পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুয়াবিয়া-পরিবার vs নবি-পরিবার" রসুলের সাহাবা বলে কথিত কুখ্যাত মুয়াবিয়া আজকের এই দিনে খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমার স্বামী, ইমাম হাসান-হোসাইনের পিতা, রসুলের স্থলাভিষিক্ত মওলা- হযরত আলী (আ.)-কে গুপ্তঘাতক দ্বারা হত্যা করেন (উল্লেখ্য যে, আঘাতের পর মাওলা প্রাণ ত্যাগ করেন ২১ রমজান) । আমরা থুতু মারি সেইসব দরবার ও পিরের মুখে- পাকপাঞ্জাতনের অন্যতম সদস্য মওলা আলীকে হত্যা করার পরেও যারা গুন্ডা মুয়াবিয়াকে সাহাবা মনে করে এবং নবি-বংশের জাত-শত্রু এই কুচক্রী পরিবারের পূজা অর্চনা করে । কোরান মতে: একজন মোমিনের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করে সে কাফের; আর আলী (আ.) শুধু মোমিন নন বরং মোমিনগণের মওলা (সূত্র: হাদিস); কিন্তু এই মুয়াবিয়া সেই মওলা আলীর বিরুদ্ধেই তার বিশাল গুন্ডাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হন, যা সিফফিনের যুদ্ধ বলে পরিচিত । উল্লেখ থাকে যে, মহানবি বলেগিয়েছিলেন: এই আম্মার (বেহেশত যার প্রত্যাশী) একটা বিদ্রোহী দলের হাতে শহীদ হবেন । রসুলের প্রিয় সাহাবী হযরত আম্মার মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন । মৃত্যুর সময় আম্মারকে এক ফোটা পানিও দেয়া হয় নাই । কোরান ঘোষণা করছে: শুধুমাত্র একজন মোমিনকে হত্যা করলেই অনন্তকাল তাকে জাহান্নামে থাকতে হবে এবং আল্লাহর লানত থাকবে তার উপর (৪:৯৩)। মুয়াবিয়া যে একজন নির্ভেজাল কাফের-মোনাফেক ও জাহান্নামী তা কোরান স্বাক্ষী দেবার পরেও যে সব হারামজাদারা মুয়াবিয়ার প্রশংসায় মুখে ফেনা তুলে- আমরা লাথি মারি তাদের মুখে । একমাত্র মুয়াবিয়ার পরিবারই নবি বংশের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি শয়তানী করে; নিম্নে তাদের কু কর্মের ছোট একটি তালিকা দেয়া হলো: ১. মুয়াবিয়ার পিতা আবু সুফিয়ান মহানবির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন । ২. মুয়াবিয়ার মা হিন্দা যুদ্ধের মাঠে রসুলের চাচা হযরত আমীর হামজার কাচা কলিজা চিবিয়ে খান । ৩. তাদেরই সুযোগ্য পুত্র কুখ্যাত মুয়াবিয়া ফাঁদ পেতে হযরত আয়েশাকে হত্যা করে মাটিতে পূতে সেখানে বৃক্ষ রোপণ করে নৃশংস হত্যার ঘটনাকে আড়াল করেছিল; তাই ইতিহাসে হযরত আয়েশার কবরের কোন অস্তিত্ব নেই । ৪. হযরত উসমান হত্যার পিছনেও বর্ণচোরা মুয়াবিয়ার হাত ছিল, তাই সে ইসলামী সাম্রাজ্যের সম্রাট হবার পরেও উসমান হত্যার বিচার করে নি । ৫. নবির আশেক হযরত উয়ায়েস করণীকেও বৃদ্ধ বয়সে প্রাণ দিতে হয় মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই । ৬. ছেলে ইয়াজীদের সাথে বিবাহ দেবার চুক্তির ভিত্তিতে মুয়াবিয়া জায়েদাকে দিয়ে ইমাম হাসানকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে পুত্র ইয়াজীদকে গদিতে বসানোর রাস্তাকে পরিষ্কার করেন । ৭. দুর্বৃত্ত মুয়াবিয়া ইমাম হোসাইনকে হত্যার সকল ষড়যন্ত্র ও নীল নক্সা অঙ্কন করে যান, যা ইয়াজিদের প্রতি তার একটি চিঠিতে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠে । ৮. বদরী সাহাবী হযরত ইবনে আদীকে তাঁর ১২ জন সঙ্গী সহ জীবন্ত কবরস্থ করেন এই মুয়াবিয়া । এ জঘন্য কু কর্মের প্রসঙ্গে ইমামুল আউলিয়া হযরত হাসান বসরী (রা:) বলেন: মুয়াবিয়ার পরকাল ধ্বংসের জন্য ইহাই যথেষ্ট যে, সে রাছুল (সা:)-এর বিশিষ্ট সাহাবী হাজর বিন আদী (রা:) ও তাঁর সঙ্গীদেরকে বিনা দোষে হত্যা করেছিল । ৯. মুহাম্মদ বিন আবুবকর, মালিক আশতার মুয়াবিয়ার হত্যার শিকার । দুর্বৃত্ত এই মুয়াবিয়া কত জনকে যে গুপ্ত হত্যা করিয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নেই । ১০. নবি বিদ্বেষী পরিবারের অন্যতম সদস্য খুনি মুয়াবিয়া প্রতি জুমার দিন খুৎবায় নবি-পরিবারকে গালাগালী প্রথা চালু করেছিল; আগে খুৎবা পাঠ করা হতো নামাজের পর, সে কারণে অনেক মুসল্লীরাই গালাগালী শ্রবণ না করে চলে যেতো, তাই মুয়াবিয়া নির্দেশ দেন যেন খুৎবা নামাজের আগেই আরম্ভ করা হয় যাতে করে খুৎবায় নবি-বংশের বিরুদ্ধে গালাগালী শুনতে মুসল্লিগণ একপ্রকার বাধ্য থাকেন ।। মুয়াবিয়ার কোন পিতৃপরিচয় নেই, কারণ তার মা তাকে পেটে ধরা অবস্থায় আবু সুফিয়ানের সাথে ঘর-সংসার শুরু করে, আর বিবাহের পূর্বে হিন্দা যখন পতিতালয় পরিচালনা করতো তখনই মুয়াবিয়া তার পেটে এসেছিল । এ জন্যই বোধহয় এই কুলাঙ্গার নানা ষড়যন্ত্র করে ইসলামের বারোটা বাজিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং জন্ম দিয়ে গেছে আরেক কুলাঙ্গারের । নবি-পরিবারের প্রতি মুয়াবিয়া-পরিবারের এত শত ষড়যন্ত্রের ডকুমেন্ট থাকার পরেও যারা সেই অভিশপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, সেই সব কুলাঙ্গারদের গোলামী করে আমরা জুতা মারি তাদের মুখে; কেননা তারা আল্লাহ ও নবির শত্রু, পাকপাঞ্জাতনের শত্রু । মোনাফেকদের সর্দার মুয়াবিয়া সম্পর্কে মুসলিম সমাজের ভুল ধারণা সমূহ অবসান হবার স্বার্থে এবং বর্ণচোরা মুয়াবিয়ার মুখোশ উন্মোচনের প্রয়াসে এই পোস্টটি সবাই শেয়ার করার মাধ্যমে সত্য প্রচারে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ রইল ।।

গাদীরে খুমের ঘটনা হিজরী দশম বছর। রাসূল (সা.) বিদায় হজ্ব সম্পন্ন করেছেন। এ নশ্বর পৃথিবী থেকে শেষ বিদায়ের জণ্যে প্রহর গুনছেন। প্রথম থেকে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন এ বৎসর তিনি শেষ হজ্ব সমাপন করবেন। চতুর্দিক থেকে নবীর সাথে হজ্বে অংশগ্রহনের জন্যে অশংখ্য লোকের সমাগম হয়েছিলো। ঐতিহাসকিদের মধ্যে হাজীদের সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। সর্বাপরী ৯০ হাজার থেকৈ ১২৪ হাজার মানুষের সমাগম ইতিহাসে উল্লেখ আছে। এ বৎসর তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দান করেন যা“ বিদায় হজ্বের ভাষণ” নামে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। হজ্ব সমাপ্ত করে তিনি আসহাবকে সাথে নিয়ে মদীনা অভিমুখে যাত্রা করেছেন। প্রচন্ড গরম,মাটি ফেটে চৌচির। পথিমধ্যে‘ গাদীরে খুম’ নামক চৌরাস্তায় এসে তিনি থেমে গেলেন। এখানেই ঘটেছে সেই ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ গাদীরে খুমের ঘটনা। শীয়া - সুন্নী নির্বিশেষে সকল এতিহাসিক ও হাদীস বিশারদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাদের স্ব - স্ব গ্রন্থে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। নবী করিম (সা.) তার কয়েকজন ঘনিষ্ট সাহাবীদের নির্দেশ দিলেন এ স্থানে সকলকে সমবেত করতে। যারা এখনো পিছে পড়ে আছে তাদের জন্যে অপেক্ষা করতে বললেন। যারা সিরিয়া ও ইরাক অভিমুখে এ চৌরাস্তা থেকে রওয়ানা হয়ে গেছেন তাদেরকে এ স্থানে ফিরে আসার নির্দেশ দিলেন। উত্তপ্ত বালুকাময় পথঘাট লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল কিছুক্ষনের মধ্যেই। নবী (সা.)- এর জন্যে আসন প্রস্তুত করা হল। আসনের উপর সামিয়ানা টাংগানো হল। আসনটি এমন ভাবে উচু করে নির্মান করা হলো যেন বহুদূর থেকেও সকলে সুন্দরভাবে নবী করিম (সা.) কে দেখতে পায়। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার জন্যে নবী (সা.) আসহাব ও হাজীদের কষ্ট দিবেন ? গাদীরে খুমে অবস্থান এবং ভাষণ দেয়ার জন্যে আসন তৈরী করার যে কারণ নিহিত আছে তাহলো অব্যবহিত পূর্বে অবতীর্ণ হওয়া নিম্ন আয়াত يا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ وَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهُ وَاللَّهُ يَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ অর্থাৎঃ“ হে রাসূল আপনার রবের নিকট থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা পৌছিয়ে দিন। আর যদি এ কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম না হন তা হলে রেসালাতের দাওয়াত - ই পৌছাতে পারলেন না। আল্লাহ মানুষের অনিষ্ট থেকে আপনাকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফের জনগোষ্ঠিকে হেদায়েত করবেন না। (সূরা আল মায়েদা,আয়াত নং-৬৭) উপরোল্লিখিত আয়াতটিতে রাসূল (সা.) কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ আয়াতটি অবতীর্ণ করেছেন। নিশ্চয়ই এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা শুধুমাত্র তিনি নবীকেই অবগত করিয়েছেন। আর তা এক্ষনে মানুষের সমক্ষে পেশ করতে হবে ? এমন কি আবতির্ণ করা হয়েছে যা এভাবে ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে ব্যক্ত করতে হবে ? সূরা মায়েদা হচ্ছে নবী (সা.) এর উপর অবতীর্ণ সর্বশেষ সূরা। এ সূরাটি নবীর শেষ জীবনে নাযিল হয়েছে। ইতিপূর্বে তৌহীদ,শেরক,রেসালাত,ক্বিয়ামত,নামাজ,রোজা,হজ্ব,যাকাত ইত্যাদি সব ধরণের বিষয়ে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছিল। এমন কি বিষয় অবশিষ্ট রয়ে গেছে যা কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিতে হবে ? রাসূল (সা.) তো কোন ভীতু ব্যক্তি নন। তিনি কঠোর বিপদেও মু’ মিনদের সান্তনাকারী ছিলেন। তিনি সকল ধরণের বিপদ সংকুল পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন অবশেষে তিনি মক্কা বিজয় করেছেন,বীর দর্পে মক্কা নগরীতে প্রবেশ করেছেন বিজয়ীর বেশে। কাবার মুর্তিগুলোকে তিনি ভেঙ্গে সেখানে নামাজ ক্বায়েম করেছেন। আল্লাহ তাকে এ আয়াতে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে দিচ্ছেন,যদি এ কাজটি আঞ্জাম দেয়া না হয় তাহলে রেসালাতের কোন কিছুই পৌছানো হলো না। এটা এমন একটা কাজ যার ফলে রেসালাত পরিপূর্ণ হবে। আর আল্লাহ রাসূলকে অভয় দিয়ে বলছেন“ আল্লাহ তোমাকে মানুষের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।” মুলতঃ একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার জন্যেই প্রিয় নবী (সা.) সবাইকে গাদীরে খুমে সমবেত হতে বলেছেন। মহানবী (সা.) তার আসন অলংকৃত করেছেন। তিনি ভাষণ দিচ্ছেনঃ “……………… হে মানব মন্ডলী। আমি কি সকল মু’ মিনদের চেয়ে সর্বোত্তম নেতানই ? … .. তোমরা কি জানোনা আমি প্রতিটি মু’ মিনের প্রানের চেয়েও প্রিয় নেতা…… ..? ” তখন সকলে সমস্বরে বলে উঠলো,জ্বি ইয়া রাসূল আল্লাহ” !… . অতঃপর তার পার্শ্বে উপবিষ্ট হযরত আলী ইবনে আবি তালিবের হাত সকলের সম্মুখে উচু করে তুলে ধরলেন। ঐতিহাসিকগণ বলেন,নবী (সা.) হযরত আলী ইবনে আবি তালিবের হাত এমনভাবে উচুতে তুলে ধরেছিলেন যে তাদের উভয়ের বাহুমুলদ্বয় সবাই দেখতে পেয়েছেন। অতঃপর মহানবী (সা.) বললেনঃ ” ایها الناس! الله مولای و انا مولاکم، فمن کنت مولاه فهذا علی مولاه، اللهم وال من والاه و عاد من عاداه و انصر من نصره و اخذل من خذله." অর্থাৎঃ“ হে লোকসকল ! আল্লাহ আমার প্রভূ ও নেতা,আর আমি তোমাদের নেতা বা মওলা। সুতরাং আমি যার মওলা বা অভিভাবক আলীও তার মওলা বা অভিভাবক। হে আল্লাহ যে আলীকে ভালবাসে তুমিও তাকে ভালবাস,যে আলীর সাথে শত্রুতা পোষণ করে তুমিও তাকে শত্রু গণ্য কর। আর যে তাকে সাহায্য করে তুমিও তাকে সহায়তা দান কর এবং যে তাকে ত্যাগ করে তুমিও তাকে পরিত্যাগ কর………… .।”

ইবনে হাজর আস্কালানি তার ‘আল ইসাবা’ এর খণ্ড৪ পাতা ২৮১ এ জীবনী নং ৫১৬৭ এ উল্লেখ করেছেঃ وقال بن البرقي والبغوي وغيرهما كان ممن بايع تحت الشجرة ۔۔۔ وقالبن يونس بايع تحت الشجرة ۔۔۔ وقال بن يونس بايع تحت الشجرة وشهد فتح مصر واختط بهاوكان من الفرسان ثم كان رئيس الخيل التي سارت من مصر إلى عثمان في الفتنة “ইবনে বারকি, আল বাগাভি এবং অন্যান্যরাবলেছেন যে সে গাছের নিচে বায়াতে অংশ গ্রহন করেছিলেন.........। ইবনে ইউনুস বলেছেনগাছের নিচে বায়েত ছিলেন, মিশরের বিজয়ে অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং বীর যোদ্ধা ছিলেন আরসে উসমানকে আক্রমণ করা সেনা দলের প্রধান ছিল”। অনুরূপ ভাবে ইবনে হাজর আস্কালানি তার ‘তাজিলআল মানফা’ এর ৪৭১ পাতায় উল্লেখ করেছেন তিনি সাহাবী ছিল এবং অন্য সাহাবী তার থেকেবর্ণনা করেছেন। ইবনে কাসির তার ‘আল বেদায়া ওয়ান নিহায়া’ এরখণ্ড ৭ পাতা ১৭৯ এ উল্লেখ করেছেনঃ “উসমানের হত্যার পরে তার কাতিলরা তার মাথা কেটেনিতে চেস্টা করছিল, মেয়েরা চিৎকার করতে শুরু করল আর মুখে চপেটাঘাত করতে লাগল (মাতম), উসমানের দুটো স্ত্রী নাইলা আর উম্মুল বানিন আর তার কন্যারা এর মধ্যে ছিল।ইবনে উদাইস বলল ‘উসমানকে ছেড়ে দাও’। ফলে তারা তাকে ছেড়ে দিল আর ঘরে যাকিছু ছিললুটে নিল”। ইবনে আসাকির তার ‘তারিখ এ দামিস্ক’ এ রেওয়াতকরেছেন। ( খন্ড ২ পাতা ৪৭২)ঃ له صحبة وهو ممن بايع تحتالشجرة “সে সাহাবী, এবং সে গাছের নিচে বায়াত কারীদেরমধ্যে ছিল”। এখানে উল্লেখ্য যে আহলে সুন্না ও নাসিবী রাসাহাবাদের মহান মর্যাদা দেখাবার জন্য গাছের নিচে বায়াত করা তথা বায়াতে রেজোয়ান এরকথা উল্লেখ করে এবং কুরআনের আয়াত পড়ে। যেবায়াত এ রেজোয়ান এর সাহাবীরা কিভাবে উসমানকে হত্যা করছে! এখন নাসিবীরা কি করবে? ৮) সাহাবী আমর বিন হামক আল খুজাই এর ভুমিকাউসমান হত্যায়। ইবনেহাজর আস্কালানি তার ‘তাকরীব আত তাহজিব’ পাতা ৪২০ এ এন্ট্রি নং ৫০১৭ “আমরবিন হামক, ইবনে কাহিল আর তাকে ইবনে কাহিন, ইবনে হাবীব আল খজাই ও বলা হয়। সাহাবী যে কুফায় থাকত তারপর মিশরে, সেমুয়াবিয়ার খেলাফাত এ মারা যায়”। ইবনে সাদ তার ‘তাবাকাত’ এ উল্লেখ করেছেন। “মিশরীয়যারা উসমানকে আক্রমণ করে ৬০০ জন ছিল আর তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল আব্দুর রাহমান ইবনেউদাইস ও আমর বিন হামাক্ক আল খুজাই”। (খণ্ড ৩ পাতা ৭১) ইবনে সা’দ তার তাবাকাত এ আরও উল্লকেহকরেছেনঃ( খণ্ড ৩ পাতা ৬৫) “যখন মিশরের লোকেরা উসমানের কাছে এল, তারা দিখাসাবা তে ঘাটী গাড়লো। উসমান,মুহামামদ বিন সালামাহকে ডেকে বলল ‘যাও আর তাদেরকে আমার কাছে আসতে বিরত করো, তারাযাতে খুশি হয় সেই সব দাও, বলো যে আমি তাদের দাবী অউঞ্জাই কাজ করবো আর সমস্যা নিয়েআলোচনা করবো’। মুহাম্মাদ ইবনে সালামাহ তাদের কাছেদিখাসাবাতে গেল। জাবির বলে ‘উসমান আনসারদের মধ্যে থেকে পঞ্চাশ জন যোদ্ধা কেপাঠিয়েছিল আমি তার মধ্যে ছিলাম, আর তাদের (মিশরের থেকে আসা লোকেদের) চারজন নেতাছিল আব্দুর রহমান বিন উদাইস আল বালাভি, সাউদান বিন হিমরান, ইবনে বায়া আর আমরবিন হামক আল খুজাই”। নাসিবীদের প্রিয় আলেম ইবনে কাসির তার ‘বেদায়াআর নেহায়া’ তে উল্লেখ করেছেনঃ وفيها: كانت وفاةعمرو بن الحمق بن الكاهن الخزاعي، أسلم قبل الفتح وهاجر. وقيل: إنه إنما أسلمعام حجة الوداع. وورد في حديث أن رسول الله دعا له أن يمتعه الله بشبابه، فبقيثمانين سنة لا يُرى في لحيته شعرة بيضاء. ومع هذا كان أحد الأربعة الذين دخلواعلى عثمان “আমর বিন হামাক বিন কাহিন আল খুজাই এরমৃত্যুঃ সে ইসলামের মক্কা বিজয়ের আগে দাখিল হয়েছিল এবং হিজরত করেছিল। কেউ কেউ বলেসে বিদায় হজের সময় ইসলাম গ্রহন করেছিল। আর হাদিসে এটা এসেছে যে রাসুল সাঃ তার জন্যদোয়া করেছিল যে ‘আল্লাহ তোমাকে যুবক হিসাবে রাখুক’। ফলে সে ৮০ বছর বেঁচেছিল কিন্তুতার একটাও ছুল পাকে নি। সে ঐ চারজন লোকের মধ্যে একজজ ছিল যে উসমানের ঘরে প্রবেশকরেছিল”। (খণ্ড ৮পাতা ৪৮) ইবনে কাসীর আরও উল্লেখ করেছেনঃ “ইবনে আসাকির বর্ণনা করেছেন আউন ইবনে কানানাথেকে যে কানানা বিন বাশার লোহাত রড দিয়ে উসমানের কপালে আর মাথায় আঘাত করে ফলে যেপড়ে যায় আর তখন সাউদান বিন হিমরান তরবারীর দ্বারা আঘাত করে এবং হত্যা করে। আমর বিনহামক তার বুকের উপর চেপে বসে আর এই সময় উসমান শেষ নিশ্বাস নিচ্ছিল, সে নবারবর্শাদিয়ে আঘাত করলো। বর্ণনা কারী বলেন যে তার মধ্যে তিনটে ফস্কিয়ে যায় আর ছ’টাতাকে আঘাত করে আর এই সময় সে মৃত আমার সামনে পড়ে ছিল”। (খণ্ড ৭ পাতা ২০৮) আহলে সুন্নার রেজাল ও হাদিস শাস্ত্রের ইমামইবনে হিব্বান তার ‘শিকাত’ ( বিশস্ত) এ উল্লখে করেছেনঃ “৭০০ লোক মিশর থেকে এলো যাদের নেতা ছিলআব্দুর রাহমান ইবনে উদাইস, আমর বিন হামক আল খুজাই, কানান বিন বাশার, সাউদান বিনহিমরান আল মুরাদি’। ( খণ্ড ২ পাতা ২৫৬)