‘ইহ্তিজাজ’ নামক গ্রন্থে আল্লামা তাবারসী বর্ণনা করেছেন,যখন জনগণ ইমাম আলীর হাতে বাইআত করল তখন তিনি ইমাম হাসানকে বলেছিলেন,“দাঁড়িয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দাও যাতে কুরাইশগণ আমার পরে তোমাকে ভুলে না যায়।”ইমাম হাসান (আ.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর প্রশংসা করার পর বলেছিলেন,“হে লোকসকল! আমার নানা রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে বলতে শুনেছি : আমি জ্ঞানের নগরী এবং আলী তার দরজা। তাই কেবল দরজা ব্যতীত কি নগরীতে প্রবেশ করা সম্ভব?”হযরত আলী (আ.) তখন ইমাম হাসানকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর তিনি ইমাম হুসাইনের দিকে তাকিয়ে বললেন,“বৎস! তুমিও উঠে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা কর যাতে করে কুরাইশরা আমার পরে তোমাকে ভুলে না যায়। আর তোমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে,তোমার বক্তব্যও যেন তোমার ভাইয়ের বক্তব্যের অনুগামী হয়।”এ কথা শুনে ইমাম হুসাইন (আ.) মিম্বরে দণ্ডায়মান হয়ে মহান আল্লাহর প্রশংসা এবং মহানবী (সা.) ও তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর দরুদ প্রেরণ করার পর বললেন,معاش الناس سمعت رسول الله (ص) و هو یقول: إنّ علیّا هو مدینة هدی، فمن دخلها نجی و من تخلّف عنها هلك“হে লোকসকল! আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি : নিশ্চয়ই আলীই হিদায়েতের নগরী;যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে তারাই সফলকাম হবে। আর যারা এ থেকে দূরে থাকবে (অর্থাৎ হেদায়েতের নগরীতে প্রবেশ করবে না) তারা ধ্বংস হবে।”তখন হযরত আলী (আ.) উঠে দাঁড়িয়ে ইমাম হুসাইনকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বললেন,معاش النّاس اشهدوا أنّها فرخا رسول الله و ودیعته الّتی استودعهما و أنا أستودعکموا هما، معاش النّاس و رسول الله سائلکم عنها “হে লোকসকল! তোমরা সাক্ষী থেকো যে,এরা দু’জন রাসূলুল্লাহর সন্তান এবং তাঁর আমানত যা তিনি তোমাদের কাছে রেখে গেছেন। আর আমিও তাদের দু’জনকে তোমাদের কাছে আমানতস্বরূপ রাখছি। হে লোকসকল! মহানবী তোমাদের সবাইকে এদের দু’জনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন।”
‘ইহ্তিজাজ’ নামক গ্রন্থে আল্লামা তাবারসী বর্ণনা করেছেন,যখন জনগণ ইমাম আলীর হাতে বাইআত করল তখন তিনি ইমাম হাসানকে বলেছিলেন,“দাঁড়িয়ে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দাও যাতে কুরাইশগণ আমার পরে তোমাকে ভুলে না যায়।”
ইমাম হাসান (আ.) মিম্বরে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর প্রশংসা করার পর বলেছিলেন,“হে লোকসকল! আমার নানা রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে বলতে শুনেছি : আমি জ্ঞানের নগরী এবং আলী তার দরজা। তাই কেবল দরজা ব্যতীত কি নগরীতে প্রবেশ করা সম্ভব?”
হযরত আলী (আ.) তখন ইমাম হাসানকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর তিনি ইমাম হুসাইনের দিকে তাকিয়ে বললেন,“বৎস! তুমিও উঠে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা কর যাতে করে কুরাইশরা আমার পরে তোমাকে ভুলে না যায়। আর তোমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে,তোমার বক্তব্যও যেন তোমার ভাইয়ের বক্তব্যের অনুগামী হয়।”
এ কথা শুনে ইমাম হুসাইন (আ.) মিম্বরে দণ্ডায়মান হয়ে মহান আল্লাহর প্রশংসা এবং মহানবী (সা.) ও তাঁর পবিত্র বংশধরদের ওপর দরুদ প্রেরণ করার পর বললেন,
معاش الناس سمعت رسول الله (ص) و هو یقول: إنّ علیّا هو مدینة هدی، فمن دخلها نجی و من تخلّف عنها هلك
“হে লোকসকল! আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি : নিশ্চয়ই আলীই হিদায়েতের নগরী;যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে তারাই সফলকাম হবে। আর যারা এ থেকে দূরে থাকবে (অর্থাৎ হেদায়েতের নগরীতে প্রবেশ করবে না) তারা ধ্বংস হবে।”
তখন হযরত আলী (আ.) উঠে দাঁড়িয়ে ইমাম হুসাইনকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। এরপর তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বললেন,
معاش النّاس اشهدوا أنّها فرخا رسول الله و ودیعته الّتی استودعهما و أنا أستودعکموا هما، معاش النّاس و رسول الله سائلکم عنها
মন্তব্যসমূহ