের অনুসরন করার বিষয়টি পরিস্কার ভাবে উম্মতকে বুঝিয়ে দিয়েছেন । তাই আমরা আহলে বাইতের এ রশ্মি তথা আলী থেকে মাহদী পর্যন্ত বারজন ইমামের পদাংক অনুসরনের মাধ্যমে পেতে পারি সত্য ও আলোর পথের নিশানা । আর যারা আহলে বাইতকে আকড়ে ধরে থাকলো মহানবী (সা .) এর বাণী মতে তারা কখনো পথ ভ্রষ্ট হবে না । তিনি বলেন ,
انی تارک فیکم الثقلین کتاب الله و عترتی اهل بیتی إن تمسکتم بها لن تضلوا ابدا...........
অর্থাৎঃ আমি তোমাদের জন্য দু’ টি ভারবাহী মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি । একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব অপরটি আমার পবিত্র আহলে বাইত । যারা এ দু’ টিকে শক্ত করে আকড়ে ধরে থাকবে তারা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না ।………… .৮১
পরিশিষ্ট
এক . নবীপাক ( সা .) সকল সাহাবীদের মধ্যে হযরত আলীর মর্যাদা ও গুনাবলী সর্বাধিক বর্ণনা করেছেন ।“ আর রিয়াদ আন নাদেরা” - র লেখক বলেছেন , হযরত ওমর বিন খাত্তাব থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেছেন , রাসূল ( সা .) বলেছেনঃ
ما اکتسب مکتسب مثل علی، یهدی صاحبه الی الهدی.
অর্থাৎঃ আলীর ন্যায় কেউ এত বেশী মর্যাদা অর্জন করতে পারে নি । তার পদাংক অনুসরনকারীরা হেদায়েতের পথে পরিচালিত ।৮২
এ ধরণের বর্ণনা্ বিভিন্ন গ্রন্থে সামান্য শব্দ ও বাক্যের তারতম্যসহ উল্লেখিত হয়েছে ।৮৩
দুই . নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বহুল বর্ণিত যে , তিনি বলেছেন ,“ আদম সৃষ্টির পূর্বে আমি এবং আলী একত্রে আল্লাহর নিকট এক খণ্ড নূর হিসেবে অবস্থান করতাম । অতঃপর যখন আল্লাহ হযরত আদমকে সৃষ্টি করলেন , তখন তিনি সেই নূরকে দু’ খণ্ডে বিভক্ত করলেন । এক খণ্ড আমি এবং অপরটি আলী ।৮৪
তিন আল্লামা সুয়ূতি তার বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থে সূরা বাকারার নিম্নোক্ত আয়াতঃ
) ف َتَلَقَّى آدَمُ مِنْ رَبِّهِ كَلِمَاتٍ فَتَابَ عَلَيْهِ إِنَّهُ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ.(
অর্থাৎঃ অতঃপর আদম তার প্রতিপালকের নিকট থেকে কতগুলো শব্দ ( কালেমাত ) শিখলেন , ফলে সেগুলোর মাধ্যমে তিনি তওবা করেন । নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা গ্রহনকারী ও অনুগ্রাহী ।৮৫
এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
و اخرج ابن النجار عن ابن عباس قال: سألت رسول الله (ص) عن الکلمات التی تلقاها آدم من ربه فتاب علیه، قال: سأل بحق محمد و علی و فاطمة و الحسن و الحسین الا تبت علی فتاب علیه
অর্থাৎঃ ইবনে নাজ্জার ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেনঃ আমি আল্লাহর রাসূল ( সা .) কে ঐ শব্দাবলী ( কালেমাত ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম , যা হযরত আদম আল্লাহর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছিলেন যার ফলে তার তওবা কবুল হয়েছিল । নবী ( সা .) প্রতিত্তোরে বলেনঃ আদম ( আ .), মুহাম্মদ , আলী , ফাতেমা , হাসান , হুসাইনের উছিলা ধরে আল্লাহর কাছে তওবা করেন , যার ফলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেন ।৮৬
চার . বিভিন্ন প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত আছে যে , তিনি বলেছেন , আমি ও আলী একই বৃক্ষের দু’ টি শাখা ।
‘ মুসতাদরাক আস সহিহাইন’ গ্রন্থে নিম্নলিখিতভাবে এ ধরনেরই একটি হাদীস লিপিবদ্ধ আছেঃ জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেছেন , হে আলী , বিশ্বের অন্যান্য মানুষ পৃথক পৃথক বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি হয়েছে আর আমি এবং তুমি একই বৃক্ষ থেকে সৃষ্টি ।৮৭
পাঁচ . সিহাহ সিত্তার হাদীস গ্রন্থ ছাড়াও অন্যান্য অনেক হাদীস গ্রন্থসমূহ নবী ( সা .) এর নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন যে , তিনি আলীকে নিজের ভাই বলে আখ্যায়িত করেছেন । সহি তিরমিযিতে উৎকৃষ্ট সনদসহ ইবনে ওমর থেকে বর্ণিত আছে যে তিনি বলেছেনঃ একদা নবী ( সা .) সাহাবীদেরকে পরস্পরের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন । ইত্তোবসরে আলী এসে উপস্থিত হলে নবী ( সা .) তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন , হে আলী তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে ( উভয় জগতে ) আমার ভাই ।৮৮
ছয় . সহি আল বুখারীতে‘ সুলহ’ অধ্যায়ে (کیف یکتب )‘ কাইফা ইয়াকতুব’ শীর্ষক পাঠে ( বাব ) বর্ণিত আছে যে , নবী ( সা .) আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ,
انت منی و انا منک
অর্থাৎঃ ( হে আলী ) তুমি আমা হতে আর আমি তোমা হতে ।৮৯
তথ্যসূত্রঃ
১. সূরা আল আসরা , আয়াত নং-৭১ ।
২. হাদীসঃاذا کنتم ثلاثة فامروا احدکم সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড -২ পৃঃ -৩৪
৩. সূরা আল বাকারা ,আয়াত নং-২০১ ।
৪. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-৩৩ ।
৫. সূরা আর রাদ , আয়াত নং-৭।
৬. সূরা আলে ইমরান ,আয়াত নং-১০৩ ।
৭. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।
৮. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৯৯ , হাদীস নং-৩৮০৭ ।
৯. সূরা আহযাব , আয়াত নং-৩৩ ।
১০ সূরা আশ - শূরা , আয়াত নং - ২৩ ।
১১ আল কাশশাফ , খণ্ড - ৪ , পৃঃ - ২২০ , আল কাবির , খণ্ড - ২৭ , পৃঃ ১৬৬ ; তাফসীর আল জামেয়া’ লি আহকাম আল - কোরআন , কুরতুবী , খণ্ড - ১৬ , পৃঃ - ২২ ।
১২ নুর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ১০৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ ১৪৬ ; শারহ আল মাওয়াকেফ লি আয - যারক্বানী , খণ্ড - ৭ , পৃঃ ৭ ।
১৩ আল মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড - ৩ , পৃঃ ১৫১ ; আল আওসাত , তাবরানী , আরবাইনঃ নাবহানী , পৃঃ ২১৬ থেকে বর্ণনা করেছেন । যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ - ১৫০ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ ৩০৭ ; নূর আল আবসার , শাবলানজী , পৃঃ ১১৪ ।
১৪. আল ক্বামুস আল মুহিত্বলিল ফিরুযাবাদী , খণ্ড-৩ , ফাসল আল হামযা , বাব আল লাম , পৃঃ৩৩১ , প্রিন্টঃ কায়রো , হালাবী ফাউন্ডেশন ।
১৫. সূরা আল কেসাস , আয়াত নং-২৯ ।
১৬. সূরা আল আনকাবুত , আয়াত নং-৩৩ ।
১৭. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৪৫-৪৬ ।
১৮. সূরা আল হুদ ,আয়াত নং-৭৩ ।
১৯. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩৩ ।
২০. রুহুল মায়ানি , আলুসী , খণ্ড-২৪ , পৃঃ ১৪।
২১. প্রাগুক্ত
২২. তাফসীর আল কাশশাফ , খণ্ড-৩ , পৃঃ ২৬ ; ফাতহ আল ক্বাদীর , শাওকানী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৮০।
২৩. আকরামাহ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুনঃ
ক) আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৪১ ।
খ) মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , তারজামাতে আকরামাহ ।
গ) আল মা’ য়ারিফ , ইবনে কুতাইবা , পৃঃ-৪৫৫ , প্রিন্ট কোম ।
২৪. মিযান আল এ’ তিদাল , যাহাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৭৩ ,৫৬২ ; আল ফাসল লি ইবনে হাযম , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২০৫ ।
২৫. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩২ ।
২৬. সূরা আহযাব ,আয়াত নং-৩০ ।
২৭. সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৩৪ ।
২৮. সূরা তাহরীম ,আয়াত নং-৪ ।
২৯. সহি বুখারী , খণ্ড-৭ , পৃঃ ২৮-২৯ ।
৩০. তাফসীর আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪ ।
৩১. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১১৫ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২৮ , পৃঃ ১০১ ; আত তাবাকাতুল কোবরা , খণ্ড-৮ , পৃঃ ১৩৫ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ ,পৃঃ ১৩৭ ; খণ্ড-৪ , পৃঃ ২২ ; সহি মুসলিম , কিতাব আত তালাক , হাদীস নং-৩১ ,৩২ ,৩৩ ,৩৪।
৩২. কামেল ফি আত তারিখ , খণ্ড-৩ পৃঃ১০৫ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুবাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৭১ ,৭২ , গবেষক আলী শিরী ; আল ফুতুহ , খণ্ড-২ , পৃঃ ২৪৯ ।
৩৩. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৪ , পৃঃ ১৯৮ ; মুশকিল আল আসার , খণ্ড-১ , পৃঃ ২৩৩ একই বিষয়ে শব্দের তারতম্য ভেদে বিভিন্ন হাদীস বিদ্যমান , দৃষ্টান্ত স্বরূপঃ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-১৩ পৃঃ ২৪৮ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৬ ; উসদুল গা’ বা , খণ্ড-৪ , পৃঃ ২৯ ।
৩৪. মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।
৩৫. আদ দুররুল মানসুর , সূয়ুতী , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৯৯ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৩ , পৃঃ ৪৮৩ ; মুসনাদ আত তাইয়ালীসি , খণ্ড-৮ , পৃঃ ২৭৪ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৫ , পৃঃ ১৫৪ , মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ ৯ ; সুনানে বায়হাকী , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০০ ।
৩৬. সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-৬১ ।
৩৭. সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , বাবে ফাযায়িলে আলী , পৃঃ ১২০ ,১২১ ।
৩৮. মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ ৩০৪ ,৩১৯ ।
৩৯. সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ ১২৩ ।
৪০. দুরারুস সিমতাইন , পৃঃ ২৩৯ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-২ , পৃঃ ১২ , খণ্ড-৩ , পৃঃ৪১৩ , খণ্ড-৪ , পৃঃ২৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ১৮৫ , খণ্ড-৩ , পৃঃ২৫৯ , খণ্ড-৬ , পৃঃ১৯৮ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৭ ।
৪১. সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ২৬৮ ; বাবে ফাযায়িলে আহলে বাইত ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ ১৪৭ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-২২ , পৃঃ৫ ।
৪২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৫৫ ।
৪৩ তাফসীরে দুররুল মানসুর , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৩ ; তাফসীরে আল কাবির , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৩ ; তাফসীরে তাবারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীরে বাইযাভী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৬৫ ; তাফসীর আল কুরআনুল কারিম , শেখ মুহাম্মদ আব্দুহ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৪৪২ ; তাফসীরে আল কাশশাফ , সূরা আল মায়েদার ৫৫ নং আয়াত ।
৪৪ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , আস সা’ লাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ , বাব ৩৯ , হাদীস নং - ১১৯ ,১৬২ ।
৪৫ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।
৪৬ তাফসীরে আল কাশফ ওয়াল বায়ান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৭৪ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৭ ,১৯১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩১৯ ;খণ্ড-৭ , পৃঃ -৩০৫ ; মাজমায়ঃ হাইসামী , পৃঃ -৮৮ ,১০২ ; রিয়াদ আন নাদের , খণ্ড-২ , পৃঃ -২২৭ ।
৪৭ সূরা আশ শুরা , আয়াত নং-২১৪ ।
৪৮ সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩২১ ।
৪৯ উক্ত ঘটনা বিভিন্ন হাদীস বেত্তা তাদের স্ব -স্ব গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন । দৃষ্টান্ত স্বরূপ কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৬২ -৬৩ ; তারিখে কামেল , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪০ -৪১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড১- , পৃঃ -১১১ ; শারহে নাহজুল বালাগা লি ইবনে হাদীদ , খণ্ড-১৩ , পৃঃ -২১০ -২২১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৬ ।
৫০ সহি বুখারী , খণ্ড-৫ , পৃঃ - ; বাবে ফাযায়িলে আন -নাবী , বাবে মানাকিবে আলী , পৃঃ -২৪ ; আসনা আল মাতালিব লি জায়রী , পৃঃ -৫৩ ; তারিখে দামেস্ক লি ইবনে আসাকের ,খণ্ড -১ ; শাওয়াহিদ আত তানযিল ,খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫ ।
৫১ সূরা ত্বাহা , আয়াত নং-২৯ -৩২ ।
৫২ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৬৭ ।
৫৩ সূরা আল মায়েদা , আয়াত নং-৩ ।
৫৪ সহি মুসলিম , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩৬২ ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৯ ; তারিখে ইবনে কাসির , খণ্ড-৪ , পৃঃ -২৮১ ,৩৬৮ , ৩৭০ ; খণ্ড -৫ ,পৃঃ -২১ ,২০৯ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১১৮ -১১৯ ; সুনানে ইবনে মাজা , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৩ , হাদীস নং -১১৬ ; তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩ ; তাবাক্বাত আল কুবরা , খণ্ড -২ ,অংশ -২ , পৃঃ -৫৭ ; সিরাহ আল হালাবী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৯০ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪২৯ ; মাযমাউয যাওয়ায়েদ , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১৬৪ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -২৫ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ; উসূল আল মুহিম্মা , পৃঃ -২৪ , নাজাফ ; আনসাব আল আশরাফ , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৫ ; খাসায়েস আল আমিরুল মু’ মেনিন , নাসাঈ , পৃঃ -৩৫ -৯৩ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৪ , পৃঃ -৫৩ , হাদীস নং -১০৯২ ।
৫৫ তারিখে ইয়াকুবী , খণ্ড-২ , পৃঃ -১২৩ -১২৬ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৯০ ; মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৭৮ ; তারিখে খোলাফা , পৃঃ -৪৩ ; আস -সিরাতুন নাবাবিয়্যা , ইবনে হিশাম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৩১ ; তাফসীরে ইবনে কাসীর , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৯৬ ।
৫৬ আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ -২১ ।
৫৭ ফাইযুল ক্বাদির শারহে আল জামেয়া আস সাগীর , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫২১ ।
৫৮ সহি মুসলিম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৭ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৩৯ ।
৫৯. মিলাল ওয়ান নিহাল , শাহরেস্তানী , খণ্ড-১ পৃঃ-৭৫৭ । লিসানুল মিযান , খণ্ড-১ , পৃ-২৬৭ । আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , ইবনে কুতাইবা , খণ্ড-১ , পৃঃ ৩০-৩৩ ।
৬০. মুসনাদ তাইয়্যালিসি , পৃঃ-২৫৯ , হাদীস নং-১৯১৩ । হিলইয়াত আল আউলিয়া , খণ্ড-৩ , পৃঃ-২২৪ । সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২২ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-২১৪ ।
৬১. সহি তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ-৩৬০ । উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ-৫৭৪ । সহি আল বুখারী , কিতাব বাদয়’ আল খালক । তাবাকাত আল কোবরা , খণ্ড-২ , পৃঃ-৪০ । মুসনাদ আহমাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ-২৮২ ।
৬২. ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ , পৃঃ-২৬০ । আল মুসান্নেফ , খণ্ড-১২ , পৃঃ-১২৬ , তিনি আইনাহ থেকে ইবনে আইনাহ হযরত ওমর থেকে আবার তিনি মুহাম্মদ বিন আলী থেকৈ বর্ণনা করেছেন যে , রাসুল (সা.) বলেছেনঃ
انّما فاطمة بضعة منی فمن اغضبها اغضبنی
৬৩. সাক্বিফা ও ফদাক , আবি বাকর আহমাদ বিন আব্দুল আযিয জাওহারী ।
৬৪. আল মানাক্বিব , যামাখশারী , পৃঃ-২১৩ । দুরারু বাহরিল মানাক্বিব ,আশ শেইখ আল হানাফি আল মুসিলি পৃঃ-১১৬ । আল আরবাইন , আল হাফেজ মুহাম্মদ বিন আবি ফাওয়ারিস , পৃঃ-১৪ । ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , পৃঃ-৮২ । মাক্বতাল আল হুসাইন , আল খাওয়ারেযমী , পৃঃ-৫৯ ।
৬৫ সহি বুখারী , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ।
৬৬ সহি বুখারী , খণ্ড-৯ , পৃঃ -১০১ , কিতাবুল আহকাম , বাব নং -৫১ , বাবুল ইসতিখলাফ ।
৬৭ সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ ও ৪ , মিসর প্রিন্ট , তিনি ৮০ টা সনদ সহ বিভিন্ন প্রকার শব্দের তারতম্যের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে হাদীস বর্ণনা করেছেন ।
৬৮ সহি আবি দাউদ , খণ্ড-২ , পৃঃ -২০৭ , কিতাব আল মাহাদী ।
৬৯ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৫ ।
৭০ মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৯৮ ; খণ্ড-৫ , পৃঃ -৮৬ -১০৮ ।
৭১ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৬১৭ , ৬১৮ ভারত প্রিন্ট ।
৭২ তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১৪ , পৃঃ -৩৫৩ , হাদীস নং -৭৬৭৩ ; মুনতাখাব কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৩১২ ।
৭৩ তারিখে খোলাফা , পৃঃ -১০ ।
৭৪ আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৮৯ ।
৭৫ ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,পৃঃ -৪৪১ ; ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -১৩৩ , হাদীস নং -৪৩০ -৪৩১ ।
৭৬ কিফয়া আল আসার , পৃঃ -৭ (পুরানো প্রিন্ট ), কায়রো আল আসার , পৃঃ -৫৩ -৬৯ , প্রিন্ট ক্বোম ১৪০১ হিঃ ।
৭৭ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ , হাদীস নং -৫৬২ ।
৭৮ ফারায়েদুস সমিতাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১২ ; সহি বুখারী , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৬৫ ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩ -৪ ; ইয়ানাবিউল মাওয়াদদাহ ,আশ শেইখ সুলাইমান , খণ্ড-১ , পৃঃ -৩৪৯ ;খণ্ড-২ , পৃঃ -৩১৬ ,খণ্ড-৩ , পৃঃ -২০৭ ,২৯১ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩৪২ ; সুনানে আবি দাউদ , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩০২ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১২ , পৃঃ -১৬৫ ; মাওয়াদ্দা আল কোবরা , পৃঃ -২৯ ; মাক্বতাল আল হুসাইন লি খাওয়ারেযমী , পৃঃ -১৪৬ , হাদীস নং -৩২০ ; তারিখে দামেস্ক , খণ্ড -৭ , পৃঃ -১০৩ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৫৭৪ । এ ধরণের আরো অনেক গ্রন্থে বার ইমামের নাম সহ প্রচুর হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে । আশা করি সত্য গ্রহনকারীদের জন্যে উপরোক্ত কয়টি উদ্ধৃতি যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হবে ।
৭৯ কারবালা একটি সামাজিক ঘূর্ণাবর্তঃ মনির উদ্দিন ইউসূফ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , প্রথমও দ্বিতীয় প্রকাশ যথাক্রমে ডিসেম্বর - ১৯৯২ , পৃঃ - ১০ - ১১ ।
৮০ সূরা আলে ইমরান , আয়াত নং-১০৩ ।
৮১ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-৫ , পৃঃ -৬৬২ , হাদীস নং -৩৭৮৫ ,৩৭৮৮ , বাবে আহলে বাইতুন নবী , বৈরুত প্রিন্ট ; সহি মুসলিম , খণ্ড-৭ , পৃঃ -১২২ -১২৩ , মিসর প্রিন্ট ; মুসতাদরাক আল হাকেম , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪৮ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -৪৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-৫ , পৃঃ -১৮২ -১৮৯ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -১৩৫ ।
৮২ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -২১৪ ।
৮৩ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১০৭ ; আল ইসতিয়াব , খণ্ড-২ , পৃঃ -৪৬৬ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭২ ,৭৬ ; আল ইমামাহ ওয়াস সিয়াসাহ , পৃঃ -৯৩ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -২২১ ; নূর আল আবসার , পৃঃ - ৭৩ ।
৮৪ আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৬৪ ; মিযানুল এতেদাল , যাহাবী , খণ্ড -১ পৃঃ -২৩৫ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৫৮ ।
৮৫ সূরা আল বাকারা , আয়াত নং -৩৭ ।
৮৬ কানযুল উম্মাল , খণ্ড-১ , পৃঃ -২৩৪ ।
৮৭ মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-২ , পৃঃ২৪১ ; কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -১৫৪ ; যাখায়েরুল উকবা , পৃঃ -১৬ ।
৮৮ সহি আত তিরমিযি , খণ্ড-২ , পৃঃ -২৯৯ ;
এ ধরণের হাদীস নিম্ন লিখিত গ্রন্থাবলীতেও দৃষ্টি গোচর হয় ।
মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১৪ ,১১১ ,১২৬ ; সুনানে ইবনে মাজা , পৃঃ -১২ ; তারিখে তাবারী , খণ্ড-২ , পৃঃ -৫৬ ,৬৩ ;কানযুল উম্মাল , খণ্ড-৬ , পৃঃ -৩৯৪ ; আর রিয়াদুন নাদেবরা , খণ্ড -২ পৃঃ -১৫৫ ,১৬৭ ,২২৬ ,৪০০ ; তাবাক্বাত আল কোবরা ,খণ্ড-৮ , পৃঃ -১৪ , ১১৪ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -১৫৯ ,২৩০ ; উসদুল গাবা , খণ্ড-৩ , পৃঃ -৩১৭ ;তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-১২ , পৃঃ -২৬৮ ; আস সাওয়ায়েক আল মুহরিক্বা , পৃঃ -৭৪ -৭৫ ।
৮৯ এ ধরনের উক্তি আরো বহু হাদীস ও ইতিহাস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে । তন্মোধ্যে কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হল ।
সুনানে বায়হাক্বী , খণ্ড-৮ , পৃঃ -৫ ; খাসায়েসে নাসাঈ ,পৃঃ -৫১ ; মুসনাদে আহমাদ , খণ্ড-১ , পৃঃ -৯৮ ; মুসতাদরাক আস সাহিহাইন , খণ্ড-৩ , পৃঃ -১২০ ; তারিখে বাগদাদ , খণ্ড-৪ , পৃঃ -১৪০ ; সহি আত তিরমিযি , খণ্ড- 2 পৃঃ=২৯৭==২৯৯
আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারজাহুম খলীফা তুল বিলা ফাসাল
মন্তব্যসমূহ