♥Invitation to Shunni Brothers & Sisters♥
আজকে আমরা আলোচনা করবো,
সুন্নি ভাই বোনদের অতি প্রিয় একজন বিখ্যাত "সাহাবা" যার নাম হযরত আবুবকর , ইনার নামের পরে সুন্নি ভাই বোনেরা "রাদিয়াল্লাহা আনহু " অর্থাৎ আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট বলে বা লিখে থাকেন, মোট কথা- আবুবকর (যে ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা'লা সন্তুষ্ট বা রাজি খুশি আছেন) ।
তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণকরেছিলেন "শবে মেরাজের" ঘটনাটি শুনে, এর পুর্বে তার অর্ধ জীবন অতিবাহিত হয়েছে মাজুসি রুপে অর্থাৎ অগ্নিপূজক হিসেবে, তার বাবার নাম আবি কাহাফা এবং আবুবকর এর আসল নাম আব্দুল্লাহ । তার বংশধর বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়, বংশের উপাধি "সিদ্দিকি" ।
উপরে আবুবকর এর কিছুটা সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হলো ।
♦আবুবকর এবং নবিকন্যা হযরত ফাতেমা (সা.আ)♦
শিয়ামতাদর্শ অনুযায়ী -
আবুবকর এর খেলাফত অবৈধ ছিল, শুধু তাই নয় বরং পরবর্তী সকল খিলাফত ছিল অবৈধ। যাহোক এখন আলোচ্য বিষয় হলো নবিকন্যা ফাতেমা (সা.আ) এর সাথে আবুবকর এর কি হয়েছিল?
এই উত্তর দেয়ার আগে, আমি আপনার কাছ থেকে জানতে চাই,
আপনার নিকট কার কথা বা নির্দেশ বেশি গ্রহণ যোগ্য, আবুবকর নাকি নবি কণ্যা ফাতেমা যাহ্রা(সা.আ), যিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর কলিজার টুকরো, জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী, পৃথিবির শ্রেষ্ঠ চারজন নারির মধ্যে একজন, যিনি রাগান্বিত হলে সয়ং রাসুল রাগান্বিত হতেন, যিনি খুশি হলে রাসুলও খুশি হতেন, তিনিই দুনিয়া তে থাকাকালীন জান্নাত লাভের সুসংবাদ পেয়েছেন, তিনি ছিলেন গুনাহ থেকে মুক্ত বা মাসুম, তার কথা নিঃসন্দেহে গ্রহণ করা যাবে কারন তিনি মিথ্যা বলার মত ব্যক্তি নয়,
এখন বলি হযরত আবুবকর এর কথা তিনি আহ্লে সুন্নত তথা সুন্নি মাযহাব এর প্রথম ইমাম বা খলিফা, তার প্রশংসায় বিভিন্ন হাদিস পাওয়া যায় যেমন, তার ঈমান সবচেয়ে, তিনি সবচেয়ে বড় সত্যবাদী (সিদ্দিকে আকবর) ,
এখন আসুন দেখি তিনি কি আদৌ সত্যবাদি ছিলেন নাকি উম্মাগন তাকে জোর করে সত্যবাদি আখ্যা করেন,
আপনার জবাব চাই পুরো পোস্ট টি পড়ার শেষে,
মক্কা বিজয়ের আগে,
মুসলিম দের সাথে ইহুদিদের একটা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল যেটা ছিল খায়বার দুর্গ টি নিয়ে, সেই দুর্গ টি মুসলিম গন বিজয়লাভ করে, ইহুদিদের ক্ষমতা বিচ্চুত হয়, ফলে তারা শক্তি হারায়, সেই ভুমির পাশেই ফাদাক নামক একটা জমি ও কয়েকটি কেল্লা ছিল , সেখানে ইহুদিরা বাস করতো, ইহুদিগন মুসলিম দের সাথে সমাধান করার উদ্দ্যেশে ফাদাক জমির কিছু অংশ ও একটি কেল্লা মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) কে দিয়ে দেয়,
কারন এটি যুদ্ধ ছাড়া হাসিহয়েছিল তাই এটি মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ব্যক্তিগত বিশেষ সম্পত্তি ছিল
এখানে সুন্নি কিতাব থেকে রেফারেন্স দেয়া হলো ,
হযরত ইবনে আব্বাস(রা.) এবং
হযরত আবু সাইদ খুদরি(রা.) থেকে বর্ণীত,
যখন কুরানে এই আয়াতটি নাজিল হয়,
"(হে নবি!)আপনার প্রিয় রক্তজ আপন দের কে তাদের হক দিয়ে দিন "
সূরা আর-রুম, আয়াত ৩৮
তখন মহানবি (সা.) তার নিজের প্রাণের প্রিয় কণ্যা ফাতেমা (আ.) কে ডাকলেন,
এবং
তাকে বাগ এ ফাদাক উপহার সরুপ প্রদান করলেন।
সুন্নি কিতাব যেগুলো খুব জনপ্রিয় এবং সহিহ,
(বলতে পারবেন না যে এগুলো শিয়াদের বানোয়াট কাহিনি)
(হাদিস ১)
তারিখে তাবারি,
জিলদ ২
খন্ড ২
পৃষ্ঠা ২২৭
(ওয়েবঃ muhammadilibrary.com)
(হাদিস ২)
তাফসির এ দুর এ মানসুর, (প্রখ্যাত সুন্নি কিতাব)
জিলদ ৪
পৃষ্ঠা -৪৬৭ (ইমাম জালাল উদ দিন বিন আবুবকর সুয়ুতি)
(ওয়েবঃ MuhammadiLibrary.com)
আরো আছে, ইমাম তিরমিযি (রহ.) এর রিওয়ায়েত(এই ব্যক্তির কিতাব সুন্নিদের প্রধান কিতাবগুলোর মধ্যে একটি),
হযরত আবু হুরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণীত,
হযরত জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) হযরত আবুবকর এর দরবারে আসলেন এবং বললেন,
"তোমার উত্তরাধিকারী কে হবে?"
হযরত আবুবকর বললেন,
"আমার উত্তরাধিকারী হবে আমার স্ত্রী ও আমার সন্তান। "
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) বললেন,
"তাহলে আমি কেন আমার পিতার উত্তরাধিকারী হতে পারবো নাহ??"
.....
(ভাই ও বোনেরা এটা কিন্তু কোনো বানোয়াট কাহিনি নয়, এটা পাক্কা সহিহ হাদিস তাও আবার সুন্নি মাযহাব এর প্রধান ইমাম দের মধ্যে একজন ইমাম তিরমিযি (রহ.) থেকে গৃহিত এবং হাদিস বর্ণনাকারী হলেন হযরত আবু হুরাইরা (রা.) , যিনি প্রায় হাজার হাদিস বর্ণনা করেছেন বোখারি শরিফে, আর এই হাদিস টি সবাই বলেছে ১০০% সহিহ)
নিচে তিরমিযী শরিফের রেফারেন্স দেয়া হলো (উল্লেখ্য যে, তিরমিযি শরিফ কোরান শরিফের পরে পঞ্চম স্থানে রয়েছে)
.
সুন্নান আত তিরমিযি,
অধ্যায়ঃ আবওয়াব এ জিহাদ,
জিলদ ১
পৃষ্ঠা - ৭৯৩
হাদিস নং ১৬৬১
(তরজমাঃ মওলানা মুহাম্মাদ সাদিক)
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
কিছু মুসলিম ভাই আছেন যারা বুখারি শরিফ এডিক্টেড বা বুখারি পাগল, তারা শুধু মাত্র বুখারি শরিফ কে সহিহ মনে করেন, এখন দেখুন ইমাম বুখারি (রহ.) এর নিজ হাদিস সহিহ বোখারি শরিফ এ ,
.
মুমিনদের মাতা, নবি(সা.) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা এর থেকে বর্ণীত,
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী হযরত ফাতেমা(আ.) যখন হযরত আবুবকর থেকে তার বাগ এ ফাদাক এর অংশ চাইলেন তখন,
হযরত আবুবকর বললেন,
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আমাকে বলেছেন যে আমরা নবি রাসুলগন(আ) কখনো মিরাছ বা উত্তরাধিকার সুত্রে কিছু রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই তা হয়ে যায় সদকা(সবার জন্য) ।
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী, নবির প্রাণের প্রিয় কণ্যা, যিনি দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছেন, যিনি গুনাহের বাইরে তথা তিনি মিথ্যা বলতেই পারেন না,
তিনি হযরত আবুবকর এর এই কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং আর কোনো কথা বললেন না, এরপর তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবুবকর এর সাথে কথা বলেন নাই, তার ঘরের সামনে যখনি আবুবকর এসে সালাম দিতেন তখন তিনি (আ.) সালামের উত্তর দিতেন না, বর্ণনা মতে তিনি আবুবকর কে লানত দিতেন।
.
দ্রষ্টব্য যে, সহিহ বুখারি শরিফের এই হাদিস টিতে ইমাম বুখারি (রহ.) হযরত ফাতেমা এর নামের পরে "আলাইহি সালামু" বাক্যটি লিখেছেন যার অর্থ ফাতেমার উপর খোদার সালাম হোক ।
.
সহিহ বুখারি শরিফ(সুন্নি কিতাব খুলে দেখুন)
.
সহিহ বুখারি,
কিতাব আল জিহাদ ওয়া সাইর,
জিলদ -২
পৃষ্ঠা -১৬৮
হাদিস নং-৩৩৬
(তরজমাঃ মাওলানা আব্দুল হাকিম খান)
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
হযরত উসমান, যিনি তৃতীয় খলিফা, তার ক্ষমতা কালে বাগ এ ফাদাক কে তিনি জনাব মারওয়ান কে দিয়ে দেন, যিনি ছিলেন তার হযরত উসমান এর জামাতা।
.
সুন্নি কিতাব রেফারেন্স
.
ফাইয উল বারি তরজমা ফাত উল বারি- কিতাব সহিহ বুখারি শরিফের,
কিতাবুল ফার'জ এ খুমস
জিলদ-১২
পৃষ্ঠা -৬২১ (ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি)
(ওয়েবঃ Momeen.blogspot.com)
হাদিস টি খুজতে সুবিধাজনক!
দ্রষ্টব্য যে, জিলদ ১০-এ তেই জিলদ ১১ও১২ বর্ণীত আছে।
এখন দেখি জনাব মারওয়ান কি ছিলেন!!!!
সুন্নি কিতাবের হাদিসঃ-
রাসুল(সা.) এর সম্মানিত সাহাবায়ে কেরাম গন(রাদি আল্লাহ আনহু আজমাইন) দের সামনে তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রা.) এর জামাতা তথা তার মেয়ের স্বামী মারওয়ান একদিন জুম্মার খুতবায় রাসুলের ভাই, রাসুলের জামাতা, রাসুলের খলিফা এবং মা ফাতেমা এর প্রাণ প্রিয় স্বামী শুধু তাই নয় বরং সুন্নি কিতাব অনুযায়ী তিনি দশ জন সাহাবিদের একজন যিনি দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন তথা হযরত আলি (আ.) কে ইচ্ছে মত গালি দিলো আবার তার খুতবা শেষ হওয়ার সম্মানিত সাহাবাগন সকলেই তার পিছনে নামাজ পড়লো ।
সুন্নি মাযহাব এর বড় মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল আযিয দেহলভি বলেছেন,
"মারওয়ানের উপর লানত দেয়া উচিৎ। "
.
এই বড় সুন্নি মুহাদ্দিস এর কিতাব,
ফতওয়া এ আযিযি -
পৃষ্ঠা -২৪৩-৪৪-৫০-৫১
(ওয়েবঃ sirat-e-mustaqeem.com)
.
বাহ !! বাহ!! কি সুন্দর! সুন্নি ভাই বোনেরা!! আপনাদের খলিফা দের ইনসাফ দেখে নিন, তারা কত ন্যায়পরায়ণ ছিলেন,
রাসুল (সা.) এর কণ্যা তার অধিকার সারাজীবন খলিফাদের কাছে চাইলেন কিন্তু তাকে তো দিলোই না বরং
একজন লানাতি (পাপি/জালিম) ব্যক্তি কে দিয়ে দিলেন চাওয়ার আগেই???
আবার দেখুন সহিহ মুসলিম শরিফের হাদিস,
হযরত আয়েশা (রা.) বলেনঃ
নবিকন্যা ফাতেমা(আ.) তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হযরত আবুবকর এর সাথে আর কথা বলেন নি,
এবং
যখন জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) ইন্তেকাল করলেন তখন তার স্বামী হযরত আলি(আ.) তাকে সেই গভির রাতেই দাফন করে দেন,
হযরত আবুবকর নবিকন্যার ইন্তেকাল এরও খবর পাননি এবং না তিনি শরিক হয়েছিলেন তার দাফন কার্যে।
.
বিখ্যাত সুন্নিকিতাব যাকে কুর আন এর পরে ২য় স্থানে মানা হয়, সহিহ মুসলিম শরিফ,
.
সহিহ মুসলিম
কিতাব উল জিহাদ ওয়া সাইর
জিলদ -২
পৃষ্ঠা -৫২৫
হাদিস নং-৪৫৫৫
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
.
এই হাদিসটিই আবার আরেকটি বিখ্যাত সুন্নিকিতাব,
তারিখে তাবারি তে আছে,
জিলদ -৩
অংশ-১
পৃষ্ঠা ৪১০
...........................
তাহলে কেন হযরত আবুবকর কে আমরা সত্যবাদি বলি??
সহজ উত্তর-
গোয়েবেলিয়ল পদ্ধতি বা সিস্টেম ---
একটি মিথ্যাকে প্রবল প্রচারের দ্বারা সত্য বলে প্রতিপন্ন করা। এই ভাবে অত্যন্ত গর্হিত মিথ্যুককেও
প্রবল ভাবে শত শত বর্য ব্যাপী রাষ্ট্রীয় প্রচারণা দ্বারা এবং তৎসহ লেখক ও ঐতিহাসিক সকলকে তাকে সব চেয়ে সত্যবাদী হিসাবে লিখতে বাধ্য করার ফলে জেনারেশন গ্যাপে তথা প্রজন্মান্তরে সেই মিথ্যাবাদীই সবচেয়ে বড় সত্যবাদীতেই পরিনত হয়।
আসলে তিনি সত্যবাদি ছিলেন কিনা তা প্রমাণ করেছেন নবিকন্যা ও জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা (তার উপর খোদার সালাম) ,
আমরা পবিত্র কোরানে দেখতে পাই যে,
হযরত দাউদ (আ.) তার পুত্র হযরত সুলাইমান (আ.) কে তার উত্তরাধিকারী করে যান,
উনারা দুজনই নবি ছিলেন,
কেউ কি বলতে পারবেন যে তারা নবি ছিলেন না??
সুতরাং জনাব আবুবকর বললেন,
রাসুল নাকি তাকে বলে গেছেন যে, আমরা নবিগন কোনো উত্তরাধিকারী রেখে যাই না,
এখানে একজন মুর্খও বুঝতে পারবে যে, এখানে আবুবকর মিথ্যা কথা বলছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই, তিনি যে কত্ত বড় মিথ্যাবাদী! !! এটার বুঝার জন্য আর কোনো বিকল্প পাগলেরও প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি,
এখন আমরা এটাও জানি যে,
যে ব্যক্তি রাসুল (সা.) উপর মিথ্যা আরোপ করে সে মুনাফিক থেকেও খারাপ, কারন রাসুল(সা.) এর উপর মিথ্যা বলে নিজের স্বার্থ র্দেখেছে, তার স্থান মৃত্যুর পরে কোথায় আছে সেটা বলার আমি কে? ? সেটা আপনারাই ভেবে নিন!!!!
.........
হাজার হাজার ধন্যবাদ মা তোমাকে!! তুমিই সত্যের ছবি!! নবিনন্দিনি!! ফাতেমা যাহরা! ! তোমার উপর সালাম!! তোমার কারনেই আজ আমরা সত্য কে চিনতে পেরেছি!!
নবিকন্যা কখনওই সম্পত্তির লোভ করেন নি, তিনি তার অনুসারিদের বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে তারা যেন সেই উম্মত দের থেকে বেচে থাকে যারা নবিকন্যার সাথে অন্যায় করেছে, আর আরো বুঝালেন যে, নিজের অধিকার অব্যশই আদায় করা উচিৎ।
....
আল্লাহ হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ
.....
ওয়াসসালাম
আজকে আমরা আলোচনা করবো,
সুন্নি ভাই বোনদের অতি প্রিয় একজন বিখ্যাত "সাহাবা" যার নাম হযরত আবুবকর , ইনার নামের পরে সুন্নি ভাই বোনেরা "রাদিয়াল্লাহা আনহু " অর্থাৎ আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট বলে বা লিখে থাকেন, মোট কথা- আবুবকর (যে ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা'লা সন্তুষ্ট বা রাজি খুশি আছেন) ।
তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণকরেছিলেন "শবে মেরাজের" ঘটনাটি শুনে, এর পুর্বে তার অর্ধ জীবন অতিবাহিত হয়েছে মাজুসি রুপে অর্থাৎ অগ্নিপূজক হিসেবে, তার বাবার নাম আবি কাহাফা এবং আবুবকর এর আসল নাম আব্দুল্লাহ । তার বংশধর বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়, বংশের উপাধি "সিদ্দিকি" ।
উপরে আবুবকর এর কিছুটা সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হলো ।
♦আবুবকর এবং নবিকন্যা হযরত ফাতেমা (সা.আ)♦
শিয়ামতাদর্শ অনুযায়ী -
আবুবকর এর খেলাফত অবৈধ ছিল, শুধু তাই নয় বরং পরবর্তী সকল খিলাফত ছিল অবৈধ। যাহোক এখন আলোচ্য বিষয় হলো নবিকন্যা ফাতেমা (সা.আ) এর সাথে আবুবকর এর কি হয়েছিল?
এই উত্তর দেয়ার আগে, আমি আপনার কাছ থেকে জানতে চাই,
আপনার নিকট কার কথা বা নির্দেশ বেশি গ্রহণ যোগ্য, আবুবকর নাকি নবি কণ্যা ফাতেমা যাহ্রা(সা.আ), যিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর কলিজার টুকরো, জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী, পৃথিবির শ্রেষ্ঠ চারজন নারির মধ্যে একজন, যিনি রাগান্বিত হলে সয়ং রাসুল রাগান্বিত হতেন, যিনি খুশি হলে রাসুলও খুশি হতেন, তিনিই দুনিয়া তে থাকাকালীন জান্নাত লাভের সুসংবাদ পেয়েছেন, তিনি ছিলেন গুনাহ থেকে মুক্ত বা মাসুম, তার কথা নিঃসন্দেহে গ্রহণ করা যাবে কারন তিনি মিথ্যা বলার মত ব্যক্তি নয়,
এখন বলি হযরত আবুবকর এর কথা তিনি আহ্লে সুন্নত তথা সুন্নি মাযহাব এর প্রথম ইমাম বা খলিফা, তার প্রশংসায় বিভিন্ন হাদিস পাওয়া যায় যেমন, তার ঈমান সবচেয়ে, তিনি সবচেয়ে বড় সত্যবাদী (সিদ্দিকে আকবর) ,
এখন আসুন দেখি তিনি কি আদৌ সত্যবাদি ছিলেন নাকি উম্মাগন তাকে জোর করে সত্যবাদি আখ্যা করেন,
আপনার জবাব চাই পুরো পোস্ট টি পড়ার শেষে,
মক্কা বিজয়ের আগে,
মুসলিম দের সাথে ইহুদিদের একটা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল যেটা ছিল খায়বার দুর্গ টি নিয়ে, সেই দুর্গ টি মুসলিম গন বিজয়লাভ করে, ইহুদিদের ক্ষমতা বিচ্চুত হয়, ফলে তারা শক্তি হারায়, সেই ভুমির পাশেই ফাদাক নামক একটা জমি ও কয়েকটি কেল্লা ছিল , সেখানে ইহুদিরা বাস করতো, ইহুদিগন মুসলিম দের সাথে সমাধান করার উদ্দ্যেশে ফাদাক জমির কিছু অংশ ও একটি কেল্লা মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) কে দিয়ে দেয়,
কারন এটি যুদ্ধ ছাড়া হাসিহয়েছিল তাই এটি মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর ব্যক্তিগত বিশেষ সম্পত্তি ছিল
এখানে সুন্নি কিতাব থেকে রেফারেন্স দেয়া হলো ,
হযরত ইবনে আব্বাস(রা.) এবং
হযরত আবু সাইদ খুদরি(রা.) থেকে বর্ণীত,
যখন কুরানে এই আয়াতটি নাজিল হয়,
"(হে নবি!)আপনার প্রিয় রক্তজ আপন দের কে তাদের হক দিয়ে দিন "
সূরা আর-রুম, আয়াত ৩৮
তখন মহানবি (সা.) তার নিজের প্রাণের প্রিয় কণ্যা ফাতেমা (আ.) কে ডাকলেন,
এবং
তাকে বাগ এ ফাদাক উপহার সরুপ প্রদান করলেন।
সুন্নি কিতাব যেগুলো খুব জনপ্রিয় এবং সহিহ,
(বলতে পারবেন না যে এগুলো শিয়াদের বানোয়াট কাহিনি)
(হাদিস ১)
তারিখে তাবারি,
জিলদ ২
খন্ড ২
পৃষ্ঠা ২২৭
(ওয়েবঃ muhammadilibrary.com)
(হাদিস ২)
তাফসির এ দুর এ মানসুর, (প্রখ্যাত সুন্নি কিতাব)
জিলদ ৪
পৃষ্ঠা -৪৬৭ (ইমাম জালাল উদ দিন বিন আবুবকর সুয়ুতি)
(ওয়েবঃ MuhammadiLibrary.com)
আরো আছে, ইমাম তিরমিযি (রহ.) এর রিওয়ায়েত(এই ব্যক্তির কিতাব সুন্নিদের প্রধান কিতাবগুলোর মধ্যে একটি),
হযরত আবু হুরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণীত,
হযরত জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) হযরত আবুবকর এর দরবারে আসলেন এবং বললেন,
"তোমার উত্তরাধিকারী কে হবে?"
হযরত আবুবকর বললেন,
"আমার উত্তরাধিকারী হবে আমার স্ত্রী ও আমার সন্তান। "
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) বললেন,
"তাহলে আমি কেন আমার পিতার উত্তরাধিকারী হতে পারবো নাহ??"
.....
(ভাই ও বোনেরা এটা কিন্তু কোনো বানোয়াট কাহিনি নয়, এটা পাক্কা সহিহ হাদিস তাও আবার সুন্নি মাযহাব এর প্রধান ইমাম দের মধ্যে একজন ইমাম তিরমিযি (রহ.) থেকে গৃহিত এবং হাদিস বর্ণনাকারী হলেন হযরত আবু হুরাইরা (রা.) , যিনি প্রায় হাজার হাদিস বর্ণনা করেছেন বোখারি শরিফে, আর এই হাদিস টি সবাই বলেছে ১০০% সহিহ)
নিচে তিরমিযী শরিফের রেফারেন্স দেয়া হলো (উল্লেখ্য যে, তিরমিযি শরিফ কোরান শরিফের পরে পঞ্চম স্থানে রয়েছে)
.
সুন্নান আত তিরমিযি,
অধ্যায়ঃ আবওয়াব এ জিহাদ,
জিলদ ১
পৃষ্ঠা - ৭৯৩
হাদিস নং ১৬৬১
(তরজমাঃ মওলানা মুহাম্মাদ সাদিক)
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
কিছু মুসলিম ভাই আছেন যারা বুখারি শরিফ এডিক্টেড বা বুখারি পাগল, তারা শুধু মাত্র বুখারি শরিফ কে সহিহ মনে করেন, এখন দেখুন ইমাম বুখারি (রহ.) এর নিজ হাদিস সহিহ বোখারি শরিফ এ ,
.
মুমিনদের মাতা, নবি(সা.) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা এর থেকে বর্ণীত,
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী হযরত ফাতেমা(আ.) যখন হযরত আবুবকর থেকে তার বাগ এ ফাদাক এর অংশ চাইলেন তখন,
হযরত আবুবকর বললেন,
মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) আমাকে বলেছেন যে আমরা নবি রাসুলগন(আ) কখনো মিরাছ বা উত্তরাধিকার সুত্রে কিছু রেখে যাই না, বরং আমরা যা রেখে যাই তা হয়ে যায় সদকা(সবার জন্য) ।
জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী, নবির প্রাণের প্রিয় কণ্যা, যিনি দুনিয়াতেই বেহেশতের সুসংবাদ পেয়েছেন, যিনি গুনাহের বাইরে তথা তিনি মিথ্যা বলতেই পারেন না,
তিনি হযরত আবুবকর এর এই কথা শুনে প্রচন্ড রেগে গেলেন এবং আর কোনো কথা বললেন না, এরপর তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আবুবকর এর সাথে কথা বলেন নাই, তার ঘরের সামনে যখনি আবুবকর এসে সালাম দিতেন তখন তিনি (আ.) সালামের উত্তর দিতেন না, বর্ণনা মতে তিনি আবুবকর কে লানত দিতেন।
.
দ্রষ্টব্য যে, সহিহ বুখারি শরিফের এই হাদিস টিতে ইমাম বুখারি (রহ.) হযরত ফাতেমা এর নামের পরে "আলাইহি সালামু" বাক্যটি লিখেছেন যার অর্থ ফাতেমার উপর খোদার সালাম হোক ।
.
সহিহ বুখারি শরিফ(সুন্নি কিতাব খুলে দেখুন)
.
সহিহ বুখারি,
কিতাব আল জিহাদ ওয়া সাইর,
জিলদ -২
পৃষ্ঠা -১৬৮
হাদিস নং-৩৩৬
(তরজমাঃ মাওলানা আব্দুল হাকিম খান)
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
হযরত উসমান, যিনি তৃতীয় খলিফা, তার ক্ষমতা কালে বাগ এ ফাদাক কে তিনি জনাব মারওয়ান কে দিয়ে দেন, যিনি ছিলেন তার হযরত উসমান এর জামাতা।
.
সুন্নি কিতাব রেফারেন্স
.
ফাইয উল বারি তরজমা ফাত উল বারি- কিতাব সহিহ বুখারি শরিফের,
কিতাবুল ফার'জ এ খুমস
জিলদ-১২
পৃষ্ঠা -৬২১ (ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি)
(ওয়েবঃ Momeen.blogspot.com)
হাদিস টি খুজতে সুবিধাজনক!
দ্রষ্টব্য যে, জিলদ ১০-এ তেই জিলদ ১১ও১২ বর্ণীত আছে।
এখন দেখি জনাব মারওয়ান কি ছিলেন!!!!
সুন্নি কিতাবের হাদিসঃ-
রাসুল(সা.) এর সম্মানিত সাহাবায়ে কেরাম গন(রাদি আল্লাহ আনহু আজমাইন) দের সামনে তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রা.) এর জামাতা তথা তার মেয়ের স্বামী মারওয়ান একদিন জুম্মার খুতবায় রাসুলের ভাই, রাসুলের জামাতা, রাসুলের খলিফা এবং মা ফাতেমা এর প্রাণ প্রিয় স্বামী শুধু তাই নয় বরং সুন্নি কিতাব অনুযায়ী তিনি দশ জন সাহাবিদের একজন যিনি দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন তথা হযরত আলি (আ.) কে ইচ্ছে মত গালি দিলো আবার তার খুতবা শেষ হওয়ার সম্মানিত সাহাবাগন সকলেই তার পিছনে নামাজ পড়লো ।
সুন্নি মাযহাব এর বড় মুহাদ্দিস শাহ আব্দুল আযিয দেহলভি বলেছেন,
"মারওয়ানের উপর লানত দেয়া উচিৎ। "
.
এই বড় সুন্নি মুহাদ্দিস এর কিতাব,
ফতওয়া এ আযিযি -
পৃষ্ঠা -২৪৩-৪৪-৫০-৫১
(ওয়েবঃ sirat-e-mustaqeem.com)
.
বাহ !! বাহ!! কি সুন্দর! সুন্নি ভাই বোনেরা!! আপনাদের খলিফা দের ইনসাফ দেখে নিন, তারা কত ন্যায়পরায়ণ ছিলেন,
রাসুল (সা.) এর কণ্যা তার অধিকার সারাজীবন খলিফাদের কাছে চাইলেন কিন্তু তাকে তো দিলোই না বরং
একজন লানাতি (পাপি/জালিম) ব্যক্তি কে দিয়ে দিলেন চাওয়ার আগেই???
আবার দেখুন সহিহ মুসলিম শরিফের হাদিস,
হযরত আয়েশা (রা.) বলেনঃ
নবিকন্যা ফাতেমা(আ.) তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হযরত আবুবকর এর সাথে আর কথা বলেন নি,
এবং
যখন জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা(আ.) ইন্তেকাল করলেন তখন তার স্বামী হযরত আলি(আ.) তাকে সেই গভির রাতেই দাফন করে দেন,
হযরত আবুবকর নবিকন্যার ইন্তেকাল এরও খবর পাননি এবং না তিনি শরিক হয়েছিলেন তার দাফন কার্যে।
.
বিখ্যাত সুন্নিকিতাব যাকে কুর আন এর পরে ২য় স্থানে মানা হয়, সহিহ মুসলিম শরিফ,
.
সহিহ মুসলিম
কিতাব উল জিহাদ ওয়া সাইর
জিলদ -২
পৃষ্ঠা -৫২৫
হাদিস নং-৪৫৫৫
(ওয়েবঃ NafseisLam.com)
.
এই হাদিসটিই আবার আরেকটি বিখ্যাত সুন্নিকিতাব,
তারিখে তাবারি তে আছে,
জিলদ -৩
অংশ-১
পৃষ্ঠা ৪১০
...........................
তাহলে কেন হযরত আবুবকর কে আমরা সত্যবাদি বলি??
সহজ উত্তর-
গোয়েবেলিয়ল পদ্ধতি বা সিস্টেম ---
একটি মিথ্যাকে প্রবল প্রচারের দ্বারা সত্য বলে প্রতিপন্ন করা। এই ভাবে অত্যন্ত গর্হিত মিথ্যুককেও
প্রবল ভাবে শত শত বর্য ব্যাপী রাষ্ট্রীয় প্রচারণা দ্বারা এবং তৎসহ লেখক ও ঐতিহাসিক সকলকে তাকে সব চেয়ে সত্যবাদী হিসাবে লিখতে বাধ্য করার ফলে জেনারেশন গ্যাপে তথা প্রজন্মান্তরে সেই মিথ্যাবাদীই সবচেয়ে বড় সত্যবাদীতেই পরিনত হয়।
আসলে তিনি সত্যবাদি ছিলেন কিনা তা প্রমাণ করেছেন নবিকন্যা ও জান্নাতি নারিদের সম্রাজ্ঞী ফাতেমা (তার উপর খোদার সালাম) ,
আমরা পবিত্র কোরানে দেখতে পাই যে,
হযরত দাউদ (আ.) তার পুত্র হযরত সুলাইমান (আ.) কে তার উত্তরাধিকারী করে যান,
উনারা দুজনই নবি ছিলেন,
কেউ কি বলতে পারবেন যে তারা নবি ছিলেন না??
সুতরাং জনাব আবুবকর বললেন,
রাসুল নাকি তাকে বলে গেছেন যে, আমরা নবিগন কোনো উত্তরাধিকারী রেখে যাই না,
এখানে একজন মুর্খও বুঝতে পারবে যে, এখানে আবুবকর মিথ্যা কথা বলছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই, তিনি যে কত্ত বড় মিথ্যাবাদী! !! এটার বুঝার জন্য আর কোনো বিকল্প পাগলেরও প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি,
এখন আমরা এটাও জানি যে,
যে ব্যক্তি রাসুল (সা.) উপর মিথ্যা আরোপ করে সে মুনাফিক থেকেও খারাপ, কারন রাসুল(সা.) এর উপর মিথ্যা বলে নিজের স্বার্থ র্দেখেছে, তার স্থান মৃত্যুর পরে কোথায় আছে সেটা বলার আমি কে? ? সেটা আপনারাই ভেবে নিন!!!!
.........
হাজার হাজার ধন্যবাদ মা তোমাকে!! তুমিই সত্যের ছবি!! নবিনন্দিনি!! ফাতেমা যাহরা! ! তোমার উপর সালাম!! তোমার কারনেই আজ আমরা সত্য কে চিনতে পেরেছি!!
নবিকন্যা কখনওই সম্পত্তির লোভ করেন নি, তিনি তার অনুসারিদের বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে তারা যেন সেই উম্মত দের থেকে বেচে থাকে যারা নবিকন্যার সাথে অন্যায় করেছে, আর আরো বুঝালেন যে, নিজের অধিকার অব্যশই আদায় করা উচিৎ।
....
আল্লাহ হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আলে মুহাম্মদ
.....
ওয়াসসালাম
মন্তব্যসমূহ